নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চরম সব ব্লগ লিখে দেশ,সমাজ,সভ্যতা,বিশ্ব-সংসার সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলব।

জাহিদুল ইসলাম ২৭

আমি খোলা মনের মানুষ

জাহিদুল ইসলাম ২৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ-সীমিত আকারের বিয়ের অনুষ্ঠানে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

করোনাকালে বিয়ের মহোৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে।যার এখন বিয়ের দরকার নেই, যার কয়েক বছর পরে বিয়ে হলেও চলে সেও খুশিতে, ঘোরতে, ঠেলায় বিয়ে করে ফেলছে।কি কারনে জানি না,হয়তো অন্যের বিয়ে করা দেখে তাদের নিজেদের বিয়ে করার হাউস(শখ) চাগিয়ে উঠেছে।শুভসঃ শ্রীঘ্রম বলে বিয়েতে তাল দেওয়া মুরুব্বিরও অভাব নেই সমাজে।
অথচ এই বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়ে কত মানুষ যে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে তার হিসাব নেই।এসব অনুষ্ঠানে যেই যাবে সেই ঝুকির মধ্যে থাকবে, আশেপাশের মানুষকে ঝুকির ভেতর ফেলবে।এরপরও সামাজিকতা রক্ষার নামে বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেককে বাধ্য হয়ে যেতে হয়।হয়তো মামা,চাচা বা কাজিনের বিয়ে।
এরকম একটা সময়ে বিয়ের আয়োজন করাই ভুল ।আর ছয়টি মাস কি অপেক্ষা করা যেত না।আর যদি মনে হয় করোনার কারনে কোন কিছু থেমে থাকতে পারে না, তাহলে জন সমাবেশমূলক অনুষ্ঠান বাতিল করে ঘরোয়া ভাবে বিয়ের আয়োজন করা উচিৎ।
গতকাল একজনের আকদ ও গায়ে হলুদে যেতে হয়েছে।এই সময়ে গায়ে হলুদ কি খুবই জরুরী?
যা হোক সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে কয়েকটি বিষয় খেয়াল করলামঃ
১.বাংলাদেশের ঘরে ঘরে ক্যাটরিনা না থাকলেও দীপিকা পাড়ুকোন আছে।আমরা বুঝতে পারি না।বিয়ের অনুষ্ঠানকে উপলক্ষ করে এইসব বাদামী সুন্দরীরা আবির্ভূত হয়।
২.যে মেয়ে যত অসুন্দর তার সাজার চেষ্টা ততো বেশী।তার মাঞ্জা মারতে ততো বেশী সময় লাগে।
৩.কড়া মেকাপ নেওয়ার পর এই বাদামী সুন্দরীরা নিজেদের প্রিন্সেস ডায়ানা ভাবতে শুরু করে।যদিও তাদের দেখায় বাড়ির চাকরানীর মতো।
৪.বিয়ে বাড়িতে গিয়ে এইসব বাদামী সুন্দরীদের ঢঙ মারাত্মক ভাবে বৃদ্ধি পায়।এরা কথা বলে এসেছি,বসেছি,করেছি ---এইভাবে।এদের করুন অবস্থা দেখে আমার করুণাও হয় না,হাসি পায়।
৫.বার বছরের কিশোরী থেকে শুরু করে ষাট বছরের বৃদ্ধা সবাই আটা ময়দা মাখতে পছন্দ করে।সাজবার শখ কারো চেয়ে কারো কম না।
৬.সাজবার কায়দা সবার একই রকম।উৎকট রঙের আই শ্যাডো,কড়া রুজ,কড়া লিপস্টিক,ফেক আইল্যাস,একই রকম আকানো ঠোট ও ভ্রু।আর সারা মুখে চুমকি,জরির মতো ঝিকিমিকিযুক্ত কি একটা প্রসাধন।
৭.ত্রিশ বছরের যুবতী যে মেক আপ নিচ্ছে,বার বছরের শিশুকেও সেই মেক আপ দেওয়া হচ্ছে।শিশুর মা শিশুকে প্রাপ্তবয়স্কদের রুপ সজ্জা দিয়ে দিচ্ছে।কোন কোন সময় শিশু নিজের ইচ্ছামতো মেক আপ নিয়ে নিচ্ছে।বাবা-মার কোন বীকার নেই।
৮.মেকাপ নেওয়ার পর পরিচিতদেরও চিনতে কষ্ট হয়।মনে হয় --রমনা পার্ক থেকে রাতের বেলা এদের ধরে আনা হয়েছে।
৯.বিয়ে বাড়ির রুপ-সজ্জার ট্রেন্ড দেখে মনে হয়েছে বেলেল্লেপনাটাই এখনকার ফ্যাসান।

অনেকে এখন বলবেন বিয়ে বাড়ি,গায়ে হলুদ তো সাজবারই জায়গা,এতে আপত্তির কি আছে।ভাই সাজবারও একটা মাত্রা আছে,পরিমিতি বোধ আছে।যে সাজ দিলে রুচিহীনতা প্রকাশ পায়, চেহারা বিকৃত দেখায়,রাস্তার মেয়ের মতো দেখা যায় সে সাজ কেন সাজা?হাতে গোনা দু'চারজনের রুপ সজ্জায় মার্জিত ভাব ছিল।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



করোনায় দেশ শ্লো হয়ে গেছে, বিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে সাহায্য করছে; আপনি ১টি বিয়ে করেন।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৬

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।আমার বিয়ের বয়স শেষ।আমার মতো বয়সে অনেক বন্ধু দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে।

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৫

মরুর ধুলি বলেছেন: বিয়ে বাড়ীতে অন্যের সাজগোজ পর্যবেক্ষণ সুস্থ মানসিকতার পরিচয় নয় ভাই।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৪

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: পর্যবেক্ষণ করা লাগে না,কেউ বেলেল্লেপনা করলে এমনিতেই নজরে আসে।সম্পূরক প্রশ্ন:আপনি কি এবার অটো পাস করা স্টুডেন্ট?আপনার বুদ্ধিরবৃত্তিক স্তর আদর্শ মানের নয়।

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ করোনার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তাছাড়া মানুষ জানে কিছু দিন পর হাতে ভ্যাকসিন এসে যাবে। তাই মানুষ বেপরোয়া চলছে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৬

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: যেহেতু আর কিছুদিন পর ভ্যাক্সিন বের হবে মানুষের উচিৎ বাকি দিনগুলো সাবধানতার সাথে পার করে দেওয়া।বেচে থাকলে বিয়ে যেমন করা যাবে,বিয়ের দাওয়াতও অনেক খাওয়া যাবে।দাওয়াত থেকে ফিরে এসে আমি বেশ আতঙ্কের মধ্যে আছি।অতীতে একবার করোনা টেস্ট করিয়েছি;রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.