নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার ।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাই সুষ্ঠু গনতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চার অধিকার

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৫

গত কয়েক দিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটা কথায় খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মাঝে হয়তো সৃষ্টি কর্তা শুভ বিবেক জাগ্রত করছেন। সেই সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ই বলেছিলেন, " আমাদের বিরোধী দল একটা সুযোগ পাচ্ছে, তারা আন্দোলন করবে, করুক। আমি আজকেও নির্দেশ দিয়েছি, খবরদার যারা আন্দোলন করছে, তাদের কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয় বা ডিস্টার্ব করা না হয়। তারা যদি প্রধানমন্ত্রীর অফিসও ঘেরাও দেবে, আমি বলেছি হ্যাঁ আসতে দেব। কেননা আমরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করছি দেশের কাজ করতে, দেশের মানুষ তো সেটা জানে। " এমকি কি তিনি আরো বলেছিলেন বিরোধী দল যদি গনভবন ও ঘেরাও করতে যায় তখন ও তিনি নাকি বিরোধী দলের নেতাদের চা দিয়ে আপ্যায়ন করবেন। হ্যাঁ রাজনৈতিক শিষ্টাচার তো এমন ই হওয়া উচিত। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে তাঁর শোকাহত মা বেগম খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে বেগম জিয়ার তৎকালীন গুলশানের বাসভবনে গিয়ে দরজায় বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর বন্ধ দরজা থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। সেই ঘটনা আমাদের লজ্জিত করেছে আমাদের কষ্ট দিয়েছে। একটি মৃত্যু সবাকেই শোকাহত করে আর একজন শোকাহত মা কে সমবেদনা জানাতে গিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী জন্য যদি দরজা বন্ধ করে রাখা হয় আর সেই বন্ধ দরজা থেকে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ফিরে আসতে হয়। তা তো সবার জন্যই লজ্জা জনক। তাই ভেবেছিলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়তো সেই অনুভূতি থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলি যদি আন্দোলন ও দাবীর উদ্দেশ্য তার বাসস্থান গনভবন ঘেরাও করতে যায় তিনি তাদের জন্য সেই কারনেই হয়তো আপ্যায়নের চিন্তা করেছেন। কিন্তু আমার ধারনা কেন জানি সম্পুর্ন রুপেই ভুল প্রমাণিত হলো। অনেক সময়ই প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি বিপরীত মুখি ও হয়। আর আমাদের রাজনীতিবিদদের কাছে তাদের ওয়াদা আমাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি সবসময় ই ভিন্ন মুখি। যে কথা বলছিলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেশের বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে রাজনীতি করার একটা জায়গায় তৈরির কথা বলার পর যা ঘটলো তাতে সবাইকেই হতবাক করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐ মন্তব্যের পর আমাদের দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি রাজপথে রাজনৈতিক বিরোধী দল বিএনপি যেখানেই মিছিল মিটিং মানববন্ধন র‌্যালি যে কোন প্রোগ্রামের ই আয়োজন করার চেষ্টা করেছে সেখানেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সাথে সরকার দলীয় বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা সশস্ত্র হয়ে সম্পুর্ন পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিএনপির কর্মসূচি কে পন্ড বা বাঁধাগ্রস্হ করেছে এই সকল ঘটনায় বিএনপির বহু নেতা কর্মীরা হতাহত হয়েছে যা আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য থেকে জানতে পরি। কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করতে গেলে পুলিশের বাঁধারকে কেন্দ্র করে পুলিশ ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় যুবদল কর্মী শাওন প্রধান। শাওন প্রধানের মৃত্যু নিয়ে ও জাতিকে বেশ কিছু নটকের দৃশ্য দেখতে হয়। শাওন যদি ও যুবদলের মিছিলের অগ্রভাগে ই ছিল তার পর তাকে আওয়ামিলীগ নেতার ভাতিজার পরিচয়ে পরিচিত করতে তৎপর ছিল একটি বিশেষ গোষ্ঠী। অথচ তারা সম্ভবত জানেনা শেখ শহিদুল ইসলাম বা ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থরা ও কিন্তু বঙ্গবন্ধু পরিবারের ই সদস্য। গত ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার জ্বালানি তেল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সহ বিভিন্ন পন্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে তিন বিএনপির কর্মী খুন ও বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নেতা কর্মীদের উপর হামলা মামলার প্রতিবাদে রাজধানীর বনানীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই রাস্তার অপর পাশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ মিছিল শুরু করে যা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কোন সুষ্ঠু রাজনৈতিক কর্মসূচির পরিপন্থীতো বটেই বরং সংঘাত সৃষ্টির অন্যতম উদ্দেশ্য মুলক কারন। বিএনপির কর্মসূচির শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই যখন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বক্তব্য যখন প্রায় শেষ পর্যায়ে, তখন অপর পাশ থেকে এসে হামলা চালায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ কর্মীরা। হামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, তাবিথ আউয়াল, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শামা ওবায়েদ সহ অনেকেই আহত হন। তবে গুরুতর ভাবে আহত হন বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য তাবিথ আউয়াল তার মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ভর্তি হতে হয় হাসপাতালে। একই দিনে অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার নিজ এলাকা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে স্বস্ত্রীক ঢাকায় ফেরার পথে সোনাইমুড়ি ও কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত বিপুলাসার বাজারে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী এ হামলায় আহত বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু ও তার স্ত্রী শামীমা বরকত লাকি সহ বেশ কয়েক জন। এই হামলায় আঘাত মারাত্মক ভাবে আহত হন বরকত উল্লাহ বুলু। তার মাথায় ফেটে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গা আঘাতে রক্তাত্ব হয়েছে। পরে বুলু ও তার স্ত্রীকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় শুনেছি বুলুর মাথায় প্রায় ত্রিশ টার মত নাকি সেলাই লেগেছে। এর কয়েক দিন আগে রাজধানীর পল্লবীর ঘটনা তো বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেই ফলাও করে এসেছে। ওখানে তো বিএনপির সমাবেশ পন্ড করতে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা লাঠি শোটা নিয়ে মোটর সাইকেল করে মহড়া দিয়েই বিএনপির সমাবেশের মঞ্চ তৈরিতে বাঁধা দেয়। এর পর বিএনপির নেতা কর্মীরা প্রতিরোধ করতে গেলে যা হবার তাই হয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপরে জ্বালানি তেল দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি ও দেশের বিভিন্ন স্হানে বিএনপি নেতাকর্মী হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে নির্ধারিত সমাবেশ ছিল। বিএনপির মত দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সমাবেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা ব্যানার সম্বলিত মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্হলে আসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই স্বাভাবিক মিছিলের বেঘাত ঘটায় মুন্সিগঞ্জের অতিউৎসাহী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিনহাজ-উল-ইসলাম। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে জানাজায় উত্তেজনা থাকলেও গত ২১ সেপ্টেম্বরের মুন্সীগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচি শুরুতে পুলিশের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিনহাজ-উল-ইসলাম গাড়ি থেকে নেমে মিছিলের ব্যানার কেড়ে নিয়ে লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষ বাধে। এর সংঘর্ষে জীবন দিতে হয় মুন্সীগঞ্জের যুবদল নেতা শহীদুল ইসলাম শাওনকে। ঐ সংঘর্ষ নিয়ে বিভিন্ন টেলিভিশনের সংবাদে আমারা দেখেছি খালি গায়ে খালি পায়ে থাকা অস্ত্র হাতে এক ব্যক্তিকে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গুলি করতে। এখনো ঐ ব্যক্তির পরিচয় আমাদের কাছে নিশ্চিত না। জয় বাংলা আমাদের মুক্তির স্লোগান জয় বাংলা আমাদের আমাদের আবেগের স্লোগান জয় বাংলা আমাদের ভালবাসা স্লোগান। অথচ আজ যখন খুনি সন্ত্রাসী অস্ত্রবাজদের মুখে প্রিয় জয় বাংলা স্লোগান শুনতে হয় তখন অন্তরের ভিতর বড্ড কষ্ট হয়। আমাদের রাজনীতি অনেকটাই ভয়ংকর । ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার লোভ থেকে আমাদের জাতিকে মুক্ত করার জন্য নানান সময় জীবন দিতে হয়েছে জাফর, জয়নাল, দিপালী সাহা, নুর হেসেন, ডাঃ মিলন, নুরে আলম, রহিম বা শাওনের মত অনেককেই। স্বাভাবিক ভবেই প্রশ্ন জীবনের জন্য রাজনীতি বা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নাকি রাজনীতি ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার জন্য জীবন।

বাললাদেশের এমন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমানোর হামলা আজ নতুন নয় পুর্বেী প্রতিটি সরকারই তাদের ক্ষমতা কে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য প্রায় সব টুকুই করছে। তবে বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল নানা অপকৌশলে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলশ্রুতিতে তাদের দমন-পীড়নের পাল্লা টা অনেক অনেক ভারী। এই কানেই নিজের পাপকে আাড়াল করতে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীদের এমন হামলা একটি রুটিন ওয়ার্কে পরিনত হয়েছে। আমাদের পুলিশবাহিনীকে ও একেক সময় ক্ষমতাশীনরা ব্যবহার করেছে বিরোধী মত দমন করার জন্য। কালের বিবর্তনে এই ধরনের হামলা কঠিন থেকে কঠিনতর রুপ নিয়েছে। সম্প্রতি আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের বিরোধী দলের উপর এই সব হামলা নিয়ে বলতে গিয়ে যা বলেছেন তা সত্যি বিবেকবান মানুষকে যেমন চিন্তিত করছে, তার মতে বিএনপি’র ওপর হামলা করতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনো নির্দেশনা দেয়নি। দলের অবস্থানের বাইরে গিয়ে কেউ এ ধরনের হামলায় জড়ালে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। তিনি বলেন, নেত্রীর নির্দেশনার বাইরে কেউ যদি হামলায় জড়িয়ে পড়েন, আমরা কিন্তু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব। আমরা কাউকে ছাড় দেব না। এখানে কেন্দ্রের কোনো নির্দেশ নেই। কথা গুলির পর্যালোচনায় আসে প্রথমত এখন আর আওয়ামিলীগের চেইন অব কমান্ড ঠিক নেই তার জন্যই কেন্দ্রীয় নেতাদের কথা অমান্য করে যে যার মত করে হামলা মামলা করছে। এতে দলের অবস্হান কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকবে তা হয়তো কেউই ভবছে না। যার প্রমান গত কয়েকদিন আগে ঢাকার লালবাগে আওয়ামীলীগের কর্মী সম্মেলন ও সম্প্রতি ইডেন কলেজের ঘটনা। ঢাকার লালবাগে দলের সিনিয়র নেতাদের উপস্থিততে হাজার হাজার স্হানীয় নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবির যে অশ্লীল গালাগালি করছে তা কোন সভ্য সমাজের রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে আাসা করা যায় না। একই অনুষ্ঠানে অতি তেলবাজির কারনে ঢাঃমঃদঃ আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফিকে এক ধরনের ধাক্কা দিয়েই দলের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের মাইক থেকে সরিয়ে দেন। ইডেন কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে আবার সাধারন ছাত্রীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার অভিযোগ ছাত্রলীগের অনেক নেত্রী সহ সাধারন ছাত্রীদের। যদি ও অভিযোগ কারি অনেককেই ইতোমধ্যে ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

আজ সবাই তার নিজ নিজ পেশী শক্তির মাধ্যমে নিজের অস্তিত্ব ও ক্ষমতার জানান দিচ্ছে। আর একটি কথা হলো তা হলে কি ভবিষ্যতে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পার্যায়ের নেতা কর্মীদের কি বিরোধ রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের উপর হামলার জন্য কেন্দ্রীয় পার্যায়ে নির্দেশ দেওয়া হবে? তার পর ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যে কথা বলেছেন তা যদি জনাব ওবায়দুল কাদেরদের অন্তরের কথা হয়ে থাকে আর দলের সাধারন নেতাকর্মীরা যদি সেই কথার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় তা হলে হয়তো ভবিষ্যতে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির উপর ক্ষমতাসীন আওয়ামিলীগের নেতা কর্মীদের পেশী শক্তি পরীক্ষা আমাদের আর দেখতে হবে না।

বাংলাদেশ আওয়ামী দেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন প্রয়োজনে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামিলীগ। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদান কারী আওয়ামিলীগ তার পুর্বের সকল ইতিহাস ঐতিহ্য আজ ম্লান করে দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য আজ আমাদের নির্বাচন ব্যবস্হা, বাকস্বাধীনতা গনতন্ত্র সব কিছুকেই হুমকির মুখে দাড় করিয়েছে। যে আওয়ামিলীগ ১৯৭১ আমাদের ভোটাধিকার গনতন্ত্র বাকস্বাধীনতা তথা মুক্তির জন্য নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে একত্রিত করে মাহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে পাকিস্তানের রাহুর কবল থেকে মুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করছে। আজ নাকি তাদের হাত দেশ থাকার পর ও দেশের গনতন্ত্র বাকস্বাধীনতা ভোটাধিকার সর্বোপরি মানুষের নিরাপত্তা আজ হুমকির মুখে এটা ভাবতে ভীষন কষ্ট হয়। তাই এদেশের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক ও নিরপদ পরিবেশ। যা আমাদের ভাবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি নিরাপদ বাস যোগ্য দেশে পরিনত হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪

কামাল৮০ বলেছেন: যতদিন আমরা আমাদের বিবেক জাগ্রত করতে নিজেরা চেষ্টা না করে সৃষ্টিকর্তার অপেক্ষায় থাকবো,ততদিন আমাদের বিবেক জাগ্রত হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.