নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের স্বাধীনতা আমাদের বিজয় এর সাথে মিশে আছে আমাদের প্রতিটি দেশ প্রেমিক মানুষের ত্যাগ তিতিক্ষা। দল মত জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই আজ আমরা স্বাধীনতার ফল ভোগ করছি। তাতে মাঝে মাঝেই কিছু শকুন হানাদের আমাদের সম্প্রীতির সম্পর্কে হানা দেয় স্বার্থ হাসিলের ওন্য। আমাদের দেশের সুবিধার উচ্ছৃষ্ট অংশ ভোগের জন্য একটি গোষ্ঠী সবসবই সজাগ আর তারাই বেশির ভাগ সময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার বা দখলদারে পরিনত হয়। তবে আমাদের সাধারন মানুষেরা আজীবনই দেশমাতৃকার জন্য নিজেদের ভালবাসা অকাতরে উজার করে দেন দেশমাতৃকার জন্য। তেমনি একজন ময়মনসিংহে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদির যাকে আমি একজন আর্দশ আওয়ামী ও দেশপ্রেমিক বলবো। আমার সাথে সকলেই একমদ হবেন। তিনি বাংলার গ্রামের ফসলি জমিতে সবুজ ফসলের মাঝে অংকন করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আওয়ামিলীগের দলীয়য় প্রতীক নৌকা সাথে আছে আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। আব্দুল কাদির তার অন্তরের খাঁটি ভালবাসায় অংকন করেছেন এই চিত্র গুলি। দেশে জাতি বা কোন কোন রাজনৈতিক দলের জন্য আজো হাজারো দরদী কাদির আছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জাতিস্বত্বার একটা বড় অংশ তার কোন সম্মানের হানী কোন বাংলাদেশের চেতনার বিশ্বাসী মানবে ন বা মানতে পারে না। তবে আজ আমাদের দেশের অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশে অনেকেই আজ জাতির জনকের নাম বিক্রি করে তার প্রিয় পোষাক ছয় বুতামের কালো কোট অর্থাৎ মজিব কোট কে স্বার্থ হাসিলের পুঁজি করে নানান অবৈধ স্বার্থ হাসিল করে যাচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে আজ যে পরিস্হিতি জন্ম নিয়েছে তা সত্যি অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। একদল এর চরম বিরোধিতায় লিপ্ত আরেক দল বিরোধীদের প্রতিবাদে পারলে জীবন উৎসর্গ করছে। স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন ভাস্কর্য কালচার বিশ্বের অন্যান দেশে তো আছেই বাংলাদেশে ও নতুন নয়। জানিনা কাদের কোন স্বার্থ হাসিলে হঠাৎ করেই এই প্রতিরোধ প্রতিবাদ? আর যারা ভাস্কর্য নির্মানের বিরোধীদের প্রতিরোধ করতে আজ রাস্তা গরম করছেন তারা দীর্ঘদিন যাবৎ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে নানান অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। যা এদেশের মাবুষকে দমবন্ধ করে সহ্য করে যতে হচ্ছে। আর এই কারনেই তাদের সম্পর্ক সাধারন মানুষ থেকে অনেক অনেক দুরে। তাই তারা আজ বাংলাদেশের সাধারন মানুষের ভালবাসা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মানের বিরোধিতা কারদের ছুতোয়ে আজ পথে নামে সাধারন নানুষের একটা সহানুভূতি আদায়ের সুযোগ হাসিলের একটা চেস্টা চালাচ্ছেন। আমি প্রবীন আওয়ামিলীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনাদের নামের আগে অনেকের সম্মান সুচক ই বীর মুক্তিযুদ্ধা উপাধী আছে। মুক্তিযুদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারা মৃত্যুঞ্জয়ী সত্যের পথে তারা আপোষহীন।
আমি মুক্তিযুদ্ধের আমার সম্মানের সর্বোচ্চ স্হানেই রাখি। আমার বাবা ও একজন মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন তবে সময়ের পরিবর্তন ও তথাকথিত অনেক ভুয়া মক্তিযুদ্ধাদের ভীরে আমার বাবার নাম টি আজো মুক্তিযুদ্ধাদের তালিকায় স্হান পায় নি। তাতে কোন আক্ষেপ নাই তার পর ও নিজের ভিতর ই গর্ব হয় আমি একজন মুক্তিযুদ্ধার সন্তান। আমি যে কথা বলছিলাম আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মানের বিরোধিতা কারিদের হঠাতে নাকি জীবন বাজী রেখে নেমেছেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই নির্মম কলংকময়ব দিনেটি তে আপনারা কোথায় ছিলেন। সেদিন কেউ খন্দকার মোস্তাক সরকরাকে শপথ পাঠ করাতে কেউ বা মন্ত্রী হতে সাজুগিজু করে নিজেকে তৈরিতে ছিলেন ব্যস্ত। আর অপেক্ষাকৃত কম বরসের যারা তাদের অন্তরে তেমন ই কোন গুপ্ত আশা সুপ্ত ভাবে লুকিয়ে আছে যমুনা টেলিভিশনের অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান ইনভেস্টিগেন ৩৬০ ডিগ্রি র " বোবা ভাস্কর্যের গল্প " শিরোনামের অনুষ্ঠানে আমরা দেখেছি ভাস্কর্য তৈরির নামে বড় বড় জালিয়াতি ও দুর্নীতির গল্প। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন যারা ই আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আর্দশের কথা বলছে আবার বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য নির্মানে দুর্নীতি ও চুরি করছে তাদের আসল উদ্দেশ্য টা কি? আমি হলফ করে বলতে পারি আজ যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মানে বাঁধাদান কারীদের বিরোধিতা করছে তাদের একটি বিরট অংশের ই উদ্দশ্য ভাস্কর্য নির্মান প্রকল্প সহ সরকারের উন্নয়নের নানান প্রকল্পের কাজের ঠিকাদারি হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের আখের গোছানো ছাড়া আর কিছুই নয়। যদি কখনোই ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয় এরাই খন্দকার মোস্তাক ও তার সঙ্গী সাথীদের মত নতুন দের সাথে ক্ষমতার অংশীদার হতে অনেক কিছুই বিলিয়ে দিবে। এমন কি সেদিন তারা জাতির জনকের ভাস্কর্য নিজ হাতে ভাংগতে ও কুন্ঠা বোধ করবে না। তবে এটাই বাস্তব এটাই সত্য আব্দুল কাদিরাই আসল নীতিবান ও দেশপ্রেমিক। এই আব্দুল কাদিরের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা আাদের বিজয়। আব্দুল কাদের প্রতি রহিল বিনম্র শ্রদ্ধায়।
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি একজন গর্বিত মানুষ। কারন আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে ভালোবেসে যুদ্ধ করেছেন। খেতাব পাবার আশায় না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৮
এমেরিকা বলেছেন: আমার একটা প্রশ্নঃ কুষ্টিয়ায় ভাঙতে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের মেরামতের জন্য ৩০ লাখ টাকা বিল করা হয়েছে। এই টাকা কি কি কাজ করতে খরচ হতে পারে?