নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওরে মন যখন জাগলিনারে\nতখন মনের মানুষ এলো দ্বারে,\nতার চলে যাবার শব্দ শুনে, \nভাঙলোরে ঘুম,\nও তোর ভাঙলোরে ঘুম অন্ধকারে!!!

জীেকা

চেষ্টা করছি জীবনের সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকার জন্য............স্বপ্ন অসীম, আকাশছোঁয়া! ধরতে চাই এই আকাশছোঁয়া স্বপ্নটাকে!

জীেকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা হারানোর বেদনা.....

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

মা হারানোর বেদনা সেই বোঝে যে মা’কে হারিয়েছে......! আমাদের জীবনের সবচাইতে বড় আশীর্বাদ এই মা। অথচ আমরা মা’র মূল্য কয়জন যথাযথভাবে করতে পেরেছি...সামান্য সম্মানটুকুও কখনো দিতে পারিনি। প্রায়ই মনে হয়, শুধু গৎবাঁধা বুলি পড়ে পাশ করে এসেছি যে মা’কে সম্মান করে হবে... তার মনে চুল পরিমাণ কষ্টটুকুও দেওয়া যাবেনা...... মা’কে কষ্ট দিলে আল্লাহ্‌র আরশ কেঁপে ওঠে...... মা’য়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত......! অথচ বাস্তব জীবন কতটা উল্টো...... একদণ্ড সময় হয়না মা’কে জিজ্ঞেস করতে সে কেমন আছে? তাঁর কি লাগবে? মা’কে জড়িয়ে ধরতে? মা’র জন্য কিছু কিনে আনতে? অনেকেই হয়তো আমার মত এমনি ফিল করেন। যখন নিরবে কিছু চিন্তা করতে যাই তখন এই চিন্তাটাই প্রথমে চলে আসে...... মা! এই মুহূর্তগুলোতে নিজের কৃতকর্মের কথা চিন্তা করে মায়ের জন্য হৃদয় ভারী হয়ে আসে। আর মা নেই তারা হয়তো আরো বেদনার অতীত কষ্ট অনুভব করেন। গতকাল রাতে ঠিক সাড়ে চারটায় এক মহিলার কান্নার আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। পাশের বাসা থেকে ওই মহিলা বিলাপ করে কাঁদছিলেন এই বলে যে তাঁর মা মারা গিয়েছেন...... কঠোর বাস্তবতা তাঁর মা’কে শেষবারের মত জীবিত অবস্থায় দেখতে দেয়নি। আরো নির্মম তাঁকে সান্ত্বনা দিতেও কেউ এগিয়ে যায়নি। তাঁর স্বামী, পরিবার, শ্বশুর- শাশুড়ি, দেবর-ননদ...কেউ না.........! দুটো ছেলে একেবারেই বাচ্চা...... মা’য়ের দুঃখ বোঝার মত সামর্থ্য তাদের হয়নি। মহিলা শীতের রাতে বারান্দায় বসে বিলাপ করছিলেন। অসুস্থ মা’কে আগামী সপ্তাহে দেখতে যাবার কথা ছিলো। কিন্তু কথা ছিলো বললেই যে সব জাদুর কাঠির মত বাস্তবে হয়ে যাবে তাতো না...... তাঁর বাসায় তাঁকে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর-ননদ সবার সাথে রীতিমত অমানবিক যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয়। স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে যেটা কোন ভদ্র সমাজে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না। তাঁকে ভালো-মন্দ কোন খাবার খেতে দেওয়া হয়না। কেউ খেতেও ডাকেনা...... কোন রকমে নিজে রান্না করে খায়। স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদে নির্মম অত্যাচার সয়ে থাকে। বাপের বাড়ি থেকেও খুব বেশী কিছু আনতে পারেনি বলে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর-ননদ খুব একটা সমাদরও করেনা। তবুও চেষ্টা করেছিলো সে টিকে থাকতে......... চেষ্টা করেছিলো সংসার টিকিয়ে রেখে বাচ্চাদুটোকে ঠিকমত পড়িয়ে মানুষ করতে...... সব কিছু সহ্য করে প্রতিকূলতার মধ্যে থেকে অসুস্থ মা’কে দেখতে যেতে। কিন্তু পারেনি...... ভাগ্য তাঁর সহায় হয়নি...... মা’কে আর শেষ দেখা হয়নি তাঁর। সেই ভোররাত থেকে তীব্র শীতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে কান্না করেছে সকাল পর্যন্ত। অথচ পরিবারের স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর-ননদ নামক জানোয়ারগুলো একবারের জন্যও তাঁকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে আসেনি......... তবে সকাল হবার সাথে সাথে কিছু হৃদয়বান মানুষ এসেছিলো তাঁকে সান্ত্বনা দিতে...... মা’র মৃত্যুর শোক ভুলবার জন্য সান্ত্বনা দিতে...... কতটুকু সান্ত্বনা সে পেয়েছে জানিনা তবে মা’র জন্য তাঁর এই কান্না উপরওয়ালার আরশ কি একটুও কাঁপাবেনা? মা, তোমার এই দুর্ভাগা কন্যাটির কান্না কি তোমার কাছে পৌঁছাবেনা? এই মহিলার মতো অনেকের ভাগ্যেই হয়তোবা এমনটি ঘটে থাকে......... মা’র প্রতি ভালোবাসা বা টান প্রকাশেও অনেক সময় আমরা যথাযথ সম্মানটুকুও দিতে পারিনা...... আমরা কি পারিনা আমাদের মায়ের প্রতি আরো দয়াদ্র, সহনশীল, নমনীয় হতে? তাঁর কোমল আশীর্বাদটুকু নিয়ে আমাদের জীবনটাকে আরো আশীর্বাদতুল্য করে তুলতে? মা, আমি কিন্তু পারিনি তোমাকে যে কত ভালোবাসি সেটা বোঝাতে......... পারিনি এটা বোঝাতে তোমার অসুস্থতার সময় কি পরিমাণ আমি কেঁদেছি সেটা দেখাতে...... কখনো ঠিক মত করে কথাও বলিনি......... তোমার আবদারগুলোও রাখতে পারিনি......... মা, আমাকে ক্ষমা করে দিও...... আমাকে তোমার কাছেই রেখো মা সবসময়.........এই ছোট একটা জীবনে তুমিই সব...... মা, তুমি সবসময় ভালো থেকো......!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১০

নিলু বলেছেন: মা , সবচেয়ে প্রিয় ব্যাক্তি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.