নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিচিতি : হামাস কমান্ডার মুহাম্মদ দেইফ (২ খন্ড)

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৮

 ওই গুপ্ত হামলার লক্ষ্য ছিল চিরদিনের মতো দেইফকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া। কিন্তু এবারের হামলাও ব্যর্থ হলো। অবশ্য, পঞ্চমবারের হামলায় মুহাম্মাদ দেইফ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন। হামলার পর গুজব ছড়িয়ে পড়ে তার পা ও দেহের নীচের অংশ প্যারলাইজড হয়ে গেছে যদিও তা কখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি। এরপর তিনি একদমই গোপন কোথাও চলে গেছেন; জনসমক্ষে আর দেখা যায় নি। তার জীবন সম্পর্কেও তেমন বিস্তারিত কিছু জানা যায় না।   ২০০২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মাসে ইহুদিবাদী ইসরাইল অ্যাপাচি হেলিকপ্টার থেকে দেইফের গাড়ি লক্ষ্য করে দুটি হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। সে সময় তিনি এক শোকানুষ্ঠান থেকে ঘরে ফিরছিলেন। আহত হয়ে এ যাত্রাও বেঁচে যান কমান্ডার দেইফ। ২০০৩ সালের আগস্ট মাসের কথা। এবারও আরেক হামলা থেকে বেঁচে যান তিনি। সেদিন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া, আল-আউয়াল এবং আধ্যাত্মিক নেতা শেখ ইয়াসিনের সঙ্গে মুহাম্মাদ দেইফ বৈঠক করছিলেন একটি ভবনের নিচ তলায়। ইহুদিবাদী ইসরাইল ওই ভবনের ওপরের তলায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। হামলায় সবাই বেঁচে যান তবে সামান্য আহত হন।     দফায় দফায় আহত হওয়ার পর শোনা যায় দেইফ তার প্রতিনিধিত্ব দিয়েছেন তারই সহযোগী আহমাদ জাবারিকে। শত্রুদের মধ্যে তার নাম রয়েছে “ক্যাট উইথ নাইন লাইভস”। ধীরে ধীরে গাজার অভ্যন্তরে তার সুনাম-সুখ্যাতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অনেক শক্তভাবে। অতি সম্প্রতি মুহাম্মাদ দেইফের কয়েকটি ছবি পাওয়া গেছে যা ২০ বছর আগের; খানিকটা অস্পষ্টও বটে। এ থেকেই জানা গেল তার অস্তিত্ব। তবে তিনি কোথায় থাকেন তা সাধারণ লোকজন তো বটেই বিশিষ্টজনদেরও অনেকে জানেন না। বলা হয়ে থাকে- শুধুমাত্র হামাসের দু জন নেতা কমান্ডার দেইফের অবস্থান সম্পর্কে জানেন। ধারণা করা হয় তাদরেই একজন হচ্ছেন ইসমাইল হানিয়া। এছাড়া, মনে করা হয় হামাসের এই কমান্ডারের সঙ্গে একমাত্র ইসমাইল হানিয়ার সারসরি যোগাযোগ আছে।   মুহাম্মাদ দেইফ ছদ্মবেশ ধারণ করার বিষয়ে এতটাই পারদর্শী যে, মুহূর্তেই জনতার মধ্যে মিশে যেতে পারেন। রহস্যময় এ কমান্ডার কোনো প্রযুক্তির সঙ্গে থাকেন না; ব্যবহার করেন না কোনো মোবাইল ফোন বা অন্য কিছু। কারণ একটাই; শত্রু ইসরাইলের  যেকোনো ধরনের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যাতে কোনোভাবেই তার চিহ্ন না পায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাস কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গত ক’দিন আগে এই তথ্য জানিয়েছিল বার্তা সংস্থা এএফপি। সম্ভবত তিনি এ কৌশল ও সতর্কতা অবলম্বন করেন তারই বিজ্ঞ পরামর্শদাতা ইয়াহহিয়া আইয়াশের শাহাদাতের কারণে। আইয়াশ শহীদ হয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে। মোবাইল ফোন ট্রাক করে ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা ফাঁদে ফেলে তাকে শহীদ করে। শহীদ আইয়াশ একান্ত তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে মুহাম্মাদ দেইফকে গড়ে তোলেন বোমা বিশেষজ্ঞ হিসেবে; সেই সঙ্গে গড়ে ওঠে হামাসের সামরিক শাখার কমান্ড কাঠামো। যে দেইফ নিয়ে এতক্ষণ এত কথা হলো সেই দিয়েফের পুরো নাম কিন্তু জানা হলো না। তার পুরো নাম মুহাম্মাদ দিয়াব আল-মাসরি এবং তিনি পরে গেরিলা নাম ধারণ করেন দিয়েফ যার আরবি অর্থ হচ্ছে মেহমান বা অতিথি। হামাসের এই জাঁদরেল কমান্ডারের স্বাভাবিক অভ্যাস হচ্ছে- ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করা। নাম প্রকাশে হামাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মুহাম্মাদ দেইফ হচ্ছেন “অতিশয় বিনয়ী মানুষ, বিচক্ষণ এবং খুব নরম সুরে কথা বলেন।” তার পরম ভালোবাসার বিষয় হচ্ছে ‘সামরিক কৌশল’। দিনের বেশিরভাগ সময় কাটান তিনি সামরিক কৌশল নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে। রহস্যের জালে ঘেরা এই কমান্ডারের কোনো বক্তব্য-বিবৃতিও পাওয়া দুর্লভ বিষয়। ২০১২ সালে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে ‘পিলার অব ডিফেন্স’ নামে সামরিক অভিযান চালানোর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। গাজা থেকে হামাসের রকেট হামলা ঠেকানোর নামে ইসরাইল ওই অভিযান চালায়। ১৯৯৬ সালে ইয়াহহিয়া আইয়াশ শাহাদাতবরণ করার পর মুহাম্মাদ দেইফ নিজেই ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব পালন করা শুরু করেন। আইয়াশ নিজেও ছিলেন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। ইসরাইল মনে করে- মুহাম্মাদ দেইফের কারণেই হামাস বহু হামলায় সফলতা পেয়েছে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত ইসরাইলের অভ্যন্তরে যেসব হামলা হয়েছে তার মূল পরিকল্পনাকোরী ছিলেন হামাসের এই কমান্ডার। হামাসের কৌশলগত উন্নয়নে তিনিই বড় ভূমিকা রেখেছেন বলে মনে করে ইসরাইল। ইসরাইলের সামরিক কর্মকর্তারা আরো মনে করেন- হামাসের কাসসাম রকেটের আবিষ্কারক হলেন কমান্ডার মুহাম্মাদ দেইফ। বলা হয়- ইরান উন্নত রকেট প্রযুক্তি দেয়ার আগ পর্যন্ত এই রকেটের পাল্লা ছিল ৮ কিলোমিটার।  

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.