নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
মুসলমানদের পবিত্র সিয়াম সাধনার মাসে ইসরাইলের আগ্রাসন, হামলা, হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে নিন্দা ও ধিক্কার ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ, মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম দেশগুলোতে প্রতিবাদ, সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে। অবিলম্বে হত্যা ও দমন-দলন বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। সম্ভবত: ইসরাইল এ রকম একটি হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর প্রতীক্ষায় ছিল। ফিলিস্তিনে ফাতাহ-হামাস ঐকমত্যের সরকার হওয়ার পর ইসরাইলি নেতারা যেভাবে একের পর এক অসহিষ্ণু ও উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন তাতেই মনে হচ্ছিল অচিরেই হয়তো মুখের ভাষা অস্ত্রের ভাষায় রূপ নেবে। বাস্তবেও তা-ই হয়েছে। বলা হয়েছে, হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নিতেই ইসরাইল গাজায় হামলা শুরু করেছে। তথ্যগতভাবে কথাটি ঠিক। কিন্তু তার আগেও কথা আছে। ইসরাইলের তিন ইহুদি কিশোরকে কে বা কারা অপহরণ ও হত্যা করে। এর প্রতিশোধ হিসেবে ফিলিস্তিনি এক কিশোরকে অপহরণ করে পুড়িয়ে মারা হয়। এতে যে প্রতিবাদ, প্রতিক্রিয়া ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয় তার জের ধরেই গাজায় আগ্রাসন, হামলা ও হত্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞের অবতারণা হয়েছে। সহসা তার অবসান ঘটবে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উদ্ধৃত ইসরাইলি কথাবার্তা ও পদক্ষেপ থেকে সেটা মনে হচ্ছে না। আসলে ফিলিস্তিনে ফাতাহ-হামাস ঐকমত্যের সরকার এক বিরাট রাজনৈতিক উন্নয়নের নজির। ফাতাহ-হামাস বিরোধে লাভবান হচ্ছিল ইসরাইল। তাদের ঐক্য ও সংহতি ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায় ও স্বাধীনতার প্রত্যাশা পূরণ ত্বরান্বিত করতে পারে, এ কথা সবারই জানা। ফিলিস্তিনীরা দীর্ঘদিন ধরে এই ঐক্য-সংহতির প্রত্যাশা করে আসছিল। সে ক্ষেত্রে ইসরাইল ফাতাহ-হামাস সরকারকে কীভাবে স্থায়ী ও কার্যকর হতে দিতে পারে? পারে না বলেই এই হামলা, হত্যা ও ধ্বংসকা-।ইসরাইল ফাতাহ-হামাস ঐক্য-সংহতি স্থায়ী ও দৃঢ় হওয়ার আগেই তা অফলপ্রসূ ও নস্যাৎ করে দেয়ার লক্ষ্যেই এই হামলা ও নৃশংসতার তা-ব শুরু করেছে। ইসরাইলের তরফে আগেই বলা হয়েছিল, ফাতাহ-হামাস ঐকমত্যের সরকার হলে তারা শান্তি আলোচনায় বসবে না। গত এপ্রিলে ঐকমত্যের সরকারের সম্ভাবনা নিশ্চিত হওয়ামাত্র ইসরাইল শান্তি আলোচনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়। চলমান ইসরাইলি হামলার প্রেক্ষাপটে শান্তি আলোচনায় উভয় পক্ষের ফিরে আসার সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সুপ্রতিষ্ঠিত হোক, ইসরাইল কখনোই তা চায় না।চাইলে বিগত ৬৬ বছরেও তা না হওয়ার কারণ থাকতে পারে না। অন্যদিকে একদা ফাতাহসহ ফিলিস্তিনিদের কোনো সংগঠনই ইসরাইলের অস্তিত্ব স্বীকার করতো না। এখন একমাত্র হামাসই ইসরাইলকে স্বীকার করে না। অথচ সেই হামাস যখন ঐকমত্যের সরকার গঠন করে তখন অনুমিত হয়, হামাস হয়তো পূর্বের কঠোর অবস্থানে নেই। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার-প্রয়াস প্রচেষ্টার ধারায় হামাসের এই নমনীয় মনোভাব ইতিবাচক। ইসরাইল তা নস্যাৎ করে দেয়ার পথ বেছে নিয়েছে। দুঃখজনক হলেও বলতে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব ইসরাইল নামের এই ভূইফোঁড় ইহুদি রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠাই করেনি, তাকে অন্ধ সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে এখন পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছে। যুদ্ধ বন্ধে অস্বীকৃতি জানিয়ে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন, তার উৎস কোথায় তা বুঝতে না পারার কিছু নেই। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাবিশ্ব ইহুদি তোষণ বন্ধ করলে এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক হলে মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা এত প্রলম্বিত হতে পারতো না। এখনও ফিলিস্তিনের পক্ষে যতটা বলা হচ্ছে, তার মধ্যে আন্তরিকতার ছোঁয়া কম। এই লিপ সার্ভিস না দিয়ে তাদের, জাতিসংঘের এবং মুসলিম বিশ্বের উচিত অসহায় ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো। যে কোনো মূল্য মুসলিম নিধন বন্ধ করতে ইসরাইলকে বাধ্য করা। শান্তি নিরাপত্তা ও মানবাধিকার সুরক্ষায় ইসরাইলকে অবশ্যই রুখতে হবে, এর বিকল্প নেই।
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:০৩
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: মুসলমানদের ঐক্যের অভাবে আজ প্রতিনিয়ত আমরা লাঞ্চিত হচ্ছি অত্যাচারীত হচ্ছি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৪৯
িরয়াজ উিদ্দন বলেছেন: একমত। এই মহুর্তে মুসলিমদের ঐক্য খুবই দরকার....