নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সুনিশ্চিতভাবে দুশ্চিন্তিত।

Yami No Tenshi

অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সুনিশ্চিতভাবে দুশ্চিন্তিত।

Yami No Tenshi › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিটি অ্যানিমে ভক্তের জন্য যে দুটো অ্যানিমে দেখা বাধ্যতামূলক

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪


অ্যানিমে গ্রুপে যারা নিয়মিত ঘোরাঘুরি করেন, এই দৃশ্যগুলোর সাথে তারা সবাই মোটামুটি পরিচিত –

“নারুতো না দেখলে জীবন বৃথা”
“ওয়ান পিস দেখনি মানে তুমি কিছুই দেখনি”
“ড্রাগন বল ভাল লাগেনা? তুমি অ্যানিমে বুঝই না”

এছাড়াও জনরাভিত্তিক, পার্সোনাল চয়েস ভিত্তিক, এমন আরও অনেকভাবে সর্ট আউট করে অনেক মানুষ বিভিন্ন অ্যানিমেকে অবশ্য দেখনীয় (জানিনা শব্দটা ঠিক হল কিনা) বলে দাবি করে থাকেন।

আমি মোটামুটি নির্ঝঞ্ঝাট মানুষ (হেহে, বিশ্বাস করার দরকার নেই, তবে কথাটা সত্যি), কোনদিন নিজের পছন্দের অ্যানিমেকে বিশ্বসেরা বলে দাবি করার দুঃসাহস দেখাইনি। তবে আমার নজরেও এমন দুটো অ্যানিমে এসেছে, যে দুটো হয়ত আমি টপ ১০, ২০ লিস্ট বানালে সেখানে স্থান পাবে না, তারপরেও বলব, কেউ যদি অ্যানিমে ভক্ত হয়ে থাকে, অর্থাৎ বিনোদনের এই মাধ্যমের সাথে তার মোটামুটি পরিচয় থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই তার এই অ্যানিমে দুটো দেখা উচিৎ। অ্যানিমে দুটো হল বাকুমান এবং শিরোবাকো।

কেন এ দুটো অ্যানিমেকে এত গুরুত্ব দিচ্ছি? কারণ আছে। আপনাদের সকলেরই তো জানা আছে, অ্যানিমের সিংহভাগ তৈরি হয় কোন একটা মাঙ্গার গল্পকে কেন্দ্র করে। আগে মাঙ্গা বা জাপানী কমিক বের হয়, সেটা মোটামুটি জনপ্রিয়তা পেলে সেখান থেকে অ্যানিমে বানানো হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে মাঙ্গার জনপ্রিয়তা বাড়ানোর লক্ষ্যেও অ্যানিমে বানানো হয়। তো এই যে মাঙ্গাকে ঘিরে এত কাহিনী, সেই কাহিনীটার বাস্তব চিত্রটা আসলে কেমন, আপনাদের নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করে! যে ব্যক্তি মাঙ্গা লিখছে, তার জীবনটা আসলে কেমন, বা মাঙ্গা যে প্রকাশনী থেকে বের করা হয়, তারা কিভাবে কাজ করে, কিভাবে একটা মাঙ্গা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, বা কিভাবে একটা মাঙ্গার অজনপ্রিয়তা দুর্ভাগ্য ডেকে আনে, এসব কিছুর চিত্র অসম্ভব নৈপুণ্য এবং যত্নের সাথে তুলে ধরা হয়েছে যে অ্যানিমেতে, তার নাম বাকুমান। “বাকুমান” শব্দটি দুটো শব্দের সমষ্টি; বাকুচি+মাঙ্গা। বাকুচি অর্থ গ্যাম্বল বা জুয়াখেলা; মাঙ্গা লিখে জীবিকা অর্জন করা জুয়াখেলার মত বিপদজনক একটা পেশা, এখানে সেটিই তুলে ধরা হয়েছে।

আবার একইভাবে এটাও চিন্তা করুন, এই যে এত স্টুডিও পিয়েরট বা তোয়েই অ্যানিমেশন এর ওপর আপনারা মহা বিরক্ত, কিংবা শ্যাফট, পিএ ওয়ার্কস, কিয়োটো অ্যানিমেশন বা সিলভার লিঙ্কের আর্টের মহাভক্ত আমি; বা ব্যতিক্রমধর্মী অ্যানিমে বানানোর জন্য পরিচিত স্টুডিও ম্যানগ্লোবের যে করুণ দশা- এদের পেছনের কাহিনীটা কী? কারা এই স্টুডিওগুলোতে রাতদিন হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে যাচ্ছে প্রোপার ফিডব্যাক ছাড়া, কেন এখনকার অ্যানিমেগুলোতে অযথা ফ্যানসার্ভিস দিয়ে ভরিয়ে তোলা হচ্ছে, বা কি উপায়ে এক টুকরো কাগজে আঁকা একটা সাদাকালো চরিত্র আমাদের চোখের সামনে হেটে বেড়াচ্ছে; কিভাবে প্রাণ পাচ্ছে সেই জড়পদার্থগুলো, যারা এই আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব কাজটাকে সম্ভব করে তুলছেন, তাদের জীবনটা কেমন – সেটা নিশ্চয়ই কখনো না কখনো জানতে ইচ্ছে করে! এই প্রতিটি কৌতুহল নিবারণ করবে যে অ্যানিমে, তার নাম শিরোবাকো।

অসম্ভব সুন্দর আর্ট আর ওএসটি রয়েছে দুটি অ্যানিমেতেই, আর মূল যে ব্যাপারটা রয়েছে, অ্যানিমেদুটি দেখার পর নিশ্চিতভাবে আপনি একটা অ্যানিমে/মাঙ্গাকে ট্র্যাশ বলার আগে দুবার ভেবে নেবেন। আপনি যদি এই ইন্ডাস্ট্রিকে সত্যিকার অর্থে অনুধাবন করতে চান, এ দুটি অ্যানিমে দেখা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:২৩

মারুফ রায়হান অনন্য বলেছেন: বাকুমান আর শিরোবাকো নিঃসন্দেহে আমার কাছে দেখা সর্বকালের সেরা এনিমের তালিকায় থাকবে । কিন্ত সমস্যা হল আমি এই লিস্ট বানাতেই পারি না ; মাথার চুল ছেড়ার মত অবস্থা হয় :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.