নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দীর্ঘ দিন ধরে সমগ্র বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে রাজনীতি সচেতন বাংলাদেশী যে যেখান আছে সবার মুখেই বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যাপারে একটা কথা আছে যে আমাদের দেশের তথা কথিত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনীতিক দল তথা বর্তমান শাষক গোষ্টীর সাথে আমাদের স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে একটা গোপন আতাত হয়ছে । যে কন মূল্যেই বর্তমান শাষক গোষ্টী তাদের প্রতিপক্ষ বিএনপি কে রাজনীতিক ভাবে সঙ্গী হীন তথা পংগু করার জন্য যা যা করা তাই করতে প্রস্তত এবং বর্তমান শাষক গোষ্টীর সর্ব শক্তি দিয়ে তাদের প্রতিপক্ষ বিএনপি কে ধ্বংশ করতে মরিয়া । আবশ্য শাষক গোষ্টীর ভিতর বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে ধ্বংশের মনো ভাব বাংলাদেশে নতুন কিছু নয় আমাদের সৃষ্টি লগ্ন তথা স্বাধীনার পর থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে ধ্বংশের মনো ভাব শাষক গোষ্টীর ভিতর কাজ করে আসছে । জাসদ স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রথম বিরোধী দল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিভাবে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে ধ্বংশ করা যায় সেই লক্ষে তৎকালীন বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিক জাসদের উপর যত ধরনের দমন পীড়ন আছে কোন টা থেকেই জাসদকে রেহায় দেয় নি ।১৯৭২-১৯৭৫ সালে বিরোধী দলের ২০ হাজার নেতা কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে । তার ই ফলশ্রুতিতে ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বর্তমান প্রধান মন্ত্রী তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তৎকালীন শাষক দল বিএনপি গ্রেনেট হামলা করিয়ে ছিল কিন্তু সৌভাগ্য ক্রমে সেদিন শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে যান । আর সেই প্রতিশোধ পূরনের জন্য শেখ হাসিনা ও ক্ষমতা গ্রহন করে বিএনপি ও তার দোসরদের বারোটা বাজাতে আদা-জল খেয়ে নেমেছে ।ইতোমধ্যে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কে ঘড় সংসার সব কিছু ছাড়া করেছেন খালেদা জিয়া ও তার পরিবার সহ তার নেতা কর্মীরা আজ ঘড় ছাড়া দেশ ছাড়া । যাই হউক এতো গেল আমাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কিছু নমুনা । জামাত-ই-ইসলামি র সাথে বর্তমান বর্তমান শাষক গোষ্টীর আতাত বেশ কিছুদিন যাবত ই স্পষ্ট যার ফলশ্রুতিতে সৃষ্টি হয়ে ছিল গনজাগরন মঞ্চের । জামাত নেতা কাদের মোল্লার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের রায়ই তা প্রমানে যথেষ্ট । স্বাভাবত প্রশ্ন আসতে পারে তা হলে কেন পরবর্তীতে কাদের মোল্লাকে যাবৎ জীবন সাজা থেকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হলো এবং কেনই বা অতি দ্রুত কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ড ও কার্যকর করা হলো ঠিক তদ্রুপ প্রশ্ন হলো কেনই বা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে মৃত্যুদন্ডাদেশের পর ও উচ্চাদালত আমৃত্যু কারাদন্ডের আদেশ দিলেন । যদি ও আমরা বলবো সবই আদালতের রায় যা মানা সকল নাগরিকের কর্তব্য । আদালতের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল হয়েই প্রশ্ন গুলি আমার মনের ভিতর ঘুরপাক খায় । আমাদের দেশের বিচার বিভাগ কত টুকু স্বাধীন তা নিয়ে আজ ও অনেকের মনে প্রশ্ন ঠিক এই প্রশ্নটা আমার মনে ও ঘুর পাক খায় যে আদৌ কি আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীন ? কাদের মোল্লা ও সাঈদীর উত্তরে আসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে সাঈদীর রায়ের পর দেশব্যাপী জামাত-শিবির ও সাঈদীর অজস্র ভক্তরা দেশব্যাপী যে নাড়কীয় তান্ডব করে দেশ কে ধ্বংশে দ্বার প্রন্তে নিয়ে গিয়ে ছিল । আর বহিবিশ্ব সাঈদিকে ধর্মীয় গুরু বা ধর্মপ্রচারক হিসেবে প্রচার করে একটা সংকট সৃষ্টি করেছিল সে সব দিকে লক্ষ রেখেই সাঈদীর রায় সম্ভবত উচ্চ আদালাতে গিয়ে পরিবর্তন হয়েছে । যদিও আমি ধর্ম ও ধর্মনিয়ে রাজীতিকদের সম্পুর্ণ বিপক্ষে তার পর ও আমদের দেশে ধর্ম নিয়ে ই মূলত রাজনীতি পরিচালিত হয় সে দিক থেকে আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক ইসলাম ধর্মের অনুষারী হওয়ায় জামাত-ই-ইসলাম শত অপকর্মের পর রাজনৈতিক ভাবে শক্ত অবস্হানে আছে কিন্তু আমাদের মাহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সমস্ত অপকর্ম তাদের ক্ষমতার সিংহাসনে পৌছার মূলবাধা তাই জামাত-ই-ইসলামির নতুন প্রজন্ম চাচ্ছে যে ভাবেই হউক মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সমস্ত অপকর্মের দায় থেকে মুক্তি পেয়ে মানুষের নিছক ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রীয় শাষন ক্ষমতা গ্রহন করা আর তার জন্য মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সমস্ত অপকর্মে অভিযুক্তদে হাত থেকে জামাত-ই-ইসলাম কে মুক্ত করা সেই দিক থেকে জামাতের নতুন প্রজন্মের নেতারা বর্তমান শষক গোষ্টির সাথে একটা সূক্ষ্ণ আতাতের মাধ্যমে তাদের বর্তমান রাজনীতি পরিচালনা করছে । জামাত-ই-ইসলাম বলতেই দেশের মানুষ বোঝে একটি হিংস্র রাজনৈতিক দল আর সে হিংস্র রাজনৈতিক দল তাদের দলের কর্ণধারদের মৃত্যুদন্ডের রায় কার্যকর ইত্যাদির পরে ও হরতাল ডেকে ঘরে বসে হাঁসের মাংস দিয়ে ভূনা খিচুরি খবে এটা কারোই বোধ গম্যনয় । আর জামাত-ই-ইসলামের বিগত বেশ কয়েকটা হরতালে ঘরে বসে হাঁসের মাংস দিয়ে ভূনা খিচুরি খাওয়ার যে প্রবনতা সেই সাথে তাদের আধ্যাতিক গুরু যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ট হয়ে আমৃত্যু কারা ভোগকারি গোলাম আযমের মৃত্যুর পর গোলাম আযমের লাশের প্রতি সরকারে যে সম্মান বোধ এবং গোলাম আযমের পরিবারের পক্ষ থেকেপ্রধান মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা বর্তমান সরকারের সাথে তাদের সু-সম্পর্কের ই বহিঃপ্রকাশ ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: তবে ইতিহাস আমাদের কে বলে দেয় যে দমন নিপীড়ন নির্যাতন করে কাউকে ধ্বংশ করা সম্ভব নয় বরং আরো শক্তি শালীকরে । সাপ ও সন্ত্রাস ছোট বড়ের মধ্যে পার্থক্য নেই ।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৯
খেলাঘর বলেছেন:
"তবে ইতিহাস আমাদের কে বলে দেয় যে দমন নিপীড়ন নির্যাতন করে কাউকে ধ্বংশ করা সম্ভব নয় "
-ইতিহাস কেহ বোধ হয় শুধু আপনার জন্য লিখেছে; উহা পড়েন, ও অপেক্ষা করেন।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২২
ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: ইতিহাস সবার জন্য ই সমান তবে আমাদের ইতিহাস মাঝে মধ্যে অন্য ভাবে ও লিখা হয় ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৪
খেলাঘর বলেছেন:
জামাতের সাথে আঁতাত করে যদি খালেদা জিয়া ও পাকিস্তানের দল বিএনপি'ে ধ্বংস করা সম্ভব, তবে তাই হোক।
কারন, বিনা বিএনপি'তে জামাতের বাকীগুলোরও ফাঁসী হবে সব সময়।
জাসদ ছিলো ছাত্রলীগের বড় সন্ত্রাসীরা; ছোট সন্ত্রাসীরা শেখ সাহেবের সাথে ছিল।