নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.. তবুও আমি আঁধার পথিক, আঁধারের অতিথি হয়েছি আজ বিনা নোটিশে। ঘুম নেই চোখে, ক্লান্তি নেই চরণে... জানি না চলছি কোন্ মেঠো পথ ধরে! *facebook.com/shimulzia *facebook.com/ziaulshimul *ziaulshimul.blogspot.com

জিয়াউল শিমুল

মনের বাগিচা পায়ে দলে হালের অবার্চীন, মুখোশের অন্তরালে তারা মরুয়তে দীন

জিয়াউল শিমুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

চন্দ্র ।। পর্ব - ২৫

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬

ফজরের নামাযের পরে নানা বোরহান উদ্দিনের সাথে কথা বললো রুদ্র। নানাকে স্কুলে যাওয়ার কথা জানালো। তবে স্কুলে গিয়ে ও যে কালো বাদুরের খোজ করবে সেটা বললো না। সেটা ও জানাতে চায় না। কারন জানালে তিনি হয়তো নিষেধ করবেন অথবা ওর পিছনে লোক লাগিয়ে দিবেন যাতে অন্য কেউ ওর কোন ক্ষতি করতে না পারে। কিন্তু ও যখন কালো বাদুরের পিছনে ছোটা শুরু করবে তখন কেউ ওকে ছায়ার মতো অনুসরন করুক সেটা ওর কাম্য নয়। এতে করে কালো বাদুর টের পেয়ে যেতে পারে। এবং ওর কৌশল ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। কালো বাদুরের পিছনে একাই ছুটবে ও। বাকিদেরকেও বলে দিয়েছে রুদ্র, নানা বোরহান উদ্দিনের কানে এ কথাটা যেন না যায়।

বোরহান উদ্দিন নাতিকে বাধা দিলেন না। তিনি আসলে কাউকে বাধাও দেন না। সবাইকে সবার মতো করে চলতে দেন। তবে কখনো বাধা দিলে তার অবাধ্য হওয়ার সাধ্য কারো নেই। অন্যায়কে তিনি কখনো প্রশ্রয় দেন না। তাই অন্যায় কিছু করার সাহস এ বংশের কারো নেই। অন্যায় ছাড়া যে কেউ নিজের মতো করে চলতে পারে। বোরহান উদ্দিন রুদ্রের অনুরোধে স্কুলের হেড স্যারকে একটা চিঠি লিখে দিলেন। লিখলেন, রুদ্রকে যে কোন সময় হোস্টেল থেকে বেড় হতে যেনো বাধা দেয়া না হয়। রুদ্রর মা ফারহানা বেগম প্রথমে বাধা দিলেও পরে রাজি হলেন। রুদ্র বাড়ি থেকে বেড় হওয়ার আগে মামাতো ভাই আরশাদকে বললো- আরশাদ ভাই, আমি স্কুল থেকে হয়তো সরাসরি চরগুলো দেখতে যাবো। তারপর সুযোগ বুঝে ফাইনালি কালো বাদুরের পিছনে লাগবো। চরের টিমের দায়িত্ব আজমল ভাইকে দাও। আজমল ভাই এ কয়েক দিন চরের এবং যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের তথ্য সংগ্রহ করায় এগুলো সম্পর্কে আমাদের অন্যদের চেয়ে ও বেশি ভালো জানে। আজমল ভাইকে বলবে, কয়েক দিন বালাসি ঘাটে বিকেল পাচটায় তার টিমের এক জনকে রাখবে। আমি যে কোন দিন তার সাথে দেখা করবো। তার মাধ্যমে আমি জানাবো তোমার সাথে কখন কোথায় দেখা করবো।

- ঠিক আছে। তুই সাবধানে থাকিস। যাই করিস না কেন অবশ্যই আমাকে জানাবি।

সব শেষে চন্দ্রের বড় ভাই আবিরের সাথে দেখা করে রুদ্র বললো- আবির ভাই, চিন্তা করো না। আমরা চন্দ্রকে অবশ্যই খুজে বেড় করবো। কিছু দিন পরে ইনশাল্লাহ অপহরনকারিরা লুকানোর জায়গা পাবে না। তুমি মামিকে দেখো। নিজে থেকে কখনো কিছু করতে যেয়ো না। আরশাদ ভাই যেভাবে বলে শুধু তাই করবে।

- ঠিক আছে। তুই সাবধানে থাকিস।

- অবশ্যই সাবধানে থাকবো।

আবুলকে নিয়ে বিকেলে স্কুলের হোস্টেলে চলে এলো রুদ্র। অনেকেই ওর সাথে দেখা করতে এলো। চন্দ্রের কথা ওরা কেউ জানে না। হোস্টেলের মধ্যে শুধু আবুলই সেটা জানে। প্রথমেই চরের আশপাশে যাদের বাড়ি তাদের সাথে কথা বললো ও। কালো বাদুরের নাম তারাও শুনেছে কিন্তু কেউ কোন তথ্য দিতে পারলো না। সিনিয়র ভাই মিজুর কাছে যখন কালো বাদুর সম্পর্কে রুদ্র জানতে চাইলো তখন মিজু অবাক হয়ে বললো- কালো বাদুরের তথ্য জেনে তুমি কি করবে?

মিজুর বাড়ি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ ঘাটের পাশে। মিজুর আরেকটা পরিচয় আছে, ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের নার্স তাহমিনা ওর ভাবি। মিজুর প্রশ্নের উত্তরে রুদ্র বললো- আমাদের পাশের গ্রাম থেকে গত বছর দুইটি ছেলেমেয়েকে কালো বাদুর অপহরন করে। তাই কালো বাদুরের বিষয়ে আমার আগ্রহ জন্মেছে। আপনি কি ওদের সম্পর্কে কিছু জানেন?

- তেমন কিছু জানি না। একটু আধটু শুনেছি।

- কি শুনেছেন সেটা বলুন। বিস্তারিত।

- শুনেছি ব্রিটিশদের উপরে কালো বাদুরেরা নাকি কয়েক বার হামলা করে। ব্রিটিশরা ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার সাথে উত্তরবঙ্গের বৃহত্তর রংপুর জেলার গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের শক্তি বৃদ্ধির জন্য ১৯৩৮ সালে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় তিস্তামুখ ঘাট এবং জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাটে যমুনা নদীতে রেল ফেরি সার্ভিস চালু করে। এই যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টি করে তারা উত্তরবঙ্গে তাদের ক্ষমতা সুদৃঢ় করে। এই পথে তারা যেমন নিজেদের প্রয়োজনিয় পন্যসামগ্রি নিয়ে আসতো তেমনি গোলাবারুদও নিয়ে আসতো। বেশ কয়েক বার কালো বাদুর তাদের গোলাবারুদ ছিনিয়ে নেয়। কালো বাদুরেরা ব্রিটিশ আমলের আগেও নাকি ছিলো, সেটা অন্য কোন জায়গায়। তবে ব্রিটিশ আমলে তারা দুগর্ম চরে আস্তানা গড়ে তোলে। এ সব কিছুই জনশ্রুতি।

- আপনি যা বললেন সে সবই তো ব্রিটিশ আমলের। এ সব আমি জানি। বর্তমানের কিছু কি জানেন?

- জনশ্রুতি বর্তমানের হয় না রুদ্র, অতিতেরই তো হয়।

- কালো বাদুরকে কেউ কি দেখেছে?

- সেটা আমি সঠিক জানি না। অনেকেই বলে দেখেছে। কিন্তু যারা বলে তাদের কথার কোন ভিত্তি নেই। বিশ্বাস করা যায় এমন কেউ আজও বলে নি।

- আপনার জানা মতে এমন কেউ কি আছে যে কালো বাদুরের সন্ধান করতে সহযোগিতা করবে?

- না। আর কেউ জানলেও সে তোমাকে সহযোগিতা করবে না বরং ধরিয়ে দিবে।

- কেন?

- আমাদের এলাকার লোক কালো বাদুরকে বীর ভাবে, তাদেরকে দেবতার মতো শ্রদ্ধা করে?

- কেন?

- কারন কালো বাদুর গরিবের ক্ষতি করে না। যদি ধরে নেয়া যায় মাঝে মাঝে যে ডাকাতিগুলো হয় সেগুলো কালো বাদুরেরাই করে তাহলে এটাও ধরে নিতে হবে অসত উপায়ে যারা অর্থ উপার্জন করে কালো বাদুরেরা কেবল তাদের সম্পদই ছিনিয়ে নেয়। তাদের কাছে সৎ এবং গরিব লোকেরা নিরাপদ। বরং তাদের ভয়ে গরিবদের উপরে কেউ অত্যাচার করে না। তারা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়েছে, শোনা যায় মুক্তিযুদ্ধেও লড়েছে তাই তাদেরকে বীর ভাবাটাই তো স্বাভাবিক।

আবুল বললো- কিন্তু তারা তো নিরপরাধ ছেলেমেয়েদেরকে অপহরন করছে!

- কিভাবে জানলে তারা নিরপরাধ ছেলেমেয়েদের অপহরন করেছে? এটার কি কোন প্রমান আছে?

- পুলিশের ধারনা তো তাই?

- দুর! কালো বাদুরকে ধরার যাদের যোগ্যতাই নেই তাদের ধারনা কি করে বিশ্বাস করো! ওরা যেটা পারে না সেটাই কালো বাদুরের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়।

রুদ্র বললো- তুমিও তাহলে কালো বাদুরের পক্ষেই আছো?

- পক্ষে বিপক্ষে বুঝি না। তবে কালো বাদুর থাক, বা না থাক তাদেরকে আমিও বীর ভাবি।

- তারা যদি বীরই হয় তবে লুকিয়ে থাকে কেন?

- তারা সত্যিই আছে কিনা সেটারই তো গ্যারান্টি নেই।

- আপনার কি মনে হয়?

- আমার মনে হয় তারা আছে। কিন্তু আবার এটাও মনে হয় যদি সত্যিই তারা থাকে তাহলে যুগের পর যুগ তারা অদৃশ্য হয়ে আছে কি করে! পুলিশের এতো চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে কি করে?

- তাদের নিশ্চয়ই বিশেষ কোন কৌশল আছে যেটা আমরা কেউ ধরতে পারছি না।

- কি সেই কৌশল?

- সেটা হয়তো সময় হলেই জানা যাবে। আপনি কাল বাড়ি যেতে পারবেন?

- কেন?

- আপনার এলাকাটা আমি একটু ঘুরে দেখতে চাই।

- তুমি কি কালো বাদুরের খোজ করতে চাচ্ছো?

- কালো বাদুরের বিষয়ে আপনার এলাকার লোকদের কাছে আরো জানতে চাই।

মিজু একটু ভেবে বললো- ঠিক আছে তোমাকে আমি সহযোগিতা করবো। কিন্তু তার আগে আমাকে একটা কাজ করে দাও।

- কি কাজ?

- হোস্টেল সুপার হোসেন স্যার যেন আমাদের হোস্টেলে রাতে আসতে না পারে। অথবা আসলেও আমরা আগে থেকে সেটা যেন জানতে পারি।

রুদ্রকে এর আগেও হোসেন স্যারের বিষয়টা জানিয়েছিলো মিজু। মিজুরা রাতে তাস খেলে। কিন্তু হোসেন স্যার সেটা প্রায়ই ধরে ফেলেন। আর ওদেরকে পিটিয়ে আহত করে দেন। হোসেন স্যারের কাছে মার একটা আর্ট। তিনি যথেষ্ট সময় নিয়ে মনের আয়েশ মিটিয়ে মারেন।

রুদ্র বললো- ঠিক আছে। আপনি চার পাচ জন ছেলেকে ঠিক করুন। আজ রাতেই সে ব্যবস্থা করছি। কাল আমরা ফুলছড়ি যাচ্ছি, আপনার বাড়ি। আর যাদেরকে ঠিক করবেন তারা যেন ভবিষ্যতে কোন কিছু প্রকাশ না করে।

- চার পাচ জন ছেলে দিয়ে কি হবে?

- আগে ঠিক করুন। কি করতে হবে সেটা পরে বলছি।

সন্ধ্যায় আবুলকে সাথে নিয়ে হেড স্যারের সাথে দেখা করলো রুদ্র। স্যারকে সালাম দিয়ে নানা বোরহান উদ্দিনের চিঠিটা দিলো। চিঠি পরে হেড স্যার ভ্রু কুঞ্চিত করে বললেন- এমন চিঠি তোমার নানু কেন দিলেন বুঝতে পারছি না।

- তিনি দেন নি, আমি অনুরোধ করে করিয়ে নিয়েছি স্যার।

- কেন?

- একটা ছাত্রের হেসে খেলে বড় হওয়া দরকার স্যার। লেখা পড়া মনের আনন্দে করা দরকার। কিন্তু এই স্কুলে পিটানো ছাড়া কিছু করা হয় না। আমরা একটু আধটু দুষ্টামি করবোই, কারন আমাদের বয়সটাই এমন। আপনাদের উচিত আমাদেরকে বোঝানো। কিন্তু আপনারা হয়তো বোঝাতে পারেন না, তাই সে কাজটা পিটিয়ে করতে চান। আপনিও জানেন অনেক স্কুলে শিক্ষকের অমানবিক শাসন এবং মারের কারনে অনেক ছাত্র মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে, এমনকি অকালে প্রানও হারিয়েছে। আমি আপনাদের মারে জিবন হারাতে রাজি নই। আমাদের মাবাবারা আপনাদের মার খাওয়ার জন্য আমাদেরকে স্কুলে পাঠান না। তারা চান আপনারা আমাদেরকে বুঝিয়ে সুপথে আনবেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আপনারা করছেন উল্টোটা। আমি আমার আনন্দমুখর শৈশব হারাতে চাই না, হোস্টেলে বন্দি জিবনও কাটাতে চাই না। আমার প্রয়োজনে আমি যে কোন সময় হোস্টেল থেকে বেড় হয়ে ঘুরতে চাই, সেটা কয়েক দিনের জন্যও হতে পারে। আর এ জন্য আপনারা যাতে আমাকে অমানবিক শাস্তি দিতে না পারেন সে জন্যই নানুর কাছ থেকে এমন চিঠি লিখিয়ে নিয়েছি।

হেড স্যার অবাক হয়ে রুদ্রর কথা শুনলেন। কোন ছাত্র এভাবে তাকে বলতে পারে সেটা তিনি কল্পনাও করতে পারেন নি। রাগত ভাবে বললেন- এ স্কুলের নিয়ম তোমার পছন্দ না হলে তুমি অন্য স্কুলে যেতে পারো। আমরা তোমাকে এ স্কুলে পড়ার জন্য বাধ্য করি নি।

- আমার যে কোন স্কুলে পড়ার অধিকার আছে স্যার। এবং আমি এই স্কুলেই পড়বো। কিন্তু আমাকে মারার অধিকার বরং আপনাদেরই নেই। আমার অভিভাবকেরা সে অধিকার আপনাদেরকে দেয় নি, সরকারও দেয় নি। আমাকে অন্য স্কুলে যাওয়ার কথাও আপনি বলতে পারেন না। এক জন ছাত্রের প্রতি আপনাদের আচরন কেমন হওয়া উচিত সেটা ছাত্র হয়ে আমি আপনাকে শেখাতে চাই না। ভুল কিছু বলে থাকলে মাফ করবেন স্যার। আমার কোন অপরাধ পেলে সরাসরি আমার অভিভাবকের সাথে কথা বলবেন। আমাকে মারার অধিকার শুধু আমার অভিভাবকেরই আছে। আসি স্যার।

হেড স্যারের অগ্নিদৃষ্টি উপেক্ষা করে চলে এলো রুদ্র। আবুল হেড স্যারের সাথে রুদ্রের কথা শুনে এতোক্ষন থ মেরে ছিলো। এবার বললো- এরপর থেকে কোন স্যার তোকে আর মারবে না।

- হেড স্যারের সাথে আমার যা কথা হলো সে সব কাউকে কখনো বলবি না। এ সব কথা সবাই জানলে হেড স্যার নিজেকে অপমানিত ভাবতে পারেন। এবার হোসেন স্যারের একটা ব্যবস্থা করতে হবে।

- মিজু ভাইদেরও তো দোষ আছে। ওরা পড়া বাদ দিয়ে তাস খেলে কেন?

- সেটা ওদেরকে বোঝানো দরকার। পিটিয়ে কাউকে সংশোধন করা যায় না। আর যেভাবে পিটানো হয় তাতে যে কোন সময় কেউ মারাও যেতে পারে। ওদের তাস খেলা পরে বন্ধ করবো। আগে হোসেন স্যারকে থামাই।

- হোসেন স্যারকে কিভাবে শিক্ষা দিবি? চার পাচ জন ছেলে দিয়েই বা কি করবি?

- সেটা সময় হলেই দেখবি। চল্ মিজু ভাইয়ের সাথে দেখা করি। কাকে কাকে জোগার করেছে দেখি। ওদের সাথে বসতে হবে। কি করতে হবে সেটা ওদেরকে ভালো করে বুঝিয়ে দিতে হবে।

আবুল উত্তেজনায় ফুটছে। রুদ্র কি করবে সেটা বুঝতে না পারলেও এটুকু বুঝতে বিন্দু মাত্র সমস্যা হচ্ছে না- আজ রাতে হোসেন স্যারের খবর আছে!

চলবে.........

চন্দ্র উপন্যাসের ভুমিকা ও পর্ব সমুহের সুচিপত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.