নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সিংগাপুরের হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমি যখন এই লেখা লোখছি সংবাদমাধ্যমে জানতে পারলাম তার শারীরিক অবস্হা কিছুটা উন্নতির দিকে। তার দ্রুত সুস্হতা ই এই মুহুর্তে তার জন্য আমার কামনা। গত তিন মার্চ ২০১৯ জনাব ওবায়দুল কাদের অসুস্হ হয়ে হাসপাতালে ভর্তিহন। যখন কাদের ভাইর অসুস্হতার সংবাদ শুনেছি তখন মনের ভিতর একটা অস্হিরতা অনুভব করেছে নিজের ভিতরেই অসুস্হতা অনুভব করেছি। প্রবাসে থাকা অবস্হায় বেশ কয়েকবার কাদের ভাইর সাথে ফোনে কথা বলেছি। অবশ্য তথন তিনি মন্ত্রী ছিলেন না তাই হয়তো ফোন করলেই তিনি সময় নিয়ে কথা বলতেন ভাল মন্দের খোঁজ নিতেন। পরে অবশ্য মন্ত্রী হওয়ার পর তার সাথে আর কথা বা যোগাযোগ হয় নি। তবে কাদের ভাই যে বন্ধুসুলভ মানুষ এটা আমি বিনাদ্বিধায় বলতে পারি।
গত তিনমার্চ ২০১৯ কাদের ভাইর অসুস্হতার সংবাদ যখন সংবাদ মাধ্যম সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে তখন বেশির ভাগ মানুষকে দেখেছি কাদের ভাইর সুস্হতা কামনা করে দোয়া করতে। আবার কিছু মানুষের অচর সত্যি আমাকে আতংকিত ও ব্যথিত করেছে। আমাদের সমাজ কখনো কোন অসুস্হ মানুষকে নিয়ে অসুস্হ রশিকতার স্বীকৃতি দেয় নাই। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনাব ওবায়দুল কাদেরে অসুস্হতা নিয়ে কিছু মানুষের ট্রল ই আমার আতংক ও বেদনার করান।
যারা ট্রল করেছেন তারা মূলত রাজনীতিকে সামনে এনে ওবায়দুল কাদের এবং আওয়ামী লীগের কিছু নেতার অতীতের কথিত বক্তব্য দিয়েই তাদের আক্রমণ করেছেন। কিন্তু রাজনীতি ও মানবিকতা দুইটা সম্পুর্ন ভাবেই ভিন্ন। জনাব ওবায়দুল কাদের যেমন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবার জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপির মহাসচিব। ওবায়দুল কাদেরের অসুস্হতায় কিন্তু ঘড়ে বসে থাকতে পারেন নি জনাব মির্ফজা ফখরুল। তিনি ঠিকই দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে এসে দেখেগেছেন কাদের ভাইকে। কারন রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ আর সমাজিকতা মোটে ও একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত নয়। ভাই ভাই বাবা ছেলে স্বামী স্ত্রী সহ যে কোন আত্মীয় ও সম্পর্কের মানুষের ভিতর রাজনৈতিক চিন্তাধারা সহ নানান ক্ষেত্রে মতের পার্থক্য থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মতপার্থক্যের কারনে সম্পর্কের অবনতি কখনোই হতে পারে না। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্হা ও আমাদের রাজনীতি আমাদের সামাজিক ও আত্মীয়ের সম্পর্ককে ও আজ ভাংগনের সৃষ্টি করেছে মানবিকঅবক্ষয়ের জন্মদিয়েছে। আজ আমরা মৃত্যুর পথযাত্রী একজন মানুষকে নিয়ে রশিকতা করছি ব্যঙ্গ করছি এটা কেমন মানবিকতার কেমন মানষিকতার পরিচয় দিচ্ছি? আমদের অতীত সমাজব্যবস্হা তো আমাদের এমনটি শিক্ষা দেয়নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান মানবিক উদারতায় অনেক রাজনৈতিক শত্রুকে ও ক্ষমার চোখে দেখেছেন। কিন্তু আজ আমাদের ভিতর ভদ্রতা ও মানবিকতার বড়ই অভাব। ক্ষমতা ও সম্পত্তির লোভ আজ আমাদের অন্ধ বধির করে দিয়েছে ধ্বংস করেদিয়েছে মানবিকতাকে। কাদের ভাইয়ের অসুস্হতার সংবাদে জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ বিএনপির অন্যান নেতাদের হাসপাতালে ছুটে যাওয়া ব্যদনার মাঝে ও কিছুটা শান্তি পেয়েছি। না আমাদের রাজনীতিবিদদের ভিতর কিছুটা হলে ও শুভ বুদ্ধি জাগ্রত হয়েছে। রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে তারা মানবিক হতে চলছে।
মৃত্যু অসুস্হতা এটা কোন তামশা বা ব্যঙ্গকরার বিষয় না। যারাই শুধু মাত্র রাজনৈতিক মত পার্থক্যের কারনে ওবায়দুল কাদেরের অসুস্হতার খবরে ব্যঙ্গ করেছেন তাদের বলবো মানবিক হওয়ার চেষ্টা করবেব প্লীজ। সব ক্ষেত্রের রশিকতা মানায় না। আপনি আমি মানবিক হলেই আমাদের রাষ্ট্র আমাদের সমাজ মানবিক হতে বাধ্য। পরিশেষে জবাব ওবায়দুল কাদেরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: মার কথা একটু ভিন্ন।
এত কিছুর পরও কেন কোনো মন্ত্রী এমপি বলছে না আমাদের দেশে একটা ভালো হাসপাতাল নির্মান করা হোক। যেন আর বিদেশে যেতে না হয়।
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪
বাকপ্রবাস বলেছেন: এসব হিংসা, বিদ্বেশ, হিংস্রতা সবই আওয়ামিলীগ বাজারজাতকৃত। যার সূত্রপাত আগে হলেও বর্তমান সূতিকাগার শাহবাগ। যেখান থেকে ঢোল পিটিয়ে ফাঁসি উদযাপন করা হয় আর লাশ এর জানাজে পড়তেও দেয়া হয়না স্বাভাবিক ভাবে। সুতরাং যতই নীতি কথা বলুন আগে গোঁড়া ঠিক করতে হবে, কাদের এর বিষয়টার গোড়া কোথায় সেটা দেখতে হবে, নিজের ঘাড়ে আসলে তখন নীতি নৈতিকতা চলে আসে, অন্যের বেলায় গালাগাল আর ঢোল পিটিয়ে উদযাপন। কিছু একটা বলতেও ভয়, না জানি আবার পাকিস্তান পাঠানোর হুমকি চলে আসে।
৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এসব বন্ধ হবে কবে?
৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১৮
নাসির ইয়ামান বলেছেন: সবাই ধর্ষক, সবাই ধর্ষন করে!
আমার দ্যাশ ধর্ষিত, আমার মা ধর্ষিত!
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:২৫
Broken Heart বলেছেন: যে সব মানুষের কারণে মানুষকে কষ্ট পেতে হয় তাঁরা মোড়ে গেলেই ভালো হয় । অসুস্থ রাজনীতি আর সেই রাজনৈতিক নেতার প্রতি কোনও স্রদ্ধাবধ নেই জনতার। আপ্নে আওয়ামিলিগ করেন জন্য আপনার দুহক্ষ লাগতেছে কারণ কাদের মোড়ে গেলে আপনাদের বানিজ্য ঘাটতি হবে। সাধারণ মানুষের ভালবাসা অন্য জিনিস। যেমন শেখ মুজিব ছিলেন, কই তাঁকে নিয়ে তো এসব করে না জনতা। সব বোঝার পরেও আতলামি করেন না ভাই।