নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সদা সুন্দর চিরন্তন

অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। -নজরুল

ওয়েলকামজুয়েল

লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।

ওয়েলকামজুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাসঙ্গিক বিষয় অপ্রাসঙ্গিক কিছু কথা : উদ্দেশ্য তসলিমা নাসরিন

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১২

গত ১০ই আগস্ট ওয়ার্ল্ড হিউমেনিস্ট কংগ্রেসের শেষ দিনে লন্ডনের অক্সফোর্ডে মিলিত হয় নষ্টার জননী তসলিমা নাসরিন, কুখ্যাত সমকামী নাস্তিক আসিফ ও আরিফুর। তাদের আলোচনা কালে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পবিত্র কুরআন শরীফের উপর কফির পেয়ালা রেখে তা শয়তানের মত চুক চুক করে বা হাতে পান করতে থাকে। নষ্টা মহিলা কথাবার্তা শুরু করল....মাঝে দাড়িয়ে থাকা সমকামী আসিফ কথা শোনাশুনিতে নেই। তার সমস্ত চিন্তা চেতনা, ধ্যান জ্ঞান কফির মগে! যেন জিন্দেগিতেও কফি খায় নাই। সে কফি বানাতে ব্যস্ত।একটা কথা ভাল লাগলো, ঢাকা শহরে একটি মেয়ে কেন একা থাকতে পারবে না। পুরুষদের মানসিকতার সমস্যা। আমার কথা, আসলে পুরুষদের চরিত্রেও সমস্যা। কোন মেয়ে একা থাকলেই সেই মেয়ের দরজায় রাতে পুরুষেরা কড়া নাড়ে। এই নিয়ে পরে কথাবার্তা বলা যাবে।আজকে অন্য বিষয়ে কিছু বলতে চাই।“বাংলাদেশের নারী মুক্তি আন্দোলনের প্রধান পদক্ষেপ হবে লিভ টুগেদার প্রথার প্রচলন।”নষ্টা মহিলা বলছে, “চেনা নেই জানা নেই একজন লোকের সাথে শুয়ে যেতে হচ্ছে, এর চেয়ে ভয়ংকর আর কি হতে পারে!”সাথে দুই সমকামী লম্পট তাল দিতে শুরু করল, “অবশ্যই! অনেকটা লটারির মত। যদি ক্লিক করে তাহলে ভাল, নাহলে দুইজনেরই জীবন নষ্ট।”তাহলে তাদের নিজেদের মায়েদের দিয়েই শুরু করা যাক। তাদের মায়েদের বলুক তাদের ইচ্ছে মতন কোন ভদ্রলোকের সাথে গিয়ে থাকা শুরু করতে। যদি ভাল লাগে লাগলো, বিয়ে করবে। নাহলে তাদের বাবার কাছে ফিরে আসবে। সমস্যা কোথায়?তাদের বোনেদের কী বিয়ে হয়ে গেছে? নাহলে তাদেরকেও পাঠিয়ে দিক সিরিজ লিভ টুগেদারে। চার পাঁচজন ছেলের সাথে বিয়ের প্রস্তাব আসবে। বলবে প্রত্যেককেই যাচাই বাছাই করে দেখুক। যার সাথে ক্লিকে টিকে যাবে তাকে ইচ্ছে হলে বিয়ে করবে নাহয় বিয়ে ছাড়াই চলতে থাকবে। নতুন জুতা সেন্ডেল কেনার আগে যেভাবে পায়ে দিয়ে দেখা হয় মাপ ঠিক আছে কিনা? সেরকম আর কি! তারা নাকি ফ্রী সেক্সে বিশ্বাসী। তাহলে ওদের বউরা ওদের একক বাহু বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে কেন? ওদেরকেও পাঠিয়ে দিক ফূর্তি করতে। শত পুরুষের শয্যা সঙ্গীনী হয়ে মজা করবে, এর পর যাকে ভাল লাগলব তাকেই বিয়ে করবে। আর বিয়ে করতে ইচ্ছে না হলে এভাবেই আজীবন আনন্দ ফূর্তি চলবে। এটাই ছিল ভ্রষ্টা তসলিমার আলোচনার সার কথা।লিভ টুগেদার যেসব দেশে চালু আছে, সেখানে এটা নিতান্তই মামুলি ঘটনা। ছেলে মাকে মায়ের বয়ফ্রেন্ডের বাসায় ড্রপ করে আসে, ডিভোর্সড বাবা তখন হয়তো আরেক মেয়ের সাথে একই ছাদের নিচে বাস করছে। শুধু তাই নয়, যখন কোন একটি ছেলের বা মেয়ের বয়স ১৮ হয়, তখন মা তার ছেলের সাথে আবার বাবা তার নিজ মেয়ের সাথে, ভাই তার বোনের সাথে আবার বোন ভাইয়ের সাথে সেক্স করে একজন আরেকজনকে বার্থডের র্সাপ্রাইজ দেয়। আমাদের মানসিকতা কি এর জন্য প্রস্তুত? আমার ধারনা এখনও প্রস্তুত নয়।আমাদের দেশের একশ্রেণীর পারভার্ট ছেলে-মেয়ের কাছে ‘লিভ টুগেদার’ জিভে পানি এনে দেয়ার মত কনসেপ্ট। তাদের বিশ্বাস ছেলে-মেয়ে বিয়ে না করে একসাথে থাকলে দারুণ মজা! তাদের চিন্তা চেতনা জুড়ে কেবলই সেক্স!গোটা ইউরোপ, অ্যামেরিকায়, চীন, জাপান, রাশিয়া ও অষ্ট্রেলিয়ায় এটি খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। এদেশের সমকামী নাস্তিক আসিফ ও আরিফ মার্কা লম্পটদের মত কিছু কিছু পারভার্ট ছেলে-মেয়েরা লিভ টুগেদার করছে। কিন্তু এদেশের মুসলিম সমাজ ব্যবস্থায় মেয়েদের বিয়ে একটা অনেক বড় বিষয়। এরা সম্পূর্ণ ইসলামি জীবন-যাপন না করলেও নষ্টা নারী তসলিমার মত ফ্রী সেক্স বা লিভ টুগেদারে বিশ্বাসি না। তাদের কাছে চরিত্র অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। যারফলে বিয়ের পূর্বে কোন মতেই তারা এই মহামূল্যবান সম্পদ খোয়াতে রাজি নয়। এদেশের শতকরা ৯৯ জন অবিবাহিতা মেয়ে এ মানসিকতা পোষণ করে। এধরনের ফ্রী সেক্স বা লিভ ‍টুগেদারের কথা কোন ভদ্র মহিলা বলতে পারেনা। এধরণের কথা কেবল তাদের মুখেই শোভা পায়, যারা পতিতা অথবা সমাজচ্যুত নষ্টা বা ভ্রষ্টা মহিলা। পতিতালয়ে যাদের জন্ম অথবা যারা তাদের বাবার পরিচয় জানে না, কিংবা তসলিমার মত কিশোরী বয়সে যারা আপন মামা ও চাচা কর্তৃক ধর্ষিতা হয়। তাদের মুখেই কেবল এই ধরণের কথা শোভনীয়। কেউ যদি নিজেকে নাস্তিক দাবী করে, তবে সেটা হবে নিতান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু নাস্তিকতা বা মুক্তমনার লেবেল এটে যদি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানের বিরোধিতার মাধ্যমে প্রকাশ্যে কুফরী করে, তবে সেটা শরীয়তের দৃষ্টিতে যেমন কঠিন অপরাধ তেমনি সাধারণ মানবিক বিবেচনাতেও হবে ক্ষমার অযোগ্য। এরা নিজেরা নষ্ট হতে পারে কিন্তু সমাজকে নষ্ট করার অধিকার এদের নাই।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫২

শ্রীঘর বলেছেন: এর লাইগ্গাই তোর দাদা হজে গিয়া মরছে...।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:১১

ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: মন্তব্যের ব্যাপারে শালিনতা আশা করছি।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

শ্রীঘর বলেছেন: নষ্টার জননী, কুখ্যাত সমকামী এই শব্দগুলি কি শালীনতা বহন করে?

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫

লাজুক ছেলে...... বলেছেন: আপনারা আছেন ধর্মের আঙ্গুল নিয়া... এদিকে যে ধর্মের মাথাডাই কাটা যাইতেছে, আমাদের পবিত্র কুরআন রে একবারে পিরিচ( নাউযুবিল্লাহ) বানাইয়া ফালাইতাছে এই ব্যাপারে কুনো সাউন্ড নাই। ওরা এই কামডা ইচ্ছা কইরা করছে।নিচচয় কুনো পিলান আচে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.