নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার ।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক মুরতাদ ও উগ্রবাদি মৌলবাদী ধর্মীয় গোষ্টি !

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

আমাদের দেশে নাস্তিক মুরতাদ শব্দ গুলি ক্রমশ ই জন প্রিয় হয়ে উঠেছে । আর সেই জন প্রিয়তার করনেই অনেকেই নাস্তিক মুরতাদের পথে পা বারাচ্ছেন ডাক্তার, কবি, সাহিত্যক, বিচারপতি মন্ত্রী আমলার সাথে অনেক সাধারন মানুষ অতি সম্প্রতি সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দীকির কিছু মন্তব্যে আমাদের দেশের ধার্মিক সমাজ তথা ধর্ম ব্যবসায়িরা তাকে নাস্তিক মুরতাদ বলে ঘোষনা করেছেন । লতিফ সিদ্দিকে নিয়ে রাজনিতীর মাঠ থেকে শুরু করে টেলিভিশনের টক শো পত্রিকার পাতা সবটাতেই গরম ব্যবসা । আর ব্যবসা হবে ই না বা কেন আমদের দেশের এক শ্রেনী তো নিজের স্বর্থের জন্য সব কিছুই করতে প্রস্ত্তত । যেখানে একজন আমলা তার পদোন্নতির জন্য তার স্বীয় স্ত্রী কে রাষ্ট্রপতির বিছানা সংগী হওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির বিছানায় পাঠাতে দ্বিধা বোধ করেন না যে খানে তথা কথিত ধর্মবাদীরা নারীনেত্রীত্ব হারাম বলে ক্ষমতার লোভে সুন্দরী রমনীর আঁচলের নীচে নেন সেখানে অসম্ভব বল কিছু আছে বলে আমি আদৌ মনে করিনা । যাই হোক লতিফ সিদ্দীকির ফাঁসির দাবিতে সাড়া দেশ আজ উত্তাল । ফেনী জেলার সত্তর বছর বয়ষ্ক এক গরিব ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি মুহাম্মদ জয়নাল আবেদিন হাফিজাহুল্লাহ্ ইতোমধ্যে লতিফ সিদ্দিকির মাথার দাম দশ লক্ষ টাকা ঘোষনা করেছেন তার সাথে ফ্রি হজ্জ অফার । শুধু মাত্র পরোকালে জান্নাতের আশায় জয়নাল আবেদিন হাফিজাহুল্লাহ্ তার সহয়ায় সম্পত্তি বিক্রি করে টাকার বিনিময় প্রকাশ্যে লতিফ সিদ্দিকীকে হত্যার জন্য ধর্মীয় উগ্রবাদ কে উৎসাহিত করেছেন আর এ ধরনের ধর্মীয় উগ্রবাদ কে উৎসাহিত করার জন্য মুহাম্মদ জয়নাল আবেদিন হাফিজাহুল্লাহের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা নানিয়ে বরং তাকে অতি মাত্রায় আল্লা ভক্ত ও ধর্মের জন্য মহৎ প্রাণ হিসেবে অনেকেই প্রচার করছেন যাই হোক । উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী আমদের দেশকে বেশ কিছু দিন যাবৎ নাস্তিক- আস্তিক দুভাগে বিভক্তির চেষ্টা করে যাচ্ছে ক্রমানয়ে ঐ গোষ্ঠি বাংলাদেশ কে জঙ্গীবাদের অভয়ারন্য পরিনত করতে তাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি ই রাখছে না । যার ফলশ্রুতির তান্ডব আমারা দেখছে গত ২০১৩ সালের ৫ মে তথা কথিত হেফাজতে ইসলামের ধর্ম রক্ষার আন্দোলন । সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদীরা তথা জামাত-শিবিরের নারকীয় তন্ডবে সাড়া দেশ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল নাস্তিক মুরতাদ বলে ব্লগার রাজীব হাদারকে খুন হতে হয় উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদীদের হাতে । হঠাৎ করে ১৯ এপ্রিল ২০১৪ কোন এক পত্রিকার একটা খবর পড়ে উপরের আলোচনা গুলি টানলাম ১৮ এপ্রিল ২০১৪ শুক্রবার কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলহাজ কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের হকার-ব্যবসায়ী আয়োজিত ইসলামি মহাসম্মেলনে আল্লামা শফী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছিলেন " নাস্তিকদের কতল করা ওয়াজিব হয়ে গেছে " তিনি বলেছিলেন " নাস্তিকরা তোমরা মুরতাদ হয়ে গেছ, তোমাদের কতল (হত্যা) করা আমাদের ওপর ওয়াজিব হয়ে গেছে ।" ইসলামের পরি ভাষায় মুরতাদ হলো ইসলাম ত্যাগকারী ব্যক্তির অর্থাৎ কোন ব্যক্তি জন্মগত ভাবে বা পূর্বের ধর্ম পরিবর্তন কে ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পর যদি বিশ্বাসগত ভাবে , কোন কথা উচ্চারণ করার মাধ্যমে ,কর্মের মাধ্যমে বা কোন কর্ম বর্জন করার মাধ্যমে ইসলাম ত্যাগ তা হলে ই সে মুরতাদ হিসেবে গন্য হবে । আর ইসলাম ধর্মে মুরতাদের হুকুম কী ? যদি কোন মুসলিম মুরতাদ হয়ে যায় এবং মুরতাদের সকল শর্ত তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় (সুস্থ- মস্তিস্ক, বালেগ, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির অধিকারী হওয়া) তাহলে তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হবে এবং ইমাম তথা মুসলমানদের শাসক অথবা তাঁর প্রতিনিধি যেমন বিচারক তাকে হত্যা করবে। তাকে গোসল করানো হবে না, তার জানাযা-নামায পড়ানো হবে না এবং তাকে মুসলমানদের গোরস্থানে দাফন করা হবে না। মুরতাদকে হত্যা করার দলিল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী “যে ব্যক্তি ধর্ম ত্যাগ করে তাকে হত্যা কর।”[সহিহ বুখারী (২৭৯৪)]। হাদিসে ধর্ম দ্বারা উদ্দেশ্য ইসলাম।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “যে মুসলিম ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, ‘আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল’ নিম্নোক্ত তিনটি কারণের কোন একটি ছাড়া তার রক্তপাত করা হারাম: হত্যার বদলে হত্যা, বিবাহিত ব্যভিচারী, দল থেকে বিচ্ছিন্ন-ধর্মত্যাগী।”[সহিহ বুখারি (৬৮৭৮) সহিহ মুসলিম (১৬৭৬)]।
এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, মুরতাদকে হত্যা করার বিষয়টি আল্লাহর আদেশেই সংঘটিত হয়ে থাকে। আমরা সবাই জানি মাফিয়া নামক সন্ত্রাসী গোষ্টির কথা যাকে বলা হ্য় অন্ধাকের জগত সেই মাফিয়া নামক সন্ত্রাসী গোষ্টিদের গোত্রে যে নাকি একবার প্রবেশ করা মৃত ছাড়া নাকি সে পথ থেকে ফেরা যা্য় না অর্থাৎ যে ব্যাক্তি মাফিয়া গোস্টির সদস্য হবেন তিনি যদি কোন কারনে মাফিয়া দল থেকে বেরিয়া আসেন তার পর ও কোন ভাবেই তার এ পৃথিবীতে বাঁচার আর অধিকার থাকে না । আমার কাছে মনে হয় ইসলামের দৃস্টিতে মুতাদ বা ইসলাম ত্যাগ কারীর অবস্হ্যা ও মাফিয়া গোষ্টি থেকে বের হয়ে আসা সদষ্যের মত ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৫

নীল আতঙ্ক বলেছেন:
ভালো লাগলো আপনার লেখা আর চিন্তা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.