![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাহেদুল ইসলাম
সাম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহনের পর প্রথম সফর হিসেবে গত ২৪ ডিসেম্বর ভারতে আসেন। তার এই সফর বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্ব বহন করে। পুতিনের এই সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের মাঝে ৭৫০ কোটি ডলারের একটি অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। যার আওতায় ভারত রাশিয়ার নিকট থেকে ৪২টি এমইউ-৩০ জঙ্গিবিমান, ৭১ এমআইএল, এমআই-১৭ হেলিকপ্টার ও ৯৭০ টি যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন কিনবে। ফলে এই চুক্তির মধ্য দিয়ে দু’দেশের মাঝে পুরনো সম্পর্ক নতুন করে দৃঢ় হলো এবং পাশাপাশি বিশ্বরাজনীতিতে তাদের অংশীদারিত্বও বাড়ল। তবে এখানে বড় প্রশ্ন হলো রাশিয়া-ভারত সামরিক জোট কিসের ইঙ্গিত বহন করে বা এই সামরিক জোট এশিয়ার রাজনীতিতেই বা কিরূপ প্রভাব বিস্তার করবে?
সাম্প্রতি এশিয়ার প্রতি বৃহৎ শক্তিগুলোর আগ্রহ ক্রমাগত বাড়ছে। কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পরই এশিয়ায় প্রথম সফর করেন। ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের কারণে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর উপর নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্থানে ন্যাটো বাহিনীর উপস্থিতি রেখেছে। কিন্তু ২০১৪ সালে সেখানে থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করার প্রস্তুতি গ্রহন করলেও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে সে ৬০% সেনা উপস্থিতির কথা বলছে। কারণ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বুঝতে পারছে যে আফগান যুদ্ধে তাদের জয়লাভ সম্ভব নয়। আর এ সত্য উপলব্ধি করেই হয়ত ডিক চেনি (dich cheny) আফগান যুদ্ধকে এক ‘না ফুরানো যুদ্ধ’ (endless war) বলে আখ্যায়িত করেছেন। ২০০১ যে মার্কিন বাহিনী তালেবানদের উৎখাত করেছিল গত ২০ ডিসেম্বর ২০১২ তারাই আবার ফ্রান্সের think tank foundation for strategic research -এ তালেবানদের সাথে আলোচনার ব্যবস্থা করেছে। এর একটাই উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণভাবে আফগানিস্থান থেকে সেনা প্রত্যাহার। ফলে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র একদিকে তার হাত সংকোচিত করলেও ভারত মহাসাগর এলাকায় সেনা উপস্থিতি রেখে তার সামরিক ক্ষমতা আবার সম্প্রসারিত করছে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যখন ভারত সফরে আসেন তখনও ভারত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১১ মিলিয়ন ডলার মূল্যে ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছিল। ভারত অতীতের তুলনায় বর্তমানে সামরিকখাতে তার বাজেট বৃদ্ধি করে চলেছে, ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেট হবে প্রায় ৮০ মিলিয়ন ডলার। ২০০০ সালের পর ভারতের প্রতিরক্ষাখাতে বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৪ ভাগ আর এই সময়ে ভারতকে সামরিক অস্ত্রের প্রায় ৮২ ভাগই জোগান দিয়েছে রাশিয়া একাই। এখানে প্রশ্ন হলো ভারত কেন এত সামরিকীকরণের দিকে আগ্রহী হচ্ছে বা পরস্পর বিরোধী শক্তি রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রই বা কেন ভারতে এত সহযোগীতা দিচ্ছে? কারণ ভারত হলো আগামী দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম একটি অর্থনৈতিক শক্তি এবং এই দুই রাষ্ট্রেরই লক্ষ্য হলো চীনকে প্রতিহত করা। যুক্তরাষ্ট্র এক মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়ে ভারতকে এই অঞ্চলের একটি পারমানবিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের একক কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহনকারী একমাত্র রাষ্ট্র হলো চীন। ২০৩০ সালের মধ্যে চীন অন্যতম একটি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে। ২০১২ সালের শুরুতে ফরচুন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত তথ্য মতে বিশ্বে যে সকল বহুজাতিক সংস্থা প্রভাব বিস্তার করে এরূপ ৫০০টি সংস্থার মধ্যে শুধুমাত্র চীনেই রয়েছে ৩৭টি। বর্তমানে চীনে বৈদেশিক মুদ্রা রিজর্ভের পরিমান দুই ট্রিলিয়ন ডলার। বিশ্বের মোট জ্বালানীর প্রায় ১৫ ভাগই আজ চীনের দখলে। তেল মজুদের ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান তৃতীয়। যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের অর্থনীতির পরেই আজ চীনের অর্থনৈতিক অবস্থান। চীনের এরূপ ক্রমান্নতি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের প্রতি বড় আঘাত বলে মনে করা হয়। এক প্রতিবেদনে দেখানো হয় যে, ২০২০ সালের মধ্যে চীনের অর্থনীতি জাপানকেও ছাড়িয়ে যাবে। শুধু নিজের অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয় বরং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বা অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রেও দেখা যায় যে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সরাসরি প্রতিযোগীতায় লিপ্ত। ২০০৪-০৯ সাল পর্যন্ত আফ্রিকাতে চীনের বিনিয়োগের পরিমান ছিল ৮৫ মিলিয়ন ডলার বর্তমানে যার পরিমান বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৫ বিলিয়ন ডলারে দাড়িয়েছে। আর এশিয়াতে বিনিয়োগের পরিমান ১.৫ বিলয়িন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৪৩.৫ বিলিয়নে। ইরানের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিরোধ আজ তুঙ্গে হলেও চীনের সাথে ইরানের সম্পর্ক অনেক ভাল। চীন ইরানের তেল সম্পদের উপর বিনিয়োগ করে চলেছে। অর্থনৈতিক জরিপ অনুযায়ী গত দশ বছরে চীন ইরানে যে পরিমান বিনিয়োগ করেছে যদি সেই ধারা অব্যাহত থাকে তবে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে চীন ইরানের তেল সম্পদের উপর প্রায় ১৪৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। কারণ ইরান আন্তর্জাতিক অবরোধ উপেক্ষা করে যে দেশগুলোতে আজ তেল রপ্তানি করে চীন তার মধ্যে অন্যতম। ২০১৪ সালে আফগানিস্থান থেকে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহার করা হলে এই অঞ্চলে একধরনের বৃহৎ শক্তির কর্তৃত্ব শূন্যতার সৃষ্টি হবে। চীন সেই সুযোগ গ্রহন করবে এবং এই অঞ্চলে তার আধিপত্য বিস্তারে আগ্রহী হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আর একটি দেশ মায়ানমার যার প্রতি বৃহৎ শক্তিগুলোর আগ্রহ ক্রমাগতই বাড়ছে। কারণ সাম্প্রতি সময়ে দেশটি সামরিক শাসনের যাতাকল থেকে বেরিয়ে গণতন্ত্রে পথে পা বাড়িয়েছে। পাশ্চাত্য শক্তিগুলো মায়ানমার থেকে সকল ধরনের অবরোধ তুলে নিয়েছে। ফলে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রথমেই মায়ানমার সফরে আসেন। তবে মায়ানমারের সাথে চীনের সম্পর্ক অত্যান্ত ভাল, তাদের মাঝে ঐতিহাসিকভাবেই সামরিক চুক্তিও রয়েছে। মায়ানমারের তেল, গ্যাস অনুসন্ধানে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করছে চীন সেখানে নব্য আবিষ্কৃত গ্যাস ফিল্ড থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তা চীনের ইউনান প্রদেশ পর্যন্ত যাবে। মায়ানমারে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মান, ইন্দোনেশিয়ায় ১৪০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানে বিমানবন্দর নির্মান এবং বাংলাদেশের সোনাদিয়া দ্বীপে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মানে চীনের যে আগ্রহ তা অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বিরোধী বিষয়।
দক্ষিণ চীন সাগরের সাম্প্রতিক স্প্রাটলী ও প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চীন-জাপান বিরোধের জের ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জাপানের পক্ষ নেয় এবং সামরিক সাহায্যও প্রেরণ করে। কারণ দক্ষিণ চীন সাগর ও তৎসংলগ্ন দ্বীপগুলোর রয়েছে জ্বালানী ও তেলের অপার সম্ভাবনা। ফলে এখানে চীনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার অর্থ মার্কিনীদের কর্তৃত্ব খর্ব হওয়া। এছাড়া আমরা দেখি নতুন একটি অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিক-এর যাত্রা শুরু হয়েছে। চারটি শিল্পোন্নত দেশকে নিয়ে এই জোট ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন, যেখানে চীন অন্যতম একটি শক্তি। ফলে এই দেশগুলো যখন যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে সহযোগীতার জন্য একত্রিত হয় তখন তা যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যাথার কারণ হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ সে চায় না কেউ তাকে বাদ দিয়ে বিশ্ব রাজনীতি বা অর্থনীতিতে কোন অবদান রাখুক। কিন্তু প্রশ্ন হলো ব্রিকের সদস্য হওয়ার পরও কেন ভারত ও রাশিয়া চীনের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হচ্ছে? এখানে মনে রাখা দরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বা রাজনীতি শুধু মাত্র একটি এক্টর এর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। অনেকগুলো ফ্যাক্টর এখানে কাজ করে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তারা এক হলেও ভূ-রাজনীতি বা প্রভাব বিস্তার বলয়ের কারণে তাদের স্বার্থ আলাদা। এখানেই সাংহাই কো-অপারেশন কাউন্সিল (এসসিও) এর কথা আসে, এটি একটি সামরিক জোট যার সদস্য চীন এবং এর পাশাপাশি মধ্য এশিয়ার মুসলিম প্রধান দেশগুলোও এই জোটের অন্তর্ভূক্ত। চীন এই জোটের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে তার নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। পৃথিবীর যে ক’টি অঞ্চলে তেল-গ্যাসের সবচেয়ে বেশি মজুদ তার মধ্যে এটি অন্যতম একটি অঞ্চল। এখান থেকে চীন যেমন গ্যাস আমদানি করে তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বহুজাতিক সংস্থারও বিনিয়োগ রয়েছে এই দেশগুলোতে। অপরদিকে রাশিয়া ও ভারত চায় পাশ্ববর্তি দেশ হিসেবে তারাও এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করবে। ফলে এই অঞ্চলে চীনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হলে যুক্তরাষ্ট্র যেমন বঞ্চিত হবে তেমনি ভারত, রাশিয়াও বঞ্চিত হবে।
তাই যুক্তরাষ্ট্র চীনকে দমন করতে চায়, তাকে একঘরে করতে চায়। ফলে যুক্তরাষ্ট্র আজ চীনকে চারদিকে থেকে ঘিরে ফেলার নীতি গ্রহন করেছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধেও যুক্তরাষ্ট্র একসময় এরূপ নীতি গ্রহন করেছিল। স্নায়ুযুদ্ধ চলাকলীন সময়ে পশ্চিম ইউরোপের সহায়তায় CONTAINMENT POLICY বা ধারক নীতি প্রয়োগ করে সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর চাপ প্রয়োগ করে তার ক্ষমতা সংকুচিত করা হয়েছিল। চীনের ক্ষেত্রেও আজ একই রকম কৌশল লক্ষ্য করা যায়। ফলে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া দুই বিরোধী শক্তি আজ ভারতকে ব্যবহার করছে। কারণ তাদের লক্ষ্যই হলো চীনকে নিয়ন্ত্র করা। যার ফলে দেখা যায় মার্কিন স্বার্থ বিরোধী না হওয়ায় ভারত-রাশিয়া সামরিক চুক্তিতে তার কোন মাথা ব্যথা নেই, কিন্তু রাশিয়ার সাথে ইরানের এরূপ চুক্তি হলে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ধরনের বাধা আসতো। কারণ এর সাথে তার মধ্যপ্রাচ্যের স্বার্থ জড়িত।
তবে চীনের এই উত্থান শুধু যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বিরোধী তা নয় বরং এটা ভারতের স্বার্থেরও পরিপন্থি। ভারত আজ পাকিস্থানকে যতটা না হুমকি বলে মনে করে তার চেয়ে বেশি হুমকি হিসেবে দেখে চীনকে। কারণ এশিয়ায় তার উঠতি অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির প্রতিদ্বন্দি হলো চীন। ফলে দেখা যায় রাশিয়া-ভারত-যুক্তরাষ্ট্র মিলে চীনের বিরুদ্ধে জোট বন্ধনে আবদ্ধ। কিন্তু এই জোট কতটুকু সফল হবে তা বলা যায় না। কারণ চীনের সাথে রাশিয়ার একধরনের ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিদ্যমান। মতাদর্শগত কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চীন-রাশিয়া এক সাথে কথা বলে। আবার একই সাথে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়াও ¯œায়ুযুদ্ধের সময় থেকেই পারস্পারিক দ্বন্দ্বে লিপ্ত। তারপরও রাশিয়া-ভারত সামরিক জোট ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের রাজনীতিতে একটা বড় প্রভাব বিস্তার করবে এবং ভবিষ্যতে কে কার স্বার্থ রক্ষা করবে তাই হবে দেখার বিষয়।
শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২২
এক্সপেরিয়া বলেছেন: একটা ভূল তথ্য আছে । বৃহত্তম বা আকারের দিক থেকে চীন দিত্বীয় বৃহত্তম । আর জাপান তৃত্বীয় । বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে চীন ২০৩০ নাগাদ আমেরিকাকে ছাড়িয়ে যাবে । +++
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৮
জােহদুল ইসলাম বলেছেন: ভাই এক্সপেরিয়, এখানে আয়তনের কথা বলা হয়নি, বরং অর্থনৈতিক অবস্থার কথা বলা হয়েছে। ২০৩০ সালের কথা বলা হয়েছে কারণ জাপানকে অর্থনৈতিক শক্তির কারণৈ এশিয়ার ড্রাগন হিসেবে আখ্যায়িথ করা হয়। তাই আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে চীনকে জাপানের সাথে তুলনা করা হয়েছে। আর তথ্যটি ভূল নয় এজন্য যে, বিভিন্ন রিপোর্টে বিভিন্নরকম দেখানো হয়েছে। হয়ত আমি যেটি দেখেছি আপনি সেটি দেখেননি। আমি যে লিংক থেকে তথ্যটি পেয়েছি সেটি এই মুহূর্তে আপনাকে দিতে পারছি। পরে দেব আর তখন আপনি একটু দেখে নেবেন কেমন। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২৩
মেঘকন্যা বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৪
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: হুমম