নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নৌদূর্ঘটনা : তদন্ত হয় কিন্তু বিচার হয়না

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

বাংলাদশে গত ৩৮ বছরে ৫৩৫টি লঞ্চ দুর্ঘটনায় অন্তত ৮৬৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ অথচ এর মধ্যে মাত্র চারটি তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে৷ আর তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে কাউকে শাস্তি পেতে হয়েছে বলে কোনো তথ্যই নেই৷গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে লঞ্চ দুর্ঘটনায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ গত ৩৮ বছরে এরকম লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৮৬৩টি তদন্ত কমিটির মধ্যে ৫০০টি তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করলেও, এখনও পর্যন্ত মাত্র চারটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, এ সব তদন্ত কমিটির অধিকাংশই গঠন করা হয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআইডাব্লিউটিএ-র উদ্যোগে৷বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং নৌযান বিশেষজ্ঞ খাবিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘‘এ সব তদন্ত লোক দেখানো''৷ তিনি বলেন, ‘‘কারুর শাস্তি তো হয়ই না, উপরন্তু যাঁদের নকশা অনুমোদন পেয়েছে, তাঁদের কেউই তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরোয়া করেন না৷ এছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ও নৌযান মনিটর করার মতো লোকবলও নাই বিআইডাব্লিউটিএ-র৷ আর তার ওপরে আছে দুর্নীতি৷''বিআইডাব্লিউটিএ-র সাবেক সচিব সৈয়দ মনোয়ার হোসেন জানান, ‘‘তদন্ত কমিটির রিপোর্ট তৈরি করেন নৌপথ বিভাগের সার্ভেয়ার এবং পরিদর্শকরা৷ এ সব কর্মকর্তারাই নৌযানের ত্রুটিযুক্ত নকশা অনুমোদন করেন৷ ফলে তাঁদের প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন ধেকে যায়৷'' তাঁর মতে, ‘‘তদনত্ম কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনা, কারণ প্রায় একই থাকে৷ শুধু লঞ্চ, মালিক, স্থান এবং যাত্রী সংখ্যার পরিবর্তন হয়৷''গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে লঞ্চ দুর্ঘটনায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেনতিনি জানান, সেমবার পদ্মায় ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ লঞ্চটির ধারণ ক্ষমতা ৮৫ জন যাত্রী৷ অখচ লঞ্চটি তিন শতাধিক যাত্রী বহন করছিল৷ বিআইডাব্লিউটিএ-র অবশ্য দাবি যে, তারা তদন্তের আলোকে বিভিন্ন সময় লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন৷

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.