নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
১/১১-এর পর টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ অন্তর্কলহে এখন আর শান্তিতে নেই। প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক মামলা-হয়রানি এড়াতে এলাকা ছাড়া হলেও অন্তর্কলহে জীবন শঙ্কায় ভুগছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।একের পর এক হত্যাকাণ্ড কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ। এতে দেশজুড়ে দলীয় নেতাকর্মীদের খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে না পারায় তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে।জানা যায়, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর থেকেই আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ যেন আওয়ামী লীগ নিজেই। গত ছয় বছরের শাসনামলে শঙ্কা আর নিরাপত্তাহীনতায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন পর্যায়ে গ্রুপিংয়ে নানামুখী সংকটে দলটির মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি।জনপ্রিয়তা, রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্ব, স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার এবং ব্যবসায়িক কোন্দলসহ বিভিন্ন কারণে একের পর এক লোমহর্ষক খুনের শিকার হচ্ছে দলটির বিভিন্ন সারির নেতাকর্মী। কোনো কোনো যাত্রায় দুর্বৃত্তদের হামলা থেকে তারা বেঁচে গেলেও আতঙ্কে রয়েছেন ঐসব নেতা।সূত্রমতে, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর এখন পর্যন্ত দলটির যত নেতাকর্মী খুন হয়েছেন, ২০০১ থেকে ২০০৭ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায়ও (তুলনামূলক) এত নেতাকর্মী খুনের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর দেশজুড়ে বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় নেতা নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। এর সঙ্গে জড়িত ছিল নিজ দলের নেতাকর্মীরাই।বেশ কয়েকটি নৃশংস খুনের ঘটনার পেছনে নিজ দলের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। খুন হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবারের পক্ষ থেকেও খুনের পেছনে নিজ সংগঠনের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এর মধ্যে নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হোসেন, ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম, ঢাকা মহানগর যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কী এবং সর্বশেষ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা জাহাঙ্গীর কবীর খুন হয়েছেন।এছাড়াও আওয়ামী লীগের গত ছয় বছরে দেশজুড়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দলটির আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে। ২০১১ সালের ১ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে ৩/৪ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে ঢুকে পৌর মেয়র লোকমান হোসেনের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে এম্বুলেন্সেই মারা যান তিনি। এই খুনের পেছনে তৎকালীন সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমদ রাজু এবং তার ভাই সালাউদ্দিন বাচ্চুকে দায়ী করেন লোকমানের ভাই কামরুজ্জামান।ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হক একরামকে খুন করার ধরন সকল নৃশংসতাকে ছাড়িয়ে গেছে। চলতি বছরের ২০ মে ফেনী শহরে প্রকাশ্যে একরামকে গুলি করার পর গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে জড়িত র্যা বের হাতে আটক আট যুবক স্থানীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে একজনের মা আবার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী।এদিকে রিয়াজুল হক খান মিল্কী ছিলেন ঢাকা মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। গুলশানে একটি বিপণিবিতানের সামনে গতবছর ২৯ জুলাই তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে তার দলের অপর নেতা জাহিদ সিদ্দিক তারেক।এছাড়াও খুন হয়েছেন যশোরের আওয়ামী লীগ নেতা প্রকাশ দত্ত, অভয়নগরের রাজু আহমদ, পুলেরহাট বাজারের বাছের, জেলা তরুণ লীগের কামরুজ্জামান রিপন, যুবলীগ নেতা মজু, আবদুল খালেক, নজরুল ইসলাম বাবু, আরব আলী, সাংবাদিক জামাল হোসেন, জাফর, তরিকুল ইসলাম, রুহুল আমীন, মনিরুল, আবদুল্লাহ ওরফে বাবু, কর্মী শফিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান পিকুলসহ আরো অনেকে।এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “খুনিরা কেউ পার পাবে না। কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে তাদের যথাস্থানে পাঠিয়ে দেয়া হবে।”এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম পরিবতনকে বলেন, “দেশের সর্ববৃহৎ একটি দলের মধ্যে অন্তর্কলহ থাকা অস্বাভাবিক নয়। অচিরেই এ কলহ মিটে যাবে।”তবে এ বিষয়ে দলটির মাহবুব উল আলম হানিফসহ শীর্ষ অন্য নেতারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৩
নিষ্কর্মা বলেছেন: খুনীদের ভরসাস্থল হল আলীগ। তাই মন্ত্রী-মিনিস্টারেরা যাই বলুন না কেন, গড মাদার হাছিনা থাকতে কিছুই হবে না কারর। এদের কারো গায়ে ফুলের টোকাটাও পড়বে না।