নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা বাংগালীরা চরম হতভাগা জাতি । ত্যাগ আর রক্ত ছাড়া আমরা কিছুই অর্জন করতে পরি নাই ।আমাদের ভাষা, স্বাধীনতা ও গনতন্ত্র সবকিছুই অর্জিত হয়েছে রক্ত আর ত্যাগের বিনিময় । আর এই জন্যই যুগে যুগে এই মটিতে জন্ম নিয়েছে ক্ষুদিরাম , সালাম , বরকত, মতিউর ও নুর হোসেনরা । আর তাদের আত্মত্যাগর মূল্য আমরা তাদের আজ ও পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছি। আজ ১০ নভেম্বর শহীদ নুর হোসেন দিবস বাংলাদেশের গনতন্ত্র উদ্ধার ও রক্ষার জন্য রাজপথে নিজের বুকে ও পিঠে " স্বৈরাচার নীপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক " লেখা শ্লোগান আর মুখ থেকে বর্জ্র কন্ঠের সেই ধ্বনি দিতে দিতে ঘাতকের বুলেটে ঝাজরা হয়ে চিরতরে বাংলার মাটিতে লুটিয়ে পরেন নুর হোসেন । আর গনতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনের শহীদ সেনানির খাতায় নাম লেখান শহীদ নুর হোসেন এরই সাথে এই দিন শহীদ হন নুরুল হূদা বাবুল এবং আমিনুল হূদা টিটু । আমাদের রাজনীতিবিদরা বড়ই চতূর ও স্বার্থ লোভী তা করো ই অজানা নয় লাশ নিয়ে রাজনীতি এদের খুবই প্রিয় তাই যেখানে ই লাশ সেখানেই তাদের দৌড় ঝাপ মায়া কান্নার ও শেষ নাই । ১৯৮৭ সালের ১০ই নভেম্বর ও তার ব্যতিক্রম হয় নি সেদিন ও নুর হোসেনের লাশ নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক শকুনদের কামড়া কামড়ি কম হয়নি । এক দল বলে নুর হোসেন আমার দলের নেতা আর এক দল বলে আমার মৃত্যুর পর নুর হোসেন কে কেউ ই নেতা বানাতে ভুল করেন নি । অথচ নুর হোসেন ছিলেন আমাদের মতই একজন সাধারন বাংগালী বিবেকের তারনায় দেশের গনতন্ত্র উদ্ধার ও রক্ষার জন্য একবুক স্বপ্ন আর নতুন দিনের আশা নিয়ে রাজ পথে মিছিলের ঢলে নেমে এসেছিল । রাজনীতি কি নুর হোসেন হয়তো জীবনে কখনো বুঝেন নি তার পর আমাদের নষ্টা ভ্রষ্টা রাজনৈতিক বিদেরা তাকে নিয়ে রাজনীতিক ফায়দালুটাতে একটু ও কুন্ঠা বোধ করে নি । আমাদের বর্তমান প্রধান মন্ত্রী বিভিন্ন ভাবে শহীদ নুর হোসেন কে তাদের ই অংগ সংগঠন যুব লীগের কর্মী বলে চালিয়ে দিলেন । শহীদ নুর হোসেনের স্বপ্ন ছিল অবশ্যই আমাদের বংলার মাটি হবে চির দিনের জন্য স্বৈরশাষনের অবসান । কিন্ত বাস্তবতার প্রতিফলন হলো টার উল্টা । যে রাজনীতিক দলের নেত্রী নিজের দলের নেতা বলে নুর হোসেন শহীদ হওয়ার পর মুহুর্তেই মরা কান্নায় আবেগপ্লুত হয়ে বলে ছিলেন জীবনে কখনোই নাকি স্বৈরাচার এরশাদের সাথে জীবনে কোন সম্পর্ক নেই । সেটা ছিল ছিল ১৯৮৭ সালের ১০ই নভেম্বরের কথা । তার ই মাত্র কিছু দিন পর মাত্র আট বছরের ব্যবধানে অর্থৎ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতার লোভে নুর হোসেনদের আত্মত্যাগের কথে ভুলে গিয়ে সেই স্বৈরাচার এরশাদ বনে গেল তার পরম মিত্র সর্বের সর্বা । আমাদের সবাই ১৯৯৬-২০০০ সময়কালের আওয়ামী লীগের ঐক্যমতের সরকারের কথা জানি সেই সময় ঐক্যমত বাস্তবায়নের জন্য স্বৈরাচার এরশাদ তখন বন্ধুত্বের নিদর্ষন স্বরুপ সহজে ই একের পর এক পূর্বের প্রায় সকল মামলা থেকে রেহাই পান আজ ও পর্যন্ত সেই বন্ধুত্ব বহাল আছে ।ক্ষমতার লোভে আজ তারা মিলে মিশে হয়েগেছেন একাকার । সেদিনের স্বৈরাচার এরশাদের ভুত আজ ভর করেছে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘাড়ে ।তিনি সেদিনের নুর হোসেনদের আত্ম ত্যাগের কথা বেমালুম ভুলে গেছেন কিন্ত জাতি নুর হোসেনদের আত্ম ত্যাগের কথা কখনো ই ভুলে না । তারা সব সময় ই নুর হোসেনদের আত্মার শান্তি কামনা করে । তার পর ও কি নুর হোসেনদের আত্মা শান্তি পায় না স্বর্গে বসে বলে হে আজকের বাংলাদেশে নষ্ট রাজনীতিক নেতারা ধ্বিক শত ধ্বিক তোমাদের যারা সামান্য ক্ষমতার লোভে আমাদের আত্মার সাথে বেঈমানি করেছ ।
©somewhere in net ltd.