![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকারি অনুদানের নির্মিত যে কয়টি চলচ্চিত্র দর্শক মনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তার মধ্য ‘গহীন বালুচর’ নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত ‘গহীন বালুচর’ গ্রামীণ পরিবেশে নির্মিত ''কালারচর'' নামক একটি চর কেন্দ্রিক দুই গ্রামের মানুষের রক্তাক্ত লড়াই দ্বন্দ্ব আর প্রেমের এক করুন পরিণতি নিয়ে এর ছবি গল্প সমাপ্তি গঠেছে
সরকারি অনুদানে নির্মিত অধিকাংশ ছবিই কমসংখ্যক হলে নামমাত্র মুক্তি দিতে দেখা গেলেও ‘গহীন বালুচর’ সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমটি করেছে। সারা দেশে তুলনামূলক বেশ কিছুসংখ্যক হলে ছবিটির প্রদর্শন ব্যবস্থা করে সাধারণ দর্শকদের নিজ দেশের গল্প ও সংস্কৃতির স্পর্শমাখা একটি পরিচ্ছন্ন ও নির্মল বিনোদন এই ছবিটি।
কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গল্পের শেষ অংশে, অর্থাৎ পারুলের প্রেম পর্ব এবং প্রেমের পরিণতি অংশটুকু আরও নান্দনিক ও হৃদয়স্পর্শী ছিল।
ভালো-মন্দের দ্বৈত মানবিক রূপ-গুণের অধিকারী আসমা বেগম চরিত্রটিতে গুণী অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফার রাশভারি ভরাট কণ্ঠের সংলাপ প্রক্ষেপণ ও জাদুকরী নান্দনিক সুষমায় দর্শক আমি নিজেই মুগ্ধ। হ্যারিকেন বাতি আর তামাক-হুক্কার আমলে গ্রামীণ জীবন সমাজব্যবস্থার ক্যালচারও দৃশ্য গুলো ভালোলাগার মত ছিল। মাতাল ও বিশ্বাসঘাতক ইসমাইল চরিত্রে ফজলুর রহমান বাবুর অসাধারণ ও শক্তিশালী অভিনয় ছবির গতিতে প্রাণের সঞ্চার করে ও অপরদিকে মিজান চরিত্রে শাহাদাতের দক্ষ অভিনয় দর্শক-মনে বিশেষ দাগ কাটার মত ছিল।
অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ তার চরিত্রানুযায়ী দক্ষ অভিনয় করেছেন। মন্দ মানুষ ছেলে চরিত্রে জিতু আহসানের অভিনয় উচ্চ প্রসংশার করার মত। ভাবী চরিত্রের রুনা খানের অভিনয় মুগ্ধতায় অসাধারন ছিল। ননদ-ভাবির মিষ্টি সম্পর্ক সৃষ্টিতে সফল হয়েছেন পরিচালক। সুজন চরিত্রে নবাগত নায়কের ভূমিকায় তামভীরের অভিনয় করতে ভালো ছিল। নদীর পানিতে পাশাপাশি দুটি নৌকায় সুজন আর পারুলের নৌকা বাওয়া এবং পারুলকে সুজনের ভালোবাসার কথাটি জানানোর দৃশ্য মুহূর্তটি এক অসাধারণ নান্দনিকতায় ছিল। ফজলুর রহমান বাবুর মেয়ে পারুল চরিত্রে মনের সহজ অভিনয় ও লতিফ সিকদারের মেয়ে নিশি চরিত্রে নবাগত নায়িকা নীলার দর্শক-হৃদয়ে ভালো লাগায় স্পর্শ করেছে আমার।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছবিটি দেখার ইচ্ছে ছিল কিন্তু এখনও দেখা হয়নি।