নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
রীতিমতো ঝড়ের বেগে এগিয়েছে দাওলাতে ইসলামিয়া ইরাক ও শাম (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া- সংক্ষেপে আইএসআইএস)-এর মুজাহিদগণ। ২৯ জুন ২০১৪ জিহাদিরা তাদের দখলে আসা ইরাক ও সিরিয়ার অংশবিশেষে ইসলামী খেলাফত ঘোষণা করেছেন। একই সাথে এটিকে ইসলামিক স্টেট বা সংক্ষেপে আইএস নামে পরিচয় নির্ধারণ করেছেন। একটি যুদ্ধে তাদের মাত্র ৮০০ যোদ্ধা ইরাকী সেনাবাহিনীর ৩০ হাজার নিয়মিত সৈন্যকে পরাজিত করে দখল করে নিয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল। তুলনা করলে দেখা যায়, মসুলে মুজাহিদের যুদ্ধটি ছিল ৩৭ জন ইরাকী সৈন্যের বিরুদ্ধে একজন মুজাহিদের। কিন্তু সেখানে যুদ্ধ হয়নি। যুদ্ধ না লড়েই সরকারি ইরাকী বাহিনী ভয়ে পালিয়েছে। তারা পলায়ন করেছে সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের জন্মস্থান তিকরিত শহর থেকে। পলায়ন করেছে কিরকুক শহর থেকেও। মুজাহিদগণ যেভাবে বিদ্যুৎবেগে একের পর এক শহর দখল করে সামনে এগিয়েছে তাতে আতঙ্ক বেড়েছে সমগ্র পাশ্চাত্য মহলে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন গত ১৮ জুন পার্লামেন্টে বলেছেন ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার বিজয় ব্রিটিশ নিরাপত্তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় হুমকি। একই ভয় মার্কিনিদের। তাদের ভয়, মুজাহিদদের অগ্রগতি রোখার সামর্থ্য ইরাকী সেনাবাহিনীর নেই। তারা যুদ্ধজয় দূরে থাক, যুদ্ধ লড়তেই রাজি নয়। অথচ মার্কিন বাহিনী যখন ইরাক ছাড়ে তখন বলেছিল, ইরাকী সেনাবাহিনী নিজেরাই দেশের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট। দখলদার মার্কিনিরা বহু বছর ধরে বহু বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে দুই লাখের বেশি সৈন্য নিয়ে সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছিল। কিন্তু সেটি যে আদৌ কোনো সেনাবাহিনীই নয় রণভঙ্গ দিয়ে তারা সেটিই প্রমাণ করল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যের শক্তিবর্গ চায়, মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী সেনাবাহিনী থাকবে একমাত্র ইসরাইলের, কোনো মুসলিম দেশের নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাই চায়নি, ইরাক কোনো শক্তিশালী সেনাবাহিনীর অধিকারী হোক। সেটিই এখন প্রমাণিত হলো। যুদ্ধের অভিজ্ঞতা তো আসে যুদ্ধ লড়ার মধ্য দিয়ে। ইরানের সাথে ৮ বছর যুদ্ধ লড়ে ইরাকি সেনাবাহিনী বিপুল দক্ষতা অর্জন করেছিল। কিন্তু মার্কিনিরা ইরাক দখলে নেয়ার প্রথম সুযোগেই সে অভিজ্ঞ সেনাবাহিনীর বিলুপ্তি ঘোষণা করে। ইরাকের জন্য তারা যেমন শক্তিশালী সেনাবাহিনী চায়নি, তেমনি বিমান বাহিনী বা নৌবাহিনীও চায়নি। মার্কিনিদের হাতে গড়া এ ইরাকি সেনাবাহিনীর কোনো যুদ্ধ-অভিজ্ঞতা নেই। অভিজ্ঞতা যা আছে তা হলো অফিস-আদালত, মন্ত্রীদের ঘরবাড়ি ও বিদেশী দূতাবাস পাহারা দেয়ার। সে সাথে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে সাধারণ মানুষের দেহতল্লাশি করার। বিগত দশ বছর যাবৎ ইরাকের সেনাবাহিনী সে কাজগুলোই দিবারাত্র করেছে। ফলে মসুল, তিকরিত বা কিরকুকে যখনই তারা যুদ্ধের পদধ্বনি শুনেছে তখনই গায়ের পোশাক, বুট ও অস্ত্র ফেলে রণাঙ্গন থেকে দ্রুত পলায়ন করেছে। তাদের পলায়নের ফলে যুদ্ধ পৌঁছে গেছে বাগদাদের দোরগড়ায়। ভয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলো এখন বাগদাদ থেকে দ্রুত লোক সরাচ্ছে। সারা পৃথিবীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় দূতাবাসটি হলো বাগদাদে। সেখানে কাজ করে সাড়ে ৫ হাজার মার্কিনি। তাদের পাহারা দিতে ওবামা সরকার মার্কিন নৌবাহিনীর কয়েকশ’ সৈন্য পাঠিয়েছে। অপর দিকে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নূরী মালিকি নিজ সৈন্যদের ওপর ভরসা না করে রণাঙ্গনে শিয়া মিলিশিয়াদের নামাচ্ছে। কেন আতঙ্ক পাশ্চাত্য শিবিরে? জিহাদিদের এত দ্রুত যুদ্ধজয়ের ব্যাখ্যা সামরিক বা রাজনৈতিকভাবে দেয়া সম্ভব নয়। এমন যুদ্ধজয় চোখে আঙুল দিয়ে যা দেখিয়ে দেয় তা হলো, জনবল, অস্ত্রবল ও অর্থবলের বাইরেও মহাবিস্ময়কর বল আছে। যুদ্ধজয়ে সেটিই মূল ভূমিকা রাখে। সে মহাশক্তির বলে মানব ইতিহাসে বহু নিঃস্ব ও ক্ষুদ্র জনশক্তিও বড় বড় যুদ্ধ জয় করেছে। এমনকি বিশ্বশক্তিতে পরিণত হয়েছে। ইসলামের মূলশক্তি তেল, গ্যাস, সামরিক শক্তি বা জনশক্তি নয়। সেটি মহান আল্লাহতায়ালার শক্তি। এটি ঈমানের এতটাই বুনিয়াদি বিষয় যে, এরূপ বিশ্বাস না থাকাটাই শিরক। এমন শিরকের গুনাহ নিয়ে কোনো ব্যক্তিই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে না। মুসলমানগণ যখনই আল্লাহর বাহিনীতে পরিণত হয় তখনই তারা অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত হয়। তাদের জীবনে তখন লাগাতার বিজয়ও শুরু হয়। কারণ, সে বাহিনীর বিজয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা নিজেই দায়িত্ব নিয়ে নেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা সে সত্যটি বারবার বর্ণনা করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালার শক্তির বলেই বিশ্বশক্তি রূপে ইসলামের উত্থান হয়েছিল আরবের নিঃস্ব মরুপ্রান্তর থেকে। সেখানে না ছিল কোনো জনশক্তি, না ছিল কোনো সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি। কিন্তু তাতে তাদের শক্তির অভাব হয়নি। মুসলিম দেশে জাতীয়তাবাদী, সমাজতন্ত্রী, রাজতন্ত্রী, স্বৈরাচারী ও সেক্যুলারদের সংখ্যা কোটি কোটি। তাদের শাসনও চলছে যুগ যুগ ধরে। নিজেদেরকে তারা মুসলিম হিসেবে দাবি করলেও তাদের হাতে মুসলিম বিশ্বের কোথাও কি কোনো বিজয়, কল্যাণ বা শান্তি এসেছে? আসেনি; বরং এসেছে পরাজয়, বিভক্তি ও অপমান। তাদের আনন্দ তো ইসলামকে পরাজিত দেখার মধ্যে। তাদের নেতৃত্বে মুসলিম দেশের সেনাবাহিনী তাই নিজ জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে বর্বর গণহত্যা ও নির্যাতন। লাখ লাখ মানুষকে বাধ্য করেছে দেশত্যাগে। সেটি যেমন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে হয়েছে। তেমনি হচ্ছে সিরিয়া, ইরাক, মিসরে। সিরিয়ার শতকরা ৪০ ভাগ মানুষ আজ দেশত্যাগী তো তাদেরই কারণে। বাংলাদেশে তারা যেমন দুর্নীতি বিশ্বে প্রথম হওয়ার অপমান এনেছে, তেমনি অর্জন করেছে ভিক্ষার ঝুলির অপবাদও। বারবার প্রতিষ্ঠা করেছে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম স্বৈরাচার। দেশজুড়ে আজ চলছে শাপলা চত্বরের নিষ্ঠুরতা। আরব বিশ্বে এ শ্রেণীর লোকেরাই জন্ম দিয়েছে ২২ টুকরায় বিভক্ত ভূগোল এবং অস্ত্র ধরেছে সে বিভক্ত ভূগোলের প্রতিরক্ষায়। এনেছে ক্ষুদ্র ইসরাইলের হাতে বিশাল আরব বাহিনীর অপমানজনক পরাজয়। এনেছে বর্বর স্বৈরাচার। এনেছে নিষ্ঠুরতম গণহত্যা। প্রতিষ্ঠা পেয়েছে অসংখ্য রাজা-বাদশাহর দুর্বৃত্ত শাসন। কিন্তু দাওলাতে ইসলামীয়া ইরাক ও শাম মুসলমানদের সামনে যে পথের কথা বলছে সেটি ভিন্ন পথ। এ পথে যেমন লাগাতার জিহাদ আছে, তেমনি শরিয়তের প্রতিষ্ঠা আছে এবং খেলাফতের অঙ্গীকারও আছে। ফল তাতে চমকও আছে। তাদের হাতে তাই আসছে একের পর এক বিজয়ও। ইসলামের ইতিহাসে একমাত্র এ পথেই মুসলমানগণ অতীতে বিজয়ী ও গৌরবের অধিকারী হয়েছে এবং পরাজিত করতে পেরেছে পারস্য ও রোমান সাম্রাজ্যের ন্যায় দুই স্বৈরাচারী বর্বর বিশ্বশক্তিকে। নবীজী ও সাহাবায়ে কেরামের পথ তো এটিই। ইরাক ও সিরিয়ার কিছু লোক সে পথেই যাত্রা শুরু করেছে। আর তাতেই ভয় বেড়েছে ইসলামের শত্রুপক্ষের। আর সে সাথে প্রকাশ পাচ্ছে মুসলিমবেশী মুনাফিকদের চরিত্র। ইসলামের শত্রুপক্ষটিও জানে ইসলামের শক্তির উৎস্য কোথায়? তারা জানে, ইরাক ও সিরিয়াজুড়ে ঘোষিত ইসলামি খেলাফত ঘুমন্ত ইসলামী শক্তিকে আবার জাগিয়ে তুলবে। সেখানে মোজাহিদগণ নিরাপদ আশ্রয় পাবে এবং সংগঠিত হবে লাগাতার জিহাদ। অগণিত মানুষ নিজেরাই অপ্রতিরোধ্য মিসাইলে পরিণত হবে। পাশ্চাত্যের ভয়, সে মিসাইল বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। তখন একের পর এক বিলুপ্ত হতে থাকবে সাম্রাজ্যবাদীদের গড়া মুসলিম বিশ্বে বিভক্তির সীমারেখা।
২| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩০
বঙ্গদর্পণ বলেছেন: মুসলমান েমের েখলাফত কােয়ম কের, গাজায় েয ইহুিদরা মুসলমান মাের আইএসআইএস েসখােন যায় না েকন?
৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩২
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: ইনশাল্লাহ এক সময় সেখানে ও যাবে
সবেতো মাত্র শুরু .
৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:১২
অ্যামাটার বলেছেন: ফিলিস্তিনে যখন ইজরায়েলি বাহিনী গণহত্যা চালাচ্ছে তখন এই গাছভুদাই খেলাফতিরা কী করছে?
৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:০৪
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: ওরাতো নিজের দেশকে শত্রু মুক্ত করতে জীবন বাজি রেখে অস্র হাতে যুদ্ধে ময়দানে হাজির হয়েছে আপনি আমি কি করছি? যখন সরকারের পেটোয়া বাহিনী সাধারণ মানুষ ও ইমামদের উপর ৫ই মে নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে?
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আল্লাহু আকবার