নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার মত

দুর্ধর্ষ

দুর্ধর্ষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজারবাগ শরীফঃ যুগশ্রেষ্ঠ ওলী-আল্লাহর দরবার শরীফ (৩)

১৬ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১১

 পীর শব্দের অর্থ কি?

- পীর শব্দটি ফার্সি। শব্দগতভাবে এর অর্থ হল ‘জ্ঞানবৃদ্ধ’। পারিভাষিক অর্থে যিনি আল্লাহ পাককে পাইয়ে দেবার ক্ষেত্রে বা আল্লাহ পাক এর সাথে রূহানী সংযোগ করে দেয়ার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ, উনাকেই পীর সাহেব বলা হয়। কুরআন শরীফ ও হাদিছ শরীফে যাদের আউলিয়া, মুর্শিদ ও শায়খ বলা হয়েছে, ফার্সিতে তাদের পীর সাহেব বলা হয়।



 ফার্সি ভাষার শব্দ 'পীর' কেন বাংলায় ব্যবহার হচ্ছে?

- পাক ভারতে ইসলামের প্রচার-প্রসার তথা স্থানীয় বিধর্মীদের মুসলমান হওয়ার ক্ষেত্রে ফার্সি ভাষাভাষি আউলিয়ায়ে কিরামদের ভূমিকাই মুখ্য। যে কারণে এ স্থানে মুসলমানদের বন্দিগী জীবনে ফার্সির অনেক পরিভাষাই ব্যবহৃত হয়। আরবী সালাত, সাওম এর পরিবর্তে যেরূপ ফার্সি নামায, রোযা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই পীর শব্দের সাথে এলার্জি থাকার আর কোন কারণ দেখছি না।



 এবার তাহলে পীর সাহেবদের প্রসঙ্গে আসি। দ্বীন ইসলামে পীর সাহেবদের কেন প্রয়োজন?

- কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক বলেন, “প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য হাদী বা হেদায়েতকারী রয়েছে।” (সূরা রাদ-৭)

এখন মানুষদেরকে হেদায়েত করার যুগে যুগে নবী রসূল আলাইহিমুস সালামগণ প্রেরিত হয়েছিলেন। কিন্তু নবী রসূল আসার পথ তো বন্ধ হয়ে গেছে। তাহলে কি হাদীগণেরও আসার পথ বন্ধ হয়ে গেছে? না, বন্ধ হয় নি; নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে যুগে যুগে আউলিয়া কিরামগণই হাদী হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত রাখবেন। আর সেই আউলিয়া কিরাম, ওলী-আল্লাহগণকেই উনার মুরীদদের নিকট পীর সাহেব বলা হয়।



 আচ্ছা, তাহলে যে কেউই কি পীর সাহেব দাবী করে অন্যদেরকে মুরীদ করতে পারে?

- জি না। নিজেই ওলী-আল্লাহর দরজায় না পৌঁছতে পারলে অপরকে ওলী-আল্লাহ হওয়ার পথ দেখাবে কি করে! কেউ যদি এরূপ করে, তবে সেক্ষেত্রে সে ভন্ড, প্রতারক, মুনাফিক। আর আপনি বা ভন্ডামীর জালে জড়াবেন কেন?

হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা কিরূপ লোক থেকে দ্বীন (ইলম বা নছীহত) গ্রহণ করছো, তা ভালরূপে লক্ষ্য করো।” (মুসলিম, তিরমিযী, মিশকাত শরীফ ) ।

যিনি হক্কানী পীর ছাহেব হবেন, উনাকে অবশ্যই আলিম হতে হবে। অর্থাৎ ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাসাউফ-এর অধিকারী হতে হবে এবং সে অনুযায়ী আমলও থাকতে হবে। যার তার হাতে বাইয়াত হওয়া যাবে না।



 তাহলে পীর সাহেবের কি কি বিষয় দেখে বাইয়াত হতে হবে?

- বাইয়াত হওয়ার পূর্বে যে বিষয়গুলো তাহক্বীক বা যাচাই-বাছাই করতে হবে সেগুলো হলো,

(১) যার কাছে বাইয়াত হবে তিনি কোন হক্কানী পীর ছাহেবের তরফ থেকে খিলাফতপ্রাপ্ত কিনা।

(২) আক্বীদা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুরূপ কিনা।

(৩) আমলের দিক থেকে সুন্নতের পাবন্দ কিনা।

(৪) ইলমের দিক থেকে এতটুকু ইলমের অধিকারী কিনা- যার দ্বারা নিজেকে এবং অধীনস্থ মুরীদদেরকে বিদয়াত-বেশরা তথা কুফরী- শেরেকী থেকে ফিরিয়ে হক্ব মতে-পথে দায়িম-কায়িম রাখতে পারেন।

মুরীদ হওয়ার পরে কোন প্রকার চু-চেরা, কিল ও কাল অর্থাৎ কোন বিষয়ে কি, কেন বলতে পারবে না। বিনা প্রশ্নে সব বিষয় মেনে নিতে হবে। কেননা, মুরীদ তাছাউফের রাস্তায় নাবালক, আর পীর সাহেব সে পথের দিশারী। তবে হ্যাঁ, কোন বিষয় বুঝে না আসলে আদবের সহিত জিজ্ঞাসা করে জেনে নিবে। মনে রাখতে হবে, বেয়াদব আল্লাহ পাকের রহমত থেকে বঞ্চিত।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৩/-১

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৩৪

মুহম্মদ রাসেল বলেছেন: পীর শব্দটি ফার্সি

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৫৮

দুর্ধর্ষ বলেছেন: জি

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪২

বিগবসব্লগ বলেছেন: => আপনাগো পীর ছাহেবরে নাকি চান্দে দেহা যায়?...কতাডা কি সত্য?... =p~
=> আপনাগো পীর ছাহেবের উপর হজ্জ ফরজ হইছে কিনা?...হইলে এখনো করছে কিনা?... :-B
=> আপনাগো পীর নাকি খোয়াবে দেখছে নবী সা: কে নর্দমা থেকে টেনে তুলছে?...ঘটনা সত্য নাকি?... :-B
=> আপনাগো পীরের ছবি ঘরে ঝুলাইলে নাকি খায়ের বরকত আসে কতাডা কি সত্য?
=> সাহাবী/তাবেঈ/তাবে-তাবেঈদের মধ্যে থেকে কয়েকজন প্রসিদ্ধ পীরের নাম বলেন যারা আপনাগো পীরের মতো... :-B

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:২১

দুর্ধর্ষ বলেছেন: আপনি বোধয় ভুল জায়গায় ঢিল ছুড়তে চেয়েছেন। দেওয়ানবাগীর ঢিল রাজারবাগ শরীফে আল্লাহর ওলীর দিকে মারলে কিন্তু সেটা মস্তক্ক‌র্তনসমেত ভুল করবেন।

* আমাগো পীর সাহেবরে চান্দে দেহা যায় কিনা, কার মুখে শুনেছেন? যার কাছে শুনেছেন, তার কাছে জিগান-কথা সত্য কিনা। আল-ইহসান বা আল-বাইয়্যিনাত শরীফে অথবা আমার মুখে কিছু শুনলে আমারে জিগাইবেন।

* হজ্জ তো শর্ত‌সাপেক্ষে সামর্থ্যবান সকলের উপরেই জীবনে একবার আদায় করা ফরয। আর আমার পীর সাহেব জাহিরীভাবে আমার জানামতে হজ্জ করেন নি, তবে এটা ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। মনে রাখবেন, সামান্য মাওলানারা শরীয়তের দিকে মানুষকে ডাকে, সেখানে যুগশ্রেষ্ঠ ওলী-আল্লাহ কোন একটি আমল আদায় করছেন না, তাহলে হয়ত কিছু একটা কারণ আছে। শুধু এতোটুকু বলব, অধিকাংশ আমল শর্তসাপেক্ষে ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত হয়। বোধশক্তিহীন মানুষ অসুস্থ শরীরেও পোলাও-কোরমা খেতে চায়, কিন্তু বুদ্ধিমান মানুষ অবস্থা বুঝে কাজ করে।

* তিন নম্বর কমেন্ট কোন দেওয়ানবাগীর নিকট জিগান।

* আমাদের পীর সাহেব ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত এমনকি মুস্তাহাব আমলও ছাড়েন না। আবার সামান্য মাকরূহ কাজও উনার দ্বারা হয় না।সুবহানাল্লাহ। পারলে এর বিপরীতে একটি উদাহরণ প্রমাণসহ দিন। যে ছবি তোলা শরীয়তে হারাম (Click This Link) , আমার পীর সাহেব সেটা কখনই করেন নি। কেননা প্রাণীর ছবি যেখানে থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা থাকেন না।

* হযরত আবু বকর সিদ্দিক আলাইহিস সালাম, হযরত আলী আলাইহিস সালাম, হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম, হযরত ইমাম বাকির আলাইহিস সালাম উনারা সকলেই পীর সাহেব ছিলেন। উনাদের নাম মুবারক আশা করি জানা আছে

৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪৩

বিগবসব্লগ বলেছেন: > আপনাগো পীররে নাকি চান্দে দেহা যায়...কতাডা কি সত্য?

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:২৩

দুর্ধর্ষ বলেছেন: আমাগো পীর সাহেবরে চান্দে দেহা যায় কিনা, কার মুখে শুনেছেন? যার কাছে শুনেছেন, তার কাছে জিগান-কথা সত্য কিনা। আল-ইহসান বা আল-বাইয়্যিনাত শরীফে অথবা আমার মুখে কিছু শুনলে আমারে জিগাইবেন। আপনি কোন দেওয়ানবাগীরে জিগাইতে পারেন

৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪৪

বিগবসব্লগ বলেছেন: আপনাগো পীররে নাকি চান্দে দেহা যায়?

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪৫

বিগবসব্লগ বলেছেন: =>আপনাগো পীররে নাকি চান্দে দেহা যায়?

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪৫

বিগবসব্লগ বলেছেন: আপনাগো পীররে নাকি চান্দে দেহা যায়?

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৩৮

দুর্ধর্ষ বলেছেন: আমাগো পীর সাহেবরে চান্দে দেহা যায় কিনা, কার মুখে শুনেছেন? যার কাছে শুনেছেন, তার কাছে জিগান-কথা সত্য কিনা। আল-ইহসান বা আল-বাইয়্যিনাত শরীফে অথবা আমার মুখে কিছু শুনলে আমারে জিগাইবেন। এই প্রশ্ন‌টা আপনি কোন দেওয়ানবাগীরে জিগাইতে পারেন

৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩০

এনজেল মাইন্ড বলেছেন: বাংলাদেশে ৯৯% পীর ভণ্ড । এদের মত দরগা শরিফ, মাজার শরিফ এর বেবসা জাহেলিয়াতের জুগেও ছিল

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:২৬

দুর্ধর্ষ বলেছেন: কথা হয়ত সত্য। তবে সেই ১% বলেন, আর .০০১% বলেন যদি বর্ত‌মান যামানায় সারা দুনিয়ায় মাত্র একজন যদি হক্কানী পীর সাহেব, ওলী-আল্লাহ থেকে থাকে, তবে সেটা হচ্ছেন রাজারবাগের সম্মানিত পীর সাহেব আলাইহিস সালাম। কথা তিতা লাগলে, বিপরীতে প্রমাণ দিয়ে কথা বলতে হবে

৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৭

রিমন রনবীর বলেছেন: B-) B-) B-) B-) =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:১১

মৌমাছ১৩ বলেছেন: ++++

১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:১৩

মৌমাছ১৩ বলেছেন: @বিগবসব্ল, ওটা দেওয়ানবাগি ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:২৭

দুর্ধর্ষ বলেছেন: জি বিগসব্লগ দেওয়ানবাগির কথা বলেছে মনে হয়

১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:২৮

নয়ামুখ বলেছেন: পীর সাহেবের ছবিটা দিলেন না কেনো ভাই। এটা দেখলেই আমার কোরবানী ঈদের কথা মনে পড়ে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:২৯

দুর্ধর্ষ বলেছেন: আমাদের পীর সাহেব ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত এমনকি মুস্তাহাব আমলও ছাড়েন না। আবার সামান্য মাকরূহ কাজও উনার দ্বারা হয় না।সুবহানাল্লাহ। পারলে এর বিপরীতে একটি উদাহরণ প্রমাণসহ দিন। যে ছবি তোলা শরীয়তে হারাম (Click This Link) , আমার পীর সাহেব সেটা কখনই করেন নি। কেননা প্রাণীর ছবি যেখানে থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা থাকেন না।

ভাই, কিছু মনে কইরেন না। ওলী-আল্লাহবিরোধীদের দেখলে কিন্তু আমার আবার গর্দভ মহারাজার কথা মনে পড়ে যায়

১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৩৩

দূর প্রবাসী বলেছেন: ভাই আপনার পীর সাহেব শরীয়ত মানে বুঝলাম, কিন্তু ছবি তোলার কাজটা তো আমাদের মহান রাব্বুল আলামিন ও করছেন, সে ব্যপারে আপনার কি অভিমত?

১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৩৫

দূর প্রবাসী বলেছেন: আপনার পীর সাহেব শরীয়ত মানে বুঝলাম তাই ছবি তোলেননা, কিন্তু ছবি তো আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ও তুইলা পাঠাইছে ঐ ব্যপারে কি মতামত?

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৫৯

দুর্ধর্ষ বলেছেন: জি তাহলে ইবলিসের একটা ঘটনা বলি। আল্লাহ পাক যখন ইবলিসকে সিজদা করতে বলেছিলেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে, যিনি কিনা মাখলুক। তখন ইবলিস অহংকারবশত সিজদা করে নি। উপরন্তু সে বেয়াদবীবশত যুক্তি দিয়েছিল যে, সে আল্লাহ পাককে ছাড়া কোন মাখলুককে সিজদা করবে না।

এখন আল্লাহ পাককে মুহব্বত করে বেয়াদবী করলে চলবে না, বরং যার উপর যেটা আদেশ, সেটা পালন করতে হবে। ইবলিসের মত আদেশের বিরোধিতা করে যুক্তি খাটালে মালউন হতে হবে।

কেউ যদি ইবলিসের ঘটনা উল্লেখপূর্বক, মাখলুককে সিজদা করা জায়িজ বলে, সেটা কি ঠিক হবে কিনা-জবাব দিন? মূলত, যার উপর যেটা আদেশ হয়েছে, সেটাই তার উপর ফরয। আল্লাহ পাকের কাজের বিশ্লেষণ করার দরকার নেই। আমাদের আল্লাহ পাক কারো কাছে জবাবদিহি করবেন না। আপনার শরীয়ত কুরআন শরীফ, হাদিছ শরীফ, ইজমা, কিয়াস দ্বারা নির্দিষ্ট হয়ে গেছে, সেটা থেকে ফায়সালা খুজুন

১৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৪৮

দূর প্রবাসী বলেছেন: ও ভাই মহান রাব্বুল আলামিন ও নবী রাসূল গনের ছবি মোবারক পাঠািছিলেন রেশমি রুমালে অংকিত করে একটা সিন্দুকের ভেতর, ঐটার ব্যপারে কি বলবেন? আল্লাহও তো তাইলে বেশরীয়তই কাজ করলেন নাকি?

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০০

দুর্ধর্ষ বলেছেন: আল্লাহ পাক কি শরীয়তের অধীন, নাকি শরীয়ত আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অধীন? এক নবীর শরীয়ত অন্য নবীর উম্মতদের জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। আর আপনি আপনার জন্য নির্ধারিত শরীয়ত নিয়ে চিন্তা করুন। আল্লাহ পাকের কাছে আপনি কার উম্মত হয়ে জবাবদিহি করবেন। তাহলে কোন শরীয়ত মানবেন? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রদত্ত শরীয়তে প্রাণীর ছবি তোলা হারাম (Click This Link) । যে শরীয়ত অস্বীকার করবে, সে কাফির

১৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৫১

দূর প্রবাসী বলেছেন: মিয়া আসল কথা জবাব দিতে পারবেন না এইটা কন। ও ভাল কথা আপনি বলেছেন যে আপনার পীর যুগশ্রেষ্ঠ মহামানব, বুঝলাম। কিন্তু একজন কামেল পীরের কাছে গেলে তিনি প্রথমেই যে কাজটা করেন তা হলো আপনার ক্বালবে শাহাদাৎ আংগুল দিয়ে 'আল্লাহ' নামক জিকর বা নুরে সিফাৎ প্রবেশ করিয়ে দেন, মুরীদ কিছুদিন ত্বরীকা বা ঐ পীরের দেয়া ওয়াজিফা আমল করলেই নিজেই ঐ আল্লাহ শব্দের জিকর ক্বালবের ভেতর অনুধাবন করতে পারে? আপনার ক্বালবের কি অবস্থা? জিকর কি হয়? নাকি ভেতরে সব ফাকা? পরিস্কার জবাব দিবেন, ঘুরায়ে ফিরায়ে কিছু বলবেননা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:২৭

দুর্ধর্ষ বলেছেন: আপনার কথা ভাল লাগল। কোন দরবারে যাতায়াত করেন যদি বলতেন? মনে হচ্ছে কিছু জানেন। ওলী-আল্লাহদের কিতাবাদি পড়েছেন নিশ্চয়। কিন্তু মুরীদের কামালিয়াত দিয়ে কি পীর সাহেবের মাক্বা‌মাত ধরতে চান!!! কামালিয়াত হাছিল করতেই তো যামানার লক্ষ্যস্থল ওলী-আল্লাহর হাতে বাইয়াত হয়েছি। ভেতরটা ফাকা নয় নিশ্চয়। কি হাছিল হয়েছে, সেটা আমার কাছেই থাক। তবে যেটা বলছেন, সেটা এখনও হয় নি।

কামিল পীর সাহেবেরা নিশ্চয়ই অপাত্রে মুক্তা ঢালেন না। ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করছি, মুর্শিদ ক্বি‌বলা যখন দেন, তখনই হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আর আপনি একটা কথা বলেছেন, সেটা হল মুরীদ কিছুদিন ত্বরীকা বা ঐ পীরের দেয়া ওয়াজিফা আমল করলেই নিজেই ঐ আল্লাহ শব্দের জিকর ক্বালবের ভেতর অনুধাবন করতে পারে। তাহলে আপনার প্রথমে জিজ্ঞাসা করা উচিৎ ছিল, আমার ওজীফা আদায়ের কি অবস্থা।

এক দরবার শরীফের সব মুরীদের এক অবস্থা নয়। আপনি যে প্রশ্নটা আমাকে করেছেন, সে প্রশ্নের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অনেকেই আছেন রাজারবাগ দরবার শরীফে। আশা করি, একদিন আসবেন।

আমার পীর সাহেব যে চোখের পলকে সুলতানুল আযকার জারী করে দিতে পারেন, মাহবুব শ্রেণীর ওলী-আল্লাহ বানিয়ে দিতে পারেন, তার নজির আছে। আমি সেদিকে যাচ্ছি না। আর আমি কারামতি দিয়ে পীর সাহেবের হক্কানী হওয়ার বিষয় ফায়সালা করতে চাই না।

কেননা, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক দীদার কাফিররা, মুনাফিকেরাও পেয়েছে। কিন্তু সবাইকেই কি ঈমান দেওয়া হয়েছে? তাহলে কি এই ঘটনা দ্বারা আপনি এটাই প্রমাণ করতে চান যে, হেদায়েত করাটা আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ক্ষমতার বাহিরে ছিল (নাউযুবিল্লাহ)। আশা করি, কি বলতে চেয়েছি বুঝতে পেরেছেন

১৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:২৮

নতুন বলেছেন: “প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য হাদী বা হেদায়েতকারী রয়েছে।” (সূরা রাদ-৭)

রাসুল পরিপূন` ইসলাম রেখে গেছেন .>> তার পরে কেন আমাদের পীর বাবার কাছে যেতে হবে... পয়সা দিয়া?

কোন পীর খেদমত ছাড়া কথা বলেন??? পীরের বাড়ীতে এতো টাকা পয়সার ব্যপার কেন? যদি পীরের উদ্দেশ্য শুধু আল্লাহ আর তার রাসুল হয়???


- জি না। নিজেই ওলী-আল্লাহর দরজায় না পৌঁছতে পারলে অপরকে ওলী-আল্লাহ হওয়ার পথ দেখাবে কি করে! কেউ যদি এরূপ করে, তবে সেক্ষেত্রে সে ভন্ড, প্রতারক, মুনাফিক। আর আপনি বা ভন্ডামীর জালে জড়াবেন কেন?


কোন স্কুলে পড়লে পীর হওয়া যায়? রাসুল বা তার সাহাবীরা কেউই তো হাদিয়া নিয়া আল্লাহ কে পাইয়ে দেবার জন্য টাকাপয়সা নেয় নাই!

এতো জমকালো ঔরস সরিফ করেনাই?

আর কোরান ও হাদিস বোঝা কি এতোই কস্ট যে বাবার কাছে গিয়ে শিখতে হবে?

বাবার কাছে কোরান আর হাদিসের বাইরে কি গিয়ান আসলো? কিভাবে আসলো?

কেউ ঐ গিয়ানের দাবি করলে আপনি কিভাবে প্রমান করবেন তা ঠিক?

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৩৯

দুর্ধর্ষ বলেছেন: অনেক প্রশ্ন করেছেন। এখন দু-একটার জবাব দিচ্ছি, পুরোটা পোস্ট আকারেই দিব ইনশাআল্লাহ।

রাজারবাগের পীর সাহেবের কাছে টাকা না দিলে তিনি বাইয়াত করান না, তালিম দেন না, তাছাউফ শিখান না-এটা প্রমাণ দিতে হবে- অতঃপর বাকী কথা বলব।

আর পরিপূর্ণ ইসলাম আসার পরও কেন পীর সাহেবের কাছে যাব-এর জবাব পরবর্তীতে দিব ইনশাআল্লাহ। এখন আপাততঃ এখানে ক্লিক করুন Click This Link

১৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৩১

নতুন বলেছেন: ভাই কমেন্ট মডারেসন কইরা রাখলে তো সবাই প্রশ্ন দেখতে পারবেনা... আর আপনি বিটিভির মতন আপনার পছন্দের খবরই প্রচার করবেন... :)

গালাগালি বা বাজে সব্দ ব্যবহার করলে তা মুছে ফেলতে পারেন...

কিন্তু সত্য মোকাবেলা করার সাহস থাকলে... কমেন্ট মডারেসন কইরা আলোচনা করতে আসা ঠিক না..

ধন্যবাদ :)

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৪২

দুর্ধর্ষ বলেছেন: বিটিভির মতন পছন্দের খবর প্রচার করতে চাইলে আপনার মত অনেকের কমেন্ট অ্যালাও করতাম না। কেন কমেন্ট মডারেশন দিয়েছি, সেটা আমি জানি

১৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৫

দূর প্রবাসী বলেছেন: সুলতানুল আযকার দেয়ার ক্ষমতা আপনার মোর্শেদের আছে কি নাই, সেটা নিয়ে আমি গবেষণা করছিনা। আর তিনি কাকে কোন স্তরের ওলী বানাইছেন সেটা আপনে দেখেননাই বলছেন নজির আছে ( আপনারা তাই বলেন) আমার কৌতুহল ছিল আপনাকে নিয়ে, আপনার এখনো কিছু হয়নাই সেটাই কথা, কবে হবে সেটা নিয়েও গবেষনা না করি। আর আপনে কথা বলেন বেশি, আমি অল্প কথাতেই বুঝি। যাই হোক এবার অল্প কথায় বুঝায়ে বলেন, আল্লাহ থাকেন কোথায়, তিনি দেখতেই বা কেমন?

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৫২

দুর্ধর্ষ বলেছেন: আল্লাহ পাক আমাকে মুর্শিদ ক্বি‌বলার খিদমতে বেশি কথা বলার তৌফিক দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ। আপনি বোধয়, আমার পোস্টগুলোর উদ্দেশ্য ধরতে পারেন নাই। আমি আমাকে জাহির করতে পোস্ট করি নাই, বরং যামানার লক্ষ্যস্থল ওলী-আল্লাহ উনার শান-মান ফুটিয়ে তোলার জন্য করেছি। তাই আমার সম্পর্কে কি ধারণা করছেন, সেটা আমার যায় আসে না।

আর আল্লাহ পাক দেখতে কেমন- এ প্রশ্নের জবাবে আমি বলব, আল্লাহ পাককে ইহকালে কেউ হাক্বী‌কী ছূরত মুবারকে দেখতে পাবে না, যদি কেউ দেখে তবে সেটা মেছালী ছূরত মুবারকে। তাই আল্লাহ পাক দেখতে কেমন, সেটা উম্মাতের ধারণার বাহিরে। শুধুমাত্র আল্লাহ পাকের হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মীরাজ শরীফে আল্লাহ পাককে উত্তম ছূরত মুবারকে দেখেছেন। সুবহানাল্লাহ

আর আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক কায়িনাতের সর্বত্র বিরাজমান

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৫৮

দুর্ধর্ষ বলেছেন: আর যেটার নজির আছে একবার বলেছি, সেটার কি প্রমাণ চান? মুখে মুখে নয়, সরাসরি আসতে হবে প্রমাণ নিতে

১৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৫১

bogra বলেছেন: অপূর্ব নান্দনিক সুন্দর। এত চমত্‍কার বিবরন আমাকে আপনার নিকট ঋণী করে তুলেছে। জাহিল গোমরাহ নাস্তিক ব্লগারের বিরুদ্ধে কলমী জিহাদ চালিয়ে যান । আমি আপনার জন্য দুয়া করি যেন আপনার মুর্শিদ আপনাকে কায়িনাতের সমস্ত ওলী আল্লাগণের সমস্ত ছিফত আপনায় দান করেন ।আমিন.

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪১

দুর্ধর্ষ বলেছেন: জি আপনাকে ধন্যবাদ

২০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩

দূর প্রবাসী বলেছেন: আপনার পীর কেবলা আপনাকে যা শিখিয়েছে তাই আপনে জানেন, এবং তাই সঠিক বলে মনে করেন। আসলে এটা আপনার দোষও নয় কেননা নিজের পীর কেবলাকে যুগশ্রেষ্ঠ বলে মনে করাই মুল কথা। যাই হোক আমি আপনার পীর কেবলার যোগ্যতা সম্পর্কে জানি, কেননা আমি নিজে দুই বার গিয়েছিলাম তার কাছে। আর আপনাকে প্রশ্ন করেছি এই জন্য যে আমি না জেনে কিছু বল্লে আপনি আমাকে অনেক ধরনের কথা শুনিয়ে দিতেন। আমি আপনাকে আপনার ক্বালবের জিকর আছে কিনা তা প্রশ্ন করেছিলাম, আপনে বলেছিলেন এখন নাই কিন্তু হবে ( তারপরেও বলেছেন ভেতরটা ফাকা নয়,,,কি দিয়া ভর্তি???)
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সুরত কেমন জানতে চাইলাম এবং কোথায় থাকেন, আপনে কি বল্লেন হাকিকত সুরতে কেউ দেখবেনা!! আপনার পীর কেবলা নিজে যদি না দেখে আপনাকে সে কোন সুরতই দেখাতে পারবেনা, আর এটাকেই আপনারা সত্য মনে করেন। আর আল্লাহ কোথায় থাকেন তার তো জবাব দিলেনইনা, বল্লেন কুদরত সবখানেই আছে। মানে নিজে যা সঠিক মনে করছেন, আপনার পীর যা শিখাইছে ভুল হইলেও তাই সঠিক।
যাক আমি কথা না বাড়াই আপনার পীরের ত্বরীকা আমল করতে থাকেন, যদি কোনোওওওওদিন এই ত্বরীকা পালন করে, আপনার ক্বালব জিন্দা হয় নিচে আমার ইমেইল দেয়া থাকলো আপনি আমাকে অবশ্যই জানাবেন আশা রাখি ( আশা করবো সত্যি বলবেন)
[email protected]

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৬

দুর্ধর্ষ বলেছেন: আপনি তো দেখছি আজব পাবলিক। আমার খ্যাতা-বালিশের পিছে লাগছেন। আপনি যে আমার মুরশিদ কিবলার বিরুদ্ধে বলছেন (নাউযুবিল্লাহ), সেসবের ব্যাপারে আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন? আর আমার ক্বলবের খবর শোনার আগে যদি একটু আপনারটার খবর দিতেন।

আর শুনুন মুরিদ সেটাই বলবে, যেটা মুর্শিদের কাছে শিখবে

২১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৩৯

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনার এই পীর সাহেবের আসল নাম মানে পিতা-মাতার দেয়া নামটা কি? নামের আগে পিছে এত বিশেষন কেন?

প্রশ্নটা আমি আগেও অন্যদের করেছি - কিন্তু কেউ উত্তর দেয়নি। ওনার আসল নাম কি বিশেষনের আড়ালে হারিয়ে গেছে নাকি সেই নাম মুখে নেয়া আপনাদের বারন আছে?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৫

দুর্ধর্ষ বলেছেন: উনার নাম মুবারক হচ্ছে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান আলাইহিস সালাম।

আগে প্রমাণ করুন যে, আগে পরে বিশেষণ ব্যবহার করা কি নাজায়িজ কিনা? যদি নাজায়িজ প্রমাণ করতে পারেন, তবে ব্যবহার করা বাদ দিব। যদি নাজায়িজ না হয়, তবে অযথা বাক্যালাপ করব না।

আদবের স্বার্থে বিভিন্ন জন বিভিন্ন কাজ করে। এটা তর্কের বিষয় নয়

২২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:১৬

নুরুলইসলাম খান বলেছেন: ছালাম জনাব কাঙ্গাল মুরশিদ।
সহমত।
বিনীত।

২৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৩৩

ঠোটকাটা বলেছেন: Click This Link

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৬

দুর্ধর্ষ বলেছেন: লিংক দিয়ে কাজ সহজ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩২

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "উনার নাম মুবারক হচ্ছে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান আলাইহিস সালাম।"

দেখুন আপনি নিজেই ওনার নাম কত সংক্ষেপ করে দিলেন!! অথচ আল ইহসান ওয়েব সাইটে কত কত উপাধি যোগে নামকে কত বড়ই না করা হয়েছে!!

আপনি শরিয়তের কথা জানতে চেয়েছেন। আচ্ছা আপনি কি ইসলামের ইতিহাসে এমন কোন মনিষির কথা জানেন যার নাম এই ব্যাক্তির ওয়েব সাইটে দেয়া নামের অর্ধেক বা এক চতুর্থাংশ? হযরত আবুবকর(রা.) থেকে শুরু করে সকল সাহাবা, ইমাম গাজ্জালী(র.) থেকে শুরু করে সকল পীর অলি আউলিয়া, ইমাম আবু হানিফা(র.) থেকে শুরু করে সকল শরিয়তি আলেম সবাই সংক্ষিপ্ত নাম ব্যাবহার করেছেন। তাহলে কি সংক্ষিপ্ত নাম ব্যাবহারকে একটা সার্বজনীন ইজমা বলা যায় না?

আর নিজের নামের সাথে নিজেই বহু উপাধী জুড়ে দেয়া এমনিতেই দৃস্টিকটু। বিষয়টা আপনিও জানেন, তাই এখানে তার বহু উপাধী বাদ দিয়েছেন। হ্যা, এইরকম বড় বড় নাম আমরা দেখেছি কিছু কিছু ক্ষমতাহীন রাজা-বাদশাদের বেলায়। তারা দরবারে আসার আগে নকীব দশ-পনের মিনিট ধরে হাজারো উপাধীসহ তার নাম ঘোষনা করত। 'হুশিয়ার, সাবধান, এখন দরবারে তশরীফ আনছেন শাহানশাহে সুলতানাত .. . . . ইত্যাদি ইত্যাদি'।

তার অর্থ হচ্ছে যার কোন যোগ্যতা নাই সেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নামের সাথে উপাধী যোগ করে। যার সত্যিকারের যোগ্যতা আছে তার কোন উপাধী লাগে না। কথায় বলে 'চেনা বামুনের পৈতা লাগে না' আর 'খালি কলসি বাজে বেশী'।

আর একটা বিষয় - আপনি বলেছেন শরিয়তে বড় নাম ব্যাবহারে নিষেধ আছে দেখাতে পারলে আপনি ছোট নাম লিখবেন। কিন্তু বিষয়টাতো আপনার লেখা না লেখার নয়। বিষয়টা হচ্ছে যে লোক নিজের জীবদ্বশায় এতগুলো উপাধী ধারণ করতে পারে তার পক্ষে কোন অলি-আউলিয়াতো নয়ই সাধারণ বোধ বুদ্ধি সম্পন্ন বা জ্ঞানী মানুষ হওয়াও সম্ভব কী না। আপনার সাথে যদি ওনার যোগাযোগ থাকে তালে বিষয়টা ওনাকে জানান - উল্লেখিত সার্বজনীন ইজমার বিষয়েও দৃস্টি আকর্ষণ করুন। তার পর উনি যদি সংশোধিত হন, ওয়েব সাইটসহ সকল প্রচার পত্র থেকে সকল উপাধী মুছে ফেলতে পারেন - তাহলে নাহয় অন্য বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা যাবে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩২

দুর্ধর্ষ বলেছেন: আপনি বললেন, যার সত্যিকারের যোগ্যতা আছে তার কোন উপাধী লাগে না। আপনি রাজারবাগের পীর সাহেব আলাইহিস সালাম উনার যোগ্যতার বিষয়ে কি ধারণা রেখে বলেছেন??? যোগ্যতা সম্পর্কে ধারণা না রেখে শুধু লকব মুবারক দেখে কোন বিচারে সিদ্ধান্ত নিলেন? মনগড়া!!!


দেখেন, হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি বা ওলী-আল্লাহ উনাদের দুই-চারটা ছাড়া অনেক লকব মুবারক হয়ত আমরা বলি না; কিন্তু উনার মুরীদেরা ঠিকই বলতেন। এখন, একজন ব্যক্তিকে স্মরণ করার জন্য আমরা যতটা আদব বজায় রাখব, মুরীদেরা তার চেয়ে অনেক বেশি আদবের সাথে তাদের মুর্শিদ কিবলাকে স্মরণ করবে। ওয়েবসাইটটি মুরিদদের হাতেই তৈরী। আর লকব মুবারক ব্যবহার করা তো আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সুন্নত। ইনশাআল্লাহ লকব ব্যবহার বিষয়ে কিছু লেখাপড়া করে পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫১

দুর্ধর্ষ বলেছেন: http://www.sabujbanglablog.net/31778.html

২৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৯

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ উত্তর দেয়ার জন্য

আচ্ছা যদি আপনি এটাই বিশ্বাস করেন তাহলে একজন মুরিদ হয়ে আপনি কেন এই পোস্টের ২১ নম্বর কমেন্টের উত্তরে ওনার নাম এত সংক্ষেপ করে দিলেন? আর ওয়েব সাইট কি শুধুমাত্র মুরিদদের জন্য? নিশ্চয়ই নয় - তাহলে সেখানে অত উপাধীযুক্ত নামের প্রয়োজন কি?

আর একটা বিষয় - আপনি বলছেন মুরিদগন তার মুর্শিদ কেবলাকে বহু উপাধীসহ স্বরণ করবে এটাই স্বাভাবিক - তাহলে সকল মুর্শিদের বড় মুর্শিদ, সকল ওলির বড় ওলি, নবী মুহাম্মদ(স.)কে আপনারা কত বড় নামে স্বরণ করেন? আমি আপনার লেখা বা ঐ ওয়েব সাইটে বা অন্য কোথাও ওনার নাম খুব বেশী বড় দেখিনি - সম্ভবত আপনিও ওনার নামের সাথে খুব বেশী উপাধী খুঁজে পাবেন না। তাহলে কি মুরিদের কাছে তার মুর্শিদ নবী মুহাম্মদ(স.) এর চেয়েও বড় যার জন্য নামের সাথে এত এত উপাধী যোগ করে স্বরণ করতে হবে??

শুধু ইসলামী ব্যাক্তিত্বই নয় বরং বিশ্ব ইতিহাসে যারাই প্রশিদ্ধ হয়েছেন তাদের কার নামই খুব একটা বড় নয় বা তারা কেউই খুব বেশী উপাধী ধারণ করেন নি। কারণ মানুষের আসল পরিচয় তার কাজে, নামে নয়। কাজের মাধ্যমে যোগ্যতার প্রমান যারা দিতে পারেন তাদের নাম বড় করার প্রয়োজন হয় না। নামের সাথে বড় বড় উপাধী লাগানোর প্রয়োজন তাদেরই হয় যারা কাজের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা প্রমান করতে আগ্রহী নন।

যাইহোক, সার্বজনীন ইজমার যে বিষয়টি উল্লেখ করলাম তার উত্তর কিন্তু দিলেন না। এ'ধরনের সার্বজনীন ইজমা উপেক্ষা করা কি শরিয়তসম্মত?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৬

দুর্ধর্ষ বলেছেন: অল্প বিদ্যা নিয়ে কথা বলা শুরু করলে আসলে মছীবত। না জানলে কি চুপ থাকাটাই ভাল না? আমি কতটুকু জানি তা বলছি না, কিন্তু আপনি ইজমা সম্পর্কে কতটুকু জানেন? ইজমা কোথায় হল? আপনি বলতে পারতেন যে, অনেকে ব্যবহার করেন নি, কিন্তু উনারা নিষেধও করেন নি, ইজমা তো দূরেই থাকল। পারলে প্রমাণ দিয়েন। আর ওলী-আল্লাহগণ তো লকব মুবারক ব্যবহার করেই থাকেন, সেটা অবশ্য অহংকারবশত নয়, আপনি যেমনটি মনে করছেন।

যাই হোক, আপনি আগে এই পোস্টটি পড়েন
http://www.sabujbanglablog.net/31778.html

২৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০২

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:
হ্যা রে ভাই আমাদের বিদ্যাতো অল্পই, আপনাদেরমত সবজান্তা পীরের মুরিদ যখন হইনি তখন বিদ্যা আর কোথায় পাব!!

তা যাই হোক, আপনারা মুরিদেরা পীরের প্রশংসায় কত উপাধী ব্যাবহার করে আত্মতৃপ্তি পাবেন আর আপনাদের পীর সাহেব নিজের নামের সাথে কত উপাধী শুনে সন্তুস্ট হবেন সেটা আপনাদের ব্যাপার - কিন্তু আমাদেরমত আমজনতার কাছে ওনাকে যখন পরিচয় করাবেন তখন কি ঐগুলি ব্যাবহার না করলেই নয়? আমরা আম জনতা ইতিহাসের সকল বিশিষ্ট ব্যাক্তিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত নামেই চিনি আর আমরা এটাই বিশ্বাস করি যে কেউ যদি কাজে বড় হয় তাহলে তার নামে কিছুই আসে যায় না। আমাদের অভিজ্ঞতায় আমরা এটাও জানি যে যারা কাজের যোগ্যতা রাখে না তারাই নিজেদের জাহির করার জন্য বড় বড় উপাধী গ্রহণ করে।

কাজেই ওয়েবসাইটসহ প্রচারপত্র সমুহে এইসব বড় বড় উপাধী বাদ দিয়ে পিতা-মাতার দেয়া নামটাই ব্যাবহার করুন। অন্যথায় স্বাধারণ মানুষ আপনাদেরকে কখনই স্বাধারণ ভাবে গ্রহন করতে পারবে না। মানুষ যে আপনাদের খুব সাদরে গ্রহণ করেনি তার নমুনাতো ইতিমধ্যেই দেখেছেন - আমি তার অন্যতম একটি কারণ চিন্হিত করলাম, মানা না মানা আপনাদের ব্যাপার। তবে কথা হচ্ছে - 'কাঙ্গালের কথা বাসি হইলে ফলে'।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৩

দুর্ধর্ষ বলেছেন: আপনার কি ইজমার বিষয়ে সন্দেহ দূর হয়েছে!!! একটি ভুল ধরিয়ে দিলাম, এরপরও কি মনগড়া কথা বলবেন? আমার মুর্শিদ কিবলা হলেন হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম।

এবার অনেক ছোট হয় নি?

২৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আর একটা বিষয় খুবই জানতে ইচ্ছা করছে - আমরা স্বাধারণ মানুষেরা জানি নামের সাথে উপাধী ব্যাবহার করতে হলে তা কোন না কোন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। যেমন নামের আগে ডাক্তার লিখতে হলে বি.এম.এ এর সদস্য হতে হয়, ইঞ্চিনিয়ার লিখতে পারে আই.ই.বি এর সদস্যগন। তাছাড়া অন্যান্য এ্যাকাডেমিক ডিগ্রি সমুহও কোন না কোন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জন করতে হয়। মাদ্রাসা বোর্ড থেকে 'কামিল' পাস ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ধর্মীয় কার্যক্রমে জড়িত থাকেন তাদেরকে স্বাধারণত 'মাওলানা' উপাধীতে ডাকা হয়। জাতীয় পর্যায়ে যেসকল ব্যাক্তিকে উপাধী দেয়া হয় তাদেরও কিছু ব্যাকগ্রাউন্ড থাকে যেমন শেখ বুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধী দেয়া হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ বা ডাকসু - এর পক্ষ থেকে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনার পীর সাহেব যে তার নামের সাথে এতগুলি উপাধী ব্যাবহার করছেন এ'গুলি ওনাকে কে দিল? উনি কি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে এ'গুলি অর্জন করেছেন নাকি আপনারা মুরিদগন নিজেদের পছন্দমত শব্দ নিয়ে এ'গুলি সাজিয়েছেন?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৮

দুর্ধর্ষ বলেছেন: জি, কুরআন শরীফ হেফজ করে ফেললেও আমাকে হাফিজ বলা হবে না, যদি না মাদরাসা সারটিফিকেট দেয়!!! কিন্তু আল্লাহ পাকের দরবারে যে সার্টিফিকেট লাগে না।

২৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৩০

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম"

এর মধ্যে নাম কোনটা? আমার স্বল্পবিদ্যায় যতটুকু জানি 'হযরত', 'মুজাদ্দীদে আযম' দুটোই উপাধী আর 'আলাইহিস সালাম' নবী রাসুল(আ.) দের নামের সাথে পড়া দরুদ। ওনার জন্মের সময় ওনার পিতা মাতা কি এই নামই রেখেছিলেন?

ইজমার বিষয় পরীষ্কার হওয়ার কিছু নাই। সকল যুগের সকল ইসলামী ব্যাক্তিত্ব যা করেছেন সেটাই সকলের করা উচিত - নতুন কিছু উদ্ভাবনের প্রয়োজন নাই। কাজেই নিজের নামের সাথে উপাধী যোগ করে প্রচার করা নিতান্তই অহংকারী আচরণ (অন্তত আমাদেরমত আমজনতার বিবেচনায়)।

সে যাই হোক, আপনি যে নাম ছোট করার প্রয়োজনটা বুঝেছেন এতেই এই অধম নিজেকে ধন্য মনে করছে। তা এই কথাটা আপনার পীর সাহেবকে একটু বুঝিয়ে বলবেন কি? যাতে উনিও ওয়েব সাইটসহ সকল প্রচারপত্রে সংক্ষিপ্ত নাম ব্যাবহারের সার্বজনীন নীতি গ্রহন করতে পারেন।

আচ্ছা, 'আল্লাহ পাকের দরবারে সার্টিফিকেট লাগে না' বলে আপনি কী বুঝাতে চাইলেন আমার স্বল্প-বিদ্যায় তা বুঝতে পারছি না। উনি ঐ উপাধীগুলোতো মানুষের মাঝেই প্রচার করছেন - এখানে আল্লাহর দরবার এল কিভাবে?

হ্যা মৃত্যুর পরে আল্লাহর দরবারে যখন আমরা যাব তখন কোন সার্টিফিকেটেই কাজ হবে না, বরং যার যার আমলনামাই হবে একমাত্র ভরসা। তা আপনার পীর সাহেব কি ইতিমধ্যেই আল্লাহর দরবারে পৌছে গেছেন(মৃত্যুর আগেই!!)? যদি গিয়েও থাকেন তবুও বলতে হয় সেই দরবারে উনি যেভাবেই পরিচিত হন না কেন এই দুনিয়ার মানুষের দরবারে নামের সাথে উপাধী যোগ করতে হলে কোন না কোন প্রতিষ্ঠানের সনদ/সার্টিফিকেট লাগবেই। আপনার পীর সাহেবের ঐ উপাধীগুলোর জন্য কি সেরকম কোন সার্টিফিকেট আছে?

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৭

দুর্ধর্ষ বলেছেন: আপনি মনে হয় লিংক্টি এখনো পড়েন নি।
http://www.sabujbanglablog.net/31778.html

নাম মুবারক ধরে ডাকার চেয়ে লকব মুবারক ধরে ডাকাকেই আদব মনে করি। হযরত ছাহাবী রদ্বি‌য়াল্লাহু তায়ালা আনহুম গণ তো নাম মুবারক ধরে ডাকার শিক্ষা দেন নি

২৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৫

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:
লিংকের লেখাটি আগেই পড়েছি। কিন্তু সেখানেও আপনাদের একই স্টাইলে কিছু বিখ্যাত মানুষের সাথে সংযুক্ত উপাধী ছাড়া গুরুত্বপুর্ণ তেমন কিছুই নাই। ঐগুলি কে দিল, কিসের ভিত্তিতে দিল তার কোন বর্ণনা সেখানেও নাই।

এই যে দেখুন পীরের নাম মুখে আনতে পারছেন না। কারণ মুরিদের জন্য সেটা বেয়াদবী। কিন্তু সেটাতো তার সম্মুখে থাকলে, যখন তাকে পরিচয় করিয়ে দেবেন অন্যদের কাছে তখনতো নাম বলতেই হবে।

আচ্ছা আপনারা নবী মুহাম্মদ(স.) এর নাম কি উচ্চারণ করেন না? যদি তার নাম মোবারক বলতে ও লিখতে পারেন আর আপনার পীরের নাম মোবারক বলতে বা লিখতে না পারেন তাহলে বিষয়টা কী দাড়াল? নবী মুহাম্মদ(স.) এর চেয়েও আপনার পীর সাহেব অধীক সম্মানিত? যদি এই ধারনা ঘুনাক্ষরেও মনে আসে তাহলে আর ইমান আমল কিছুই থাকবে কি?

আর একটা কথা - আমল যদি বাতেনী হতে পারে, তাহলে দাওয়াত বা প্রচার কেন বাতেনী হবে না? যেই পীরের গুনগান যাহিরী পন্থায় প্রচার করতে হয় তার আমল/শক্তি বাতেনী হতে পারে কি?

বস্তুত: সত্যিকারের বাতেনী শক্তিতে বলিয়ান ওলী আউলিয়ার দাওয়াত বা প্রচারও বাতেনী পথেই হয় যার জন্য তাদের নাম পরিচয় মানুষ কখনই জানতে পারে না, ইতিহাসের পাতায়ও তাদের নাম লেখা থাকে না।

যা প্রকাশ যোগ্য নয় তা প্রচারযোগ্য হতে পারে না। যা প্রমান যোগ্য নয় তাও প্রচার যোগ্য নয়। যাহিরী এবং বাতিনি দুই পদ্ধতির মিশ্রণ মারাত্মক দোষণীয়। এই দোষের কারণেই বর্তমান সময়ে 'পীর' শব্দটি 'প্রতারক' এর প্রতিশব্দে পরিনত হয়েছে। এর দ্বায় তাদেরকেই নিতে হবে যারা এই অসম মিশ্রনের অপরাধটি করেছে।

৩০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৭:০৫

বিপ্লবী পথিক বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.