নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলা শেষে গোধূলির রং মেখে নীড়ের টানে ফিরে আসা বাঁধন\'হারা পথিক…

জেড আই অর্ণব

আমার নিজেস্ব কোন পরিচয় নেই, সহজাতই আমি মানুষের ফ্রেমে বন্দী এক অজ্ঞাতনামা✔

জেড আই অর্ণব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বনলতা\'র মুখোমুখি একদিন

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০২

--কতক্ষণ এলে?
চোখে চোখ তুলে তাকালাম মেয়েটির দিকে। বিষণ্ণ দুপুরে নিজেকে আড়াল করে যেমন ঘুঘু তার একাকীত্বের ঘোষণা দেয় তেমনি মেয়েটি নিজেকে আড়াল করতে চাইলো। এতো দিন পরে চোখাচোখি, হয়তো লজ্জায় পরে গেছে। আমি চোখ নামিয়ে নিলাম। মেয়েটি আবার বললো,,,
--কিছু বললে না যে?
-- দুই বসন্ত পেরিয়েছে।
--কেমন আছো?
--এখনো কৌতূহলী আছো, জানতাম না!!
--উত্তরগুলো গুছিয়ে দিলেও পারো।
--পরকীয়া হচ্ছে না?
-- কেন ডেকে পাঠিয়েছি জানতে চাইলে না?
ঘাড় বাকিয়ে মেয়েটির দিকে তাকালাম। নাকে নোলক নেই। বাঙ্গালি বধূর সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে কি? কয়েক সেকেন্ড পর বললাম,
--কৌতূহল নেই আমার।
--বদলাও নি একটুও।
--ধ্রুব বদলায় না পাগলী
-- অনেক দিন পর,,,
-- সন্তুষ্ট হবার কিছু নেই, অবুঝ মেয়েদের পাগলী বলা যায়।
--জানতাম না।
-- সবাই সব কিছু জানে না।
--তারপর কি করছো?
--এমন প্রশ্ন কর যেগুলোর উত্তর তোমার জানা নেই।
--খুঁজে পাচ্ছি না এখন
--আমি খুঁজে দেবো?
--না, বনলতা কেমন আছে?
--সে এখন নোলক পরে না।
মেয়েটি নাক চুলকিয়ে বলে
--গৃহত্যাগী নারীর নোলক স্যাকরা'র সিন্দুক'বন্দী থাকে।
--গৃহত্যাগী নারী ঘোমটা দেয় কি??
মেয়েটি আমার দিকে এক ঝলক তাকিয়ে বললো
--থাকার একটা ঘর চাই আমার।
--সন্ন্যাসী'দের ঘর নেই
--একটা বুক আছে জানি
--আজ উঠি
--কোন প্রশ্নেরই উত্তর পাইনি
--জীবনানন্দ'কে খুঁজে পাই আগে, উত্তর তিনি জানেন।
উঠে দাঁড়ালাম। যাকে দেখলে মায়া বাড়ে, তার কাছ থেকে দূরে দূরেই থাকা ভালো। মায়া খুব খারাপ জিনিস। বনলতা পেছন থেকে ডাকলো আমায়
"অর্নব?" আমি পিছু না ফিরে হাঁটিছি আপন মনে। হঠাৎ কোথা থেকে যেন একটা ঘুঘু ডেকে উঠলো, কাতর কণ্ঠে,,,, সেই ডাকের মানে আমি জানি, কিন্তা তা আর সম্ভব না।
#কথোপকথন-২

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: ফেরা হয়েছিল?

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

জেড আই অর্ণব বলেছেন: সব সময় চাইলেই কি ফেরা যায়??

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৩

পুলহ বলেছেন: আপনার লেখার হাত এবং অনুভূতির উপলব্ধি যথেষ্টই পরিণত। এ লেখাটা এক্সেপশনাল হয়েছে। কন্টেন্ট পরিচিত হলেও উপস্থাপনা শৈল্পিক এবং অনবদ্য।
চোখে চোখ রাখার ব্যাপারটা বোধহয় আপনার খুব প্রিয়। যদিও এটা ছাড়া আপনার আর কোন লেখা 'থরো' পড়ি নি, কিন্তু কয়েকটা পোস্টে চোখ বুলিয়ে যাওয়ার সময় একাধিকবার চোখে চোখ রাখার বিষয়টা নজরে এসেছে।
শুভকামনা জানবেন গুণী লেখক!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

জেড আই অর্ণব বলেছেন: তেমন ভালো অবিজ্ঞতা নেই, তারপরও চেষ্টায় ত্রুটি রাখি'নি। চোখাচোখি'র ব্যপারটা এড়াতে চাইলেও বারবার চলে আসে। পছন্দের বিষয়গুলো মন সব সময় গেঁথে রাখে, তাই হয়তো।
যাহোক, কৃতজ্ঞতা রইলো। চেষ্টা করবো এমন এক্সেপশনাল আরো উপস্থাপন করার। আশা রাখি পরবর্তী'তে চোখ না বুলিয়ে আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবে। শুভ রাত্রি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.