নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পড়াশোনা শেষ করেছি। এখন সঙ্গীত চর্চা করি আব প্রকাশের জন্য লিখা শুরু করছি

মোঃ জিয়াউর রহমান ঢাকা

স্পষ্ট ভাষায় লেখার উদ্যেশ্য নিেয় শুরতেই বলতে চাই। আমার প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য হল। আমি লিখা শিখতে চাই। লিখা পড়ে সবাই মন্তব্য করলে আমি কৃতজ্ঞ থাকব। কাউকে ছোট বা হেও করার জন্য এটি নয়। কারও অনুভুতিতে আঘাত হানার ও ইচ্ছা আমার নাই। তথ্য উপাত্তে সচেতন মানুষ আমি নই আগেই বলে নিচ্ছি। লেখা পড়ে কেউ যদি তথ্য উপাত্ত্য যোগ করেন কৃতজ্ঞ থাকব। বিষয় বস্তু আমার একান্ত ব্যক্তিগত চেতনার। যখন যা মাথায় আসবে, ভাল লাগবে তাই হবে। সব শেষে বলতে চাই যা কিছু ভুল হবে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই। আর মতপার্থক্যর জন্য কমেন্ট অপশনতো থাকল। ।সত্য সুন্দর কল্যানের চর্চা ই হোক অঙ্গিকার।

মোঃ জিয়াউর রহমান ঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন যুদ্ধ

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

প্রতিদিনের মত আজ ও আমি ভালাবাসার খোঁজে গিয়েছিলাম ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরবরে। আমার জীবনটা এখন না এ ভরা, সবকিছুতেই না। আশেপাশের মানুষ গুলো আমাকে দেখে অনবরত যে প্রশ্নগুলো করে তার সব উত্তর না। আমি এখন না এর ভান্ডার। ভাবছি কপালে একটা বড় “না” লিখে নিয়ে ঘুরব। তাহলে কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে, কিছু বলার দরকার হবে না
ছোটবেলায় সুন্দরী মেয়েদের দেখিয়ে বন্ধুদের বলতাম ঐ মেয়েটার সাথে আমার পঞ্চাশ ভাগ প্রেম হয়ে গেছে। বন্ধুরা কিভাবে হল জিজ্ঞেস করলে বলতাম। আমার দিক থেকে তো আমি পুরোপুরি রাজী মানে পঞ্চাশ ভাগ হয়ে গেছে, আর ও রাজি থাকলে? একশ পুরন হয়ে গেল। এখন সেই মজা সাহস দু ই গেছে সময়ের স্রোতে। বন্ধুরা যখন কালের স্রোতে গা ভাসিয়ে নদী পার হয়ে যাচ্ছে তখনও আমি ভাবছি আর ভাবছি। ইদানিং মনে হচ্ছে আমার ভাবনাগুলো চোর আর বাড়ীঅলা নিয়ে যে কৌতুক টা আছে তার মত হয়ে যাচ্ছে।
এতকিছুর মধ্যেও মনটা ভরে যায়, যখন দেখি গাদাগাদি বাসের ভিড়ের মধ্যে কোন যুবক, বয়স্ক কোন মানুষকে সিট ছেড়ে দিচ্ছে, মায়ের হাত ছেড়ে ছোট্র শিশু প্রতিবন্ধি মানুষ কে রাস্তা পার করে দিচ্ছে। মনের মাঝে জেগে ওঠা পশু প্রবৃত্তিগুলো আলোর বেগে কোথায় যেন হারিয়ে যায়। বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে পাই। মন চায় সারা জীবন যদি এমন কাজগুলো করে কাটিয়ে দেয়া যেত তাহলে কতই না ভাল হত। তার কি উপায় আছে? না পারি স্রোতে গা ভাসাতে না পারি সবসময় ভালকিছুর সাথে সম্পৃক্ত থাকতে, উভয় সঙ্কটে আমি। তাই কপালে একটা বড় “না” আমার।
ভাল কাজ দেখলে যেমন বাঁচার মানে খুঁজে পাই। অঘটন দেখে নির্বাক, অর্থব, স্বার্থপর হয়ে উঠি। এত ভয় নিয়ে কি বাঁচা যায়, যুযুর ভয় আমার কাটছেই না। অস্থির লাগে, অসহ্য লাগে। বাসের উঠার জন্য যুদ্ধ আজও করলাম। যুদ্ধে জিতেছে তবু আমি পরাজিত। কলাবাগানে বাসের জন্য অকেটা সময় দাড়িয়ে থাকতে হয়। যেই একটা বাস আসে সবাই দৌড় দেয় উঠার জন্য। প্রতিদিনের মত দৌড় দিলাম, বাসের গেটে অনেক মানুষ, উঠার জন্য ধাক্কা ধাক্কি করছে। আর বাস থেকে কিছু যাত্রি নামছে। আমি ঐ বাস ছেড়ে দিলাম। বাসের গেট থেকে দুরে সরে গেলাম। দৃষ্টি এখনও ঐ দিকেই আমার। একটা রিক্সা লোকজন দেখে থামাল, একজন সাইকেল নিয়ে প্রায় ঢুকে পড়ল লোকজনের ভিড়ের মধ্যে। আর ঐ দিকে যাত্রি নামা না হতেই বাস দিল টান। এক মাঝ বয়সি মানুষ মুখ থুবড়ে পড়ে গেল পিচের রাস্তায়। হাতে বিস্কিট, টিফিন বাটি আরও অনেক কিছু। লোকটা কিছু না বলে ওঠে দাড়াল। বাড়ীর দিকে রওয়ানা হল। আমি পরের বাসের জন্য অপেক্ষা করলাম। বাস এল যুদ্ধ করে উঠে পড়লাম। সিট পাওয়ার জন্য প্রফেসনাল যাত্রীরা যা করে আজ তাই করলাম। আমি তা করি না করতে চাই না। কিন্তু আজ করলাম, সিট দখল হওয়ার পর ছেলেটিকে বসতে বললাম ও কোনমতেই বসল না। আমি বসলাম কিন্তু শান্তি পেলাম না, মনটা কেমন জানি করতে লাগল। আর বারবার মনে পড়তে লাগল মাঝ বয়সী মানুষটার কথা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: শশকের মত জীবন চাই

ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে জীবনে চালিয়ে লাভ কি তাতে ??
কম ভাবুন জীবনে তাহলে পথ এগিয়ে আসবে এমনি তে।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০০

মোঃ জিয়াউর রহমান ঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ অর্বাচীন পথিক আপনার পরামর্শের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.