নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাকিস্তান বর্তমান বিশ্বের একটি নিকৃষ্ট তম দেশ বর্তমান সভ্যবিশ্বের একটি বর্বর জাতর দেশ পাকিস্তান । যেখান ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের আগ্রসনে প্রতিনিয়ত ই সাধারন মনুষের তাজা রক্তে রঞ্জিত গিরি থেকে রাজ পথ । সত্যিকারে পাকিস্তানীরা যে বর্বর সেটা ওরা প্রমান করেছে ১৯৭১ ই আমাদের মাহান মুক্তি যুদ্ধের সময় তার পর থেকে প্রতি নিয়ত ই ওদের বর্বরতার প্রমান পেয়েছে সাড়া বিশ্ব । এই পাকিস্তান যেখানে ধর্মীয় মৌলবাদের আধিপত্য এতটাই প্রখর যে মালালার মত একজন শিশু ও ওদের থাবা থেকে রক্ষা পায়নি ।ধর্মীয় মৌলবাদীদের কামড়ে ওখানে মুক্ত চিন্তা মুক্ত মত প্রকাশ নিষিদ্ধ প্রায় । যেখানে এক বাস্তব সত্য বলার জন্য ব্লাসফেমি নামক কালো আইনে ডঃ শেখ ইউনুসের ফাঁসির আদেশ হয়েছিল যদিও বিশ্বময় আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সরকার ডঃ শেখ ইউনুসকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল । আজ আমি বলবো পাকিস্তানের আলোচিত সেই খ্রিস্টান নারী আছিয়া বিবির কথা যাকে ২০১০ সালে পাকিস্তানের একটি নিম্ন আদালত ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননা মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। হাইকোর্টে আপিল করে ও আছিয়া বিবির কোন লাভ হ্য়নি গত ১৬ অক্টেবর লাহোর হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আছিয়া বিবির দায়ের করা আপিল খারিজ করে দেয়।৫০ বছর বয়সী আছিয়া বিবি পাঁচ সন্তানের জননী। ট্রায়াল আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে লাহোর হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন। ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে তিনি ব্লাসফেমি মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে জেলখানায় আছেন। তিনি নানকানা সাহিব জেলার কাছাকাছি একটি গ্রামের বাসিন্দা।ইসলাম ধর্ম ও নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে য়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে তার প্রতিবেশীরা তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। তার বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগে বলা হয়, আছিয়া বিবি অন্যান্য মুসলিম নারীদের সঙ্গে একটি মাঠে কাজ করার সময় তাকে পানি আনতে বলা হয়।
এসময় তার একজন সহকর্মী মুসলিম নারী শ্রমিক বলেন তিনি একজন অমুসলিম নারী। তিনি পানির বাটি স্পর্শ করতে পারেন না। পরে মুসলিম সহকর্মীদের সাথে আছিয়া বিবির উত্তপ্ত বিতর্ক শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে আছিয়া বিবি হযরত মোহাম্মদকে (সাঃ) নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন।
ঘটনার পর মুসলিম নারীরা স্থানীয় এক ধর্মীয় নেতাকে ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত করেন। এরপর তারা আছিয়া বিবির বিরুদ্ধে ব্লাসফেমি আইনে একটি এফআইআর দায়ের করেন। পাঞ্জাবের তত্কালীন গভর্নর সালমান তাসির আছিয়া বিবির নিকট গিয়ে ঘটনাটি শোনেন এবং তার বিরুদ্ধে ব্লাসফেমি আইনে মামলা দায়ের করার জন্য নিন্দা জানান। পরে গভর্নর তাসিরকে তার নিজের দেহরক্ষী মুমতাজ কাদরি গুলি করে হত্যা করে।
ব্লাসফেমি আইন সংস্কারের জন্য আহ্বান জানালে এবং আছিয়া বিবির বিচারকে ত্রুটিপূর্ণ হিসাবে বর্ণনা করলে একইভাবে ২০১১ সালে হত্যা করা হয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টি কে । আসিয়া বিবি বরাবরই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে আসছেন । তার দাবি, একপাত্র পানি নিয়ে একদল নারীর মধ্যে বচসাকে কেন্দ্র করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে । ব্লাসফেমির উদ্ভব হয়েছিল প্রাচীন ও মধ্যযুগে। এখন থেকে সাড়ে চৌদ্দ শত বছর পূর্বে রোমের সামন্ত রাজারা প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী খ্রিষ্টান ক্যাথলিক চার্চের যাজকদের সহায়তায় জনগণের ওপর ধর্মের নামে অত্যাচারের হাতিয়ার হিসেবে ‘ব্লাসফেমি’র ব্যবহার শুরু করেছিল। তার পর ‘ব্লাসফেমি’র ব্যবহার শুরু হ্য় ইসলাম ধর্মে নিজ ধর্মকে অন্যের উপর জোড় করে চাপানোর জন্য মুসলিম মৌলবাদীরা দখল করে নেয় খ্রিষ্টান মৌলবাদীদের ‘ব্লাসফেমি’ আইন । ধর্মের ব্যপারে তাদের একে অপরের বিরোধ থাকলে ওঅত্যাচারের হাতিয়ার উভয়ের ই এক । তাই আছিয়া বিবির মৃত্যুদণ্ডের জন্য ও খ্রিস্টান সমাজ কোন প্রতিবাধ করবে বলে আমার মনে হ্য় নাই । তাই আছিয়া বিবির বিচারের নামে এই প্রহসনের নিন্দা জানানোর ভাষা হয়তো কোন বিবেক বান সভ্য মানুষের ই নাই । আছিয়া বিবির ক্ষেত্রে বিচারের বানী নিরবে নিভৃতে কাঁদুক এটা কোন বিবেক বান মানুষ ই চাইবে না । তাই প্রগতিশীল মুক্ত চিন্তার , মুক্ত মনের বিবেক আছিয়া বিবির পক্ষে প্রতিবাদ করবে এটাই প্রত্যাশা ।
©somewhere in net ltd.