![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন নিরীহ মাইক্রোবায়োলজিস্ট...
রাত ৯ টা ৩০।বিপীণ পার্কের কাছেই এয়ারলাইন কাউন্টার।নাম এয়ারলাইন হলেও এটা বাস সার্ভিসই বটে।জানালার পাশে আমার সীট।রাতের মৃদু হাওয়ায় জানালাটা খোলা।আধঘন্টার মধ্যই বাস শহর ছেড়ে গ্রামঘেরা হাই ওয়েতে এসে পৌছেছে।জানালা দিয়ে চাঁদ দেখছি।দেখছি দূর আকাশের খন্ড খন্ড মেঘ আর সারি সারি নিথর গাছের সারি।মাতাল হাওয়া নরম আদরে পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে সারা গাঁয়।হঠাৎ মনে পড়ল আম্মা বলেছিল বাস ছাড়ার সাথে সাথে উনাকে কল করে জানাতে।মোবাইল হাতে নিয়ে স্ক্রীনে তাকাতেই দেখি আম্মার বেশ কয়েকটা মিসড কলের লিস্ট।বেচারী কতবার চেষ্টা করেছে আর একবারও আমি রিসিভ করা তো দূরের কথা খোজই পেলাম না।আম্মার পেরেশানীময় মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠল।
মোবাইলটা আবার পকেটে রেখে দিলাম।আপন মানুষগুলোকে মাঝে মাঝে আমাকে নিয়ে চিন্তায় রাখতে এক পৈশাচিক আনন্দ পাই।
ঘন্টাখানেক পর আম্মার কল রিসিভ করলাম।কিছুক্ষন বকা ঝকা শুনার পর মোবাইল পকেটে রেখে আবার প্রকৃতি দেখায় মন দিলাম।এভাবে আকাশে চাঁদের দৌড়ানো দেখতে দেখতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম বুঝিই নি।বাস এসে থামল অলংকারে।চট্রগ্রামের একটি বৃহত্তর বাস টার্মিনাল অলংকার।হাই তুলতে তুলতে বাস থেকে নামলাম।ফজরের ওয়াক্তের বেশী সময় নেই।খোজাখোজি করে একটা মসজিদ পেয়ে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে নিলাম।এরপর লেগুনায় যাত্রা শুরু হল।ফয়েজ লেক হয়ে জিইসি মোড় হয়ে ষোলশহর।হাতে একদম সময় নেই।তাই কাছেই আংকেলের বাড়ি যাওয়া হল না।প্রায় ছয় বছর হয়ে গেল চট্রগাম আসা হয় না।আজ স্বপ্নে আসলাম তবুও আংকেলের সাথে দেখা করতে পারছি না।মনটা খারাপ লাগছে।যাই হোক করার কিছু নেই।শাটল ট্রেন আসার মাত্র ১৫-২০ মিনিট সময় আছে।ট্রেন মিস করলে বাসে ক্যাম্পাসে যাওয়া বিরাট এক ঝাক্কির কাজ।এছাড়া চবির নিজস্ব কোন বাস নেই।চট্রগ্রাম ভার্সিটি লেখা থাকলেও এরা পুরো ভাড়া নেয় বলেই জানি।চবির ছাত্রদের জন্য এই ফ্রি শাটল ট্রেন।কোনক্রমে একটা সীট পেয়ে বসে পড়লাম।ঝিক ঝিক ঝিক ট্রেন চলছে আর আমার মস্তিস্ক চলে যাচ্ছে ৫ বছর আগের সময় গুলোতে।।
©somewhere in net ltd.