নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরাইলি বর্বরতায় সভ্যতার পরাজয়

২৮ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

ইসরাইলের বর্বরতা আর গণহত্যার কাছে হার মেনেছে সভ্যতা। আধুনিক শিক্ষা, সভ্যতা ও মানবতাকে পায়ে দলে যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহুর দখলদার সরকার আট বছর অবরুদ্ধ থাকা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চালিয়েছে ইতিহাসের জঘণ্যতম গণহত্যা। ইহুদিবাদী সেনাদের বর্বরতায় শেষ পর্যন্ত গাজায় এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে শহীদের সংখ্যা। সবশেষ খবর অনুযায়ী, গাজা কর্তৃপক্ষকে তৈরি করতে হয়েছে ১,০৪৯ নম্বর কফিন। ইসরাইলের অত্যাধুনিক এফ-১৬ জঙ্গিবিমান, রকমারি বোমা আর ট্যাংকের গোলার আঘাতে এক মৃত্যুপুরীর নাম এখন গাজা। বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নিচ থেকে বেরিয়ে আসছে রাশি রাশি লাশ। গত শনিবার সকালের দিকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৪৭টি মৃতদেহ। সব হিসাব মিলিয়ে গাজায় শহীদের সংখ্যা এখন ১,০৪৯। তবে এ সংখ্যা স্থির নয়, বাড়তে পারে লাশের সংখ্যা- এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা। জাতিসংঘের হিসাব মতে- নিহতদের শতকরা অন্তত ৮০ ভাগ বেসামরিক নাগরিক। চোখের সামনে স্বজনের এমন করুণ বিদায়ই হয়তো ইস্পাত কঠিন অঙ্গীকার নিতে সাহায্য করেছে গাজার ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের স্বাধীনতাকামীদের। থমকে যাওয়া গাজার ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে মরণপণ লড়াই চালিয়েছেন তারাও। ইসরাইলেরই হিসাব মতে ১২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির দিনে স্বাধীন ফিলিস্তিনের স্বপ্নদ্রষ্টাদের হাতে খতম হয়েছে অন্তত তিন ইহুদি সেনা। একদম বিনা চ্যালেঞ্জ ছেড়ে দেননি তারা। ২০ দিনের অসম লড়াইয়ে হামাসের বীরদের হাতে জাহান্নামের মুখ দেখেছে ৯০ জনের বেশি ইসরাইলি সেনা। কিন্তু, পরাজয়ের গ্লানি মানতে রাজি নয় তেল আবিব; তাই সংখ্যা কমিয়ে এখনো বলছে- মরেছে ৪২ জন। এদিকে, গাজার স্বল্প সময়ের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার খবর দিচ্ছে কোনো কোনো গণমাধ্যম। চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী, পশ্চিমা মাধ্যমগুলো হামাসকেই দায়ী করছে। ইসরাইলি সেনাদের বরাত দিয়ে জানাচ্ছে- হামাসের রকেট ছোঁড়ার মধ্যদিয়ে যুদ্ধবিরতির অবসান হয়েছে। তবে এ নিয়ে হামাসের এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পশ্চিমা গণমাধ্যম থেকেই জানা গেছে- ইসরাইল আরো চার ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে; তবে রাজি হয়নি হামাস। গাজায় যুদ্ধবিরতির আগে পোড়ামাটি নীতিএদিকে, মাত্র ১২ ঘণ্টার সাময়িক যুদ্ধবিরতির আগে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজার সাধারণ মানুষের ওপর পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করেছে। ঠিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগমুহূর্তে গাজার খান ইউনুস শহরে ইসরাইলের বিমান হামলায় এক পরিবারের ২০ জন শহীদ হয়েছেন। বেইত লাহিয়া এলাকায় শাহাদাত বরণ করেছেন আরো একজন। এ নিয়ে গত ১৯ দিনের টানা হামলায় শহীদ হলেন ৯৮৫ জন ফিলিস্তিনি। এছাড়া, ইসরাইলের বর্বর হামলায় ৫,৭০০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। খোদ জাতিসংঘ বলছে, হতাহতদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ বেসামরিক নাগরিক। এর মধ্যে শিশুদের সংখ্যা ২০০।অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গাজার বিধ্বস্ত বাড়ি-ঘর থেকে অন্তত ৮৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ কুদরা এ তথ্য দিয়েছেন। লাশের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। গাজায় নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.