নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
১৯৮২ সালে ইজরাইলের লেবানন হামলা ও দখলের আগে বৃটিশ ওয়ার ফটোগ্রাফার ক্রিস স্টিল পারকিন্স কোন এক এলাকায় দেখা পান একদল বাংলাদেশী যুবকের। পারকিন্স বাংলাদেশী এই সশস্ত্র গ্রুপের সাথে খুব বেশী কথা বলতে না পারলেও একটা ছবি তুলে নেন। পরে এই ছবিটাই হয়ে ওঠে লেবাননে বাংলাদেশী যোদ্ধাদের একমাত্র আইকনিক দূর্লভ ছবি।
সশস্ত্র অবস্থায় একটা সাদা-কালো গ্রুপ ফটোগ্রাফ আর একটা কবর এ দুটো জিনিশই কালের আবর্তে টিকে আছে বাংলাদেশী যুবকদের সবেচেয় মূল্যবান স্মৃতি হিসেবে যারা ১৯৮০'র দশকে ফিলিস্তিনের হয়ে ইজরাইলি আগ্রাসন ও জুলুমের বিরুদ্ধে লড়ায়ে শরীক হতে স্বেচ্ছায় ছুটে গেছিল লেবাননের রাজধানী বৈরুতে। তাদের কেউ কেউ লড়েছিল সরাসরি অস্ত্র হাতে আবার কেউ কেউ ভলান্টিয়ার হিসেবে বিভিন্ন কাজে ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করেছিল আপন ভায়ের মত। তাদের এ অবদান ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের ইতিহাসে মোটেও নগন্য নয় । ফিলিস্তিন থেকে বহু দূরের এক অনারব দেশের মুসলিম যুবক হিসেবে তাদের সাহসিকতা-বীরত্বের বিভিন্ন কাহিনী সময়ের পরিবর্তনে অবহেলায় চাপা পড়ে গেলেও যতটুকু জানা যায় তা অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার এবং আমাদের জন্য প্রেরণাদায়ক।
"প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশী যুবক সেসময় প্যালেস্টাইনিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশনের সাথে লড়ায়ে অংশ নিয়েছিল স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে" - ইউএস লাইব্রেরী অফ কংগ্রেসমুসিলম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের সবসময়ই সহানুভূতি-ভালবাসা ছিল ফিলিস্তিন এবং তার জনগণের জন্য। যা আজও বহমান । ৮০'র দশকে ইজরাইলের বিরুদ্ধে লড়ায়ে ফিলিস্তিনের পাশে বাংলাদেশী যুবকেরাআজকের ফিলিস্তিনকে মুক্তির দিকে এগিয়ে নেবার জন্য এরকম যুবকদেরকে আবার দলে দলে বায়তুল মুকাদ্দাসের পথে যাওয়ার শপথ নিতে হবে।
Click This Link
©somewhere in net ltd.