নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
সমূদ্রসীমা রায়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ হারানো বিষয়ে যাদের এখনো সন্দেহ আছে, তারা গুগল আর্থের এই ছবিটি খেয়াল করুন। চেয়ে দেখুন তো এখানে তালপট্টি দ্বীপ দেখা যাচ্ছে কী না? এমন কী রায়ের কপিতে দেখানো ম্যাপেও দক্ষিণ তালপট্টির অস্তিত্ব দৃশ্যমান।
[১] অথর্চ কিছু গো-গর্ধব কিছুক্ষণ পরপরই দৈনিক ভারতে আলো পত্রিকার একটা রিপোর্ট এনে কপিপেস্ট করে বলতে চাইছে তালপট্টি দ্বীপটি আর নেই! ওকে ফাইন, তালপট্টি নেই। কিন্তু ট্রাইবুনালের রায়ের কারণে বাংলাদেশের সাথে ভারতের স্থল সীমা পূন:নির্ধারণ করতে গিয়ে বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণ-পশ্চিম সীমানা প্রায় ৪.৫ কিলোমিটার পূর্ব দিকে সরে এসেছে। এর ফলে বাংলাদেশ তার স্ট্রাটেজিক রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ন দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের ওপর অধিকার হারিয়েছে। এটাকেও কী আপনাদের কাছে বিজয় মনে হচ্ছে? এটাকে যদি আপনার কাছে বিজয় বলে মনে হয় তাহলে আপনাকে সবিনয়ে জিজ্ঞেস করতে হয়, "ভাইজান আপনি কোন দেশের নাগরিক? আর কোন দেশের দালাল?"বাংলাদেশ তার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমানার রেফারেন্স হিসেবে দাবীটি সঠিক ভাবেই উপস্থাপন করেছিলো। তবে এই ক্ষেত্রে তারা যে ম্যাপটি ব্যবহার করেছিলো সেটি ছিলো ১৮৮০ থেকে ১৯০৪ সালের মধ্যে জরিপের ভিত্তিতে তৈরী বৃটিশ এডমিরাল চার্ট।
[২] বাংলাদেশ একটি ভুল তথ্য দিয়েছিলো যে এইটি ১৯৩৩ সালে তৈরী। এই ভুল তথ্যের কারণে এবং ম্যাপটি ১৯৪৭ সালের অনেক আগে তৈরী হওয়ায় ট্রাইবুনাল এই ম্যাপটির বদলে ১৯৪৭ এর কাছাকাছি সময়ের কোন মানচিত্র বা এরিয়াল ফটোগ্রাফ চেয়েছিলো। কিন্তু বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ তা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ একটু খোঁজ খবর করলেই বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ১৯৫৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরী টপোমানচিত্র সরবরাহ করতে পারতো।
[৩] সেই টপোমানচিত্রে স্পষ্টভাবে দেখানো আছে, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সর্বদক্ষিন-পশ্চিম সীমানা হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় মধ্যপ্রবাহ; কোনভাবেই রায়মঙ্গল নদীর মধ্যপ্রবাহ নয়।--------------------
১/ http://www.mediafire.com/view/9tn28aut8uvk5e0/BD-IN_20140707_Award_83.jpg
২/ http://www.mediafire.com/view/h8ff8bt17tux40h/BD-IN_20140707_Award-8.jpg৩/ http://www.mediafire.com/view/x305cssbl3xx9wr/nf-45-12(2).jpg
যারা আমার দেয়া টপোমানচিত্র নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে! তাদের জন্য ঐ টপোশিটটির পুরোটা আপলোড করে দিলাম।
Click This Link
২| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩
কলাবাগান১ বলেছেন: এখানে লিং:
Click This Link
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: তালপট্টি থাকলে ওখান থেকেই লাইন টানা হতো, বাংলাদেশ এখনকার চেয়েও কম সমুদ্রসীমা পেত সেক্ষেত্রে। আর দ্বীপ হিসেবে বিবেচিত হতে হলে সব সময় সেটা দৃশ্যমান থাকতে হবে পানির উপর, সেটাতো হচ্ছেনা। ওটা জায়গাটা এখন সিমপ্লি অগভীর পানি, দ্বীপ না। কাজেই বোকার মতো কথা না বলাই ভালো।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩
কলাবাগান১ বলেছেন: আর কত চেষ্টা জোর করে দেখানো যে তালপট্টি দ্বীপ এখনও আছে...... আপনার ম্যাপে কোথায় তালপট্রি দ্বীপ ওয়াহিদুজামান ভাই।
আসল খবর দেখুন এখানে:
তালপট্রি যদি দ্বীপ হিসাবে অস্তিত্ত থাকত, তাহলে বাংলাদেশ অনেক কম সমুদ্রসীমা পেত।
যেখানে আন্তর্জাতিক আদালত সশরীরে এসে এর কোন অস্তিত্ত খুজে পায় নাই, আর আপনার গুগুল আর্থ তাকে খুজে পেয়েছে??? একটা বিশ্বাস যোগ্য গুগুল আর্থের ছবি দেন, আপনার কথা মেনে নেব।
আরেকজন বলে কেন ড: কামাল হোসেন কে নেওয়া হল না? সংবিধান বিশেষজ্ঞ হয়ে উনি আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাওন্ডারী এক্সপার্ট হয়ে গেলেন। মিথ্যার বেসাতি জামাতিদের লিখায়। বলে যে ভারতীয় আইনজীবিদের কে নিয়োগ দিয়েছিল বাংলাদেশ। কত বড় মিথ্যা কথা??? দুই দেশই একজন করে বিচারক নিয়োগ দিতে হয়েছে আর বাংলাডেশের পক্ষে যারা লড়েছেন বেশীর ভাগই ছিলেন বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য এক্সপার্টরা যিদের নাম পত্রিকায় ছাপা হয়েছে.... নামের মধ্যে তো কোন হিন্দু নাম পেলাম না..।