নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি পেশা নয় নেশা। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও ছাড়তে পারি না। লিখেছি লিখছি লিখব। কিছুটা আবেগী হওয়ায় মনের রাগ ক্ষোভ দমিয়ে রাখতে পারিনা বিধায় কিছুটা প্রতিবাদী হয়ে যাই। লিখার ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করা হয় না। তাই অনেকে খেপাটে ও বলতে দ্বিধাবোধ করে না।মনে মাঝে আঘাতটাকে শক্তিতেই রুপান্তরিত করি।চেষ্টা করি সমসাময়িক বিষয়ে লিখতে। হয়তো সফল হয়তো বিফল। কিন্তু সবার ভালবাসা ই আমার প্রেরণা।
"... ঐতিহসিক ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসানের দিন। হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেঃ জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে ঢাকা রেস কোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে। যে যুদ্ধ বাঙালীদের সশস্ত্র গণবিষ্ফোরণ এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার শেষ হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অধিনায়কের কাছে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর অধিনায়কের আত্মসমর্পণের মধ্য দিযে।
হিসেব মিলছে না কেন? হিসেবের এই গরমিলের জন্য দায়ী কে বা কারা? যারা মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিল যুদ্ধ শেষে পরাজিত শত্রুপক্ষ সেই মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পন করল না কেন? পাকিস্তান এবং ভারতরে মধ্যে তো কোন মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল হানাদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং মুক্তিকামী বাঙালী জনগণের মধ্যে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের হেতুটি দেখা দিল কেন - কোন উদ্দেশ্যে? মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্ণেল ওসমানীর কাছে পাকিস্তানের পরাজিত জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পন করলেন না কেন? আত্মসমর্পণের সময় কর্ণেল ওসমানী অনুপস্থিত ছিলেন কেন? আত্মসমর্পণের বেশ কয়েকদিন পরে কর্ণেল ওসমানী ঢাকায় এলেন কেন? এ সময়কাল তিনি কোথায় ক্ষেপন করেছিলেন? তিনি কি তাহলে সত্যি কোলকাতায় বন্দী ছিলেন?
আজো বাংলাদেশের জনমনে নানান প্রশ্নের ভীড় জমছে। এ সব প্রশ্নের উত্তর দেশবাসী আওয়ামী লীগের কাছে থেকে প্রত্যাশা করছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব এবং ভারতে অবস্থানরত প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব এ সকল প্রশ্নের জবাব দেয়ার আজ পর্যন্ত কোন তাগিদই বোধ করেনি। তাছাড়া আত্মসমর্পনের প্রায় ১ সপ্তাহের পরে প্রবাসী আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে ফিরে এসে বিনা প্রশ্নে গদিতে বসেন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ঐতিহাসিক আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে কেন অনুপস্থিত ছিলেন, সে সত্যটি উদঘাটন করার জন্য আজ পযন্ত কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হল না। অথচ মুক্তিযুদ্ধের এই অসহায় মহানায়ক কর্ণেল ওসমানীর কতই না প্রশংসা। কেন এই মিছেমিছি প্রশংসা? এর অন্তরালে কি রহস্য? রহস্য তো নিশ্চই রয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর অধিনায়কের কাছে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে ১৬ই ডিসেম্বর, যাকে আমরা বিজয় দিবস হিসেবে অভিহিত করি, সেই দিন থেকেই বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধকে সরাসরি অস্বীকার করা হয়েছে। ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বিজয় দিবস'-এর পরিবর্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘বিজয় দিবস' হিসেবে ইতিহাসে আনুষ্ঠানিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের পেছনে আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাঙালীর স্বাধীনতা সংগ্রামকে অস্বীকার করা এবং পাক-ভারত যুদ্ধে পূর্বাঞ্চলের রণাঙ্গনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিজয় ঘোষনা করা। এই বিজয়ে বাংলাদেশের মুক্তিপিপাসু জনগণ এবং মুক্তিযোদ্ধারা ছিল নীরব দর্শক, আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব ছিল বিনয়ী তাবেদার এবং কর্ণেল ওসমানী ছিলেন অসহায় বন্দী। এ যেন ছিল ভারতের বাংলাদেশ বিজয় এবং আওয়ামী লীগ সরকার এই নব বিজিত ভারতভূমির যোগ্য লীজ গ্রহনকারী সত্তা। সুতরাং যেমন সত্তা তেমনই তার শর্ত - আর যায় কোথায়॥"
- মেজর (অব এম এ জলিল / অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা ॥ [ ইতিহাস পরিষদ - এপ্রিল, ২০১২ । পৃ: ৩৮-৩৯ ]
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৫
খেলাঘর বলেছেন:
হিসেব মিলছে, তবে আপানার মত মুরগীর মগজ হিসাব বুঝে না।
পাকীরা জেনেভা কনভেনশনের মেম্বার, ভারতও; মুক্তি বাহিনী উনার মেম্বার নয়; সেখানে সমস্যা ছিল, ঠিক আছে মুরগীর মগজওয়ালা!
৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৫
ইসপাত কঠিন বলেছেন: খেলাঘর ঠিকই বলেছেন।
জেনেভা কনভেনশনে স্বাক্ষর করা রাষ্ট্রের কাছে আত্মসমর্পন করলে সেই রাষ্ট্র যুদ্ধবন্দীদের নিরাপত্তা সহ কিছু মৌলিক চাহিদা পূরণে বাধ্য থাকে। এবং তার বরখেলাপ হলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ অথবা আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে সেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা যায়।
এখন আপনি নিজেকে ইয়াহিয়া খানের অবস্থানে কল্পনা করুন। আপনার সামনে ২ রাস্তা। হয় আপনাকে আপনার চিরশত্রু অথচ জেনেভা কনভেনশনে স্বাক্ষর করা ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে; নাহলে আপনাকে এমন একটি রাষ্ট্রের কাছে আত্মসমর্পন করতে হবে যারা জেনেভা কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি বিধায় প্রতিশোধমূলক কোন ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে পারেন, যে রাষ্ট্র এখনো পৃথিবীর অল্প কয়েকটি দেশ ছাড়া আর কারো স্বীকৃতি পায়নি এবং যে দেশের একটি পরিকল্পিতভাবে সংগঠিত সামরিক বাহিনী নেই। আপনি কি কিছুটা সম্মান রক্ষা এবং নিরাপত্তার খাতিরে প্রথম পক্ষের কাছেই আত্মসমর্পন করবেন না?
এবার নিজেকে একজন ভারতীয় সেনানায়কের জায়গায় কল্পনা করুন। আপনি কি চাইবেন না যে এই যুদ্ধজয়ের মূল ক্রেডিট নিজেই দখল করে নিতে? অতএব আপনি মুক্তিবাহিনীর সমরনায়ক বা রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষকে যথাসম্ভব দূরে রাখতে চাইবেন না?
আমার একটা প্রশ্ন রয়েছে খেলাঘরের কাছে। উনার সন্তান যদি কোন ভুল করে বা কোন কিছু জিজ্ঞাসা করে, তাহলে কি তিনি তার সাথেও এমন আচরন করেন?
৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৪
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: মেজর াবদুল জলিলের যে মুরগির মগজ তা জানাছিলো না
৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৪
তিক্তভাষী বলেছেন: পাকিদের জেনেভা কনভেনশনের প্রটেকশন দরকার ছিলো, ভারতীয়দের জয়ের ক্রেডিট নেয়ার আকাঙ্খা ছিলো, সবই বুঝলাম। ঠিক আছে। কিন্তু এর মধ্যে আমরা কোথায়? সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বা দরকষাকষিতে আমাদের কোনো অবস্থান ছিল কি?
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিপিপাসু জনগণ এবং মুক্তিযোদ্ধারা ছিল নীরব দর্শক। মেজর জলিল সেখানেই প্রশ্নটা তুলেছেন।
খেলাঘরের মতো ভারতীয় তাবেদারের পক্ষে এটা বোঝা অসম্ভব,।সৃষ্টিকর্তা তাকে সেই পরিমান মগজ দেননি।
৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
ইসপাত কঠিন বলেছেন: তিক্তভাষী @ আপনি মেজর জলিলের যে প্রশ্ন তুলেছেন তা যথার্থ এবং এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। পাকিদের জেনেভা কনভেনশনের প্রটেকশনের দরকার ছিলো, ভারতীয়দের ক্রেডিটের দরকার ছিলো এবং আমরা দর কষাকষিতে কিছু করতে পারি নাই।
বিষয়টি অনেকটা এরকম যে, ভারত নামক ফ্যাশন ডিজাইনার একটি কাপড় বাংলাদেশ নামক দর্জিকে দিলো, বাংলাদেশ সারারাত জেগে কাপড় কেটে ও সেলাই করলো, ভারত তখন এসে সেলাই করা কাপড়ে শুধু বোতাম লাগিয়ে বললো এটা ভারতের তৈরী করা এবং সব ক্রেডিট ভারতের।
১৯৭১ সালের যুদ্ধ আমাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হলেও ভারতের জন্য ছিলো কৌশলগত স্বার্থের যুদ্ধ। বাংলাদেশের জন্মের মধ্য দিয়ে ভারতের পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধের ক্ষেত্রে একটি ফ্রন্টিয়ার/অপারেশনার থিয়েটার কমে গেল। ভারত যখন ক্রেডিট নিতে চাইবে, তখন তাদের " আমরা আমাদের কৌশলগত স্বার্থ উদ্ধার করেছি" বলার চাইতে "আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি" বলতেই চাইবে। যদিও ৮ মাস ধরে বাংলাদেশের বীর ছেলেরা পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে কাহিল করার পর যখন পাকিদের অবস্থা "লে-হালুয়া" তখন সুযোগ বুঝে সরাসরি অংশগ্রহন করেছে।
৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫১
ওয়েলকামজুয়েল বলেছেন: দলকানা লোকদেরকে বোঝানো কঠিন।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১১
কলাবাগান১ বলেছেন: বাংলাদেশের স্বাধীনতা মানতে যে আপনাদের খুব কস্ট হয় তা আপনার পোস্ট গুলি দেখলেই বুঝা যায়