![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন নিরীহ মাইক্রোবায়োলজিস্ট...
শেষ বিকেলের আলো।নীলার খুব প্রিয়।আরেকজন মানুষের খুব প্রিয় ছিল।মানুষটাকে নীলা খুব ভালবাসত।তার হৃদয়ে গ্রীষ্ম,বর্ষা,শরৎ,হেমন্ত,শীত আর বসন্ত সকল ঋতুতে যার অস্তিত্ব ছিল সাদা শুভ্র মেঘের মত।কিন্তু আপন করতে চেয়েও কখনও মানুষটিকে সে আপন করতে পারে নি।মেঘের মতই মানুষটা সারাটাজীবন তাকে শুধু কাঁদিয়েই গিয়েছে।আজ এত বছর পর এভাবে তার সাথে দেখা হবে কখনও ভাবে নি নীলা।মাথার চুল আর দাড়িগুলো
এখানে ওখানে সাদা রঙের কাছে হার মেনেছে।মুখখানা তবুও সেই আগের মতই আছে।মায়াবী মুখখানা।
হঠাৎ সুপ্তর চোখের পাতা কেঁপে উঠল।জ্ঞান ফিরছে মনে হয়।নীলা তাড়াতাড়ি রুমের বাইরে চলে যায়।জানালার সামনে দাড়িয়ে পর্দার ফাঁকে সুপ্তকে লক্ষ্য করে।সুপ্ত চোখ মেলে রুমের চারপাশটায় তাকাল।কোনকিছুই যেন ঠিক মেলাতে পারছে না।
-আপনাকে পার্ক থেকে আনা হয়েছে।একটা বেঞ্চের উপর অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন।
-যাক খুশি হলাম।পৃথিবীতে ভাল মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।অসুস্থ একজন অপরিচিত মানুষকেও আজকাল মানবিকতার খাতিরে বাড়ি পর্যন্ত আনা হয়।
-আপনি কি মনে করেন মানবিকতা শুধু আপনার ভিতরই আছে?
-sorry, বুঝলাম না।আর don't mind আপনার কন্ঠটা খুব পরিচিত লাগছে।
-খুশি হলাম।৪২ বছর পরও আমার কন্ঠটা আপনার মন থেকে যায় নি।
নীলা আর কথা বলতে পারে না।ফুপিয়ে কাঁদতে থাকে।
-ও...নীলা চক্রবর্তী?
-এতদিন পর কেন এলে?
-আল্লাহ তাআলা চেয়েছেন তাই।মৃত্যুর আগে যেন দেখে যেতে পারি তুমি কেমন ছিলে এবং আছ।আর তুমিও যেন দেখতে পার আমি কেমন ছিলাম এবং আছি।
-মাগরিবের আযান হয়ে গেছে কিছুক্ষন আগে।সম্ভবত তুমি আমার কাছে নামায পড়ার জন্য সময় চাইবে।
নীলা কথাটা বলার সময় তার নিজের ঠোট দুটোতেই পুরনো স্মৃতির আঘাতে মৃদু হাসি ফুটে উঠে।
-তুমি আমাকে ঠিক আগের মত করেই মনে রেখেছ।
-হুম...রুমের সাথে এটাচড বাথরুম আছে অজু করে নাও আমি জায়নামায পাঠিয়ে দিচ্ছি।এই জায়নামাযটা আমি তোমার জন্যই কিনে রেখেছি।আমার কেন যেন মনে হত এটা একদিন কাজে লাগবে।
সুপ্ত বিছানা থেকে উঠে অজু করতে যায়।ফিরে এসে দেখে রুমের মাঝখানে জায়নামায বিছানো।সুপ্ত নামাযে দাড়ায়।নামায শেষে বারান্দায় রাখা একটা রকিং চেয়ারে গা এলিয়ে আকাশটার দিকে তাকায়।৪২ বছর আগে যে চাঁদটা ছিল এখনও সেই চাঁদটাই আছে।তারাগুলোরও মনে হয় কোন পরিবর্তন হয় নি।সেই শুকতারা।সুপ্তর চোখ বুঝে আসে।মস্তিস্ক স্মৃতি হাতড়াতে হাতড়াতে চলে যায় ৪২ বছর আগের সময়গুলোতে।।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৮
জাহিদ হাসান রানা বলেছেন: শোকরান, ভাইয়া
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
আবু তালেব শেখ বলেছেন: গল্পের গভীরতা আছে। ভালো লাগলো