![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চেষ্টা করছি জীবনের সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকার জন্য............স্বপ্ন অসীম, আকাশছোঁয়া! ধরতে চাই এই আকাশছোঁয়া স্বপ্নটাকে!
অনেক আগে টিভিতে যখন নাটক দেখতাম, তখন দেখতাম নায়ক-নায়িকারা সুন্দর করে শুদ্ধ করে কথা বলতো। এমনকি তাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজন, দোস্ত-বন্ধু সবাই শুদ্ধ করে কথা বলতো। শুধুমাত্র অশুদ্ধের প্রয়োজনে কাজের মহিলা-পুরুষ টাইপের লোকজন এরা অশুদ্ধ করে বলতো। টক শো অথবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শুদ্ধ করে কথার দারুণ চল ছিল। আর তাদের এই শুদ্ধ বলার ডং সাধারণ মানুষের মধ্যেও ছিল। কিন্তু মোশাররফ করিম আর আনিসুল হক যুগ আসার পর বলার ডং-এ পরিবর্তন চলে আসে। শুরু হয় শুদ্ধ-অশুদ্ধ মিলিয়ে একরকম বেশুদ্ধ বলার প্রতিযোগিতা যেটা অনেক ফ্লেক্সিবল। এই বলার সাথে যোগ হয় কিছু আঞ্চলিকতার মিক্সিং, যেমন এলাকাকে বলা হয় অ্যালাকা, বেগম হয় ব্যাগম, নেতা হয় ন্যাতা, পেনড্রাইভ হয় প্যানড্রাইভ, রেখা হয় র্যা খা। তারপর ইংরেজির বর্ণগুলো A হয় অ্যা, F হয় অ্যাফ, M হয় অ্যাম, N হয় অ্যান, X হয় অ্যাক্স এইরকম আরও কতো কি! বেশুদ্ধ বলার ডং-টা তাও মোটামুটি ঠিক ছিল বা আমাদের বলার ধরণের সাথেও অ্যাডজাস্ট করে গিয়েছে, কিন্তু এই মিক্সিং তো সব ধরণের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বলার মাধুর্যতা পর্যন্ত নষ্ট করে দিয়েছে। আজকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে একটা টক শো দেখছিলাম যেটার উপস্থাপক সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিন যিনি একজন খুব জনপ্রিয় সাংবাদিক এবং আমারও খুব প্রিয় একজন উপস্থাপক সাংবাদিক। কিন্তু উনার অ্যাকসেন্ট এর অবস্থাও খুব বেহাল। সব ধরণের অ্যা-এর মিক্সিং আছে উনার কথায়। এরকম আরও অনেক সেলিব্রিটির অ্যাকসেন্ট এর অবস্থা খুবই খারাপ। এই প্রাকটিস অন্য সবার মধ্যেও ছড়িয়ে গিয়েছে। মাঝেমধ্যে ভুলেভালে আমার মধ্যেও চলে আসে। সবাই যদি অন্তত যারা এই অ্যা-এর প্র্যাকটিস থেকে বের হয়ে আসতে পারতেন তাহলে অনেক ভালো হতো। বাংলা বলাটাও আগের মত মধুর লাগতো, শুনতেতো আরও বেশী!!!
২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৪
জীেকা বলেছেন: এবং আরও একটি ব্যাপার হলো আপনি যদি এদেরকে এদের ত্রুটিগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন তাও এরা বুঝতে পারবেনা।!!!
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সহমত!
২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৬
জীেকা বলেছেন: ধন্যবাদ !
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২২
জুন বলেছেন: একমত আপনার সাথে। শুধু শুদ্ধ বাচনভঙ্গীই নয় একটু নম্র শালীন হতো যদি তাদের কথার ভঙ্গী তাহলেও সারা দুনিয়ায় নিজেদের ঝগড়াটে জাতি হিসেবে পরিচয় দিতে হতোনা। আমাদের নাটক আর এড গুলো দেখলে তাই মনে হয় । ভীষন ভাবে পোলাইটনেসের অভাবে ভুগছে এই জগত।
+