![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে বিশ্বকাপ মানেই উপমহাদেশের দল গুলোর জন্য কঠিন এক পরীক্ষা। সত্যিই কি তাই? পরিসংখ্যান কি বলে? ১৯৯২ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আসর বসেছিলো ওশেনিয়া মহাদেশে। আর সেখানে অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড আর ইংল্যান্ডের দর্শকদের বোকা বানিয়ে বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিলো পাকিস্তান। যার অর্থ দাড়ায় অস্ট্রেলিয়াতে খেলা মানেই বাতিলের খাতায় উপমহাদেশের দল গুলোর কাটা পড়া নয়। অনেকেই হয়ত বলবেন দিন পাল্টেছে। এখন আর উপমহাদেশের কোনো দলেই ইমরান,কপিল, ওয়াসিম,ওয়াকারদের মানের কোনো ফাস্ট বোলার নেই।
তাতে কি? পাকিস্তানের আছেন একজন ইরফান,ভারতের একজন কোহলি শ্রীলঙ্কার একজন সাঙ্গাকারা আর টাইগারদের একজন সাকিব আল হাসান। নিজেদের দিনে এদরে যে কেউই বিশ্বের যে কোনো দলের বিপক্ষে জয় এনে দিতে পারেন। তবে দল হিসেবে বাংলাদেশের জন্য কাজটা একটু বেশিই কঠিন। কারণ পরিসংখ্যান আর দলীয় শক্তির মাপকাঠিতে ভারত-পাকিস্তান-শ্রীল্ঙকার চেয়ে বেশ পেছনে থাকবে টাইগাররা। তাই বলে সাকিব-তামিম-মাশরাফিরা একসাথে জ্বলে উঠলে কাজটা মোটেও কঠিন কিছু নয়।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে চোখের জ্বলে বিশ্বকাপ স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছিলেন মাশরাফি। আর আসছে বিশ্বকাপে তিনিই টাইগারদের দলপতি। মাশরাফি আছেন বলেই অস্ট্রেলিয়াতেও ভালো কিছু করার আশা করা যাচ্ছে। এতে বাড়াবাড়ি করার কিছু নেই। ২০১০ সালের কথা মনে আছে। সেবার ইংল্যান্ড সফরে এই মাশরাফির অধিনায়কত্বেই ইংলিশদের বিপক্ষে ইংলিশদের মাটিতেই এসছিলো দুর্দান্ত এক জয়। মাশরাফি দলে থাকা মানেই দলের সবার মাঝে লড়াই করার বাড়তি রসদ যোগ হওয়া। টপঅর্ডারে তামিমের সাথে এনামুল, তিনে মুমিনুল হক কিংবা সৌম্য, চারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, পাঁচে সাকিব, ছয়ে মুশফিক আর সাত সম্বরে নাসির কিংবা সাব্বির। ব্যাটিং বিভাগকে কোনো ভাবেই হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। কারণ দলের এই সাতজন ব্যাটসম্যনই দীর্ঘদিন ধরেই খেলে আসছেন। অভিজ্ঞতারও কমতি নেই এদের কারো্রই। মুমিনুলের জায়গায় দেখা যেতে পারে সৌম্য সরকারকেও। এনামুল আর সৌম্য তো ২০১২ অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপে খেলে গেছেন নিউজিল্যান্ডে থেকে।
তাই কন্ডিশন তাদের জন্য খুব একটা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না। এবার আসি ফান্ট বোলিং প্রসঙ্গে। এই বিভাগে টাইগারদের বোলিং আক্রমনের নেতৃত্বে থাকবেন মাশরাফি, সাথে তুরুন তুর্কি তাসকিন ও আল আমিন। ব্যাক আপ হিসেবে থাকবেন রুবেল ও শফিউল। সব মিলিয়ে পেস বোলিংয়েও পিছিয়ে থাকবে না টাইগাররা। এবার আসি স্পিন প্রসঙ্গে। বিশ্বের যেকোনো দলের সাথে পাল্লা দিয়ে একটা্ জায়গাতেই সবসময় কিছুটা এগিয়ে থাকে টাইগাররা সেটা হলো স্পিন ডিপার্টমেন্ট। এ্খানে বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সাথে দেখা যেতে পারে তাইজুল,আরাফাত সানি ও লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেনের মধ্য থেকে যেকোনো দুজনকে। যে দুজনই আসুকনা কেন টাইগারদের স্পিন বিভাগ হবে যথেস্ট শক্তিশালী।সব মিলিয়ে বড় দলগুলোর সাথে টেক্কা দিতে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বিশ্বকাপের খুব একটা সময় বাকি নেই আর। গুনে গুনে আর ৬০ দিন। এই সময়টাতে টাইগারদের যেহেতু আর কোনো খেলা নেই তাই উচিত হবে এই সময়টার মধ্যেই নিজেদেরেকে প্রস্তুত করে নেয়া। সে জন্য উচিত হবে দেশের মাটিতেই দু-তিনিটি দল করে প্রস্তুতি সিরিজ খেলা। অবশ্যই সেখানে উইকেট হতে হবে বাউন্সি।
তাহলে েএকদিকে নির্বাচকদের জন্য সেটা যেমেন ১৫ সদস্যের দল গড়তে সাহায্য করবে অন্য দিকে খেলোয়াড়রাও নিজেদেরকে পেস ও বাউন্সি উইকেটে নিজেদের মানিয়ে নিতে অনেকটাই সক্ষম হবেন। অবশ্যই বিশ্বকাপ শুরুর অন্ত এক মাস আগে অস্ট্রেলিয়াতে পৌছাতে হবে টাইগারদের। সেখানে যত আগে যাওয়া যায় ততই মঙ্গল। সেখানে গিয়েই নিজেদের ভালোভাবে কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে হবে। তবে দলে একজন মাশরাফি আছেন বলেই লড়াকু মানসিকতার কমতি হবে না কখনোই। তাই প্রতিকুল অস্ট্রেলিয়ান কিন্ডশনেও দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার স্বপ্ন দেখতেই পারেন টাইগার সমর্থকরা। সেক্ষেত্রে গ্রুপে আফগানিস্তান স্কটল্যান্ড ছাড়াও আর একটি ম্যাচে জিততেই হবে। সে জন্য দরকার হবে বড় মাছ শিকার। সেই শিকারের অভিযাত্রায় সামনে আসবে একে একে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা।এই চারটি ম্যাচে যদি প্রাথমিকভাবে একটি জয়ের ছক কষি তাহলে কাজটি কঠিন কিছু নয়।কিন্তু এদের যেকোনো একটি দলকে আলাদা করে টার্গেট করলে সেটা হয়ে যেতে পারে হিতে বিপরীত। কারণ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে েএই চারটি দলই ফেবারিট। সেক্ষেত্রে এই দলগুলোর বিপক্ষে দলীয় শক্তির চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়ে অন্তত একটিকে শিকারে পরিণত করে জয় ছিনিয়ে আনতে হবে। কাজটা কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়।
লেখাটি ভালো লাগলে ঘুরে আসতে পারেন দেশের সবচেয়ে বড় স্পোর্টস নিউজ পোর্টাল থেকে: বিএসপিএন২৪.কম
©somewhere in net ltd.