![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনের বাগিচা পায়ে দলে হালের অবার্চীন, মুখোশের অন্তরালে তারা মরুয়তে দীন
রাতে খাওয়ার পরে সাকোর উপরে কয়েক জনকে নিয়ে বসলো রুদ্র। এক এক করে সবার কাছে তাদের কাজের অগ্রগতি জানতে চাইলো। মামাতো ভাই আরমান জানালো, চার জন দোকানদার সকালে ওর সাথে দেখা করেছে। আর রাতে দুই জনের সাথে তাদের বাড়ি গিয়ে ও দেখা করেছে। এই ছয় জন চন্দ্রের বিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারে নি। বাকিরা কাল সকালে এখানে এসে ওর সাথে দেখা করবে। সেই সাথে জেলার প্রতিটি গ্রামে তিন জন করে বিশ্বস্ত লোকের লিস্ট তৈরি করা শুরু করেছে ও। ইতিমধ্যে দশটা গ্রামের তিন জন করে ত্রিশ জনকে সিলেক্ট করা হয়েছে। সবগুলো গ্রাম কমপ্লিট করতে একটু সময় লাগবে। আশা করছে কালকের মধ্যে সেটা ও করতে পারবে। লিস্ট তৈরি সম্পন্ন হলে তাদের সাথে দেখা করা শুরু করবে। আরমান ওর কাজের অগ্রগতি জানানোর পরে বললো- এ বিষয়ে নানুর সহযোগিতা নিলে ভালো হতো। সব গ্রামেই নানুর বিশ্বস্ত লোক আছে।
রুদ্র দ্বিমত করে বললো- না। নানুর সোর্স আর আমাদের সোর্স পুরোপুরি আলাদা হবে। তাহলে আমরা ক্রোস ম্যাচিংয়ের সুযোগ পাবো। নানুর সাহায্য নিলে তার এবং আমাদের তথ্যের সুত্র একই হবে। তখন ক্রোস ম্যাচিংয়ের সুযোগ থাকবে না। পরবর্তিতে আমরা সন্দেহ জনক কোন তথ্যের ক্ষেত্রে আমাদের, নানুর এবং পুলিশের তথ্য ক্রোস ম্যাচিং করবো। মনে রাখবে নিরহ কারো উপরে আমরা অত্যাচার করবো না। আর যে অপরাধি তাকে কঠোর সাজা দিবো। তাই তথ্যের ক্রোস ম্যাচিং জরুরি। এ সব তোমাদেরকে আমি পরে জানাবো, আগে তথ্য সংগ্রহের জন্য লোক সিলেক্ট করো।
- ঠিক আছে।
আরিফ জানালো, ও কয়েক জনকে নিয়ে একটা টিম গঠন করেছে। ওদেরকে নিয়ে মেলা থেকে শহর পর্যন্ত রাস্তার পাশে যতো বাড়ি, দোকান, মসজিদ ছিলো সবার সাথে আবারও কথা বলেছে। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সকে কেউ কোথাও দাড়াতে দেখে নি। স্থানিয় যারা ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের নার্স এবং ল্যাব টেকনিশিয়ানকে সাহায্য করেছিলো তাদের সাথে কাল কথা বলবে।
রুদ্র আরিফকে বললো- তাদের কাছে জানতে চাইবে যখন অ্যাম্বুলেন্সটা মেলা থেকে চলে যেতে ধরে ঠিক সেই মুহুর্তে তারা সন্দেহ জনক কিছু দেখেছে কিনা? আর অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারের সাথে আমাদের কথা বলা হয় নি। তার সাথেও দেখা করো।
- ঠিক আছে। কালকের মধ্যে এ সব করে ফেলবো।
মামাতো ভাই আরশাদ জানালো, মেলা কমিটির বাকি তিন সদস্যদের সাথে কথা হয়েছে। সবাই একই কথা বলছে। সার্কাস পার্টি আনতে তাদেরকে কেউ প্রভাবিত করে নি। উপযাচক হয়ে কেউ টাকাও দেয় নি।
চাচাতো ভাই আজমল জানালো, ও পনেরো জনের একটা টিম তৈরি করেছে। তারা ফুলছড়ি থেকে চিলমারি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। ও নিজে তিনটা চরে গিয়েছে। পাচ দিনের মধ্যে রুদ্রের চাহিদা মতো সমস্ত চর এবং যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের তথ্য ও দিতে পারবে।
রুদ্রের বড় ভাই রুমন জানালো- চোর, পকেটমার, অভিনয় প্রশিক্ষক, মেকআপ ম্যান, তালাচাবির মেকার এবং বিভিন্ন কন্ঠে কথা বলার মতো লোকের সন্ধানে ও লোক লাগিয়ে দিয়েছে। কালকের মধ্যে এদের সেরাদের খোজ পাওয়া যাবে। এক জন ক্যারাটে মাস্টারের সন্ধান পাওয়া গেছে, শহরে। তার সাথে কথা বলার জন্য এক জনকে দায়িত্ব দিয়েছি। সেরা কুস্তি প্রশিক্ষক পাওয়া গেছে দারিয়াপুর বাজারে। নাম রুস্তম সর্দার। তার সাথে আমি দেখা করেছি। কিন্তু তিনি তোকে কুস্তি শেখাতে রাজি হন নি।
- কেন?
- তোর বয়স কম। আর তুই শর্টকার্টে শুধু কিছু কৌশল শিখবি। তার কাছে মনে হয়েছে, কুস্তি শেখার যোগ্যতা এবং ধৈর্য্য কোনটাই তোর মধ্যে নেই। কুস্তিকে তুই ছেলে খেলা ভেবেছিস। তুই কুস্তির অনেক কিছুই জানিস সেটা বলার পরেও তিনি রাজি নন। বলেছেন, তুই যদি কুস্তির সব কিছুই জানতিস এবং কুস্তি লড়ার মতো বড়ও হতিস তাহলেও তোকে উনি কুস্তি শেখাতেন না।
রুদ্র ভুরু কুঞ্চিত করে বললো- কেন?
- সামনের মাসে দারিয়াপুরে কুস্তির প্রতিযোগিতা আছে। সেই লড়াইয়ের জন্য এক জনকে উনি প্রস্তুত করছেন। ওনার সময় নেই।
- সময় তো আমারও নেই। আমি কাল ওনার সাথে দেখা করবো। আমাদের কুস্তি প্রশিক্ষক বাহাদুর ওস্তাদকে বলে রাখ্, কাল উনিও আমাদের সাথে দারিয়াপুরে যাবেন।
- ঠিক আছে আমি রাতেই ওনাকে বলে রাখছি।
এমন সময় ফাহিমেরা দিনাজপুর থেকে ফিরলো। সোজা রুদ্রের কাছে চলে এলো ওরা। কিন্তু ওরাও চন্দ্রকে কিডন্যাপের বিষয়ে কোন সুত্র দিতে পারলো না। সার্কাসের গাড়িগুলো ওরা ভালো করে চেক করে দেখেছে, সন্দেহজনক কিছু পায় নি। কোন গাড়ি পাল্টানো হয় নি, গাড়িগুলোতে কোন চোরা কুঠুরিও ছিলো না। সার্কাস দলের সবার সাথে ওরা কথা বলেছে, কারো কথায় সন্দেহ জনক কিছু পায় নি।
রুদ্র জানতে চাইলো- খেলা দেখানোর সময় মেয়েটি সাইকেল থেকে পড়ে গিয়েছিলো কেন?
ফাহিম বললো- মেয়েটির নাম মহুয়া। সে একটা ছেলেকে ভালোবাসে। ছেলেটি ভালো নয়, মাস্তান টাইপের। যেদিন মেয়েটি সাইকেল থেকে পড়ে যায় ছেলেটি সেদিন মেলায় জুয়া খেলতে এসেছিলো। জুয়াতে সব টাকা হারিয়ে মহুয়ার কাছে টাকা চায় কিন্তু মহুয়া টাকা দেয় নি। এতে ছেলেটি রেগে গিয়ে মহুয়াকে গালি দিয়ে যাচ্ছেতাই বলে। একটা চড়ও দেয়। খেলা দেখানোর সময় এ সব মনে হলে মহুয়া অসতর্ক হয়ে পড়ে এবং সাইকেল থেকে পড়ে যায়।
- মহুয়ার কথার সত্যতা যাচাই করেছিলে?
- হ্যা। ছেলেটার সাথে কথা হয়েছে। সে প্রথমে মহুয়ার কথা অস্বিকার করে। পরে পুলিশ কয়েকটা লাঠির বাড়ি দেয়ায় সব স্বিকার করেছে।
রুদ্র এবার সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললো- চন্দ্রকে যারা কিডন্যাপ করেছে তাদের বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত কোন তথ্য খুজে পেলাম না। কালো বাদুর যে চন্দ্রকে কিডন্যাপ করেছে সেটারও কোন নিশ্চয়তা আমরা পাই নি, শুধু ধারনা করছি মাত্র। অথবা এমনও হতে পারে আমরা যে সব তথ্য সংগ্রহ করেছি সে সব পরিপুর্ন নয়। জরুরি কোন তথ্য আমরা এড়িয়ে গেছি। কিংবা যে সুত্র পেলে কিডন্যাপারদের পরিচয় আমরা জানতে পারবো সে সুত্রের ধারে কাছেও আমরা যেতে পারি নি। তবে আমরা এখনো সব তথ্য পাই নি। মেলার সময় আবাসিক হোটেলগুলোতে যারা ছিলো তাদের তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব নানু নিয়েছেন। সে সব তথ্য এখনো আমরা পাই নি। মেলার কিছু দোকানদারদের সাথে কথা বলা এখনো বাকি আছে। বাকি আছে অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারের সাথে কথা বলা এবং ব্লাড ডোনেশনের ক্যাম্পে স্থানিয় যারা সহযোগিতা করেছিলো তাদের সাথেও কথা বলা সম্ভব হয় নি। এ সব তথ্য হাতে আসার পরে প্রয়োজনে আমাদেরকে নতুন ভাবে ভাবতে হবে। তোমরা এখন থেকেই ভাবা শুরু করো। যুক্তি দিয়ে ভাবার চেষ্টা করবে। এমনও হতে পারে আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তাদের কেউ মিথ্যে বলেছে। প্রয়োজনে তাদের সাথে আমাদেরকে আবারও কথা বলতে হবে। যদি কখনো এমন প্রয়োজন হয় তবে সেক্ষেত্রে আমরা এবার কঠোর হবো। সেক্ষেত্রে নিরপরাধিরাও হয়তো সাজা পাবে। তবে তোমরা নিশ্চিত না হয়ে কখনো কারো অঙ্গহানি করো না। সাজাটা এমন পর্যায়ে রাখবে যাতে নিরপরাধি হলে তার ক্ষতিপুরন করা সম্ভব হয়। তোমরা যদি কারো সাথে কঠোর আচরন করো, অর্থাত মারধর করো তবে আগে পুলিশের সাথে কথা বলার চেষ্ঠা করবে। পুলিশ সুপারের সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাদেরকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে পুলিশকে বিশ্বাস করার দরকার নেই। কারন সৎ পুলিশ যেমন আছে তেমনি অসৎ পুলিশেরও অভাব নেই। পুলিশের ভিতরে কেউ কিডন্যাপারের লোক আছে কিনা সেটা আমরা জানি না। যদি তোমাদের এমন মনে হয়, তোমরা যা করতে চাচ্ছো সেটা কিডন্যাপাররা আগে জেনে গেলে তোমাদের কাজে সমস্যা হতে পারে সেক্ষেত্রে পুলিশকে আগে জানানোর প্রয়োজন নেই। কাজ করার পরে যখন মনে হবে এখন কেউ জানলেও সমস্যা নেই কেবল তখন জানাবে। আর কোন সমস্যা যদি নিজেরা সামলাতে না পারো এবং সেই মুহুর্তে যদি আমাকে না পাও তাহলে সেটা সরাসরি নানুকে জানাবে। সম্ভবত কিডন্যাপাররা এখন ঘাপটি মেরে বসে আছে, তারা কোন সমস্যার সৃষ্টি করবে না। তারপরেও তোমরা চোখকান খোলা রেখে চলবে। আরেকটা বিষয় মনে রাখবে, আমরা যদি কিডন্যাপারদেরকে ধরে ফেলার মতো কোন সুত্র পেয়ে যাই তাহলে তারা পরবর্তি সুত্র নষ্ট করার চেষ্টা করবে। তখন তারা পরবর্তি সুত্রকে হয় গুম করবে অথবা খুন করবে। অথবা আমরা কোন সুত্রের কাছাকাছি চলে গেলে তখন তারা সে সুত্রকেই উপড়ে ফেলার চেষ্ঠা করবে। তোমরা যাদের সাথে দেখা করেছো, কথা বলেছো তাদের বিষয়ে নিয়মিত খোজ রাখবে। এদের ভিতরে কেউ যদি খুন হয় বা গুম হয় তাহলে সেটা সাথে সাথেই আমাকে জানাবে। আমাকে না পেলে নানুকে জানাবে। যেহেতু আমরা এখনো নিশ্চিত ভাবে কিছু জানতে পারি নি তাই এবার ধারনা থেকেই শুরু করবো আমরা। যত দিন নিশ্চিত কিছু জানতে না পারবো ততো দিন এক এক করে ধারনাগুলো শেষ করবো। কারন ধারনাই এখন আমাদের ভরসা।
রুমন জানতে চাইলো- তুই কোথা থেকে শুরু করতে চাচ্ছিস?
- আমি খুব শিঘ্রই কালো বাদুরকে ধাওয়া করবো। এটা ছাড়া আর কোন ধারনা এই মুহুর্তে নেই। তবে তার আগে প্রশিক্ষনগুলো নিবো। কারন কাউকে ধাওয়া করতে যেয়ে মাঝপথে মরে যেতে আমি রাজি নই। চন্দ্রকে উদ্ধার করার আগে আমি মরতে চাই না। মরতে হলে চন্দ্রকে উদ্ধার করার পরে মরবো। তাই কালো বাদুরকে ধাওয়া করতে কিছু দিন দেরি হলেও আগে আমি প্রশিক্ষনগুলো শেষ করবো। এর মধ্যে বাকি তথ্যগুলোও ইনশাল্লাহ আমাদের হাতে চলে আসবে।
মামাতো ভাই আরশাদ বললো- আমরা তোর কোন ক্ষতি হতে দিবো না। কালো বাদুরকে যখন তুই ধাওয়া করতে শুরু করবি তখন সব সময়ই আমরা তোর পিছনে ছায়া হয়ে থাকবো। আমরা সবাই তোর সাথে আছি। চন্দ্রকে উদ্ধার করার আগে ইনশাল্লাহ আমরা কেউ মরবো না।
রুদ্র আরশাদের কথার জের টেনে বললো- হ্যা, আমরা অনর্থক কেউ মরবো না। ওকে উদ্ধার করার পর যদি কেউ মরি তবে সে মৃত্যু সার্থক হবে। তাই ওকে উদ্ধার করার আগে আমাদেরকে সাবধানে পা ফেলতে হবে। আমাদের পাশেই কোন কালপ্রিট থাকা আশ্চর্যজনক নয়। আমার বিশ্বাস স্থানিয় কেউ এই কিডন্যাপিংয়ের সাথে যুক্ত আছে। আমি সেই কালপ্রিটটাকে ধরতে চাই। আরমান ভাই, এই কালপ্রিটটাকে খুজে পেতে তোমার সংগৃহিত তথ্য গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখতে পারে। প্রতিটি গ্রামে তুমি যে লোকগুলোকে সেট করবে তাদের দেয়া তথ্য বিশ্লেষন করলে হয়তো সেই বিশ্বাস ঘাতককে আমরা পেয়ে যেতে পারি। তুমি তোমার লোকদেরকে মাকড়সার জালের মত পুরো জেলায় ছড়িয়ে দাও। এই মাকড়সার জাল এমন হতে হবে যাতে জালের যে কোন এক জায়গায় একটু টোকা লাগলেই তুমি কেন্দ্রে বসে সেটার আচ পাও। আর আজমল ভাই, তোমার তথ্যের উপরে নির্ভর করবে কালো বাদুরকে কিংবা কালো বাদুরের নাম নিয়ে যারা চন্দ্রকে কিডন্যাপ করেছে বলে আমরা ধারনা করছি তাদেরকে ধরতে কতটা সময় লাগবে। চরগুলোর এবং যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের নিখুত তথ্য আমার চাই। আরশাদ ভাই, তুমি একটা দায়িত্ব নাও। চন্দ্রের সার্কাসের প্রতি দুর্বলতা যারা জানে তাদের লিস্ট তৈরি করো। আমরা যারা ওর এই দুর্বলতার কথা জানি তাদেরকেও প্রথমে লিস্টে রাখবে, কাউকেই বাদ দিবে না। আমাদের মাধ্যমে আর কারা জানে তাদের এবং তাদের মাধ্যমে আরো কেউ জানে কিনা, সব, সবগুলোর লিস্ট তৈরি করো। আর একটা লিস্ট তৈরি করবে ধারনার উপরে নির্ভর করে। অর্থাত তুমি বা তোমরা কেউ শিওর না কিন্তু সার্কাসের প্রতি চন্দ্রের দুর্বলতা যাদের জানার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করবে তারা থাকবে এই লিস্টে। প্রয়োজনে প্রতিটি লোককে কৌশলে জিজ্ঞেস করে জানার চেষ্টা করবে চন্দ্রের দুর্বলতা সে জানে কিনা? হয়তো এই লিস্ট থেকেও আমরা বিশ্বাসঘাতকটার খোজ পেয়ে যেতে পারি। আহমদ ভাই, মেলায় খুনের সময় খুনের স্থানে যে অপরিচিতদের স্কেচ পুলিশ আকিয়ে নিয়েছে সে স্কেচ থানা থেকে তুমি সংগ্রহ করবে। ফাহিম ভাই, দিনাজপুরে যাতায়াত করে তোমরা নিশ্চয়ই অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছো। তাই কাল তোমরা পুরোপুরি বিশ্রাম করো, তারপর তোমরা কাজে নামো। এবার তোমরা সবাই ঘুমাতে যাও। রাতে ঠিক মতো ঘুমাবে যাতে দিনে নবউদ্যামে কাজ করতে পারো। সময় মতো খাবে যাতে শরির ভেঙ্গে না যায়। চন্দ্রকে আমরা উদ্ধার করবোই ইনশাল্লাহ।
কিছুক্ষন পরে একে একে সবাই চলে গেলো। রুদ্রের সাথে শুধু আবুল বসে রইলো। পুকুরের চারদিকে মিটমিট করে অসংখ্য জোনাকি জলছে। পানিতে মাঝে মাঝে শব্দ হচ্ছে, মাছের জোরে সাতার কাটার শব্দ। সে শব্দের চেয়েও আরো বড় শব্দ হচ্ছে রুদ্রের হৃদপিন্ডে। সে শব্দ অসহনিয় ব্যাথার শব্দ, যেটা ওর শরিরকে ধিরে ধিরে গ্রাস করে ফেলছে। চন্দ্রকে উদ্ধার করার আগে এই যন্ত্রণা থেকে ওর মুক্তি নেই। কিন্তু যখন ও চন্দ্রকে খুজে পাবে তখন কি ওর চন্দ্র বেচে থাকবে! যন্ত্রণায় ওর পুরো শরিরটা হঠাত মোচর দিয়ে উঠলো। ও কি সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে পারবে ওর প্রানপ্রিয় স্ত্রি চন্দ্রকে?
চলবে........
চন্দ্র উপন্যাসের ভুমিকা ও পর্ব সমুহের সুচিপত্র
©somewhere in net ltd.