আইজকা সারা দেশে বাচ্চা পলা পাইন রে ভিটামিন কাপ্সুল খাওনো হইসে।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

একটা ব্যাঙ্ক এ গেসলাম। ম্যানেজার রীতিমত কানতাসে। তার ৫ বছরের পোলারে সেই ক্যাপসুল খাওনো হইসে। এর মধ্যে কে জানি তারে ফোন করে জানাইসে, কোথায় নাকি ২০ তা বাচ্চা মারা গেছে। আমার কাম এর বারোটা। আমি বার বার বুঝাইলাম, ভাই এইটা গুজব। কে শুনে কার কথা।পুরো ব্যাঙ্ক এর লোক সেই টা নিয়া কথা বলতাসে।



একটু আগে আমার ওয়াইফও জানালো চার পাশে ১০, ১২ টা বাচ্চা মারা গেসে। কে বলসে জিগ্গেস করার পর তার সব বাচ্চা ওয়ালা কাজিন আর ফ্রেন্ড এর নাম বলল - যদিও কেও দেখে নাই। আমারে থাঙ্কস দিল,আমি কাল রাতে না করসি বলে। এবং এই প্রথম আমি একটা পসিতিভ কথা শুনলাম আমার লেখা লেখি নিয়ে - আমার উচিত ছিল, এই টা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়ে সবাই কে জানান দেয়া।

যেই দেশে চান্দে সায়েদিরে দেখা যায় সেই দেশে এইরাম হইতেই পারে, সেইটা নিয়া আমার কোনো কথা নাই। কিন্তু আমার কথা হইলো,



১। আমরা পৃথিবীর সব চেয়ে অপুষ্ট জাতি। ফলে পুষ্টির বেসিক জিনিস গুলোর সাথে আমাদের নিশ্চই ভিটামিন ডেফিসিয়েন্সি আছে। কিন্তু টিকা দেয়ার স্টাইল এ, সারা দেশের ধনী গরিব, ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এর অধিক পুষ্ট অধিক ভিটামিন খাওয়া পোলা সহ সারা দেশের বাচ্চা লোক কে, এই রকম ভিটামিন খাওয়ানোর এই সব প্রজেক্ট কার পকেট ভারী করার জন্যে সরকার করে।

২। সরকারী নিউজে দেখলাম , স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলসেন এই ক্যাম্পেইন এ, শিশু মৃত্যু ২৫% কমবে। ভিটামিন এ খাইয়ে আমাদের মন্ত্রী শিশু মৃত্যু ২৫% কমিয়ে দিবেন। উনারে এই বছর স্বাস্থ্য খাতে এই যুগান্তকরি আবিষ্কার এর জন্যে নোবেল দেয়ার প্রস্তাব করতাসি।

Click This Link

৩। আরো দেখলাম তিনি বলসেন , এই ট্যাবলেট খেলে রাত কানা রোগ ৩.৭৬% হতে .০৪% এ নেমে আসবে। ইউনিসেফ সহ ডোনার দের রাতকানা রোগ নিয়া অবসেশন ডকুমেন্টারী বানানোর মত ব্যাপার। আমার জীবনে এত বাচ্চা দেখলাম, এত রোগ দেখলাম, এত গ্রাম এ ঘুরলাম, কিন্তু একটা রাতকানা রোগী দেখলাম না। হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হইয়া যায়।



৪। আচ্ছা মানলাম। এইটা ভালো। কিন্তু আমাদের জাতীয় গড় ওজন কমতাসে প্রতি বছর।এইটা নিয়া সরকার এর প্লান কি। বছরে এই রকম কি টা দিন, সারা দেশের বাচ্চা দের কে মাছ, মাংশ দুধ খাওয়ানোর প্লান আছে নাকি। আমি সিরিয়াস।

১ টি +০/-০