নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
আরব বিশ্বে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে সমর্থন দেয়া নিয়ে কাতার ও সৌদি আরবের মধ্যে সর্ম্পকের যে অবনতি হয়েছিলো তা দূর করতে তৎপর হয়েছে সৌদি আরব।এই পদক্ষেপের অংশ হিসাবে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি সৌদি আরব নমনীয় নীতি গ্রহণ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।গাজায় যুদ্ধে ইসরাইলের বিপর্যয় ও হামাসের বিজয় এবং সিরিয়ায় আইএসএস বিদ্রোহীদের অব্যাহত উন্থানের কারনে সৌদি নীতিতে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সাথে উপসাগরীয় অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি সৌদি প্রতিনিধি দল আলোচনা করেছেন। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স সৌদ আল ফয়সাল, গোয়েন্দা প্রধান খালেদ বিন বন্দর,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নায়েফ বিন আব্দুল আজিজ ২৭ আগস্ট কাতার সফর করেন।এই বৈঠকে মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে সর্ম্পকের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে আর্ন্তজাতিক গনমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে। মিশর, লিবিয়া এবং সিরিয়ায় মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি কাতারের জোরালো সমর্থন রয়েছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি কাতারের এই সমর্থনে সৌদি আরবসহ অপর উপসাগরীয় অন্যদেশগুলো কাতারের ওপর ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে আসছে।আভ্যন্তরিন বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে গত মার্চ মাসে কাতার থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছিলো সৌদি আরব, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।আরব বসন্তের পর মুসলিম ব্রাদারহুডের উন্থানকে উপসাগরীয় এসব দেশ ভয়ের চোখে দেখছে। গত বছরের জুলাইয়ে মিশরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাত করে সেনাশাসককে সমর্থন দিয়ে আসছে এসব দেশ। কিন্তু কাতার ও তুরস্ক মুসলিম ব্রাদারহুডকে সমর্থন দিচ্ছে। দেশ দুটি মিশরের সেনা শাসকের ক্ষমতা গ্রহনকে অবৈধ বলে উল্লেখ করেছে।এদিকে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসএস বিদ্রোহীদের একের পর এক বিশাল অঞ্চল দখলে উপসাগরীয় দেশগুলোর শাসকরা নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে। ইরাকে আইএসএসের তৎপরতায় প্রথম দিকে সৌদি আরব নীরব থাকলেও সিরিয়ায় আইএসএসের উন্থানে দু:শ্চিন্তা গ্রস্থ হয়ে পড়ছে দেশটি। কারণ আইএসএস বিদ্রোহীরা শুধু সিরিয়ায় শক্তিশালী হয়ে উঠছে তা নয় এই সশস্ত্র সংগঠনে প্রায় ৫ হাজার সৌদি নাগরিক যুদ্ধ করছে বলে মনে করা হয়। এসব যোদ্ধা স্পষ্টত সৌদি আরবের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি।অনেক আরব বিশ্লেষক সর্তক করেছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুড নয় আইএসএস হবে উপসাগরীয় দেশগুলোর জন্য বড় ধরনের বিপদের কারন। কিন্তু মিশর ও লিবিয়ায় মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক উন্থানকে এসব আরব শাসকরা হুমকি হিসাবে বিবেচনা করতে থাকে। মুরসি সরকারকে উৎখাত করে মিশরে সেনাশাসককে সমর্থন দেয়। সৌদি আরব ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে উল্লেখ করে। এর ফলে শুধু আরব বিশ্বে নয় গোটা মুসলিম বিশ্বে সৌদি আরবের ভাবমর্যাদা অনেকটা ক্ষুন্ন হয়।এমন পরিস্থিতি সিরিয়ায় আইএসএসের অব্যাহত বিজয় এবং লিবিয়ায় বিদ্রোহীগ্রুপ গুলোর রাজধানী ও বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রন নেয়ার পর উপসাগরীয় দেশগুলো আগের অবস্থান থেকে সরে আসার নীতি গ্রহণ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুদ্ধ বিমান লিবিয়ায় মিসরাতায় বিদ্রোহীদের ওপর বোমাবর্ষণ করে কাতারে ফিরে অসে। অর্থাৎ কাতার এই যুদ্ধে সমর্থন প্রকাশ করে।এদিকে গাজায় ৫১ দিনের যুদ্ধে ইসরাইলের বিপর্যয় ও হামাসের বিজয় আঞ্চলিক রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। হামাস প্রকৃতপক্ষে মুসলিম ব্রাদারহুডের অংশ। মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে তাদের গভীর যোগাযোগ রয়েছে। গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের পর হামাসের প্রতি আরব দেশগুলোর জনগন প্রকাশ্য সমর্থন প্রকাশ করে।এই বিজয়ের ফলে আরব দেশগুলোতে মুসলিম ব্রাদারহুড যে উপেক্ষার বিষয় নয় তা প্রমানিত হয়েছে। হামাস ও মুসলিম ব্রাদারহুডকে শুরু থেকে কাতার সমর্থন দিয়ে আসছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের অপর সমর্থক রাষ্ট্র হচ্ছে তুরস্ক। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের বিজয় ও প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহনের পর কাতারের অবস্থান আরো সুদৃঢ় হয়েছে।কাতারে এখন অবস্থান করছে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান খালেদ মিশাল। এছাড়া মিশর ও লিবিয়ার অনেক মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা কাতারে অবস্থান করছেন। এরমধ্যে মিশরের প্রখ্যাত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ইউসুফ আল কারদাবি রয়েছেন। সৌদি আরব এর আগে অভিযোগ করেছিলো কাতারের আল জাজিরা টেলিভিশন আরব বিশ্বে ইসলামপন্থী রাজনীতিকে পৃষ্টপোষকতা দিচ্ছে। ইউসুফ কারদাবিকে আল জাজিরা টেলিভিশনের নেপথ্যে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসাবে মনে করা হয়।গত বুধবার কাতারের আমীরের সাথে সৌদি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের পর সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বলা হয় ভ্রাত্বপ্রতীম দু দেশের মধ্য সর্ম্পক জোরদারের অংশ হিসাবে এই সফর। দুদেশের অভিন্ন স্বার্থ এবং সাম্প্রতিক আঞ্চলিক ও আর্ন্তজাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগে গতমাসে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য কাতারের আমীর এক অঘোষিত সফরে সৌদি আরব গিয়েছিলেন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১১
আবাবিল বলেছেন: বিশ্লেষণটি চমৎকার, কিন্তু সোর্স উল্লেখ নেই।