নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাজায় লাশের সারি : বিশ্ব বিবেক আজ কোথায়

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:১০

আজ প্যালেস্টাইনের আকাশ-বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে লাশের গন্ধ। পাখির মতো গুলি করে মারা হচ্ছে মুসলিমদের। চারদিকে নারী-শিশুদের বাঁধভাঙ্গা কান্নার আর্তনাদ। বুলেটের শব্দে ঘুম ভাঙছে মাতৃদুগ্ধ নবজাতকের। কেউ কেউ মায়ের দুধের পরিবর্তে বোমা খেয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছে। যুবতী ও নারীদের ধরে নিজেদের নোংরা লালসা মেটাচ্ছে। ইহুদিরূপী হায়েনারা সারা বিশ্বকে চোখ রাঙিয়ে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছে- ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র। প্রতিনিয়ত লাশের কাতার বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। তারপরও  টনক নড়ে না তথাকথিত বিশ্বমোড়েলদের। টুইন টাওয়ারে হামলার জুজু দেখিয়ে ন্যাটোর যে প্রভুরা ইরাক-আফগানিস্তানে মুসলিম কিলিংয়ে মেতে উঠেছিল, ইসরাইল প্রশ্নে তারা এখন হিমাগারে কেন? গত নয় বছরে শুধুমাত্র গাজাতেই ইসরাইলী বিমান-রকেট হামলার পরিসংখ্যান দেখলে ভয়াবহ চিত্র লক্ষ করা যায়। জুন-নভেম্বর ২০০৬ সালে পাঁচ দিনব্যাপী ইসরাইলী সেনা অভিযানে প্রায় ৫০০ ফিলিস্তিনি হত্যা করা হয়। ফেব্রুয়ারি-ডিসেম্বর ২০০৮ সালে ২২ দিনব্যাপী হামলায় ১৪০০ জন নিহত হয়। মে ২০১০ সালে গাজা অভিমুখে ত্রাণবহরে  হামলা করে ১০ তুর্কিকে হত্যা করা হয়। এপ্রিল-আগস্ট ২০১১ সালে হামলায় ৪৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। মার্চ-নভেম্বর ২০১২ সালে ইসরাইলী ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হামাস নেতাসহ প্রায় ১৯৫ জন নিহত হয়। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে সীমান্তে গুলি করে এক শিশুসহ ৬ জনকে হত্যা করা হয়। ৩ মার্চ ২০১৪ সালে শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়। সর্বশেষ ৮ জুলাই তিন ইসরাইলী কিশোর অপহরণের জের ধরে গাজায় চলছে হত্যার মহড়া। এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক নিহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।প্রতিবাদ তো দূরের কথা সবাই শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছে! আর নিরীহ মা-বাবা হারা ছোট ছোট শিশুগুলো যখন রক্তের বদলা নিতে কুলাঙ্গার ইসরাইলীদের লক্ষ করে ইটপাথরের ঢিল ছুঁড়ছে, তখন চেতনা ব্যবসায়ীরা কোমলমতী শিশুদের গায়ে সন্ত্রাসের তকমা লাগিয়ে দিচ্ছে। আর বিশ্ব বেহায়া পশ্চিমা মিডিয়াগুলো সেটাকেই বড় করে প্রচার করছে। এরপরও থামছে না হায়েনাদের নগ্ন উল্লাস। থামার কোনো লক্ষণ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। তাহলে এভাবেই কি জেরুজালেমের বুক চিড়ে মজলুমের কান্নার স্রোত বয়ে যাবে? নাকি বিশ্ব মুসলিম নেতাদের গভীর গাঁ ঢাকা দেয়ার ঘুম ভাঙবে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.