![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu
ঢাকা শহরের সব বিলবোর্ড দখল করে আওয়ামী লীগ এর গুনকীর্তন করাটার আরও কয় একটা এঙ্গেল আছে। সেই গুলো দেখা দরকার।
ক। ক্ষমতার জোরে ব্যবসায়ীদের তাদের সার্ভিস এর মুল্য পরিশোধ না করে , কোন ধরনের ওয়ারনিং না দিয়ে এই ভাবে বিলবোর্ড দখল করাটা ক্ষমতার অপব্যবহার এবং প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির এবং লুটেরাবাজির সর্বোচ্চ উদাহরন। জনসম্মুখের একটা ইস্যুতে তারা যে ভাবে জনপ্রতিক্রিয়ার ও সমালোচনার ভয় না করে এই ধরনের একটা ডাকাতি করতে পারে , আড়ালে তারা কি করতাছে তা বুঝে নিতে আইনস্টাইন হতে হয়না।
খ। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে দেখলাম, ইনু মন্ত্রী বলতাছে সে কিছু জানেনা। প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলতাছেন উনিও কিছু জানেননা। আরেক জায়গায় আসছে, প্রধানমন্ত্রী দপ্তর দেখে ডাইরেক্টলি এইটা কোরডিনেট করা হইছে, সো সবাই জানে। আমরাও জানি সবাই জানে। না জানার কিছু নাই।
কিছু দিন আগে, ব্রিটেনের ক্রিস হুন নামে একজন মন্ত্রী তার ১০ বছর আগে গাড়ি জোরে চালানো নিয়ে একটা মিথ্যা কথা বলা ফাস হওয়ার পর , জেল খাটছে, মন্ত্রিত্য থেকে বহিষ্কৃত হইছে। কিন্তু আমাদের নীতি নৈতিকতা এমন একটা লেভেল এ পোউছাইছে, যে এরা যেমন ইচ্ছা তেমন মিথ্যা কথা বলতে পারে। এদের সামান্যতম লজ্জা হয়না। আমাদের সরকার এর পেথলজিকাল লায়ার মন্ত্রী মিনিস্টাররা ধরে নিছে, তারা এখন যে কোন মিথ্যা কথা বলতে পারে, যে কোন কিছু দখল করতে পারে, তাতে তাদের কিছু হবেনা। তাই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে যে কোন ধরনের মিথ্যা কথা বলতে আর তাদের বাধে না, কারন তারা জানে এই রাষ্ট্রের সব স্ট্রাকচার ধ্বংস করে দিয়ে, কোর্ট কে সরকার এর দাসানুদাস বানিয়ে ফেলার কারনে তাদের কোন বিচার হবেনা কখনও ।
গ। আওয়ামী লীগ সিটি করপরেসানের শোচনীয় পরাজয় থেকে এই শিক্ষা নিছে যে, তাদের উন্নতির খবর মানুষের কাছে পৌছায় নাই। সো এখন তাদের কাজ হল প্রচার করা। তারা এমন একটা মাইন্ডসেটে আছে, তারা নিজেদের মিথ্যা নিজেরাই বিশ্বাস করে। এবং শেখ হাসিনার পাশে তাকে সত্যি কথা বলার মত কেউ নাই।
ঘ। এই বিলবোর্ড গুলো আওয়ামী লীগ কি করছে নয়, বরং আওয়ামী লীগ কি করে নাই, তা যাচাই করার সুযোগ করে দিছে আমাদের । এই বিলবোর্ড গুলো তে আওয়ামী লীগ তাদের সব অর্জন এর লিস্ট করছে । ভাল। এখন যেই কয়টা রাস্তা বা ব্রিজ বা প্রজেক্ট করছে বলে সরকার দাবী করতাছে, তাকে কোয়ানটিটিভলি যাচাই করে দেখেন, কত হাজার কোটি টাকা হয়।
আমাদের গত বছরের বাজেট বা সরকারি খরচ ছিল ১২০ হাজার কোটি টাকা। তার আগের তিন বছর মিলে বাজেট এর মোট যোগফল হবে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। ফলে, ৩৫০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে , যে প্রজেক্ট গুলো কথা বিলবোর্ড দিচ্ছে, তাতে দেখবেন, ৫০ হাজার কোটি টাকাও হয় নাই। সো, এই বিলবোর্ড গুলো দেখে বরং আমাদের প্রশ্ন জাগে আওয়ামী লীগ এর প্রতি , বাকি ৩০০ হাজার কোটি টাকা কি করছেন ? হিসাব দেন। এইটা আমার ট্যাক্স এর টাকা। গরীব মানুষের টাকা। আমার সন্তানকে যে লোণ পরিশোধ করতে হবে তার টাকা।
ঙ। @আসিফ এন্তাজ রবি ভাই এর একটা পোস্ট দেখছিলাম। উনি লিখছিলেন, উন্নয়নের ফিরিস্তি না গেয়ে আওয়ামী লীগ যদি বিলবোর্ড দিত, আমরা দুক্ষিত আমাদের দুঃশাসনের জন্যে তাহলে তারা আগামি ইলেকশানের অনেক বেশি ভোট পেত।
উনার কথাটা দারুন। আওয়ামী লীগ এর আরও উচিত ছিল বলা, দুঃখিত দেশবাসি, আমরা পাঁচ বছরে দেশ টাকে শুধু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ বিপক্ষ দুই পক্ষে ভাগ করি নাই, দেশের মানুষকে পুলিশ দিয়ে পাখির মত গুলি করে মারছি, প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদিদের উস্কে দিয়ে রাস্তায় টেনে আনছি, তাদের রাজনীতিতে তে মেইনস্ট্রিম করছি, প্রশাসনকে সম্পূর্ণ ভাবে আওয়ামীলিগি করন করছি এবং সারা দেশের প্রতিটা দখল যোগ্য জমি, আকাশ, নদি, ব্রিজ, কাল্ভারট, বাজার, স্কুল আমরা দখল করছি। এর জন্যে বিলবোর্ড টাঙ্গিয়ে আমরা দুক্ষ প্রকাশ করতাছি, আমাদের মাফ করে দিয়েন।
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: এই চোরদের গুষ্টি চুরি ছাড়া আর কিছুই পারেনা। সাড়ে চার বছরে এক লাখ কোটি তো মারছেই মনে হয়। এখন কি বিল বোর্ড ভাড়া করবার টাকা নেই? সব পাঠিয়ে দিছেন আমেরিকা আর কানাডায়?
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৪
নাম বলবো না বলেছেন: চোরের মত বিলবোর্ড টানিয়ে প্রচারে কোন লাভ হবেনা, বরং ক্ষতিই হবে।