![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার কাছে পৌছতে পারিনি পথে হয়েছে দেরী। তবু আজো স্বপ্ন দেখি - বন্ধ দড়জায় কড়া নাড়ি ।। আমি এক অতি সাধারণ মানুষ, আড়ালে থাকতেই পছন্দ করি ...
এখানে আসার পর খাবার দাবার নিয়ে কখনো চিন্তা করতে হয়নি। বাসা হতে বের হলেই শাক/সব্জি’র দোকান।
আর তা বেশিরভাগই বাংলাদেশীদের। আমি ভোজন রসিক, ডাল আর শাক/সব্জি খুব পছন্দ করি। শম্পা ভাবী তা জানেন, তাই শম্পা ভাবী দাওয়াত করলে ধরে নেই ডাল থাকছেই। আমার স্ত্রীও তিন ধরণের ডাল (মুসুর, মুগ, মাসকলাই)মিক্স করে চমৎকার ভূণা করে ... খেতে এককথায় অমৃত। সেই আমি যদি দেখি দোকানে থরে থরে শাক/সব্জি আর ডাল সাজানো, খুশীতো হবই ।
প্রথম যেদিন সব্জি কিনতে গেলাম – অবাক হলাম। কি নেই? ... লাল শাক, পালং এর মতো শাক, কচু’র মুখী/লতি, পটল, কাকরোল, কুমড়া, আলু, শাজনা, বরবটি, বাঁধাকপি, ফুলকপি ... আরো কত কি, সবতো মনেও নেই। এমন কিছু সব্জি ছিল যার তখন বাংলাদেশে সিজন না। জানতে চাইলাম কোথা থেকে আসে সব্জিগুলো... আভা’য় বাংলাদেশীরা ক্ষেত (আরবিতে “মাজরা” বলে)করে, এখানকার মাটি খুব উর্বর, ফলে সব ধরনের সব্জিই এখানে হয়। প্রথমদিনই ব্যাগ ভর্তি করে শাক/সব্জি নিয়ে আসলাম। পালং এর মতো শাকটি যে এতো মজা হতে পারে, খাওয়ার আগে ধারণা ছিল না।
দেশ হতে আসার সময় ইলিশ মাছ আর হাসের মাংস নিয়ে এসেছিলাম।এখানে পাই কিনা সন্দেহ ছিল। মাছ কিনতে গিয়ে সে ধারণাও ভাঙ্গলো... বড় বড় ইলিশ মাছ শুধু কলকাতাতেই যায় না সৌদিতেও আসে। মাছগুলো বাংলাদেশ হতে প্যকেটজাত হয়ে আসে। আঁশসহ ও পরিস্কার করা দু’ধরণের মাছই পাওয়া যায়। শাকিলা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো, যাক মাছ পরিস্কার করা নিয়ে ভাবতে হবে না। একদিন কাচকি মাছ খেলাম... আহ !!
সৌদি আরব তথা মধ্যপ্রাচ্য হচ্ছে বাংলাদেশী খাদ্যপণ্যের বিশাল বাজার। প্রাণে’র মুড়ি/চানাচুর, রাধুনি’র মশলা প্রতিটি দোকানেই পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশিদের দেখলাম ছোট দোকান দিয়েই খুশি, কেননা বড় স্টোরগুলো বেশির ভাগই ইন্ডিয়ানদের।
এখানে খাবারের দাম আমার কাছে সস্তাই মনে হয়েছে। সবচেয়ে সস্তা হচ্ছে “খবুজ”- এক ধরনের রুটি, বাংলাদেশের তুন্দুল রুটির মতোই প্রায়। মাত্র ১ রিয়ালে ৬ টি খবুজ পাওয়া যায়। আমি অল্পদিনেই এর প্রেমে পড়ে গেলাম। ডাল ভুনা অথবা মুরগির মাংস দিয়ে খেতে আমার দারূণ লাগে। আদিল ভাই আবার খবুজ় খেতে পারেননা, তাই উনাকে মোটিভেট করার জন্য প্রায়ই উনার সামনে খবুজের গুনগান করি... আমার রসালো খাবারের বর্ণনা দেই। উনার কথা হলো “খবুজ মাইনষে খায়? ভ্যাপসা গন্ধ করে”।
আরেকটি জিনিষ আমার পছন্দ- “তামিয়া মোশাক্কেল”। দূর্ভাগ্যক্রমে আদিল ভাই আর মিলনের এটা পছন্দ না। তবে আদিল ভাইয়ের কাছে নাকি এখন ভালো লাগছে। মিলনতো বলে, “এটা কোনো স্মার্ট খাবার না, শরীর না বাঁচিয়ে এটা খাওয়া যায় না”।তামিয়া মোশাক্কেল খেতে গেলে মুখে হয়তো সস লেগে যাবে, জামা’র উপর ভাঙ্গা অংশ পড়বে- মানে ঝামেলা হবেই। তামিয়া মোশাক্কেল পাওয়া যায় ২ রিয়ালে। অর্ধেক খবুজের ভেতর ডিম ফালি, শষা, টমেটো, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পিয়াজু, সস ও মেয়োনেজ দিয়ে পরিবেশন করা হয়। এটা মূলত একধরণের মিক্সড স্যান্ডউইচ।
প্রথম যখন উমরার জন্য গেলাম, ডিনারের জন্য গাড়ী থামালো মরুভূমিতে, একটা রেস্টুরেন্ট, মসজিদ আর অল্প কিছু দোকানপাট। আশে পাশে লোকালয় নেই। অথচ রেস্টুরেন্টে জমজমাট অবস্থা। অবাক ব্যপার সবাই রেস্টুরেন্টের ভেতরে নয়, বাহিরে বসে আছে। ভেতরে চেয়ার, টেবিল থাকলেও তা ফাঁকা। বাহিরে ছোট ছোট ৩ বর্গফিটের গদি মোড়ানো জায়গা, হেলান দেবার জন্য কোল বালিশ, হুক্কা, আলাদা টেলিভিশন। পরিচিতদের নিয়ে সৌদিরা এমন গদি মোড়ানো জায়গায় আড্ডা দেয়, খায় দায়, হুক্কা টানে। এমন ১০/১২ টি স্পেস দেখলাম।
আমারা খাবারের অর্ডার দিতে গেলাম। সবাই আরবি বলছে, কিছুই বুঝাতে পারলাম না। খুঁজে একজন বাংলাদেশিকে পেলাম। এই রেস্টুরেন্টে কাজ করে। যা জানলাম তাতে হতাশ হলাম, বাংলাদেশি খাবারের কাছাকাছি কিছু নেই। উনি আল-ফাহাম খেতে বললেন।
বড় থালায় বিশেষ ধরনের রান্না করা ভাতের মাঝখানে ঝলসানো মুরগী। বুঝতে পারলাম না কিভাবে খাব। শুকনো আর খটখটে। একটু মজাও লাগলোনা। খেতে পারলাম না। বাহিরে এসে দেখি সৌদিরা ছোট ছোট স্পেসগুলোতে বিশাল বড় থালার চারপাশ ঘিরে মজা করে ৫/৬ টি মুরগী সহ আল-ফাহাম খাচ্ছে। আমার মনে হলো সৌদিরা খাবারের বেশ অপচয় করে, অল্প কিছু খেয়ে ফেলে দেয়। আর তারা নোংরা, যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে, হয়তো গাড়ী দিয়ে যাচ্ছে- পেপসির বোতলটা রাস্তার মাঝখানেই ফেলবে। বাংলাদেশি পরিচ্ছন্নকর্মীরা আছে বলেই রক্ষা।
... তো উমরা হতে এসে আল-ফাহাম না খেতে পারার ঘটনাটা সবাইকে বলছিলাম... আদিল ভাই লাফ দিয়ে উঠলেন –“আরে বলো কি ঐটাইতো মজার খাবার...” ... চমকিত হলাম, আমার যেটা অপছন্দ সেটাই নাকি আদিল ভাইয়ের আর ভাবী’র সেরা। প্রসঙ্গতঃ আদিল ভাই প্রতি শুক্রবার দুপুর এবং রাতের খাবার সারেন আল-ফাহাম দিয়ে।
ঘটনাচক্রে আমার এক কাজিন একদিন তার বাসায় আমাকে দাওয়াত করলো, গিয়ে দেখি আল-ফাহাম রান্না হয়েছে। ভাগ্যবুঝি একেই বলে !!! তবে রান্নাটা বাংলাদেশি টাইপ হয়েছিল এবং ভালো লেগেছিল। সবাই মিলে সৌদি কায়দায় আল-ফাহাম খেলাম। সবাই একে অপরকে বেশী বেশী ঠেলে দিচ্ছিল।একসাথে খাওয়ার মজা বুঝি এটাই। (চলবে)
কাজিনের রান্না করা আল-ফাহাম
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৪
মধুমিতা বলেছেন: আসলে আলফাহাম ভুনাখিচুরি টাইপ না, আমার কাজিন ভুনাখিচুরি টাইপ বানিয়ে ফেলেছে... এটা সাদা ভাতের মাঝখানে আস্ত মুরগী টাইপ খাবার ...
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৫৬
কুন্তল_এ বলেছেন: তামিয়া মোশাক্কেল আমাদেরও খুব প্রিয় খাবার ছিল। কিন্তু তখন নাম জানতাম না। আর খবুজ ... শুধু শুধু কিংবা চা দিয়াও খেতে খুব মজা। মদিনা থেকে মক্কা যাওয়ার সময় আমরাও আল-ফাহাম সংক্রান্ত জটিলতায় পরেছিলাম। ভাষা জটিলতার কারণে ইফতারে আল-ফাহাম নিতে বাধ্য হয়েছিলাম... সারাদিন উপবাসের পর জটিল অবস্থা!
আপনার এই চমতকার পোষ্ট পড়ে ক্ষুধা লেগে গেল। কিন্তু এখন কী খাই ... ঢাকায় তো তামিয়া মোশাক্কেল পাওয়া যায় না!
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৫
মধুমিতা বলেছেন: বানিয়ে নিন ... দারুণ মজা লাগে
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৫৮
অগ্নিলা বলেছেন: চোখ রাখব
ভাল লাগলো
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩১
মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ...
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৫
শিপু ভাই বলেছেন: আল-ফাহাম খামু
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৬
মধুমিতা বলেছেন: সৌদি আসেন ...
৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৭
বড় বিলাই বলেছেন: দারুণ বর্ণনা। ভালো লাগল জানতে পেরে। আমি খুব ছোটবেলায় ছিলাম ওখানে। আব্বা-আম্মার কাছে কেপসা নামের খাবারের প্রশংসা খুব শুনতাম।
৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৭
কালো_সাদা বলেছেন: আল ফাহামের যে মুরগিটা থাকে ওটার চামড়াটাই কিন্তু বেশি মজা
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৫২
মধুমিতা বলেছেন: বলেন কি !!! আমাকে তো চামড়া ছাড়া দিয়েছিল ... মুরগীর ভেতরে মশলা ঢুকে নাই, কেমন যেন সেদ্ধ সেদ্ধ ...
৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৫৫
মেহবুবা বলেছেন: আল-ফাহাম খবুজ খেতে ইচ্ছে করছে ।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:০৬
মধুমিতা বলেছেন: ... হজ্জে বা ওমরায় আসলে খেয়ে দেখবেন ...
৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:১৫
ঝটিকা বলেছেন: আল ফাহামের রেসিপি চাই.।.।।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:২১
মধুমিতা বলেছেন: আমার কাজিন পারে ... তবে তা একটু বাংলাদেশি টাইপ... জেনে এখানে দিয়ে দেব আশা রাখি ...
৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৫৬
মোঃমোজাম হক বলেছেন: খূব ভাল সাবজেক্ট বেছে নিয়েছেন।খাবার নিয়ে আরো অনেক কিছু লেখা যাবে।কারন এখানে নানান রকমের খাওয়া একটা বড় কাজ!
তবে খাবারের সব নাম জানতে আরো স্টাডি করতে হবে
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:০১
মধুমিতা বলেছেন: ... ধন্যবাদ, গাওয়া'র কথাতো বলা হয়নি !!!
১০| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ ভোর ৫:২২
দ্যা ডক্টর বলেছেন: মক্কা যাওয়ার পথে তায়েফ এর আশেপাশে কোথাও একটা রেস্টুরেন্টে(রেস্টুরেন্ত বললে মনে হয় ভুল হবে, ঐখানে নাকি মূলত হাইওয়ের হেভি ড্রাইভাররাই খায়। একটা হলের মত, কার্পেট পাতা। বাইরে টবে সবুজ জরজির লাগালো। সেখান থেকে তুলেই ফাহামের সাথে খাওয়া হয়) ফাহাম খেয়েছিলাম। ক্ষিধার জন্য কিনা জানিনা, অসাধারণ লেগেছিল।
আর খবুজে এখানকার সরকারগুলো ভর্তুকি দেয়, যাতে কোন লোক না খেয়ে না থাকে। আমারতো মনে বাংলাদেশি ২০ টাকায় যে খবুজ পাওয়া যায় সেটা আমাদের দেশে ৫০ টাকাতেও পাওয়া যাবেনা।
আপনার পোস্ট পড়ে আভয়া যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছিলাম, বাট মক্কা-মদীনা রুট থেকে অনেক দূরে।
০৫ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৪৮
মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য ...ঠিক বলেছেন, খবুজে এখানকার সরকার ভর্তুকি দেয়
১১| ০৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:১০
কালো_সাদা বলেছেন: চামড়া ছাড়া দিয়েছিল কেন চামড়া টা একদম পাতলা হয় আর উপরেই মশলা দেয় ভিতরে কোনো মজা নাই
যাই হোক আছেন যখন এতদিনে খেয়েও ফেলেছেন মনে হয়
০৮ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:১১
মধুমিতা বলেছেন: ... ধন্যবাদ, ওমরায় গেলে খাওয়া হ্য়। ... এখন ভালই লাগে
১২| ১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৩৯
ম্যাকানিক বলেছেন: আহ ভাইজান কি মনে করায় দিলেন।
বহু বছর গরম গরম খবুজ খাওয়া হয় না।
ভাইজান মনে হয় বেখেয়ালে বেয়াদ্দব বে তমিজ আর ফুলের কথা ভুলে গেছেন।
শুধু ফুল আমি পাচ বছরেও মুখে তুলতে পারি নাই তবে ওইটার একটা জটিল দেশী ভাব বানায়া নিতাম বাসায় এনে পেয়াজ ,কাচামরিচ , টমেটো আর ধনিয়া পাতা মিক্স করে আর সেই সাথে তমিজ।
একটা তমিজ আর দুই রিয়ালের ফুল দিয়া মোটামুটি আরামসে চার জনের সকালের নাস্তা সারা যেতো।
এখন অস্ট্রেলিয়াতে বসে বাটার বিনস দিয়ে ফুলের সাধ ঘোলে মেটাই।
আমার ছেলেরা এই জিনিসের ব্যাপক ভক্ত।
আপনাদের আবহা এর লাউ আর পুই শাক ও অনেক মজার।
খামিস মুশায়াত এর সিটি সেন্টার এর পাশের সুক এ ৯৮ এর দিকে বাংলাদেশীদের ছোট খাটো কয়েকটা দোকান নিয়ে বাজার বানিয়ে বসেছিলো তার উলটা পাশের গলিতে বেশ কয়েকটা ইন্ডিয়ান পাকিস্তানি রেস্টুরেন্ট ছিলো জটিল রান্না করতো ব্যাটারা।
একটা রেস্টুরেন্ট পেয়েছিলাম যারা তিন রিয়ালের এক বাটি ডাল বিক্রি করতো সাথে রুটি ফ্রি , মানে সেই ডালের সাথে আপনি যে কয়টা রুটি খেতে পারেন।
এক রাতে বন্ধুদের সাথে বাজী ধরে দুই বাটি ডাল দিয়ে পাচ টা রুটি উড়িয়ে দিয়েছিলাম।
আচ্ছা আবহা তে উঠার রিং রোডে সেই বান্দর গুলি কি এখনও আছে।
আপনাদের বাসার আশে পাশে বানর এর উপদ্রব নাই?
১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:১২
মধুমিতা বলেছেন: ... আহা কত কত মজার খাবারের কথা মনে করিয়ে দিলেন। খামিস মুশায়াত এর কাঁচা বাজার এখন বিশাল বড় হয়েছে, শুক্রবারে বাংলাদেশিরা বালাদে জম্পেস আড্ডা দেয়।
পাকিস্তানি ডাল/মাটন ভূনা আর বিশাল রুটি ওমরায় গেলে খাই, দারুণ লাগে।
রিং রোডে এখনও বানর আছে ... বান্দরামি বেড়েছে ... আমাদের শহরে অবশ্য নেই ...
ভালো থাকবেন ... আপনার স্মৃতি অনেক মধুর মনে হচ্ছে ...
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
১৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:২০
সুরঞ্জনা বলেছেন: খুব সুন্দর সাবলিল বর্ননা। ভালো লাগলো জেনে সেই মরুর দেশে বাঙ্গালিরা খেয়ে পরে ভালোই আছে।
১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৪৭
মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ..
১৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:২৮
মাহবুব সুমন বলেছেন: খাবার দাবারের পোস্ট আরো চাই
সচিত্র
সুমনের খেরোখাতা
১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৪৮
মধুমিতা বলেছেন: মনে হচ্ছে শীঘ্রি ২য় পর্ব দিতে হবে ...
১৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩৪
পারাবত বলেছেন: আল-ফাহাম
১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৫০
মধুমিতা বলেছেন: আপনার ছবিটা পোস্টটাকে সমৃদ্ধ করে ফেলল ...
১৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১:৪৬
কঠিনলজিক বলেছেন: ভাই সবচেয়ে মজার খাবারটার নাম না দেখে টাস্কিত হইলাম !!!
অবশ্যই মান্দি (লাহম) এর বর্ণনা আশা করছিলাম ।
সঠিক স্বাদের (শা্য়বী) মান্দি পাওয়া যাবে মাতআম রিয়াদ/রাইদান অথবা মাতবাখ হাজরা মাউত (এটা মনে হয় মক্কা এবং জেদ্দা ছাড়া অন্য কোথাও নাই) মাতআম রিয়াদ অথবা রাইদান আবহা তে আছে আমার বিশ্বাস।
রাইদানের মান্দি মাদগুত অনেকটা আমাদের কাচ্চির কাছা কাছি ।
১৫ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৪৬
মধুমিতা বলেছেন: মাত্র অল্প ক'দিন হলো এসেছি... এখনও মান্দি খাওয়া হয়নি। লোভ লাগছে, খুঁজে বের করতে হবে । কঠিনলজিক ... আরো খাবারের সন্ধান থাকলে বলতে পারেন ...
১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪২
মধুমিতা বলেছেন: মান্দি'র বর্ননা এখানেঃ Click This Link
১৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১:৫২
কঠিনলজিক বলেছেন: আরেকটা কথা উমরা বা এই জাতীয় সফরে বিশেষ করে যেখানে আরবী ছাড়া অন্য খাবার নাই সেখানে "বুরমা" অর্ডার করে নিবেন ।
বুরমা রান্না করার সময় অল্প সব্জি আর পেয়াজ দিয়ে গোস্তের বড় বর টুকরা একটা বড় পাতিলে অল্প জালে অনেকক্ষন ধরে রান্না করা হয় ।
এর পরে গো্স্ত গুলো উঠিয়ে শুরবা টা জ্বাল হতে থাকে।
অর্ডার করলে শুরবা টা একটা মগের মত পেয়ালায় দিয়ে উপরে একটা চালুনির মত প্লেটে গোস্ত ছোট ছোট টুকরা করে আলাদা ভাবে দেয়।
স্বাদ ও ভাল এবং শুরবা টা ঝোলের কাজ করে ।
বোরমা তে হলুদ মরিচ পেয়াজ ব্যাবহার করে তাই গোস্ত শোরবা র সাথে মিশিয়ে নিলে ঝোল ঝোল গোস্তের তরকারীর মতই ।
১৫ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৪৯
মধুমিতা বলেছেন: ... আহা ... ঝাঝা
১৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ ভোর ৬:৩০
ম্যাকানিক বলেছেন: কঠিন লজিক ভাই এর মন্তব্যে ঝাঝা।
মান্দির কথা আমি ধরে নিয়েছিলাম মধুমিতা ভাই সচিত্র লিখবেন এবং এখনও আশায় আছি।
সংক্ষেপে পেট পুজোর জন্য মক্কার আল-বাইক আর শোয়ারমা ও বেশ মজার।
মান্দি রান্নায় জেদ্দা আসলেই অতুলনীয়।
১৫ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৪৯
মধুমিতা বলেছেন: জেদ্দায় আল-বাইকের শর্মা ও ব্রোস্ট খেয়েছি ... অতুলনীয়।
নতুন খাবার গুলো টেস্ট করে অবশ্যই সচিত্র পোস্ট দিব।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪২
মধুমিতা বলেছেন: মান্দি'র বর্ননা এখানেঃ Click This Link
১৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৪৬
পারাবত বলেছেন: @কঠিনলজিক
হুম মধুমিতা যখন লিখা শুরু করেছেন সব আসবে,
মেন্দি,
খেবসা,
দাজাজ মাদফুন,
সব আসবে আসবে
১৬ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৪৬
মধুমিতা বলেছেন: অবশ্যই আসবে ... আমার এই পোস্টটা খাবার দাবারের ঘ্রাণে ভরপুর হয়ে যাচ্ছে ...
১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪২
মধুমিতা বলেছেন: মান্দি'র বর্ননা এখানেঃ Click This Link
২০| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:০৩
কঠিনলজিক বলেছেন: লেখক @ ভোজনরসিক এর সাথে খাবার নিয়ে কথা বলার মজাই আলাদা।
তাই আপনার উছিলায় সৃতি তে হলেও কিছু খাবারের স্বাদ পাচ্ছি ।
ট্রেডিশনাল হেজাজী দুই টা ডিশ অবশ্যই ট্রাই করার মত তবে দুঃখের বিষয় এই ডিশ রেস্টুরেন্ট এ পাবেন না ।
হারিইস এবং ছারিইদ । আসল নিয়মের দুইটাই অভার নাইট কুকিং প্রিপারেশন আমাদের অরজিনাল পায়া-নেহারী টাইপ।
ডেজার্টে কুনাফা (ক্রিম এবং চিজ) দুইটাই এবং মুহলাবিয়া আশা করি অবশ্যই ট্রাই করার মত ।
ট্রেডিশনাল খাবারের ক্ষেত্রে একটা সমস্যা হলো আজকাল অনেক মালবারী বা মিসরি ট্রেডিশনাল খাবের রেস্টুরেন্ট খুলে বসে আছে ।
সেখানে গিয়ে শুধুমাত্র নাম এর জন্য পয়সা নস্ট করা অর্থহীন আবার আসল ডিশ সম্পর্কে ভুল ধারণা সৃস্টি করার জন্যও এরকম ব্যাবসায়ী রা দায়ী ।
যেমন ধরেন মান্দি এটা সুদানী/মিসরি/লুবনানী/ইন্ডিয়ান হেন দেশের লোক নাই যারা বিক্রী করে না ।
এটা কিছু টা চেপা শুটকী দিয়া কাচ্চির মত অবস্হা।
আসল মান্দির মজা নিতে হলে অবশ্যই বাবুর্চি হতে হবে "নজদ" বা "ইয়েমানী" যদিও জেদ্দা হেজাজ এ কিন্তু জেদ্দার সকল নাম করা মান্দির দোকান "রায়দান"রিয়াদ" নজদি "হাজরা মাউত" ইয়েমেনী ।
এটা লক্ষনীয় পয়েন্ট ।
১৬ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৫১
মধুমিতা বলেছেন: যাক আপনাকে পাওয়া গেল ... আপনার ইনফরমেশনগুলো আমার বেশ কাজে লাগবে। আরো কিছু থাকলে দিতে কার্পণ্য করবেন না ... আমি অলরেডি খেবসা'র স্বাদ বাসায় নিয়ে ফেলেছি ... পোস্ট আসলো বলে ...
২১| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৫৬
রাজামশাই বলেছেন: খাইতে পারি না রে - মুখে রুচি নাই
১৬ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:৪৪
মধুমিতা বলেছেন: বলেন কি? এত সব মজার খাবার ... !!!
২২| ১৮ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:৩৮
মধুমিতা বলেছেন: সৌদি আরব ডায়েরী -১০ ( খাবার দাবার প্রসঙ্গ-২, তমিজ এবং খেবসা'র রেসেপি )
২৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫০
পরবাসী একজন বলেছেন: কানাডা থাকতে আর মন চায় না
সওদী আরব চলে যাব
আমার খুব ইচ্ছা ওখানে থাকার
দোয়া কইরেন
১৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৫৯
মধুমিতা বলেছেন: সবাইতো কানাডা যেতে চায়। আপনি ফেরত আসবেন কেন? দোয়া থাকলো ...এখানে এসে হজ্জ, ওমরাহ্ করবেন... ভালো লাগবে
২৪| ২১ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৯:১০
রাকিবুল আলম বলেছেন: দারুন সব খাবারের বর্ননা...। কানাডাতে বেশীর ভাগ মানুষ খাবার বলতে বার্গার/পিজা/পাস্তা কিংবা হট ডগ বুঝে...। ২/৩ দিন খেলে এরপর আর ভাল লাগবেনা। সে হিসাবে সৌদি'র খাওয়া দাওয়া অনেক ভাল মনে হচ্ছে !!!!
২১ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৩১
মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ... এখানে খাবারের সমস্যা নেই .. তৃপ্তিভরে খাওয়া যায়
আপনি শাবিপ্রবি কোন ব্যাচ? আমি ১১ তম ।
২৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:০৩
রাকিবুল আলম বলেছেন: আমি সিভিল ইঞ্জিঃ ফাস্ট ব্যাচ (১৯৯৫-৯৬)। তোমাকে "তুমি" করে বলে ফেললাম...। তুমি সম্ভবত বিবিএ ফাস্ট ব্যাচ ???? তোমাদের "ইকলোজী" ক্লাস নিয়েছিলাম (ফেসবুক এ তোমার চেহারা দেখে যতটুকু মনে হল...ভুল ও হতে পারে)। তোমার লেখার হাত ভাল। আশা করি লেখাটা ধরে রাখবে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৩০
মধুমিতা বলেছেন: ... আমি ২য় ব্যাচ ... সম্ভবত আপনাকে পাইনি। অনেক আগের কথা !!
লেখার প্রশংসার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।। আর আমাকে 'তুমি' বললে কোন সমস্যা নেই। ভালো থাকবেন।
২৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৬
ত্রিনিত্রি বলেছেন: আপনার বর্ননা জটিল!!!!!!!!!!!! এখন আল-ফাহাম খাইতে ইচ্ছে হচ্ছে!!!!
+++
২৩ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৩৫
মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ .
২৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:৪৫
কাজলভোমোরা বলেছেন: 'তামিয়া মোশাক্কেল' এর আরেক নাম 'ফালাফিল'।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৩৫
মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ
২৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪১
মুহিব বলেছেন: ভাই, আগস্ট মাসে মক্কার আবহাওয়া কেমন থাকে বলতে পারেন?
২৩ শে মে, ২০১১ রাত ১২:০৩
মধুমিতা বলেছেন: ৪০ ডিগ্রী'র আশে পাশে থাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৪৯
খানসামা বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। আমি ভোজনরসিক মানুষ। পড়ে খুব মজা পেলাম। আলফাহাম মনে হয় ভুনাখিচুরি টাইপ। ছবি দেখে মনে হলো। খাইতে মন্চায়।