নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
দুনিয়ার বুকে প্রায় ১৫০ কোটি মুসলমান। কিন্তু ইসলামের শত্রুগণ কি তাদের কাউকে শক্তিরূপে গণ্য করে? তাদের মতামতের কি গুরুত্ব আছে? জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কত বিষয়ে কত বৈঠক বসে। কোনো সময় কি ১৫০ কোটি মুসলমানের কাউকে ডেকে কিছু জিজ্ঞেসা করা হয়? অথচ সোয়া ৬ কোটি ব্রিটিশ বা সাড়ে ৬ কোটি ফরাসির মতামত না নিয়ে জাতিসংঘে কোনো সিদ্ধান্তই হয় না। এমন এক প্রেক্ষাপটে ইরাক ও সিরিয়ার ১০ থেকে ১২ হাজার মোজাহিদ রাতারাতি বিশাল শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ঝাঁকুনি দিয়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র ধরে। ইরাকের সরকার তাদের মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে ডাকছে শুধু মার্কিনিদের নয়, সব সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে। জিহাদীরা বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কেড়েছে খেলাফত, শরিয়ত ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে একতাবদ্ধ করার লক্ষ্যে জিহাদ ঘোষণা করে। আজকের মধ্যপ্রাচ্যের বিভক্ত মানচিত্রটি গড়া হয়েছিল পাশ্চাত্যের সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থকে পাহারা দেয়ার জন্য। লক্ষ্য, তেল-গ্যাস লুণ্ঠন ও ইসরাইলের নিরাপত্তা বিধান। এ বিভক্ত মানচিত্রে মুসলমানদের অকল্যাণ ছাড়া কোন কল্যাণ নেই। মুসলমানদের বিরুদ্ধে শয়তানের কৌশল বহু। কৌশল শুধু ইসলাম থেকে দূরে সরানো নয়, মূল কৌশলটি হলো, নানা বর্ণ, নানা ভাষা ও নানা ভৌগোলিকতার নামে বিভক্ত করে তাদের শক্তিহীন রাখা। ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন, জর্দান ও সৌদি আরবের মাঝে কোনোকালেই বিভক্তির সীমারেখা ছিল না। জনগণের চলাচলে কোনো কালেই কোনো বাধা ছিল না। উমাইয়া খলিফাদের আমলে যেমন ছিল না, আব্বাসীয় খলিফাদের আমলেও ছিল না। ছিল না উসমানিয়া খলিফাদের আমলেও। সে সময় খেলাফত ছিল, শরিয়তের প্রতিষ্ঠা ছিল এবং মুসলিম উম্মাহর একতাও ছিল। একারণেই মুসলমানেরা তখন বিশ্বশক্তি ছিল। বিশ্বজুড়া ইজ্জতও ছিল। এখন কোনোটাই নেই। দশটি টাকা চুরি হলেও আফসোস হয়। অথচ মুসলমানদের যে এত কিছু ডাকাতি হয়ে গেল তা নিয়ে মাতম কই? কোনো ঈমানদার ব্যক্তি কি এত কিছু হারানোর বেদনা নিয়ে স্থির থাকতে পারে? আনন্দচিত্তে কি ঘুমোতে পারে? মৃত ব্যক্তির হাত-পা কেটে নিলেও তা নিয়ে ব্যথা-বেদনা থাকে না। তেমনি ঈমানের মৃত্যু হলে খেলাফত, শরিয়ত বা ইসলামী রাষ্ট্র বিলুপ্ত হলেও তা নিয়ে দুঃখ হয় না। ঈমান যে বেঁচে আছে তার আলামত ¯্রফে নামায-রোযা নয়। বহু নামায-রোযা তো মুনাফিকের জীবনেও থাকে। বরং ঈমানের পরিচয় হলো, এত কিছু হারানোর মর্মবেদনা নিয়ে মাতম। ইসলামের পরাজয় নিয়ে প্রচ- দুঃখবোধ। তবে মু’মিন শুধু মাতম ও দুঃখবোধ নিয়ে বাঁচে না। বাঁচে হারানো গৌরব পুনঃপ্রতিষ্ঠার জিহাদ নিয়ে। মাতম ও দুঃখবোধ তখন প্রচ- শক্তিতে পরিণত হয়। সিরিয়া ও ইরাকের বহু হাজার মুসলমানদের মাঝে ঈমান যে এখনো প্রচ-ভাবে বেঁচে আছে তার আলামত হলো খেলাফত ও শরিয়ত প্রতিষ্ঠার এ জিহাদ। সে জাগ্রত ঈমান নিয়ে বিশ্বের নানা কোণ থেকে হাজার হাজার মুসলমান যোগ দিচ্ছে জিহাদের ময়দানে। ঈমানের এ জাগরণের কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসলামের শত্রুশিবিরে এত ভয়। অপর দিকে মুসলিম বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে এক বিপুল সম্ভাবনা।
২| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: যোগ সুত্র বুঝেন, দেখেনতো পান কিনা ??
কথায় কথায় কাফির আখ্যা দিয়ে নির্বিচারে মুসলিম নারী ও শিশুদের গলা কেটে হত্যা করতে এবং সাহাবি ও নবীদের মাজার ধ্বংস করতে অভ্যস্ত আইএসআইএল-এর সেনারা এখন কেন সিরিয়া থেকে ইসরাইলে ঢুকে পড়ে সেখানে জিহাদ করছেন না? (আরব রাজা-বাদশাহদের অর্থের বিনিময়ে পশ্চিমাদের কাছ থেকে পাওয়া) তাদের উন্নতমানের অস্ত্র ও রকেট কেন ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে না? কেন এইসব অস্ত্র ইরাক আর সিরিয়ার মুসলমানদের বিরুদ্ধেই ব্যবহৃত হচ্ছে? মৃত সেনার লাশের কলিজা-ভক্ষণকারী এই 'জিহাদিরা' কেন ইসরাইলের দিকে কখনও একটি গুলিও নিক্ষেপ করেনি? কেনা ভুয়া নাম ব্যবহারকারী 'খলিফা' আবুবকর ও তালেবান নেতা মোল্লা ওমর তার সেনাদের একটা অংশকে ইসরাইলে জিহাদ করতে পাঠাচ্ছেন না?
ওরাই কিন্তু সবার আগে ইসরাইলে হামলা করতে পারতো। কিন্তু কেনো আজ পর্যন্ত একটা গুলিও ওই শয়তানদেরর সীমান্তে যায় নি
আর কেন ঠিক এই সময়ইয়েই ইহুদী শয়তানেরা ভুয়া অজুহাতে হামলা শুরু করলো???
আপনিতো ওই জঙ্গিদের মুজাহিদ জিহাদি বললেন, তাহলে এত আবেদনের পড়ও কেন আজো আমেরিকা তাদেরকে একটি টোকাও দিচ্ছেনা?
এই প্রশ্নগুলোর জবাব আগে দিন? তারপর ওই সন্ত্রাসীদের মুজাহিদ বলুন।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০১
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: এই ব্যাপারে আমিও শুনেছি তবে কেউ নির্দিষ্ট প্রমাণ অথবা লিংক দিতে পারে নি। আর ফিলিস্তিনের কথা বলছেন আগে ঘর সামলানো পরে বাহিরে তবে তাদের জন্য সত্যিই খারাপ লাগছে
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০৪
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: ইতিমধ্যে লেবাননের মুজাহিদের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের সুরক্ষিত অঞ্চলে রকেট হামলা হচ্ছে।
৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:৫০
মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: কাওয়ার্ড জিহাদীগুলা কই......আর বানচোত স্বঘোষিত খলিফা কই.......কাওয়ার্ডগুলা জিহাদ চোদায় সাধারন মানুষের উপ্র.......নারী শিশু হত্যা করে.....আর সত্যিকারের যুদ্ধর সময় সব চুপ........
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আল্লাহু আকবার , আল্লাহ মুসলিমদের শক্তি বৃদ্ধি করে দিন ।