![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আর দশজন সাধারণ বাঙালি যুবকদের মতো একজন। তবে আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেক সাধারণের মাঝে অসাধারণ কিছু একটা লুকিয়ে আছে। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজের ভেতরের সেই অসাধারন সত্ত্বাটিকে খুঁজে বের করে আনার।
মনোযোগ দিয়ে দ্বিতীয় বর্ষের ইনকোর্স পরীক্ষার খাতা দেখছিলেন প্রোফেসর আব্দুর রশিদ চৌধুরী। নামকরা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ও শিক্ষা গবেষণা ইন্সটিটিউট এর সিনিয়র শিক্ষক তিনি। এই মুহূর্তে মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে আছে। ছেলেমেয়ে গুলো লেখা পড়ায় মনোযোগ একদমই হারিয়ে ফেলেছে। ক্লাসে যা পড়ানো হয়েছে, তাই দিয়েছেন তিনি পরীক্ষায়। অথচ একজন স্টুডেন্টও ঠিক মত কিছু লিখতে পারে নি। দিন যতই যাচ্ছে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ কমে যাচ্ছে। তার কাছে মনে হয়, এই প্রজন্মকে নিয়ে আশা করার কিছু নেই। এরা কিছুই দিতে পারবেনা জাতিকে!
এমনিতেই মনটা খারাপ হয়ে আছে বেশ কিছুদিন যাবত। একসাথে অনেকগুলো সমস্যার মুখে পরেছেন তিনি। জমিজমা ভাগাভাগির ঝামেলাকে কেন্দ্র করে ভাইদের সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে বসে আছেন। বড় মেয়ে মোহনা অস্ট্রলিয়া থাকে, তার স্বামীর একটা বড় ধরনের অসুখ হয়েছে বলে শুনেছেন। খুব কাছের এক বন্ধু রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছেন দিন দশেক আগে। আরও ছোটখাট নানান সমস্যা লেগেই আছে। তার উপর পরীক্ষার খাতায় শিক্ষার্থীদের উল্টা পাল্টা লেখা দেখে মনটা আরও বিষিয়ে যাচ্ছে! সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে তার।
“স্যার, আসতে পারি?” দরজা খুলে একজন উকি দিল।
কে এসেছে সেটা দেখার প্রয়োজন মনে করলেন না প্রোফেসর রশিদ, হ্যা-বোধক ভঙ্গিতে মাথা নাড়লেন শুধু।
লোকটি ভেতরে ঢুকল। একটু এগিয়ে এসে বলল, “বসব স্যার?”
আবার মাথা নাড়লেন প্রোফেসর, তার সম্পূর্ণ মনোযোগ খাতা দেখার প্রতি।
লোকটি মুখোমুখি একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসে পড়ল।
দুমিনিট পেরিয়ে গেল, প্রোফেসর রশিদ যেন ভুলেই গেছেন তার সামনে কেউ বসে আছে!
লোকটি একটু কেশে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করল। প্রোফেসর রশিদ খাতা থেকে মুখ না তুলেই বললেন, “দেখছেন তো খাতা দেখছি! কি বলতে এসেছেন, তা ঝটপট বলে ফেলুন”।
লোকটি বিনয়ী কণ্ঠে বলল, “স্যার কি আমাকে চিনতে পেরেছেন? আমি কায়সার”
এবার রশিদ সাহেব খাতা থেকে মুখ তুলে চাইলেন। সামনে বসে থাকা লোকটিকে চিনতে কয়েক সেকেন্ড লাগল তার। চেনার সাথে দৃষ্টি বদলে গেল। দুচোখে ফুটে উঠল ঘৃণা। এই ছেলেটা তার প্রাপ্তন ছাত্র। একটা স্যাডিস্ট! বছর দশেক আগে নিজের সহপাঠী একটি মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা খেয়ে জেল খেটেছে! প্রোফেসর রশিদ তাকে আজীবনের জন্য ইউনিভার্সিটি থেকে রেস্ট্রিকেট করে দিয়েছিলেন, এমন ব্যাবস্থা করেছিলেন যেন দেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার যায়গা না হয়! এতদিন পর এই ছেলে তার কাছে কি বলতে এসেছে!
গর্জে উঠলেন প্রোফেসর, “তোমার সাহস কেমন করে হল এখানে আসার? এক্ষুনি বেরিয়ে যাও!”
“চলে যাব স্যার” কায়সার নার্ভাস ভঙ্গিতে একটু হাসল। “দু চারটা কথা বলতে এসেছি। বলেই চলে যাব”।
“তোমার সাথে আমার কোন কথা থাকতে পারেনা! বেরিয়ে যাও এক্ষুনি!”
“বলছি তো স্যার, চলে যাব। দয়া করে কথাটা শুনুন আমার!”
“ছেলে তুমি নিজে থেকে বেরিয়ে যাবে নাকি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে বের করতে হবে” গলার আওয়াজ বাড়ালেন প্রোফেসর রশিদ।
কায়সার উঠে দাঁড়াল। বলল, “আমি চলে যাচ্ছি স্যার, শুধু এই কাগজটা একটু দেখেন স্যার” হাতে ধরা একটা কাগজ প্রোফেসর রশিদের ডেক্সের ওপর রাখল সে।
কয়েক সেকেন্ড ভ্রু কুঁচকে কাগজটার দিকে তাকিয়ে থাকলেন প্রোফেসর। অনেক পুরনো আমলের একটা মলিন হয়ে যাওয়া কাগজ। তাতে মোটা কালি দিয়ে তিন রো তে কিছু ইংরেজি বর্ণ এলোমেলো ভাবে লেখা।
UGPCWJUSBPOWSTIYESPYFGRWE
NWWRNWVWDIEWRQWKCWIXKIXJ
IEUQUKKJUKKGWE
বুঝতে অসুবিধা হলনা এটা একটা সাইফার কোড। তারপরও জিজ্ঞেস করলেন, “কি এটা?”
“কোনও ধরনের বিশেষ কোড হবে হয়ত”।
গলার স্বর কিছুটা নরম হল তার, “এটা তুমি পেয়েছ কোথায়?”
“এটা আমার বাড়ির পুরনো কাগজ পত্র ঘাঁটতে গিয়ে পেয়েছি। সম্ভবত আমার দাদার লেখা। বহুবছর আগে মারা গেছেন তিনি”।
“আমাকে দেখাচ্ছ কেন?”
“স্যার, সেই কথাটাই বলতে এসেছিলাম আমি। যদি অনুমতি দেন তাহলে বসে বলি” কায়সার হাসল আবার।
“হাসবেনা!” বললেন প্রোফেসর। “হাসলে তোমাকে ভয়ংকর লাগে! দাঁড়িয়েই বল। আর বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে বিদায় হও”।
“ঠিক আছে স্যার, দাঁড়িয়েই বলছি” কায়সার হাসি ধরে রাখল, প্রোফেসরের কণ্ঠে আগ্রহ টের পেতে সমস্যা হচ্ছে না তার। “আমার দাদা ছিলেন একজন খামখেয়ালী মার্কা মানুষ। নিজের জীবনের অর্ধেকটা তিনি পার করেছেন গুপ্তধনের সন্ধান করতে গিয়ে। সেই আমালে প্রায়ই খবর পাওয়া যেত অমুক যায়গায় জমিদারদের লুকান সম্পদ পাওয়া গেছে, তমুক যায়গায় সোনার মোহর ভর্তি কলসি পাওয়া গেছে। এধরনের কিছু শুনলেই দাদা ছুটে যেতেন সেখানে। নিজের পরবর্তী বংশধরদের জন্যও তিনি রেখে গেছেন এমন অসংখ্য সারপ্রাইজ। দাদার মৃত্যুর পর তার ব্যবহৃত বালিশ, তোষক, ছড়ি, হুক্কার পাইপ এসবের ভেতর থেকে পুরনো আমালের সোনার মোহর, মনি মুক্তার মালা সহ আরও বিভিন্ন জিনিস পাওয়া গেছে। এর পর অনেক বছর পর্যন্ত আমার বাবা আর চাচারা দাদার ব্যাবহার করা নানা জিনিস আর দাদার প্রিয় জায়গাগুলোতে খোঁজ করে অসংখ্য মূল্যবান জিনিস পেয়েছে। আমি অবশ্য তেমন কিছু পাইনি। আজ পুরনো কাগজ পত্র ঘেঁটে এই কাগজটা পেলাম। দেখেই বুঝেছি এটা দাদার লেখা। কোড দেখে আন্দাজ করেছি, নিশ্চয়ই দাদার রেখে যাওয়া কোনও সারপ্রাইজ এর অবস্থান লুকিয়ে আছে এর মধ্যে। হয়ত দাদার ব্যাবহার করা জিনিস অথবা দাদার প্রিয় কোনও যায়গা- কোথাও না কোথাও কিছু একটা লুকিয়ে রেখেছেন তিনি, অতি মূল্যবান কোনও বস্তু হবে। যে এই কোড এর অর্থ বের করতে পারবে সেই পাবে ঐ মূল্যবান বস্তুর সন্ধান। তাই আমি আপনার কাছে ছুটে এসেছি, স্যার। আপনার মত বড় ক্রিপ্টোগ্রাফির শিক্ষক এই দেশে আর একজনও নেই। সেকেন্ড ইয়ারে আমাদের হিস্টোরি অফ ক্রিপ্টোগ্রাফি পড়িয়েছিলেন, এখনও সব মনে আছে আমার! ক্রিপ্টোগ্রাফি নিয়ে আপনার ব্যাপক গবেষণা আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসা পেয়েছে। একমাত্র আপনিই পারবেন এই রহস্যের সমাধান করতে”।
“তুমি কেন ভাবছ, তোমার এই ফালতু কাজে আমি সময় নষ্ট করব? আর তোমার মত একটা বাজে লোকের হাতে কোনও মূল্যবান বস্তু না পরুক এটাই আমি চাই”।
“আপনি ভুল করছেন স্যার। আমি কোন মূল্যবান বস্তু খুঁজে পেতে চাইছি না। আমি চাই দাদার রেখে যাওয়া শেষ এই রহস্যটার সমাধান হোক। আমি আগামীকাল আমার দাদার পুরনো বাড়িটি বিক্রি করে দিচ্ছি। সেখানে দাদার ব্যবহার্য জিনিসপত্র, পুরনো আসবাবপত্র, বই-পুস্তক সহ অনেক কিছুই আছে। এই কোডের আড়ালে যদি আসলেও কোন মূল্যবান বস্তুর সন্ধান থেকে থাকে তাহলে বাড়িটি বিক্রির পর সে জিনিসের ওপর আমার আর মালিকানা থাকবে না। আপনি যদি আগামীকাল ১২টার আগে এই সাইফার কোডটি ব্রেক করতে পারেন, তবেই এই রহস্যের সমাধান সম্ভব। মূল্যবান বস্তুটি যাই হোক, আমি সেটা আপনাকে দিয়ে দেব। দাদা চেয়েছিলেন তার রেখে যাওয়া রহস্যগুলোর সমাধান হোক। আমি শুধু চাই তার ইচ্ছাটা যেন পূর্ণ হয়”।
“দেখ, এইসব কাজের জন্য সময় নেই আমার হাতে। আর তোমার মত কুলাঙ্গারের অনুরোধ রাখার জন্য আগ্রহ বোধ করছি না আমি”।
“আমি জানি স্যার। আমি বাজে মানুষ, আমার অনুরোধ আপনি রাখবেন কেন? শুধু একটু মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে চিন্তা করে দেখুন কাজটা করার জন্য একটু সময় বের করা যায় কিনা! আমি না হয় বিবেকবর্জিত কিন্তু আপনি তো বিবেকবান মানুষ!”
“আচ্ছা দেখি সময় করতে পারি কিনা, এখন যাও!”
কায়সার তার মানিব্যাগ থেকে একটা ভিজিটিং কার্ড হাতে নিল। কার্ডটা প্রোফেসর রশিদের ডেক্সের ওপর রেখে বলল, “এইটা আমার অফিসের ঠিকানা, ছোট খাট একটা বিজনেস চালাচ্ছি। যদি সময়ের আগে কোডটা ব্রেক করতে পারেন তাহলে কষ্ট করে একটু যোগাযোগ করবেন”।
প্রোফেসর রশিদ আর কথা বললেন না। আবার খাতা দেখায় মনোযোগ দিলেন।
কায়সার দরজার দিকে এগোল। বেরিয়ে যাওয়ার আগে শেষ একবার পিছন ফিরে তাকিয়ে বলল, “মনে রাখবেন স্যার, আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় আছে আপনার হাতে। এখন বাজে ১২টা। অর্থাৎ আপনার হাতে ঠিক ২৪ ঘণ্টা সময় আছে”।
প্রোফেসর কর্ণপাত করলেন না। কায়সার বেরিয়ে গেল।
কায়সার বেরিয়ে যেতেই সাইফার কোড লেখা কাগজটি ব্রিফকেসে ভরলেন প্রোফেসর রশিদ, নিজের কাছে অস্বীকার করে লাভ নেই আসলেই কোডটার ব্যাপারে বিশেষ আগ্রহ বোধ করছেন তিনি। ক্রিপটোগ্রাফি নিয়ে অনেক দিন যাবত কাজ করছেন তিনি কিন্তু কখনো সত্যিকার একটা সাইফার কোড নিয়ে কাজ করার সুযোগ হয়নি তার।
আরও প্রায় ২ ঘণ্টা একনাগাড়ে খাতা দেখলেন প্রোফেসর রশিদ। তারপর টিচারদের লাউঞ্জে বসে লাঞ্চ করলেন। একটা একাডেমিক মীটিং ছিল, সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা থাকতে হল। ভেবেছিলেন মিটিঙয়ের পর তিনি কোডটা নিয়ে বসবেন। কিন্তু সেই সুযোগ হলনা। ফ্যাকাল্টির ডিন অসুস্থ থাকার কারনে তার হয়ে প্রক্সি দিতে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের একটা কনফারেন্সে যোগ দিতে হল। সব ঝামেলা মিটিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত ১০টা বেজে গেল। স্ত্রী নাজমা চৌধুরীকে বললেন দ্রুত খাবার দিতে। রাতের খাবার শেষে বিছানায় আয়েশ করে বসলেন প্রোফেসর আব্দুর রশিদ চৌধুরী। কোলের ওপর ল্যাপটপ, পাশে একটা প্যাড, এক হাতে সেই কোড লেখা কাগজ আর অন্য হাতে একটা পেন্সিল।
***
বেশ কিছুক্ষন এপাশ ওপাশ করছেন নাজমা চৌধুরী। ঘুম আসছে না। ঘরে আলো জ্বলছে। অনেকক্ষণ যাবত দেখছেন তার স্বামী প্রোফেসর রশিদ গভীর মনোযোগ হাতে ধরা একটা কাগজ দেখছেন, মাঝে মাঝে পেন্সিল দিয়ে প্যাডে কিছু একটা লিখছেন আবার সেটা কেটে দিচ্ছেন। বার দুয়েক ভাবলেন জিজ্ঞেস করেন, কিন্তু মনোযোগ নষ্ট হবে ভেবে করলেন না। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় আপসেট হয়ে আছে, গত একমাসের মধ্যে আজই প্রথম স্বামীকে একটু আনন্দিত মনে হচ্ছে তার।
প্রোফেসর রশিদই নিরবতা ভাঙলেন। “কি হল? ঘুম আসছে না?”
“এভাবে আলো জ্বালিয়ে রাখলে কি ঘুমানো যায়? টেবিল ল্যাম্পটা জ্বালিয়ে কাজ করলেই তো পার”!
কিছু একটা লিখতে লিখতে প্রোফেসর বললেন, “তুমি তো জানই অল্প আলোতে আমি কাজ করতে পারিনা! মিথিলা তো নেই- মামার বাড়ি বেড়াচ্ছে, সমস্যা হলে ওর ঘরে গিয়ে ঘুমাও না”।
“মিথিলার রুমে শুতে ভাল লাগেনা আমার। রুমের ভেতর সিনেমার হিরো আর ক্রিকেট প্লেয়ারদের একগাদা ছবি লাগিয়ে রেখেছে! শুয়ে থাকলে একটা বিচ্ছিরি অনুভুতি হয়, মনে হয় সব কয়টা আমার দিকে তাকিয়ে আছে”!
“মিথিলা ফিরবে কবে?”
“আজইতো ফেরার কথা ছিল, একটু আগে ফোনে কথা হয়েছে, কি জন্য যেন আসতে পারেনি। মনে হয় কালকে ফিরবে”।
আবার কিছুক্ষন নিরবতা। প্রোফেসর রশিদ কাজে মনোযোগ দিলেন। নাজমা চৌধুরী আরও কিছুক্ষন ঘুমানোর চেষ্টা করলেন, তারপর সাহস করে জিজ্ঞেস করেই ফেললেন, “কি করছ এত মনোযোগ দিয়ে? কিসের কাজ এটা?”
স্ত্রীর দিকে না তাকিয়েই প্রোফেসর বললেন, “তুমি বুঝবে না”।
“বুঝিয়ে দিলেই হয়”!
“এসব তোমার বোঝার জিনিস না”!
কথাটা খারাপ লাগল নাজমা বেগমের। একটু অভিমানী সুরে বললেন, “বুঝিয়ে বললে বুঝব না কেন?”
প্রোফেসর রশিদ স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে হাসলেন। “তা অবশ্য ঠিকই বলেছ, বুঝিয়ে বললে বুঝবে না কেন? উঠে পর, গভীর সমস্যায় পরে আছি, মনে হচ্ছে তোমার সাহায্য ছাড়া কাজটা সমাধান করতে পারব না”।
নাজমা বেগমের মুখে হাসি দেখা দিল। দ্রুত উঠে পরলেন তিনি। বসলেন স্বামীর কাছ ঘেঁষে।
প্রোফেসর রশিদ হাতে ধরা কাগজটা দেখালেন স্ত্রীকে। এইটা হচ্ছে একটা সাইফার কোড।
“অনেক পুরনো মনে হচ্ছে”!
“হ্যা, পুরনো তো অবশ্যই। আন্দাজ করছি কাগজটা ব্রিটিশ আমলের-১৯৪০ থেকে ৫০ সালের দিকের হবে”।
“কোথায় পেলে এটা?”
“আমার এক প্রাপ্তন ছাত্র এসেছিল আজ দেখা করতে। তার দাদা ছিল একজন ট্রেজার হান্টার। নিজের পরবর্তী বংশধরদের জন্য নিজের বাড়িতে, ব্যাবহার করা জিনিসপত্রের মাঝে অনেক সারপ্রাইজ এলিমেন্ট রেখে গেছেন তিনি। ওনার পুরনো কাগজপত্রের মাঝে এটা পাওয়া গেছে। আমার ছাত্র ধারনা করছে এটা কোনও লুকনো সম্পদের সুত্র”।
“তাই!” নাজমা চৌধুরী ভীষণ আগ্রহী হয়ে উঠলেন। “তুমি কি এই কোড ভেঙে সেই লুকনো সম্পদ বের করতে চাও?”
“আরে না, পাগল। ঐ সব গুপ্তধন খোজাখোজির প্রতি আমার কোন আগ্রহ নেই। আমি আগ্রহী হয়েছি এই কোডের মিনিং বের করার জন্য। আমি জানতে চাই কি রহস্য লুকিয়ে আছে এর ভেরতে, ব্যাস”।
“কোডটা কি খুব কঠিন কিছু?”
“হ্যা, মনে হচ্ছে বেশ কঠিন!”
“এটা ভাঙতে তোমার কতদিন লাগতে পারে?”
“কতদিন লাগতে পারে, না জিজ্ঞেস করে জিজ্ঞেস কর, কতক্ষণ সময় আছে”!
“মানে?”
দেয়াল ঘড়ি দেখলেন প্রোফেসর। প্রায় ১২টা বাজে। “আর মাত্র ১২ ঘণ্টা সময় আছে আমার হাতে। আগামীকাল বেলা ১২টার দিকে ছেলেটি তার দাদার বাড়ি আর অন্যান্য পুরনো সবকিছু বিক্রি করে দিবে”।
“বল কি? তাহলে তো একদমই সময় নেই”।
“হ্যা, চল কাজ শুরু করি। তবে তার আগে সাইফার কোড সম্পর্কে তোমাকে দু চার কথা বলে নেই। মনোযোগ দিয়ে শোন”।
“ইয়েস স্যার!” বলে মনযোগী ছাত্রির মত গালে হাত দিয়ে বসলেন নাজমা চৌধুরী।
প্রোফেসর রশিদ হাসলেন। “ক্রিপ্টোগ্রাফি কি তা তো বুঝই?”
“কিছু কিছু বুঝি”।
“প্রথমে ক্রিপ্টোগ্রাফি সম্পর্কে কিছু বলে নেই। ক্রিপ্টোগ্রাফিকে বাংলা করলে দাঁড়ায় তথ্যগুপ্তিবিদ্যা। এটা তথ্যবিজ্ঞানের নিরাপত্তা সম্পর্কীয় একটি শাখা, যাতে তথ্য গোপন করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে গবেষণা করা হয়। এর প্রথম ব্যবহার কবে কখন কোথায় শুরু হয়েছে তার সন্তোষজনক কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি তবে সর্বপ্রথম এই বিষয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন ফ্রেডরিখ কাসিস্কি আর কম্পিউটারের জনক চারলজ ব্যাবেজ সেই ১৮৫০ সালের দিকে। ক্রিপ্টোগ্রাফি অনেক পুরনো একটা বিষয়। কিন্তু ক্রিপ্টোগ্রাফির ব্যবহারিক প্রয়োগ আধুনিক তথ্যযোগাযোগ ব্যবস্থার সর্বত্র রয়েছে। শুনছ তো?”
অনিশ্চিত ভঙ্গিতে মাথা ঝাকালেন নাজমা। প্রোফেসর রশিদ বলতে থাকলেন, “ক্রিপ্টোগ্রাফির একটা বড় অংশ জুরে আছে সাইফার। এই সাইফারের মুলে রয়েছে দুজন মানুষের অবদান। একজন হলেন আমেরিকান ক্রিপ্টোবিদ অধ্যাপক রোনাল্ড লিন রিভেস্ট অন্যজন হল একজন ইসরাইলি কম্পিউটার বিজ্ঞানী আদি শামির। এবার আস সাইফার কি জিনিস বুঝে নেই। সাইফার হচ্ছে মুলত নির্দিষ্ট কিছু অ্যালগরিদম যা ব্যবহার করে একটা মেসেজ এনক্রিপ্ট অথবা ডিক্রিপ্ট করা যায়। বুঝতে পারছ তো?”
“একটু একটু”।
প্রোফেসর হাসি মুখে বললেন, “দাঁড়াও, ভাল করে বুঝিয়ে দিচ্ছি। সাইফার লেখা কাগজটি স্ত্রীর হাতে ধরিয়ে দিলেন তিনি। কি দেখছ?”
“কিছু ইংরেজি বর্ণ লেখা আছে। এলেমেলো, অর্থহীন মনে হচ্ছে”।
“আপাত দৃষ্টিতে অর্থহীন মনে হলেও এর ভিতরে একটা মেসেজ লুকিয়ে আছে। এখন কথা হচ্ছে সেটা কিভাবে সম্ভব, তাইনা? ভাল করে বর্ণগুলো দেখ”!
নাজমা চৌধুরী দেখলেন।
UGPCWJUSBPOWSTIYESPYFGRWE
NWWRNWVWDIEWRQWKCWIXKIXJ
IEUQUKKJUKKGWE
“দেখেছ?”
“হুম। বুঝতে পারছি না কিছু”।
“তুমি যে বর্ণগুলো দেখছ একে বলা হয় সাইফার টেক্সট। এর মধ্যে যে মেসেজটা লুকিয়ে আছে তাকে বলা হয় প্লেইন টেক্সট। সাইফার টেক্সটের প্রত্যেকটা বর্ণ মুল মেসেজের একটা বর্ণকে রিপ্রেজেন্ট করছে। মেসেজটা উদ্ধার করার জন্য তোমাকে সাইফার টেক্সটের প্রত্যেকটা বর্ণের বিপরীতে মুল মেসেজের বর্ণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। এখন বুঝতে পারছ?”
“মনে হয় বুঝেছি”।
“একটা উদাহারন দিলে আরও পরিস্কার হবে। দেখ সাইফার টেক্সটের প্রথম লেটার দুটো হল U আর G, এদের কোণ অর্থ হয়না। মনে কর, এখানে U রিপ্রেজেন্ট করছে W কে এবং G রিপ্রেজেন্ট করছে E কে। তুমি যদি বের করতে পার U হচ্ছে W আর G হচ্ছে E তাহলে মুল মেসেজটা দাঁড়াচ্ছে WE, যার একটা অর্থ আছে! এবার নিশ্চয়ই বুঝেছ?”
“হ্যা, পুরোপুরি বুঝেছি”! নাজমা চৌধুরির মুখে হাসি দেখা গেল।
“এখণ কথা হচ্ছে কিছু কী লেটার ব্যবহার করে প্লেইন টেক্সট থেকে সাইফার টেক্সটে রুপান্তর করা হয়েছে। এই কী লেটার গুলোই হল সাইফার। এই সাইফার খুঁজে না পেলে মুল মেসেজটা উদ্ধার করা সম্ভব নয়”।
“কিন্তু সাইফারটা খুঁজে পাব কিভাবে?”
“হ্যা, এটাই হল প্রশ্ন। এতক্ষন এটাই ভাবছিলাম”।
“ভেবে কিছু পেলে?”
“মোটামোটি এগিয়েছি, দেখাচ্ছি তোমাকে। প্রথমেই যে জিনিসটা আমাদের বের করতে তা হচ্ছে এটা কোন ধরনের সাইফার”। লেকচার শুরু করলেন প্রোফেসর। “সাইফার অনেক রকম হতে পারে। এদের আবার বিভিন্ন নাম আছে। যেমন ধরঃ বেকন্স সাইফার, সাবস্টিটিউশন সাইফার, হিল সাইফার, প্লেফেয়ার সাইফার, জরিয়ান সাইফার, সিজার সাইফার, বুক সাইফার, ভিজিনিয়ার সাইফার, অ্যাফাইন সাইফার, ব্লোফিশ সাইফার, এনিগমা সাইফার এগুলো হল বেশি প্রচলিত সাইফার- এইছাড়া আরও আছে। তবে আমি ধরে নিয়েছি আমার স্টুডেন্টের দাদা নিশ্চয়ই এমন কোন সাইফার বেছে নেবেন না যেটা বের করা খুব কঠিন হবে, তাই এই প্রচলিত সাইফারগুলর কোনও একটা নিয়েই তিনি কাজ করেছেন বলে ধরে নেয়া যায়। এর মধ্যে জরিয়ান সাইফার, হিল সাইফার এবং ব্লোফিশ সাইফারকে বাদ দেয়া যায় কারন এগুলো বের করতে গেলে ব্যাপক ম্যাথামেটিকাল ক্যালকুলেশন প্রয়োজন। আমার মনে হয়না উনি এত ঝামেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। আর এই সাইফার উদ্ধার করতে গেলে এক রাত যথেষ্ট নয়, কোনও কোনও ক্ষেত্রে মাসের মাসের মাস পেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা আছে ইতিহাসে। তাই এইগুলার সম্ভবনা আমি বাদ দিয়েছি। এবার অন্য সাইফারগুলোর কথায় আসি- বেকন্স সাইফারও বাদ দেয়া যায় কারন এটা বাইনারিতে প্রকাশ করা হয়, সাইফার টেক্সটটি দেখে মনে হচ্ছেনা এটা কোনও ধরনের বাইনারি সংখ্যার প্রকাশ। বুক সাইফারের ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট বইইয়ের পাতার নির্দিষ্ট প্যারার লেটারগুলোকে কী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এখানে যেহেতু কোন বইয়ের নাম উল্লেখ নেই-এটার সম্ভাবনা বাদ দেয়া যায়। প্লেফেয়ার সাইফারে সাইফার টেক্সটের পাশাপাশি একটা প্রিসেট লেটার বক্স থাকে কিন্তু এখানে সেটা নেই দেখে এটাও আমি বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাবস্টিটিউশন সাইফারে কয়েকটা লেটারের সাবস্টিটিউশন হাইন্ট দেখা থাকে, এখানে তা নেই-সুতরাং এটাও বাদ। ভিজিনিয়ার সাইফারে একটা কি-ওয়ার্ড বলা থাকে যার সাহায্যে ভিজিনিয়ার টেবিল থেকে সাইফার টেক্সটের লেটার গুলোর সাবস্টিটিউট লেটার পাওয়া যায়। কিন্তু কি-ওয়ার্ড না থাকায় এটাও বাদ। এখন বাকি থাকল সিজার আর এনিগমা। কি বললাম এতক্ষণ কিছু বুঝতে পেরেছ?”
নাজমা ওপর নিচে মাথা ঝাকালেন।
প্রোফেসর রশিদ বুঝলেন তার স্ত্রী তেমন কিছুই বোঝেনি। মৃদু হেসে বললেন, “এতক্ষন কি বলেছি তা না বুঝলেও চলবে কিন্তু এখন বুঝতে হবে”!
নাজমা চৌধুরী একটু নড়ে চড়ে বসলেন।
“সিজার সাইফার খুব সহজ একটা বিষয়। রোভার স্কাউটদের এটা শেখান হয়। আমার প্রথম চিন্তা ছিল এই সাইফার উনি ব্যবহার করবেন না। তারপরও শিওর হয়ার জন্য একটু ঘাঁটাঘাঁটি করলাম। সিজার সাইফারে ABCD লেটার গুলোর সিরিয়াল ঠিক রাখা হয়, কিন্তু A থেকে শুরু না করে অন্য কোনও বর্ণ থেকে পড়া শুরু করা হয় এবং Z এ শেষ না করে শেষ হয় অন্য বর্ণে গিয়ে। যেমন আমি শুরু করলাম PQRS…. এবং শেষ করলাম ধর ...MNO তে গিয়ে। এখন যদি কেউ লিখতে চায় CAB তাহলে তাকে লিখতে হবে RPQ, বুঝলে তো? এখানে R হচ্ছে C, P হচ্ছে A, Q হচ্ছে B। ঘণ্টা খানেক যাবত এই পদ্ধতিতে ট্রাই করছি। অনেকভাবে চেষ্টা করেও কোন মিনিং বের করতে পারলাম না”।
“তাহলে?” নাজমা প্রশ্ন করলেন।
“তাহলে আর কি? বাকি রইল কেবল এনিগমা পদ্ধতি। এটা অনেকটা সিজার সাইফারের মতই কাজ করে। ABCD.... এর বদলে অন্যভাবে বর্ণগুলো সাজানো থাকে তবে এক্ষেত্রে কোনও সিরিয়াল মেইনটেইন করা হয় না। এটা একটা সাইফার কি। সাইফার টেক্সটে যে মেসেজ পাঠানো হয় তুমি সেখান থেকে সাইফার কি অনুযায়ী আগের বর্ণ বা পরের বর্ণ ধরে একটা মেসেজ বের করে আনা যায়। এই পদ্ধতির প্রথম ব্যবহার হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়। একটা উদাহারন দিয়ে বোঝাচ্ছি তোমাকে.......”
প্যাডে এলোমেলো ভাবে কিছু লেটার লিখলেন প্রোফেসর রশিদ।
PBCGTHDKESNAPLQ
“ধর, এইটা হল সাইফার কি যা তুমিও জান আমিও জানি। এবার ধর আমি তোমার কাছে একটা সাইফার টেক্সট পাঠালাম, যাতে লেখা আছে......” প্রোফেসর লিখলেন, CPATQPHSND
“কি মনে হয়? বের করতে পারবে এর অর্থ?”
নাজমা চৌধুরী অসহায় ভঙ্গিতে মাথা নাড়লেন।
“ভালভাবে খেয়াল করে দেখ, সাইফার টেক্সটের প্রথম বর্ণ কি?”
নাজমা খুঁজে বের করে বললেন, “C”
“সাইফার কি থেকে C খুঁজে বের কর এবং তার আগের লেটারটি কি আছে দেখ”।
“সাইফার কি C তে আছে তিন নম্বরে, এর আগে আছে B”।
"এই তো প্রথম লেটারটা তুমি পেয়ে গেছ, এবার একিভাবে প্রতিটা বর্ণের বিপরীতে সাইফার কি থেকে আগের বর্ণগুলো খুঁজে প্যাডে লিখে দেখ কি অর্থ দাঁড়ায়"।
নাজমা চৌধুরী প্যাডটা কাছে টেনে নিয়ে লিখতে থাকলেন।
B- A- N- G- L- A- D- E- S- H
“পেয়েছি! বাংলাদেশ!” বলেই হাততালি দিয়ে উঠলেন নাজমা চৌধুরী।
প্রোফেসর রশিদ স্ত্রীর আনন্দ দেখে হাসলেন। “এই তো তুমি সাইফার বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছ! দেখলে তো বিষয়টা খুব একটা কঠিন কিছু না”।
প্রোফেসর রশিদ আবার লেকচার দিতে থাকলেন। “পরবর্তীতে জার্মানরা এই পদ্ধতির কিছুটা উন্নতি সাধন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আবিষ্কৃত হয় এনিগমা মেশিন। এটা ছিল দেখতে অনেকটা টাইপরাইটারের মত। একটা মেশিন একবার ব্রিটিশ সেনাদের হাতে পরে যায়, ফলে জার্মান সেনাদের গোপনে আদান প্রদানকৃত যুদ্ধপন্থা সম্পর্কিত অনেক গোপন তথ্য তারা আগে থেকেই জেনে ফেলে। যুদ্ধে জার্মানদের ক্রমশ পরাজয়ের দিকে ধাবিত হওয়ার এটাও একটা কারন। যাই হোক, এই মেশিনে প্রত্যেকটা লেটারের সাথে অন্য একটা লেটার জুড়ে দেওয়া থাকত। সাইফার টেক্সট পাওয়ার পর এনিগমা মেশিনে তা টাইপ করা হত, টাইপের সময় প্রতিটি লেটারের সাথে সম্পর্কযুক্ত লেটারটি টাইপ হত। টাইপ শেষে মূল মুল মেসেজটা বেরিয়ে আসত। বুঝেছ?”
নাজমা বেগম বললেন, “কিন্তু এজন্য তো একটা এনিগমা মেশিন দরকার। উনি কিভাবে এনিগমা মেশিন পাবেন?”
“লোকটা সৌখিন প্রকৃতির ছিলেন। গুপ্তধনের সন্ধানে দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন, হয়ত কোনভাবে একটা মেশিন ম্যানেজ করে ফেলেছিলেন!”
“তাহলে নিশ্চয়ই লোকটার বাড়িতে পুরনো জিনিসপত্রের মাঝে অমন একটা মেশিন রয়েছে!”
“হতে পারে”।
“সেক্ষেত্রে তোমাকে তো তার বাড়িতে যেতে হবে। ঐ মেশিন ছাড়া তো এই সাইফার ব্রেক করতে পারবে না!”
প্রোফেসর রশিদ হাসলেন।
“হাসছ কেন?”
“একবিংশ শতাব্দির মানুষ হয়ে তুমি যদি একথা বল, হবে তাহলে?”
“তারমানে?
“তারমানে হচ্ছে আমি গুগল ঘেঁটে এনিগমা মেশিনের কিছু ছবি বের করেছি, এই যে দেখ”- প্রোফেসর রশিদ স্ত্রীর দিকে ল্যাপটপটি ঘুরিয়ে দিলেন।
নাজমা বললেন, "এটা তো দেখতে টাইপ রাইটারের মতই"।
“এখানে প্রত্যেকটা লেটারের সাথে জুড়ে থাকা লেটারটি দেখা যাচ্ছে। সামনের নিচু লেটার গুলো হল মুল লেটার, পিছনে উচু হয়ে থাকা লেটারগুলো হল জুড়ে থাকা লেটার”।
“বুঝলাম, কিন্তু এখান থেকে কি কিছু বের করতে পারলে?”
“নাহ! আমাদের এই সাইফার টেক্সটিকে এনিগমা মেশিনের সাথে কোনওভাবে রিলেট করতে পারছি না”।
“তাহলে? উনি কি এনিগমা মেশিনও ব্যবহার করেন নি?”
“মনে হয় না”।
“এখন তাহলে কি করবে?”
“এখন শেষ ভরসা হিসেবে আছে লেটার ফ্রিকোয়েন্সি লিস্ট। এটা না হলে আর কোনওভাবে সাইফারটি ভাঙ্গা সম্ভব হবেনা”।
“এটা আবার কি জিনিশ?”
“বলছি, দাঁড়াও” দেয়াল ঘড়ি দেখলেন প্রোফেসর রশিদ। গল্প করতে করতেই রাত দুটো বেজে গেছে! “লেটার ফ্রিকোয়েন্সি হল ইংরেজি ভাষায় কিছু লেখা সময় কোন লেটারটি কতবার ইউজ হয়, তার একটা গড়। লেটার ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ে আমি গুগলে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেছি, কিন্তু তোমাকে মনে রাখতে হবে আমরা এমন এক কোড ভাঙতে যাচ্ছি যা সম্ভবত ব্রিটিশ আমলে লেখা এবং তখন আজকের মত গুগল ছিলনা, ছিলনা ইন্টারনেট, ছিলনা সহজে তথ্য সংগ্রহের কোনও মাধ্যম! তখনকার আমলে লেটার ফ্রিকোয়েন্সি বের করতে হলে গবেষণা মুলক বইয়ের কোনও বিকল্প ছিলনা। আমি একটা আর্টিকেল পেয়েছি যেখানে ৪০এর দশকে আমেরিকা ও ইউরোপে ব্যবহৃত কথ্য ইংলিশ ল্যাংগুয়েজের প্রায় ৪০ হাজার ওয়ার্ডের ওপর জরিপ করে একটা ফ্রিকোয়েন্সি তালিকা করা হয়েছে। তালিকাটা রিলাইয়েবল মনে হয়েছে আমার কাছে। দেখ”-
English Letter Frequency (based on a sample of 40,000 words)
E=21912
T=16587
A=14810
O=14003
I=13318
N=12666
S=11450
R=10977
H=10795
D=7874
L=7253
U=5246
C=4943
M=4761
F=4200
Y=3853
W=3819
G=3693
P=3316
B=2715
V=2019
K=1257
X=315
Q=205
J=188
Z=128
“এখান থেকে সাইফার ভাংবে কেমন করে?”
“খুব সহজ, তবে একটু সময় লাগবে। বুঝিয়ে বলছি, তার আগে আমাকে একটু সাহায্য কর। আমাদের সাইফার টেক্সটিতে কোন লেটার কতবার আছে তার একটা তালিকা তৈরি করে ফেলা যাক!”
দুজনে মিলে সাইফার টেক্সট থেকে প্রত্যেকটা বর্ণ গুনে গুনে প্যাডে লিখলেনঃ
W=11বার, K=6 বার, U=5 বার, I=5 বার, E=5 বার, G=3 বার, P=3 বার, S=3 বার, R=3 বার, C=2 বার, J=2 বার, Y=2 বার, N=2 বার, Q=2 বার, X=2 বার, B=1 বার, O=1 বার, T=1 বার, F=1 বার, V=1 বার, D=1 বার।
“এবার কি করবে?” প্রশ্ন করল নাজমা চৌধুরী।
“এবার দেখ লেটার ফ্রিকোয়েন্সি চার্ট অনুযায়ী ইংরেজি ভাষায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লেটার হল E এবং আমাদের সাইফারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লেটার হল W। আমরা এখন W কে E দ্বারা রিপ্লেস করব”।
প্রোফেসর রশিদ ল্যাপটপে টাইপ করলেনঃ
****E******E***********E*
*EE**E*E***E**E**E******
************E*
“এবার আস K কে T দ্বারা রিপ্লেস করে ফেলি”।
****E******E***********E*
*EE**E*E***E**ET*E**T***
*****TT**TT*E*
“এবার কি করবে?” নাজমার প্রশ্ন। “U, Iএবং E তিনটি লেটারই সাইফারে ৫ বার করে আছে। কোনটাকে আগে রিপ্লেস করবে বল?”
প্রোফেসর রশিদ হাসলেন, বললেন, “এমন হতে পারে তা আমার জানা ছিল এই অবস্থায় নিয়ম অনুযায়ী আমরা দেখব সাইফারে কোন লেটারটা আগে আছে, সেটাকে আগে চেঞ্জ করব অর্থাৎ যে লেটার গুলো সমান সংখ্যক বার আছে তার মধ্যে যেটা আগে আছে সেটা আগে রিপ্লেস করতে হবে”।
“আস তাহলে U কে A দ্বারা রিপ্লেস করে ফেলি”।
A***E*A****E***********E*
*EE**E*E***E**ET*E**T***
**A*ATT*ATT*E*
তারপর ক্রমান্বয়ে দুজনে মিলে I কে O দ্বারা E কে I দ্বারা- এভাবে করে রিপ্লেস করতে লাগল।
A***E*A****E**O*I******EI
*EE**E*E*OIE**ET*EO*TO**
OIA*ATT*ATT*EI
“নাজমা, আমার মনে হচ্ছে কোনও মিনিং বের হচ্ছে না”প্রোফেসর রশিদের কণ্ঠে হতাশার সুর।
“অধৈর্য হয়নো। আগে আস G কে N দিয়ে, Pকে S দিয়ে আর Sকে R দিয়ে রিপ্লেস করে দেখি কি দাঁড়ায়!”
এভাবে রিপ্লেস করার পর টেক্সটা দাঁড়ালঃ
ANP*E*A*RP*R*SO*IRP**N*EI
*EE**E*E*OIE**ET*EO*TO**
OIA*ATT*ATTGEI
“উই আর গোয়িং নো হয়ার, নাজমা”এবার পুরোপুরি হতাশ হয়ে পড়লেন প্রোফেসর। “প্রথমে এসেছে ANP শেষে এসেছে ATTGEI । এগুলো কোনও মিনিংফুল ইংরেজি ওয়ার্ড না”।
“এখন তাহলে কি করবে?”
“আমার মাথায় আর কিছু আসছে না!”
“আমি বলিকি- অনেক রাত হয়েছে, এখন শুয়ে পর। সকালে উঠে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করা যাবে!”
ঘড়ি দেখলেন প্রোফেসর রশিদ চৌধুরী। প্রায় তিনটা বাজে। স্ত্রীর কথা মত লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়লেন। শরীরটা খুব ক্লান্ত লাগছে। সারাদিনের দৌড়াদৌড়ির পর আবার রাত জেগেছেন। কিন্তু মনটা খারাপ লাগছে ভীষণ, নিজেকে পরাজিত মনে হচ্ছে। সারাজীবন সাইফার নিয়ে গবেষণা করেছেন অথচ কোন সৌখিন এক বৃদ্ধের শখ করে রেখে যাওয়া সামান্য এক সাইফার সমাধান করা সম্ভব হলনা! “নিশ্চয়ই সাইফার তৈরির সময় কোনও গলদ করেছে বেটা”- নিজের মনকে প্রবোধ দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রোফেসর। কিন্তু মন প্রবোধ মানতে চাইছে না। অবশ্য খুব বেশিক্ষন জাগতে হলনা, মিনিট দুয়েক বাদেই চোখ জুড়ে আসল রাজ্যের ঘুম।
***
ঘুম ভাঙল সকাল ৯টার দিকে। প্রোফেসর রশিদ উঠে দেখলেন স্ত্রী পাশে নেই। রান্নাঘর থেকে টুং টাং আওয়াজ আসছে। মনে হয় চা বানাচ্ছেন।
আবার সাইফারটা হাতে নিয়ে বসলেন তিনি। নাজমা বেগম এলেন দুই কাপ চা হাতে নিয়ে। বললেন, “ঘুম না ভাংতেই আবার বসে পরলে ওটা নিয়ে!”
“মনটা খারাপ হয়ে আছে, নাজমা। মনে হচ্ছে হেরে গেছি আমি। এই প্রথম নিজের সুযোগ হল সত্যিকারের একটা সাইফার নিয়ে কাজ করার। অথচ আমি কিনা ব্যর্থ হলাম!”
“মন খারাপ করোনা, সময় তো এখনও আছে। কিছু একটা চিন্তা করে বের কর”।
“সারারাত ঘুমের ঘোরে সেই চিন্তাই করেছি। কোন পথ খুঁজে পাচ্ছি না! আমার চিন্তা-ভাবনা ঠিকই আছে, যে পদ্ধতিতে সমাধানের জন্য এগিয়েছি, সেটাই বেস্ট ওয়ে। এতক্ষনে সমাধান পেয়ে যাওয়ার কথাই। কিন্তু কেন যে মেসেজটা বের হলনা টা বুঝতে পারছি না”।
“এক কাজ করোনা” বুদ্ধি লেওয়ার ভঙ্গিতে বললেন নাজমা, “বাঁকি লেটার গুলোও রিপ্লেস করে ফেল। দেখা যাক না কি বের হয়!”
“তুমি কর, আমি চা খাই”।
নাজমা বেগম আগ্রহ নিয়ে বসলেন। ল্যাপটপটা সামনে নিয়ে লেটার গুলো টাইপ করতে থাকলেন। হঠাৎ কিছু একটা দেখে থেমে গেলেন। “মোহনার বাবা!”
স্ত্রীর কণ্ঠে অন্যরকম একটা সুর শুনে চমকে উঠলেন প্রোফেসর রশিদ। “কি?”
“তুমি এনিমগা পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে তার একটা উদাহারন দিয়েছিলে রাতে, মনে আছে?”
“যেখান থেকে তুমি বাংলাদেশ খুঁজে পেলে, ওটা?”
হ্যা-বোধক মাথা নাড়লেন নাজমা।
“মনে আছে, কিন্তু কেন জিজ্ঞেস করছ?”
“বলছি, তার আগে আর একটা প্রস্নের জবাব দাও। পুরনো আমলের টাইপ রাইটার আর আজকের কপমিউটারের কি বোর্ড এর লেটারের এলাইনমেন্ট কি একই?”
“হ্যা, টাইপ রাইটার, কিবোর্ড সহ প্রায় সব ধরনের টাইপিং ডিভাইসে একই স্ট্যান্ডার্ড ফলো করা হয়। মানে লেটার গুলো একই সিরিয়ালে সাজানো থাকে”।
নাজমা ল্যাপটপটা স্বামীর দিকে বারিয়ে ধরলেন। “লুক এট দা কিবোর্ড”।
রশিদ চৌধুরী তাকালেন, “হোয়াট এম আই সাপোজড টু সি?”
“আমাদের সাইফারের প্রথম ৫টা লেটার কি?”
“আমি তোমার উদ্দেশ্য বুঝতে পারছি না নাজমা”।
“আহা বলই না!”
“U-G-P-C-W”
“এবার এই লেটারগুলা কি বোর্ডে খুঁজে বের করে আগের লেটারগুলো দেখ”।
প্রোফেসর রশিদ পড়লেন, “I-H-A-V-E!”
এক মুহূর্ত তাকিয়ে থাকলেন প্রোফেসর, তারপর শীষ দিয়ে উঠলেন, “আই হ্যাভ বেরিয়েছে! ওহ মাই গড! তারমানে আমি আগে যে পদ্ধতিতে চেষ্টা করছিলাম ওটাই ঠিক ছিল! ওনার কাছে কোন এনিগমা মেশিন ছিলনা, ছিল টাইপ রাইটার!”
“এক্স্যাক্টলি!” নাজমা চৌধুরী হাসলেন।
“তুমি একটা জিনিয়াস নাজমা! ইউ আর এ জিনিয়াস! কি জিনিশ বের করে ফেলেছ, তুমি নিজেই জাননা! আমার তো মাথায়ই আসেনি!”
“আমরা দুজনে একটা সুন্দর টিম বানিয়েছি, তাইনা?”
“ইয়েস, আফকোর্স!”
“এবার ঝটপট বাঁকি ওয়ার্ডগুলো বের করে ফেল”।
বিপুল বিক্রমে আবার কাজে লেগে গেলেন প্রোফেসর রশিদ। প্রথমে প্যাডে কি বোর্ডের এলাইনমেন্ট অনুযায়ী লেটারগুলো সাজালেনঃ
QWERTYUIOP
ASDFGHJKL
ZXCVBNM
এবার এখান থেকে সাইফারের লেটার গুলো খুঁজে বের করে প্রতিটি লেটারের আগের লেটারটা লিখলেন। এভাবে পুরোটা প্যাডে লিখার পর মেসেজটা দাঁড়ালঃ
IHAVEKIDNAPEDYOURDAUGHTER
MEETMEBEFORETWELVEOCLOCK
ORIWILLKILLHER
প্রোফেসর রশিদ থমকে তাকিয়ে থাকলেন কিছুক্ষন। এবার আলাদা করে মাঝখানে স্পেস বসিয়ে বসিয়ে মেসেজটা আবার লিখলেনঃ
I HAVE KIDNAPED YOUR DAUGHTER
MEET ME BEFORE TWELVE O’CLOCK
OR I WILL KILL HER
নাজমা ভ্রু কুছকে কিছুক্ষন মেসেজটার দিকে তাকিয়ে থাকলেন। তারপর বললেন, “এটা তো মনে হয় কিডন্যাপারের হুমকি! তোমার ছাত্রের দাদা এটা লিখতে যাবেন কেন?”
প্রোফেসর রশিদ থমথমে গলায় বললেন, “তুমি বুঝতে পারছ না নাজমা। কাগজটা পুরনো কিন্তু লেখাটা নয়। এভনভাবে লেখা হয়েছে যেন দেখতে পুরনো মনে হয়। ছাত্রের দাদা নয়, ছাত্রই লিখেছে এটা!”
“কিন্তু কেন? কেন লিখতে যাবে সে এটা?”
“ও একটা স্যাডিস্ট। আমাকে নিয়ে খেলেছে। তুমি এক্ষুনি মিথিলাকে ফোন কর”।
“ওয়েট!” এতক্ষনে বিষয়টা নাজমা চৌধুরীর খেয়াল হল। “তুমি ভাবছ তোমার ঐ ছাত্র মিথিলাকে....”
প্রোফেসর রশিদ ওপর নিচে মাথা ঝাঁকালেন।
নাজমা চৌধুরী মোবাইল হাতে নিয়ে দ্রুত ডায়াল করলেন মেয়ের নম্বরে। কিন্তু মোবাইল কানে দিতেই ভেসে এল..... “দুঃখিত, এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেয়া...” নাজমা চৌধুরী কেটে দিয়ে আবার কল করলেন। একই ঘটনা ঘটল আবার। হতাশ কণ্ঠে বললেন, “মিথিলার ফোন বন্ধ!”
“ওর মামাত বোন স্বর্ণার নম্বরে ফোন দাও”।
নাজমা ফোন দিলেন। ওপাশ থেকে রিসিভ হতেই বললেন, “স্বর্ণা! মা, মিথিলা কোথায়?...বেরিয়ে গেছে... কখন?..... কিন্তু এখনও তো ফেরেনি... মোবাইলটাও বন্ধ পাচ্ছি.... আচ্ছা, মা রাখি, পরে কথা হবে” নাজমা কল কেটে দিয়ে বললেন, “মিথিলা ওদের বাসা থেকে সকাল সকাল বেরিয়ে গেছে”।
“মাই গড! ওহ মাই গড! স্যাডিস্টটা আগে থেকে সব প্লান করে রেখেছিল”প্রোফেসর রশিদ দুহাতে মুখ ঢাকলেন।
নাজমা চৌধুরী বললেন, “কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব বল? সে তোমাকে যখন সাইফার লেখা কোডটা দিয়েছিল তখন তো মিথিলা ওর মামার বাড়িতেই ছিল। রাতে আমার সাথে ফোনে কথা হয়েছে! এখন হয়ত রাস্তায় আটকে আছে, মোবাইলের চার্জ নেই!”
“সব কিছু প্লান করাই ছিল, নাজমা। ও জানত, আমি যতক্ষণে কোডটা ব্রেক করতে পারব ততক্ষনে কিডন্যাপের কাজটা সেরে ফেলতে পারবে”।
মিসেস নাজমা আতংকিত কণ্ঠে বললেন, “এখন কি করবে?”
প্রোফেসর রশিদ ব্যস্ত উঠে দাঁড়ালেন। “এখন ওর কথা মত কাজ না করে উপায় নেই। আমি যাব ওর কাছে”।
“ঠিকানা জান?”
“একটা ভিজিটিং কার্ড দিয়েছিল আমাকে। ডেক্সের ওপর ফেলে এসেছি, আগে ওটা নিতে হবে তারপর সেই অনুযায়ী যাব”।
“নাহ, তোমার যাওয়ার দকার নেই, ঠিকানা দেখে নিয়ে পুলিশে খবর দেব আমরা”।
“না , নাজমা! ভুলেও এই কাজ করার কথা ভেবনা, তাহলে মেয়েকে আর সুস্থ দেখতে পাবেনা!”
***
ঝড়ের বেগে ঢুকলেন প্রোফেসর রশিদ। কায়সার তখন চেয়ারে বসে টেবিলের ওপর দুই পা তুলে দিয়ে দোল খাচ্ছিল। প্রোফেসর রশিদকে দেখে ঝট করে পা নামিয়ে দাঁড়িয়ে গেল। “কংগ্রাচুলেশন স্যার, আমি জানতাম আপনি সময়ের আগেই কোড ব্রেক করতে পারবেন!”
রাগ সামলে রাখতে পারলেন না প্রোফেসর। এগিয়ে গিয়ে কায়সারের শার্টের কলার চেপে ধরলেন। “বাস্টার্ড! বল আমার মেয়ে কোথায়?”
কায়সার মুখে হাসি ধরে রাখল, “আরে..আরে...স্যার করেন কি? রিলাক্স! রিলাক্স! আপনার মেয়ে ভাল আছে। ১২টা বাজতে এখনও আধা ঘণ্টা বাঁকি!”
রশিদ সাহেব কলার ছেড়ে দিলেন কিন্তু আগ কমছে না তার। “আমি এসেছি তোর কথা মত, এবার আমার মেয়েকে ছেড়ে দে”।
“বসেন, স্যার। রিলাক্স হয়ে বসেন” কায়সার অভয় দেওয়ার ভঙ্গিতে হাসল। “আপনার মেয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ আছে”।
রশিদ চৌধুরী একটা চেয়ারে ধপাস করে বসে পড়লেন। উত্তেজনায় এতক্ষন বুঝতে পারেন নি, শরীরটা খুব দুর্বল লাগছে। রাতে ভাল ঘুম হয়নি, সকালে খাওয়া হয়নি। ক্ষীণ গলায় বললেন, “আর কি চাও তুমি?”
“বলছি স্যার, সব বলছি। একটু ঠাণ্ডা হন। চা কফি কিছু খাবেন? সকালে নাস্তা খেয়েছেন বলেও তো মনে হচ্ছে না!”
প্রোফেসর রশিদের চোয়াল শক্ত হয়ে গেল, “ইউ...” কিছু একটা বলতে গিয়ে থেমে গেলেন। রাগ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন, “আমি এখানে তামাসা দেখতে আসিনি-বলেছিলে ১২টার আগে দেখা করতে পারলে আমার মেয়েকে ছেড়ে দেবে, আমি এসেছি- ছেড়ে দাও আমার মেয়েকে! প্লিজ!”
কায়সার হাসিমুখে বলল, “কিঞ্চিত ভুল বলেছেন স্যার। আমি বলেছি ১২টার আগে দেখা করলে আপনার মেয়েকে খুন করা হবেনা। দেখা করলেই ছেড়ে দেব তা তো বলিনি!”
“কি চাস তুই আর?” দাঁড়িয়ে গেলেন রশিদ চৌধুরী। “বল আর কি চাস? স্যাডিস্ট! এক রাত না ঘুমিয়ে তোর খেলায় তাল দিয়েছি- আর কি চাস তুই?”
“সত্যি জানতে চাই স্যার”।
“সত্যি! কিসের সত্যি?”
“আপনি জানেন স্যার!” কায়সার থমথমে গলায় বলল, “আপনি খুব ভাল করেই জানেন আমি কোন সত্য জানতে চাইছি!”
প্রোফেসর রশিদ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন কিছুক্ষন, তারপর বললেন, “আমি জানিনা কিসের কথা বলছ তুমি?”
“তাই? আসলেই জানেন না! তাহলে তো মনে করিয়ে দিতে হয়!” কায়সার একটু থেমে আবার শুরু করল, “আজ থেকে ১০ বছর আগের কথা! আমি তখন আপনার প্রতিষ্ঠানের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র। লেখাপড়ায় আমি অন্যান্যদের তুলনায় অনেক এগিয়ে ছিলাম। আমার সহপাঠী ছিল লিজা নামের একটি মেয়ে। বড়লোকের বাপের একমাত্র মেয়ে। যেমন ছিল রুপ, তেমনি ছিল অহংকার। বলতে বাধা নেই ক্লাসের অন্যান্য সব ছেলেদের মত আমিও তার প্রতি একটু দুর্বল ছিলাম। এমনিতে মেয়েটির সাথে খুব একটা কথা হতোনা, কিন্তু একদিন সে আমাকে তার বাসায় যাওয়ার অনুরোধ করল। আমার কাছ থেকে কিছু পড়া বুঝে নিতে চায়। সুন্দরী মেয়ের অনুরোধ ফেলা যায় না, আমি রাজি হয়ে গেলাম। নির্ধারিত দিনে বই খাতা নিয়ে আমি তার বাসায় গিয়ে হাজির। বাড়ি ছিল একদম ফাঁকা। আমাকে দেখে লিজা মধুর হাসি হাসল তারপর ড্রয়িংরুমে বসিয়ে রেখে বেডরুমে ঢুকল। সেই যে ঢুকল আর বের হওয়ার নাম নেই। বেশ কিছুক্ষন বাদে দরজায় কড়া নকের আওয়াজ পাওয়া গেল। আমি কয়েকবার ডাকলাম লিজাকে। কিন্তু লিজার কোনও উত্তর পেলাম, ভাবলাম বাথরুমে গেছে। এদিকে দরজায় জোরে জোরে ধাক্কা পরতে লাগল। সমবয়সী একটা মেয়ের অনুমতি ছাড়া তার বেডরুমে ঢোকা ঠিক হবেনা ভেবে বসে থাকলাম। আরও কিছুক্ষন কেটে গেল, দরজাতে ধাক্কার শব্দ শুনে মনে হচ্ছিল দরজাটা ভেঙেই ফেলবে। এদিকে লিজার কোনও সাড়া শব্দ পাচ্ছিনা তাই বাধ্য হয়ে নিজেই দরজা খুললাম। খুলেই দেখি বেশ কয়েকজন পুলিশ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বুকে প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পরলাম। কয়েকজন পুলিশ আমাকে টেনে দাড় করাতে লাগল। বাকিরা লিজার বেডরুমের দিকে গেল। আমার তখন স্বাভাবিক চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা ছিলনা। প্রচণ্ড ব্যাথায় চোখে অন্ধকার দেখছিলাম। একটু পরে দেখি লিজা পুলিশদের সাথে একটা চাদর গায়ে দিয়ে বেরিয়ে এসেছে। তার গালে-হাতে আঁচরের দাগ, গায়ের পোশাক কয়েক যায়গায় ছেড়া, মাথার চুল এলোমেলো-বুঝতে অসুবিধা হলনা মেয়েটা আমাকে ফাসিয়ে দিয়েছে। এক পুলিশ বলল, “শালা! মেয়ে মানুষ বাড়িতে একলা পেয়ে রেপ করতে চাইছিলা” অন্য একজন আমার পেটে প্রচণ্ড এক লাথি ঝাড়ল। তীব্র ব্যাথা নিয়ে আমি জ্ঞান হারালাম”।
কায়সার একটু থামল, প্রোফেসর রশিদ মাথা নিচু করে শুনছেন।
“জ্ঞান ফিরতেই দেখি আমি হাজতে। একটু সুস্থির হয়ে বসেছি তখন একজন পুলিশ অফিসার এসে ঢুকল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তার কাছ থেকেই আমি জানলাম আমার বিরুদ্ধে আগেই থানায় জিডি করে রেখেছিল লিজা। আমি নাকি তাকে রেপ করার হুমকি দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের ফোন পেয়ে তারা জানতে পারে আমি লিজার বাসায় গিয়েছি। তারা আশংকা করে আমার উদ্দেশ্য রেপ করা এবং লিজার বাসায় গিয়ে তারা আমাকে হাতে নাতে ধরেছে। আমি পুরো ব্যাপারটা অস্বীকার করলাম। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম আমি যদি তাহলে রেপই করতে গিয়ে থাকি তবে পুলিশ আসার পর পালিয়ে না গিয়ে নিজে থেকে দরজা খুলতে যাব কেন। কিন্তু কিছুতেই কোন কাজ হলনা। একজন রেপিস্ট ধরতে পারা পুলিশের জন্য বিশাল কৃতিত্ব। অমানুষিক টর্চার করেছিল সেদিন। বাবা মায়ের আদরের সন্তান ছিলাম, বন্ধু বান্ধবদের পাল্লায় যাওয়া হয়নি খুব একটা। মাইর যে কি জিনিস আর কত ভয়ংকর হতে পারে সে সম্পর্কে আমার ধারনা ছিলনা। একসময় আর সইতে না পেরে স্বীকার করলাম সব কিছু। এরপর আমার স্বপ্নের প্রাসাদগুলো একে একে ধ্বসে পরতে লাগল। দুই বছরের জেল হয়ে গেল, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হল। আমার এই ঘটনা জানতে পেরে বাবা একটা মেজর স্ট্রোক করলেন। তার চিকিৎসার জন্য মা সহায় সম্পদ সব বিক্রি করে দিলেন, তাও তাকে বাঁচানো গেলনা। বাবার কবরের পাশে বসে কাঁদতে কাঁদতে একসময় মাও চলে গেলেন। দু বছর শেষে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আমি যে অসহায় অবস্থায় পরেছিলাম তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। কিন্তু আমি ভেঙে পড়লাম না। গ্রামে একটুকরো জমি ছিল, সেটা বিক্রি করে দিয়ে ঢাকায় এসে একটা ছোটখাট ব্যাবসা শুরু করলাম। এখন আমি ভাল আছি, সামলে নিয়েছি সব কিছু। কিন্তু কষ্ট একটা রয়ে গেছে- মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে আমাকে, বিনা অপরাধে জেল খেটেছি”।
আবার একটু থামল কায়সার। তারপর যোগ করল, “আমি জেল থেকে বেরিয়ে একটু খোঁজ খবর নিতেই জানলাম পুলিশে যে শিক্ষক খবর দিয়েছিলেন সে আর কেউ নয়- আমার পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষক জনাব রশিদ চৌধুরী! এমনকি থানায় লিজা যে জিডি করেছিল, তাতেও আপনার সিগনেচার ছিল। বুঝতে অসুবিধা হলনা যে পুরো ঘটনাতে আপনি লিজাকে সাহায্য করেছেন”!
প্রোফেসর রশিদ বললেন, “তুমি কি বলছ আমি কিছুই বুঝতে পারছি না! আমার মেয়েকে ছেড়ে দাও আমি চলে যাই, নইলে আমি পুলিশ ডাকতে বাধ্য হব”।
“পুলিশ ডাকবেন! হাসালেন স্যার! কি বলবেন আপনি পুলিশকে?”
“পুলিশকে বলব তুমি আমার মেয়েকে কিডন্যাপ করেছে”।
“তাই? পুলিশ বিশ্বাস করবে এই কথা? কি প্রমান দেবেন আপনি? ঐ সাইফার কোড দেখাবেন? বলবেন এই সাইফার কোড ভেঙ্গে আপনি বের করেছেন আপনার মেয়েকে কিডন্যাপ করেছি! আপনার স্বাভাবিক চিন্তা শক্তি লোপ পেয়েছে স্যার!”
“দেখ! আমি কিচ্ছু জানিনা এ সম্পর্কে! লিজা আমার কাছে নালিশ করেছিল তুমি নাকি তাকে রেপ করার হুমকি দিয়েছ, ব্যাস!”
“আমি বিশ্বাস করিনা স্যার। এর মধ্যে অন্য কিছু লুকিয়ে আছে। শুধু একটা মেয়ের নালিশের ওপর বিশ্বাস করে আপনি তাকে প্রত্যক্ষ ভাবে সাহায্য করেছেন একটা নাটক সফলভাবে মঞ্চস্ত করার জন্য। যে নাটকের কারনে একজন ছাত্রের জীবন ধংস হয়ে যেতে পারে! এই কথা আর যেই বিশ্বাস করুক আমি করিনা”।
প্রোফেসর রশিদ চুপ করে থাকলেন।
“কথা বলুন স্যার!” তাগাদা দিল কায়সার। “আমাদের হাতে সময় খুবই কম। ১২টা বাজতে আর মাত্র ১০ মিনিট বাঁকি। তার আগেই যদি আমি একটা নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন দিয়ে নিষেধ না করি তাহলে ঠিক ১২টা বাজার সাথে সাথেই আপনার মেয়ের দুচোখের মাঝ বরাবর একটা তপ্ত বুলেট ঢুকে যাবে”।
প্রোফেসর দুহাত দিয়ে মুখ ঢাকলেন, “ওহ গড, ওহ গড। এই কাজ করোনা। আমি বলছি....বলছি সব কিছু”।
“একটু দ্রুত করুন স্যার। সময় পেরিয়ে যাচ্ছে!”
প্রোফেসর বড় করে একটা দম নিলেন, “আমি লিজার প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম সেটা লিজা বুঝতে পেরেছিল। লিজা বিষয়টাকে প্রশ্রয় দিয়েছিল, নিজে থেকে এসে আমার সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। কিন্তু আমার তরফ ব্যাপারটা ছিল সম্পূর্ণ অর্থে শারীরিক। আমি বিহাহিত ছিলাম, লিজার প্রতি কোনও কমিটমেন্ট ছিলনা আমার। কিন্তু...কিন্তু নিজেকে সামলানো সম্ভব হয়নি আমার। দৈহিক আকর্ষণের কাছে হার মেনেছিল আমার বিবেক, আমি ধ্যান জ্ঞান সব ভুলে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এর মধ্যে একদিন লিজা এসে আমাকে বলল আমাদের সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেছে কায়সার। আমার তখন পাগল হওয়ার অবস্থা! একদিকে আমার সংসার অন্যদিকে আমার ক্যারিয়ার- সব কিছু ধংস হয়ে যাবে যদি তুমি মুখ খুল। এই সময় লিজাই পুরো প্ল্যানটা করে। আমার সিগনেচার নিয়ে গিয়ে থানায় তোমার নামে সাধারন ডায়েরি করে আসে। ঘটনার দিন তুমি ওর বাসায় গিয়ে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে সে আমাকে ফোন করে আর আমি ফোন করি থানায়। বিশ্বাস কর কায়সার! তখন আমার মাথা ঠিক ছিলনা, আমার স্বাভাবিক চিন্তা করার ক্ষমতা ছিলনা তখন”।
“কিভাবে একাজ করলেন স্যার?” ধরা গলায় বলল কায়সার, চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে তার। “আমি তো আপনাদের বিষয়ে কিছুই জানতাম না। একবারও আমাকে জিজ্ঞেস করলেন না কেন? লিজার কথাতেই সব বিশ্বাস করে নিলেন!”
“তুমি কিছুই জানতে না?”
“নাহ স্যার, আমি জানতাম না কিছুই। লিজা আমাকে ফাঁসানোর জন্য আপনার কাছে মিথ্যে বলেছে”।
“কিন্তু কেন সে তোমাকে ফাসাতে চাইবে?”
“আপনি বুঝতে পারেন নি স্যার! ও ছিল একটা সাইকো। ও পারেনা এমন কোনও কাজ নেই। সারাজিবন সব পরীক্ষায় সে প্রথম হয়েছে, জীবনে কখনো হারতে শেখেনি। যেকোনো কম্পিটিশনে ফাস্ট হওয়ার জন্য ঘৃণ্য থেকে ঘৃণ্যতম কাজ করেছে সে। কিন্তু ইউনিভার্সিটিতে এসে আমার কারনে লিজা প্রথম হতে পারত না। অনেক চেষ্টা করেও যখন আমাকে হারাতে পারল না তখন সিদ্ধান্ত নিল সরিয়ে দেওয়ার। লিজা আপনার দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে। তার প্রতি আপনার আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে সে আপনাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল। তারপর নিজের প্লানমত আপনাকে নিয়ে খেলেছে। আপনি তাকে সাহায্য করেছেন আমাকে ফাঁসানোর কাজে। আমাকে সরিয়ে দিয়ে নিজের পথ পরিস্কার করেছিল লিজা”!
“আই এম সো সরি, কায়সার” ভেঙে পড়লেন প্রোফেসর রশিদ। “আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। আমাকে ক্ষমা করে দাও কায়সার, প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও”।
“ওকি করছেন স্যার! মাফ চাওয়ার কোনও দরকার নেই। আপনার ওপর আমার কোনও রাগ নেই। আমি শুধু সত্য জানতে চেয়েছিলাম, সেটা জেনেছি। আর কিছুই চাওয়ার নেই আমার”।
“আমি তোমাকে সব বলে দিয়েছি, এবার আমার মেয়েকে ছেড়ে দাও!”
কায়সার হাসল, সামলে নিল নিজেকে “এক্ষুনি ছেড়ে দেব” বলে মোবাইল বের করল। নম্বর বের করে ডায়াল করল। ওপাশ থেকে রিসিভ হতেই বলল, “ম্যাডাম! স্যার এসেছেন, আপনারা আসুন”।
প্রোফেসর রশিদ কিছুই বুঝতে পারছেন না। “কাকে ডাকছ?”
কায়সার কোনও জবাব দিলনা।
খানিক বাদেই মিসেস নাজমা চৌধুরী আর তাদের ছোট মেয়ে মিথিলা এসে ঢুকল কায়সারের অফিস রুমে। দুজনের মুখেই হাসি। প্রোফেসর রশিদ চৌধুরী নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। “নাজমা তুমি... মিথিলা... তোমরা একসাথে... আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না!”
নাজমা চৌধুরী হাসলেন, কায়সারের দিকে ফিরে বললেন, “তুমি বলবে নাকি আমি বলব?”
কায়সার হেসে উত্তর দিল, “আপনিই বলেন ম্যাডাম”।
নাজমা চৌধুরী স্বামীর দিকে ফিরে বললেন, “গত কয়েক মাসে অনেকগুলো নেগেটিভ ঘটনা ঘটেছিল, তোমার সময়টা যাচ্ছিল খারাপ। কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলে, খাওয়া দাওয়া ঠিক মত করছিলে না, মেজাজ খিটখিটে হয়ে গিয়েছিল- ক্রমশ হতাশ হয়ে পরছিলে। এই সময় একদিন কায়সার এল আমাদের বাসায় তোমার সাথে দেখা করার জন্য। তুমি তখন বাড়িতে ছিলেনা। কায়সারের মুখেই শুনলাম সে তোমার প্রাক্তন ছাত্র, তুমি তাকে খুব স্নেহ করতে। আমি কায়সারকে তোমার সব সমস্যাগুলো খুলে বললাম। শুনে কায়সার তোমার জীবনে আনন্দ ফিরিয়ে আনার জন্য একটা প্লান করল। প্লানটা আমার খুব পছন্দ হল। তোমার জীবনে একটা বড় অংশ পার করেছ সাইফার নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে কিন্তু কখনো সত্যিকার একটা সাইফার নিয়ে কাজ করার সুযোগ তোমার হয়নি। জানতাম এরকম একটা সুযোগ পেলে তুমি আবার আগের সেই উদ্যম ফিরে পাবে। হোলও তাই। নিজের চোখে দেখলাম সাইফারটা পাওয়ার পর তোমার চোখে মুখে কি আনন্দ! যে মুহূর্তে আমরা সমাধানের একবারে কাছে চলে গিয়েছিলাম তখন অসাধ্য সাধনের যে অভিব্যাক্তি তোমার চোখে মুখে দেখেছি তা বিয়ের ২৫ বছরে একবারও চোখে পড়েনি”।
রশিদ সাহেব হতভম্বের মত তাকিয়ে থাকলেন। তার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না পুরো ঘটনাটা সাজানো!
নাজমা চৌধুরী বলে চলেছেন, “তবে এই শেষ অংশটা আমার ভাল লাগেনি। কায়সার যখন বলল কোড ভেঙে অর্থ বের হবে মেয়েকে কিদন্যাপ করা হয়েছে তখন আমি একটু আপত্তি করেছিলাম। জানতাম মিথিলাকে তুমি কতটা ভালবাস। বিষয়টা তোমার মনের ওপর চাপ ফেলবে। কিন্তু এর চেয়ে ভাল আর উত্তেজনাকর কিছু মাথায় আসছিল না বলে এতেই রাজি হতে হল”।
“আর মিথিলা? ও কি সব আগে থেকে জানত?” অনেকক্ষণ পর মুখ খুললেন প্রোফেসর।
মিথিলা হাসল। হ্যা-বোধক মাথা নেড়ে বলল, “আম্মু বলেছিল মোবাইলটা সকালে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে রাখতে”।
নাজমা চৌধুরী বলল, “তুমি প্লিজ রাগ করোনা। আমরা চেয়েছিলাম তোমার জীবনটাকে আবার রাইট ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে, নিজের কাজের প্রতি তোমার যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছিল তা যেন তুমি কাটিয়ে উঠতে পার!”
রশিদ চৌধুরী স্বাভাবিক গলায় বললেন, “বুঝেছি। চল বাসায় চল”।
নাজমা চৌধুরী খুশি হয়ে উঠলেন, “হ্যা, চল বাসায় যাই। খুব খিদে পেয়েছে-উত্তেজনায় কারো কিছু খাওয়া হয়নি” কায়সারের দিকে ফিরে বললেন, “থ্যাংক ইউ কায়সার, ইউ আর রিয়েলি জিনিয়াস”।
উত্তরে কায়সার দাঁত করে হাসল। রশিদ সাহেব মনে মনে বললেন, “জিনিয়াস! হ্যা, আসলেই সে জিনিয়াস। খেলাচ্ছলে সে নিজের উদ্দেশ্য কীভাবে হাসিল করেছে তা নাজমা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি!”
***
নিউ লাইফ কিন্ডার গার্টেন স্কুল।
এইমাত্র ছুটি হয়েছে, দল বেধে হইচই করতে করতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলো বেরিয়ে আসছে। গেটের কাছে এসে কতক্ষন নিজেদের গার্ডিয়েনদের খুঁজছে, খুঁজে পেলেই কোলে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পরছে। দৃশ্যটা দেখতে খুব ভাল লাগছে কায়সারের। রাস্তার ওপাশে একটা পেপার হাতে দাঁড়িয়ে আছে সে, কিন্তু পেপারের দিকে কোনও মনোযোগ নেই। তার চোখদুটো দাঁড়িয়ে থাকা গার্ডিয়েনদের ভিড়ে একজনকে খুঁজছে।
লিজা!
ঐ তো লিজা!
গত কয়েকদিন যাবত লিজার গতিবিধির উপর নজর রাখছে সে। বিখ্যাত এক শিল্পপতির পত্নি, পুরোদস্তুর হাউজ ওয়াইফ। সারা দিনে বলতে গেলে বাসা থেকে বেরই হয়না। শুধু বাচ্চাকে স্কুল থেকে রিসিভ করতে আসে। গাড়ি থেকে নেমে স্কুলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে, বাচ্চা বেরিয়ে আসলে তাকে নিয়ে গাড়িতে চড়ে বাসায় ফিরে যায়। কথা বলতে চাইলে এই সময়ের মধ্যেই বলতে হবে।
হাতের পত্রিকাটা ছুড়ে ফেলল কায়সার, এগিয়ে গেল লিজার দিকে। কায়সারের হাতে একটা সিডি। প্রোফেসর রশিদ জানতেন না কায়সারের অফিসে গোপনে একটা সিসি ক্যামেরা বসানো ছিল। ঐ দিন প্রোফেসর রশিদের স্বীকারোক্তির পুরোটা ভিডিও কয়া হয়েছে। কায়সারের হাতে ধরা সিডিতে সেই ধারন করা ভিডিওটি রেকর্ড করা আছে। কায়সারের ইচ্ছা এই সিডির কথা লিজাকে বলে তাকে ভড়কে দেবে, তার জীবনটা বিষিয়ে তুলবে। যে নরক যন্ত্রণা সে নিজে এতদিন ভোগ করেছে তার স্বাদ লিজাকেও পেতে হবে। তারপর একসময় জনসম্মুখে প্রকাশ করে দেবে সব কিছু। এই প্রতিশোধের নেশায় এতদিন দিন গুনেছে কায়সার। আজ সেই কাঙ্খিত দিনটি এসেছে।
লিজার কাছাকাছি গিয়ে একটু থামতে হল কায়সারকে। লিজার ছেলেটা স্কুল থেকে বেরিয়েছে, সে দৌড়ে গিয়ে লিজার বাড়িয়ে রাখা দুটো হাতের মধ্যে আশ্রয় নিল। লিজাও পরম মমতায় ছেলেকে বুকে জরিয়ে নিল। লিজার মুখের দিকে হতভম্বের মত তাকিয়ে থাকল কায়সার। এই লিজা ১০ বছর আগের সেই বড়লোকের জেদি, অহংকারী, একগুঁয়ে আর স্যাডিস্ট মানসিকতা সম্পন্ন মেয়েটি নয়, সে এখন একজন মা। চেহারার সেই কাঠিন্য সরে গিয়ে যায়গা করে নিয়েছে মমতাময়ী মায়ের মুখ। কায়সার অবাক হয়ে দেখল লিজা দেখতে অনেকটা তার নিজের মায়ের মতই। ছোটবেলায় এমনি করে মায়ের বুকে আশ্রয় নিত কায়সার। মা পরম মমতায় তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিত, কপালে চুমো খেত। ঠিক তেমনি ভাবেই লিজা তার সন্তানকে আদর করছে।
হঠাৎ একসাথে অনেকগুলো চিন্তা এসে ভর করল কায়সারের মাথায়। তার হাতের এই সিডি বহন করছে এক চরম সত্যের বীজ। এই সত্য লিজার সংসার ছিন্ন ভিন্ন করে দেবে, বিষাক্ত করে দেবে তার জীবন-এটাই তো কায়সার চায়। কিন্তু এই সত্য একটি শিশুকে তার মায়ের মমতা থেকে অনেক দূর সরিয়ে দেবে- এটাও কি কায়সার চায়? তাছাড়া এই সিডি শুধু একটা সংসার না, দুটি সংসার ধ্বংস করে দেবে। প্রোফেসর রশিদ চৌধুরী সারাজীবন অধ্যাপনা করে যে সুনাম কুড়িয়েছেন তা মুহূর্তের মধ্যে ধূলিসাৎ হবে। তার স্ত্রী কন্যা তাকে ত্যাগ করবে, চাকরী চলে যাবে, সমাজের সামনে উন্মোচিত হবে তার নোংরা অতীত, সবার চোখে ঘৃণ্য ব্যাক্তিতে পরিনত হবেন। পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব বলেছেন, “যে তোমাকে একটি বর্ণ শিক্ষা দিয়েছে সেও তোমার শিক্ষক, কখনো তার অমর্যাদা হয় এমন কাজ করোনা!”
কায়সারের ভাবনায় ব্যাঘাত ঘটল। লিজা তাকে দেখতে পেয়েছে। ভুত দেখার মত চমকে উঠেছে সে। বাচ্চার হাত ধরে দ্রুত পা চালাল। গাড়িতে উঠেই ঝড়ের বেগে চলে গেল। দৃষ্টির সীমানায় যতক্ষণ গাড়িটি ছিল কায়সার এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল। দৃষ্টির আড়াল হতেই হাতে ধরে থাকা সিডির দিকে নজর দিল কায়সার।
আজ আর সম্ভব হলোনা। সিডি হাতে নিজের পথে পা বাড়াল সে। আবার অন্য একদিন আসতে হবে। হয়ত সেইদিন সে বিবেকের দংশন উপেক্ষা করে সিডির কথা লিজাকে জানাতে পারবে। কিংবা হয়ত দিনের পর দিন স্কুলের সামনে এসে সিডি হাতে দাঁড়াবে কিন্তু লিজার মধ্যে মমতাময়ী মায়ের প্রতিরুপ দেখে থমকে যাবে। হয়ত কখনোই এই সিডির কথা প্রকাশ পাবেনা, একটি চরম সত্য সবার অজানাই থেকে যাবে।
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ২৭ মিনিট! আমি ভাবছিলাম ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে পড়া যাবে! ছোট কিছু কেন যেন লিখতে পারিনা! আমার ব্লগে এতক্ষন সময় ব্যয় করেছেন দেখে ভাল লাগছে!
বানান ভুলের কথা আর বলিয়েন না। এত রিভিউ করার পরও কিছু থেকে যায়!
কেমন আছেন স্বর্ণা? প্রবাস জীবনে দিনকাল কাটছে কেমন?
২| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: টুইস্টের ভিতরে টুইস্ট।
এটা একটা সুন্দর মেগাসিরিয়াল হতে পারে। যদি ভালো কোনো পরিচালকের হাতে পড়ে।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হায়রে হায়রে হায়! এত প্লাস! আমিতো খুশিতে টাসকিত হয়ে যাব! আমার ব্লগে আসলে টুইস্টের জন্য রেডি থাকবেন নাইলে হার্ট এটাক হইবার সমুহ সম্ভাবনা আছে!
আপনার উপস্থিতি প্রেরনা যোগায় খেয়াঘাট, আর আপনার লেখা খুব বেশি ভাবতে শেখায়।
ভাল থাকুন।
৩| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
মধুমিতা বলেছেন: পুরোটা মাত্রই শেষ করলাম। অনেক ভালো লাগল। আরো লিখতে থাকুন।
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: লিখতে লিখতে আঙ্গুল ব্যাথা হয়ে গেল! আর কত লেখা যায়! তারপরও লিখতে বলেন! আপনাদের নিয়া আর পারা গেলনা।
৪| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫০
মুনসী১৬১২ বলেছেন: ভালো লাগল পড়তে.. তবে একটু জটিল হয়েছে...
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: একটু জটিলই, আমি চেষ্টা করছি সহজ ভাষায় লিখার।
৫| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:০০
নির্ভীক আহসান বলেছেন: উম, অনেক জটিল, তবে ভাল লেগেছে পড়তে।
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৩
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: পড়তে জটিল লাগছে? নাকি গল্প জটিল?
ভাল থাকুন।
৬| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৫
ইলুসন বলেছেন: চমৎকার লাগল। একটু সময় নিয়ে পড়েছি, কারণ সাইফারগুলো বুঝে পড়তে চাইছিলাম, চোখ বুলিয়ে গেলে হয়ত মজা পেতাম কিন্তু সাইফার বুঝা হত না। আপনি অনেক পড়াশোনা করে পরিশ্রম করে লিখেন ভাল লাগে। একটা উপন্যাস বা ছোট গল্প সমগ্র লিখে ফেলেন আগামী বই মেলাতে। সিরিয়াসভাবে বলছি, ফাজলামি করছি না।
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হ্যা, আমি জানতাম একটু সময় নিয়ে পড়লে বুঝতে সমস্যা হবেনা। আপনি ধৈর্য ধরে রাখতে পেরেছেন দেখে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।
সত্যি বলতে কি! চুপি চুপি বলি আপনাকে! একটা বই বের করার প্লান আছে।
৭| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
হারানো ছায়া বলেছেন: বেশ বড় একটা গল্প লিখলি রে !! তবে ভালো হইছে !! আর বুঝাই যায় যে তোর অনেক পড়তে হইছে এই গল্পটা লিখার জন্য !! রিসার্চ করেছিস !! এই জন্য কিছুটা অবাক হলাম !!
আর এন্ডিংটা ভালো হইছে !! কায়সার খুব বেশি সময় না আসলেও তার চরিত্রটাও খুব ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছিস !!
গ্রেট জব ওয়ান্স এগেইন !!
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ব্যাপক ভাবে পড়া আর রিসার্চ করার মধ্যে পার্থক্য কিরে?
তোর মন্তব্য সেইরাম ভাল লাগল বন্ধু। থাঙ্ক ইউ! আমি আসলে লেখার পড় ভয়ে থাকি কারন তুই কিছু খুত বের কইরা ফেলিস! এইবার পারস নাই দেখে তৃপ্তি পেলাম!
৮| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০১
হারানো ছায়া বলেছেন: বেশ বড় একটা গল্প লিখলি রে !! তবে ভালো হইছে !! আর বুঝাই যায় যে তোর অনেক পড়তে হইছে এই গল্পটা লিখার জন্য !! রিসার্চ করেছিস !! এই জন্য কিছুটা অবাক হলাম !!
আর এন্ডিংটা ভালো হইছে !! কায়সার খুব বেশি সময় না আসলেও তার চরিত্রটাও খুব ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছিস !!
গ্রেট জব ওয়ান্স এগেইন !!
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হ্যা, বুঝেছি তোমার ভাল লাগছে! সেইটা বার বার বলতে হবেনা!
৯| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ক্রিপ্টোগ্রাফি নিয়ে ভালভাবে বুঝতে হলে আরও কয়েকবার পড়তে হবে।
প্রথমে ভেবেছিলাম এটা শুধু রহস্য উদ্ঘাটনের গল্প কিন্তু গল্পের ভেতরে কয়েকটা গল্প - কায়সারের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার , লিজার সাথে সম্পর্ক , রশীদ স্যার এবং সব শেষে প্রতিশোধ পরায়ন হয়েও বিবেকের জাগ্রত হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো।
তবে ক্রিপ্টোগ্রাফি নিয়ে ব্যাপক ভাবে পড়াশুনা করে যে সহজ ভাবে আমাদের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন এর জন্যও আপনাকে সাধুবাদ।
শুভ রাত্রি ।
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হ্যা, গল্পের ভেতর কয়েকটা গল্প ঢুকে গেছে। একটু বড় করে লিখলে উপন্যাস হয়ে যাবে!
আমার নতুন নতুন জিনিশ জানতে ভাল লাগে। লেখার মধ্যেও তার প্রভাব পরে। এর পর ইতিহাস নিয়ে লিখব ভাবছি।
শুভ রাত্রি আপু।
১০| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:১১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ওয়াও!!!!!!!!!! জাস্ট অসাম!!!!!!
আমার পড়া সামু ব্লগের অন্যতম ভালো গল্পগুলোর মধ্যে একটি। আপনার ব্রীজরক্ষক গল্পের পর এটাতে আবার সেই দূর্দান্ত স্বাধ খুঁজে পেলাম। এক কথায় অসাধারন। আমার ধারনা আমাদের বাংলাদেশের মুল সাহিত্যে এই ধরনের লেখা খুবই কম।
আমি ভেবেছিলাম পড়ে পড়ব, কিন্তু এক টানে শেষ করে ফেললাম নাজিম ভাই। এটা নিঃসন্দেহে আপনার অন্যতম সেরা গল্প।
প্রিয়তে এবং শেয়ারর্ড।
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: প্রিয়তে নিয়েছেন বলে খুশি হলাম ভাই, শেয়ার করার জন্যও ধন্যবাদ।
আমি আপনাকে বলেছিলাম পরে পড়তে কিন্তু আপনি এখনই পড়ে ফেললেন!
তবে এইটা লিখতে গিয়ে যে পরিশ্রম হয়েছে তা ব্রিজরক্ষক থেকে বেশি। আপনাদের ভাল লেগেছে দেখে আমার নিজেরও খুব ভাল লাগছে।
আমি চেষ্টা করি সাহিত্যের গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে লিখতে, কতটা সফল হয়েছি জানিনা তবে চেষ্টা করে যাব। পাশে থাকবেন, এই কামনা করি।
শুভরাত্রি।
১১| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩১
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: দুর্দান্ত! নানা সূত্রে আপনার লেখার কথা শুনেছি আমি, এই প্রথম আসলাম আপনার গল্পে! আমি অভিভূত! চমৎকার সাবলীল আপনার লেখনী।
এবার গল্পে আসি। টান টান উত্তেজনায় জমিয়ে রেখেছেন। ক্রিপ্টোগ্রাফি পড়াশোনা করে গল্পে লিখেছেন। আপনার উদ্যমকে স্যালুট। শার্লক হোমসের একটা গল্প আছে, "The Adventure of the Dancing Men" যেখানে নানা ধরনের নাচুনে মানুষের ছবির কোড থাকে। সবথেকে বেশী ব্যবহারের সংখ্যা আরও নানা কিছু হিসেব করে হোমস পাঠোদ্ধার করে ফেলে। তারপর সেই ভাষাতেই আসার আমন্ত্রন জানিয়ে হোমস জাল পেতে বসে থাকে!
অনেক অনেক ভাল লাগা রেখে যাচ্ছি। আপনার লেখার শক্তি আছে। অনেক অনেক লিখে যান।
শুভকামনা!
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: "The Adventure of the Dancing Men" পড়া আছে আমার। কি জিনিশ মনে করায় দিলেন রে ভাই! আমার তো আবার পড়তে মন চাচ্ছে! আমি শারলক হোমসের বিরাট ফ্যান।
আপনার লেখাও ভাল লাগে আমার কি নামে সম্বোধন করব আপনাকে বুঝিনা। ৎঁৎঁৎঁ এর উচ্চারন কি?
ভাল থাকুন, শুভরাত্রি।
১২| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
সালমাহ্যাপী বলেছেন: অফলাইনে গল্পটা পড়ছিলাম। মাঝে এসে ভেবেছিলাম যে সাইফার কোড মিলে গেলেই গল্প শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু কাহিনীর মাঝেও কাহিনী।
সেই রকম একটা গল্প। ভেবেছিলাম অফ লাইনে পড়েই চলে যাবো। পরে মনে হল এত সুন্দর গল্পে কমেন্ট না করলে গুনাহ হতে পারে
আর লাস্টে লিজার ব্যাপারেও যে কায়সায় এমন রিঅ্যাক্ট করেছে বা ভেবেছে সেইটাও অনেক ভালো লেগেছে।
সোওওওওওওওওজা প্রিয়তে নিয়ে নিলাম
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: এত সুন্দর গল্পে কমেন্ট না করলে গুনাহ হতে পারে! কি যে বলেন না! আমার শরম পায়।
প্রিয়তে নেওয়ায় খুশি হইলাম!
ভাল থাকবেন, শুভরাত্রি!
১৩| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: ক্রিপ্টোগ্রাফ!!!!!
গল্পের এইটা বুঝি নাই !!
গল্প লিখতে এতো কষ্ট ?? মাই গড !!
আপনার পরিশ্রম কে সালাম !!
আরো লিখেন আর এই রকম চমতকার লেখা উপহার দিবেন !!!
এত্তো গুলো ভাল লাগা !!
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: পরিশ্রমের রেজাল্ট তো পাচ্ছি! আপনাদের ভালবাসা, শুভেচ্ছা আর শুভকামনা আছে না সাথে! এটাই তো আমাকে পথ চলার সাহস যোগায়।
ভাল থাকবেন, অপু তানভীর। শুভরাত্রি।
১৪| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
খেয়া ঘাট বলেছেন: আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি-
গল্পের নামটা চমৎকার হয়েছে। এতো চমৎকার একটা নামের জন্য আবারো একগুচ্ছ +++++++++++++++++++++++++++++++++++++
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: এত প্লাস!!!!
আপনি আমারে ঋণী বানায় ফেললেন! খারান আমি খুব দ্রুতই ঋণ শোধ করার ব্যাবস্থা নিতেছি!
১৫| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৮
আরমিন বলেছেন: চমৎকার লেখনী! অনেক বড়, কিন্তু এক লাইনও বাদ না দিয়ে পড়লাম!
৭ম ভালোলাগা!
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, লাইন বাদ পড়লে মজা নষ্ট হত!
১৬| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৬
পলক শাহরিয়ার বলেছেন: অসাধারন!!!আর কিছু বলার নেই।
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অসাধারন! আর কিছু বলার নেই? কেন ভাই?
ভাল থাকুন, শুভরাত্রি।
১৭| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এটা আমার প্রিয়তে নেয়া আপনার লেখা দ্বিতীয় গল্প।
আপনার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। বাংলা সাহিত্যে নতুন এক ধারার সৃষ্টি হল।
আশা করব ধারাটি আপনি বজায় রাখবেন। আপনার কাছে আমরা বাংলা সাহিত্যে এমন দুর্দান্ত কিছু লেখা পেতে চাই। থেমে যাবেন না প্লিজ।
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: কান্ডারী ভাই, অজস্র ধন্যবাদ।
প্রিয়তে নেয়ায় খুশি হলাম ভাই।
আমি লিখে যেতে চাই। আপনাদের প্রেরনা সাহস যোগায়। পাশে থাকুন এই কামনা করি।
শুভরাত্রি।
১৮| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫২
দেহঘড়ির মিস্তিরি বলেছেন: অসাধারণ , বাংলায় কারো লেখা পড়িনি ক্রিপ্টো নিয়ে
, টুইস্টগুলো ছিল অসাধারণ , আপনার গল্পটা পড়ে মনে হচ্ছিল
আই হ্যাভিং সামথিং , গ্রেট ওয়ার্ক ব্রাদার
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আই হ্যাভিং সামথিং !! বুঝলাম না তো!
ধন্যবাদ আপনাকে দেহঘড়ির মিস্তিরি।
শুভরাত্রি।
১৯| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৩
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ++++++++
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ, ব্রাদার!
২০| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ! আপনার পরিশ্রম বৃথা যায়নি। পাঠকের মন নিয়ে দুর্দান্ত খেলা খেলেছে। কই থিকা কই নিয়া গেলেন!
তবে একটা প্রশ্ন। যেই কায়সারকে প্রোফেসর এত ভোগাল, জেলের ভাত খাওয়াল, ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করল তাকে নিয়ে সেই কায়সার কেন প্রোফেসরের খিটখিটে বিরক্তিকর জীবনে প্রাণ সঞ্চার করার জন্যে তাকে সহায়তা করবে?
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: এইখানে আমার হামা ভাই ধরা খাইছে! কাহিনী বুঝেন নাই! কায়সার প্রোফেসররে সহায়তা করল কই?
সম্ভবত এই দুইটা যায়গা আপনার চোখ এরায় গেছে!
রশিদ সাহেব মনে মনে বললেন, “জিনিয়াস! হ্যা, আসলেই সে জিনিয়াস। খেলাচ্ছলে সে নিজের উদ্দেশ্য কীভাবে হাসিল করেছে তা নাজমা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি!”
প্রোফেসর রশিদ জানতেন না কায়সারের অফিসে গোপনে একটা সিসি ক্যামেরা বসানো ছিল। ঐ দিন প্রোফেসর রশিদের স্বীকারোক্তির পুরোটা ভিডিও কয়া হয়েছে।
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: কায়সার আসলে নাজমা চৌধুরীকে বুঝিয়েছে সে প্রোফেসর কে আনন্দ দিচ্ছে কিন্তু আসল উদ্দেশ্য ছিল তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা, যাতে সে লিজাকে ধরতে পারে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য। আশা করি এইবার বুঝেছেন।
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপনার মুখ থেকে তো তুমি শুনা ধরছিলাম। আবার আপনি টানলেন কেন?
২১| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২১
খেয়া ঘাট বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ! আপনার পরিশ্রম বৃথা যায়নি। পাঠকের মন নিয়ে দুর্দান্ত খেলা খেলেছে। কই থিকা কই নিয়া গেলেন!
তবে একটা প্রশ্ন। যেই কায়সারকে প্রোফেসর এত ভোগাল, জেলের ভাত খাওয়াল, ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করল তাকে নিয়ে সেই কায়সার কেন প্রোফেসরের খিটখিটে বিরক্তিকর জীবনে প্রাণ সঞ্চার করার জন্যে তাকে সহায়তা করবে? চিন্তার বিষয়।
লেখকের অবাধ স্বাধীনত রয়েছে। একটা টুইস্ট দিয়ে দেন।
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: টুইস্ট তো দেয়াই আছে! পুরোটাই ছিল কায়সারের প্লান। হামা ভাইয়ের প্রশ্নের উত্তর কি দিয়েছি দেখেন, জবাব পেয়ে যাবেন।
২২| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৭
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: গল্পটা পড়তে পড়তে যেন একটা রহস্য এবং সাসপেন্সে পরিপূর্ণ একটা মুভি দেখলাম +++++
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: কথাটা খারাপ বলেন নাই। আমার ইচ্ছা ছিল কিছু ছবি আপলোড করার, তাইলে মুভির ইমেজটা আরও ভাল ভাবে আসত। কিন্তু এমনেই গেছে বড় হয়ে! আর কত!
এত্ত বড় পেলাস! আমি তো খুশিতে টাসকিত!
২৩| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪১
রমাকান্তকামার১১০১১৪৫ বলেছেন: দু র্দা ন্ত!!!
প্লাস ও প্রিয়তে
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ধন্যবাদ প্রিয়তে নেয়ার জন্য। আপনার নামটা আমার কাছে আজব লাগে। ১১০১১৪৫ সংখ্যাগুলোর মিনিং আছে নাকি কোনও?
২৪| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই সামান্য ব্যাপারটা চোখ এড়ায় গেল! ধুর! মেজাজ খারাপ লাগতাসে। অন্য কারো গল্পে এমন হয়না। তোমার গল্পেই হয় শুধু। এর আগে একবার হৈসিল। কী আর করা! পারফেক্ট গল্পটাকে হলুদ তারার বাহনে করে আমার ব্লগে নিয়ে যাই
২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আমার লেখা হলুদ তারার বাহনে করে আপনার ব্লগে। খাইছে! আমি তো ফুইলা ঢোল হইয়া গেলাম!
বড় গল্পের কারনে পড়ার সময় একটু খেই হারিয়ে যাওয়া স্বাভাবিক, দোষের কিছু না।
একসময় আমার আমার গল্পগুলো পড়ে সমস্যা গুলো ধরিয়ে দিতেন বলেই তো আমি এতদুর আসতে পেরেছি। একসময় আমার লেখা কেউ পড়ত না, আপনি সময় নিয়ে পড়ে গঠনমুলক মন্তব্য করতেন। আমি পোস্ট দিয়ে অপেক্ষায় থাকতাম কখন হামা ভাই পড়বে, কখন পড়ে কিছু একটা বলবে। এমনকি লেখার সময় চিন্তা করতাম এই গল্পে কি হামা ভাই কোনও খুত পাবে? তাইতো লেখার আগ্রহটা ধরে রাখতে পেরেছি। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ আমি। আপনার উৎসাহ অনেক প্রেরনা যুগিয়েছে।
এ পর্যন্ত আমি কাউকে উৎসর্গ করে কোনও পোস্ট দেইনি। নেক্সট গল্পটা আপনাকে ডেডিকেট করব হামা ভাই।
ভাল থাকুন আপনি।
২৫| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৪৮
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: এবং আরেকটি দূর্দান্ত গল্প!!
আপনি কিভাবে পারেন ভাই!!! উফফফ!!!
দোয়া করছি সাহিত্য রচনার প্রতি আপনার এই ডেডিকেশন যেন সার্থকতা লাভ করে !! কল্পনা করে নিলাম সেদিন খুব বেশি দূরে নয়,যেদিন বইমেলায় যাবো আপনার গল্পের বই কিনতে.....!!
২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: এইতো........
আপনারা পাশে আছেন বলেই তো সাহস পাই...
দোয়া করি যেন আপনার দোয়া কবুল হয়...
আপনার কল্পনাটা বাস্তবের খুব কাছাকাছি। ইনশাল্লাহ, আগামী বই মেলাতেই একটা গল্প সংকলন প্রকাশ করার আশা আছে।
২৬| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:৩৪
অনাহূত বলেছেন: আজকে মন্তব্য করেই ফেলি -
You made my night bro। বোর হচ্ছিলাম। এই গল্পটা পড়ে সত্যিই অনেক আনন্দ পেয়েছি। ক্রিপ্টোগ্রাফি সম্পর্কে অনেককিছু জানলাম। গল্পে ক্রিপ্টোগ্রাফির ব্যাপারটা কিভাবে আসলো। আই মিন - এই গল্পটা মাথায় আসার 'বিহাইন্ড দ্য প্লট' জানতে চাই।
২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: পুরাতন ব্লগারদের আমার ব্লগে পেলে খুব ভাল লাগে। অবশ্য তাদের দেখে কিছুটা হিংসাও হয়, কারন ব্লগে তারা সুন্দর একটা সময় কাটিয়ে এসেছে যখন ব্লগ সম্পর্কে আমরা এক প্রকার অন্ধকারেই ছিলাম।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বিহাইন্ড দ্য প্লট সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন বলে।
আমি ভাবছিলাম অনেক টপিক নিয়েই তো লিখলাম এবার ট্রেজার হান্ট টাইপের একটা থিম নিয়ে লিখি। মনে মনে একটা কাহিনী ঠিক করে ফেললাম। শুরুতে ভেবেছিলাম কোড ব্রেকের বিষয়টা মোর্স কোড নিয়ে সাজাব। মোর্স কোড সম্পর্কে হালকা জানাশোনা আগেই ছিল। কিন্তু লিখতে গিয়ে দেখলাম মোর্স কোড এক্ষেত্রে খাটছে না। তাই বসে পড়লাম ক্রিপ্টোগ্রাফি নিয়ে। সেখান থেকে আসল সাইফার। সাইফার নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে দেখলাম এনিগমা সাইফারটা গল্পের সাথে সুন্দর ভাবে যাচ্ছে! প্রথমে কোড এবং কোড ব্রেক করার স্টেপ গুলা সাজালাম। তারপর গল্পটা আলদা করে লিখলাম। এবার গল্পের ভেতরে কোড ব্রেকিং এর পার্টটা বসিয়ে দিলাম। ব্যাস। প্রায় তিন সপ্তাহের পরিশ্রম গেছে গল্পের পেছনে।
ভাল থাকুন অনাহূত। শুভকামনা আপনার জন্য।
২৭| ২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪
rudlefuz বলেছেন: কোড ব্রেকিং এর জায়গাটা বেশ ভাল্লাগসে। তবে আমি কেন যেন পুরোপুরি ট্রেজার হান্টিং টাইপের একটা গল্প আশা করছিলাম। শেষে এসে কাহিনী অন্য দিকে মোড় নেয়ায় একটু হতাশ হয়েছি...
২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: শুরুতে আমার চিন্তাটা তেমনই ছিল কিন্তু পুরোপুরি ট্রেজার হান্ট আনরিয়েলিস্টিক হয়ে যাবে মনে হচ্ছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্যাপারটা হাস্যকর না হয়ে যায় তাই ভেবে কাহিনীটা নিয়ে একটু কাজ করলাম।
২৮| ২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আবার আসলাম । তবে ক্রিপ্টোগ্রাফি বুঝতে পারছি সেটা বলার জন্য না। কাল মনে হয় তাড়াহুড়া করে মন্তব্য করে গেছিলাম।
আমি আমার মতামত বলছি শুধু --
নিউ লাইফ কিন্ডার গার্টেন স্কুল --
এর আগের প্যারাটা মানে আগের অংশটায় কায়সারের সাথে রশীদ স্যারের কনভার্সেশন অংশে আমার মনে হয়েছে খুব দ্রুত ঘটনা গুলো ঘটছে। অর্থাৎ সাসপেন্স কে খুব ডায়নামিক ভাবে এখানে প্রেজেন্ট করেছ। কায়সারও যেমন লিজার বাসায় তার ব্ল্যাক মেইলের ঘটনা গড়গড় করে বলে গেছে ঠিক তেমনি রশীদ স্যারও একটা বড় করে নিঃশ্বাস নিয়ে লিজার সাথে তার কানেকশনের ব্যাপার ব্যাখ্যা করে।
এর আগের অংশে যখন রশীদ সাহেব তার স্ত্রী নাজমাকে সাইফার কোড নিয়ে বুঝাচ্ছিল সেখানে কিন্তু পাঠকের ব্রেইন খাটাবার একটা স্পেস ছিল, তাদের স্বামী -স্ত্রীর কথোপকথনে কিছু বোঝার ব্যাপার ছিল আমাদের - যেমন রাতের তিনটা পর্যন্ত তারা আলোচনা করেছে সাইফার কোডের বিভিন্ন ধাপ নিয়ে, সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর রশীদ সাহেবের স্ত্রী রান্না ঘরে গিয় এচা করেছে, চামচের টুং টাং আওয়াজ , ল্যাপটপ খুলে আবার সেই রহস্যের সমাধান ইত্যাদির মাঝে যে কাজ গুলো একটু গ্যাপ গ্যাপ দিয়ে করেছে।
কিন্তু কায়সার আর রশীদ সাহেবের স্বীকারোক্তিতে পাঠকের চিন্তা ভাবনার সুযোগ তেমন ছিল না ।
আবার লিজার বাচ্চার স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে কায়সারের মনে যেসব ভাবনার উদয় হয় , নিজেই নিজের সাথে কিছু চিন্তা ভাবনা নিয়ে সময় কাটায়, একটু দ্বিধা , এগিয়ে আসা বা পিছিয়ে যাওয়া এখানে মনে হচ্ছে চিত্রায়ন পারফেক্ট।
---- এত বিস্তারিত বলার অর্থ হচ্ছে গল্পের ঘটনা কে খুব দ্রুত ঘটতে দিও না। অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণটা ঘটনা বা চরিত্রের হাতে ছেড়ে দিও না বরং চরিত্র , সময়কে তুমি নিয়ন্ত্রণ করবে। তাড়াহুড়ায় কিছু ঘটিয়ে দিবে না ।
আমি আমার মতামতটাই বললাম। এখান থেকে কতটা তুমি নিজের লেখার জন্য কাজে লাগাবে সেটা তোমার স্বাধীনতা।
ভালো থেকো।
২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অপর্ণা আপু, সময় নিয়ে এত বিস্তারিতভাবে গল্পটা বিশ্লেষণ করেছেন দেখে আমি আপ্লুত হলাম।
কায়সারের সাথে রশীদ স্যারের কথোপকথনের যায়গাটা আসলেও একটু দ্রুত হয়ে গেছে। গল্পের ফ্লো টা সব যায়গায় একরকম না থাকলে পড়তে ভাল লাগেনা- আমি জানি। এই অংশটা রিরাইট করতে হবে একটু। পাঠকের চিন্তা ভাবনার সুযোগ তেমন ছিল না । কথাটা ঠিক বলেছেন। ঐ যায়গাটা ছিল গল্পের টারনিং পয়েন্ট। আরও একটু স্পেস নিয়ে লেখা প্রয়োজন ছিল।
গল্পের ঘটনা কে খুব দ্রুত ঘটতে দিও না। অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণটা ঘটনা বা চরিত্রের হাতে ছেড়ে দিও না বরং চরিত্র , সময়কে তুমি নিয়ন্ত্রণ করবে। তাড়াহুড়ায় কিছু ঘটিয়ে দিবে না ।
পরামর্শটা আমার মনে ধরেছে, সব সময় মেনে চলার চেষ্টা করব।
নিরন্তন শুভকামনা আপনার জন্য আপু। ভাল থাকুন।
২৯| ২০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
আমি ইহতিব বলেছেন: অসাধারণ একটা ভালো লেখা পড়ার সুযোগ হলো কাল্পনিক ভালোবাসা ভাইয়ের কারনে। প্রথম ধন্যবাদ তাকে।
এতো বড় লেখা এড়িয়ে যাই সাধারণত, আপনার লেখাটা এড়িয়ে যেতে পারলাম লেখনীর অসাধারণ দক্ষতায়। অনেকদিন পর একটা ভালো গল্প পড়লাম।
+++
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যা, কাল্পনিক ভালবাসা ভাই কয়েক যায়গায় গল্পটা শেয়ার দিয়েছেন দেখেছি, সেজন্য তাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছি আগেই।
বড় লেখা লিখতে লেখকদের বেশ খাটা খাটনি করতে হয়। আপনারা যদি এড়িয়ে যান তাহলে হবে? আমি তো বেছে বেছে বড় লেখা গুলোই পড়ি।
ভাল থাকুন, শুভকামনা আপনার জন্য।
৩০| ২০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০
বোকামন বলেছেন:
সম্মানিত লেখক,
বেশ কিছুটা সময় ব্যয় করে আপনার লেখাটি পড়লাম। বেশ চমৎকার করে, সহজ ভাষায় লিখেছেন। উপভোগ করলাম। তাই বলবো সময়টা কাজেই লেগেছে।
স্পেস দিয়েছেন পাঠককে ভাবার জন্য ! আরো দেয়া যেত, আমার মত সাধারণ পাঠকের জন্য। প্লটগুলো রিমার্ক করতে হয়নি। পড়া শুরু করলাম এবং আপনি শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে আসলেন। গুড ওয়ার্ক !
ক্রিপ্টোগ্রাফি সংক্রান্ত বর্ণনা এবং কোড ব্রেকিং ইত্যাদি বিষয়গুলো গল্পে মনঃসংযোগ ঘটাতে কার্যকরী ছিল। কোথাও কোথাও একটু একটু দ্রুত লেগেছে। যাইহোক টান টান উত্তেজনা, টুইস্ট, নতুনত্ব সব মিলিয়ে খুব ভালো একটি গল্প পড়লাম। ১৭ তম ভালোলাগা !
হয়ত একটি চরম সত্য সবার অজানাই থেকে যাবে।কিন্তু আপনি যে খুব ভালো লিখেন, তার আর অজানা রইলো না। হা হা হা :-)
সামনে আরো অনেক ভালো লেখার জন্য শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
বুদ্ধি লেওয়ার ভঙ্গিতে
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: বোকামন, আপনার বিস্তারিত মন্তব্য দেখে খুব ভাল লাগছে। জানতাম একটু সময় লাগবে গল্পটা পড়তে, তবে পড়তে খারাপ লাগবে না।
আমি চেয়েছিলাম গল্পের সাথে সাথে পাঠকও কোড ব্রেক করার কাজে লেগে যাক, কতটা সফল বুঝতে পারছি না।
ক্রিপ্টোগ্রাফি নিয়ে ভাল খাটনি গেছে আমার। জটিল একটা বিষয় সহজ করে লেখা মারাত্মক টাফ ব্যাপার।
উত্তেজনা, টুইস্ট, নতুনত্ব এইগুলা আমার লেখায় থাকেই।
আপনাদের উৎসাহ প্রেরনা যোগায় আমাকে। পাশে থাকবেন আশা রাখি।
আমার আসলে একজন প্রুফ রিডার দরকার যে সময় নিয়ে পড়ে পড়ে আমার বানানভুল গুলো শুধরে দেবে! বড় লেখায় বেশ কিছু বানান ভুল থেকেই যায়, কেন যে চোখে পড়েনা!
৩১| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৩
অনাহূত বলেছেন: তিন সপ্তাহ!
প্রশংসনীয় অধ্যবসায় আপনার। সাইন্স ফিকশনেও আপনার হাত নিখুঁত। পড়ে পড়ে বুঝলাম আপনি বিজ্ঞানের নন। তারপরও রিসার্চ করে এত সুন্দর লিখা উপহার দেয়া ... সত্যিই ঈর্ষণীয়। কিপ ইট আপ।
আপনার সাইন্স ফিকশন আমি দু'টা পড়েছি- 'ত্রিমাত্রিক অবগাহন' আর 'ব্রিজরক্ষক'। বাকী যেগুলো আছে, কিছু মনে না করলে নামগুলো রিপ্লাট করতে পারেন? খুশি হবো। আমি সাই-ফাই পোকা।
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: তিন সপ্তাহ এক নাগাড়ে কাজ করেছি তা বলব না, দিনে একবার দুবার বসেছি, একটু বিচার বিশ্লেষণ করেছি, কিছুদুর লিখে আবার মুছে নতুন করে লিখেছি এভাবেই তিন সপ্তাহে গিয়ে শেষ হয়েছে গল্পটা।
আমি সাই ফাই ঐ দুইটাই লিখেছি, যে দুটো আপনি পরেছেন আরকি! বাঘমানবি গল্পটাকে কিছুটা সাইফাই বলা যায়। পড়ে দেখতে পারেন।
ইনশাল্লাহ সামনেই একটা সাইফাই লিখব। গল্পের আইডিয়া মাথায় নিয়ে বসে আছি- লেখা হচ্ছে না। সাই-ফাই পোকা! দেখব কত সাইফাই খেতে পারেন!
৩২| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
মামুন রশিদ বলেছেন: তিনটা মেগা ফেজ.. প্রথমত কোড ডিকোড করার মত জটিল ব্যাপার । পাঠকের মন জটিলতায় আচ্ছন্ন, অত:পর সফলভাবে ডিকোডেট । দ্বিতীয়ত মিথিলার কিডন্যাপ নাটকের পর প্রোফেসর রশিদের স্বীকারোক্তি, মানবের ভেতর দানোর বসবাস ।
তৃতিয়ত এবং সবচেয়ে মজার এপিসোড, লিজার মুখোমুখি । পাঠককে অনেকটা বিষ্ময়ে হতবাক করে দিয়ে লিজাকে প্রায় মাফ করে দেয়া । লিজার প্রতি কায়সারের দুর্বলতা কি এখনো রয়ে গেছে ??
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: মনোযোগ পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। তিনটা মেগা ফেজের মধ্যে প্রথমটা চোখ বুলিয়ে গেলেও গল্পের কাহিনী বোঝা যাবে, কিন্তু বেশ কিছু মজা বাদ থেকে যাবে।
লিজাকে ঠিক মাফ করে দেওয়া দেখাইনি। হয়ত আজ কায়সার পারেনি পাষাণ হতে, হয়ত কাল সে নিজের বিবেককে দমিয়ে রাখতে পারবে, কাল না পারলেও একদিন হয়ত ঠিকই পারবে, হয়ত কখনোই পারবে না। কিছুটা পাঠকের হাতে ছেড়ে দিলাম।
৩৩| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
রমাকান্তকামার১১০১১৪৫ বলেছেন: শুধু নামটা দিয়ে নিক খোলার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ভাবলাম নিকটা হবে আলফানিউমেরিকাল । জুড়ে দিলাম রোল নম্বর। এই তো...
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ওহ! এত দিনে জানলাম আপনার নিকের রহস্য!
ভাল থাকুন। শুভরাত্রি।
৩৪| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: নাজিম ভাইয়া, গল্পটা গতকালই পড়ে গিয়েছিলাম ঘাপটি মেরে (অফলাইনে)। তারপর অনেকটা সময় নস্টালজিক ছিলাম। স্কুলে স্কাউটিং করেছি, কোড-ডিকোড, সাইফার আর এর কয়েকটা মেথডের নাম আবছা মনে আছে, ক্যাম্পিং !! সে দিন গুলো !! আহ
গল্প কেমন হয়েছে সেটা নিয়ে আমি মাথা ঘামাচ্ছিনা, আমি শুধু আপনার তিন সপ্তাহ পরিশ্রমের জন্য অকুন্ঠচিত্তে, অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আপনার এই পরিশ্রমের ফসল হিসেবে আজ আমরা এত চমৎকার একটা প্রেক্ষপটের একটা গল্প পড়লাম।
এত্তত্তত্তত্তত্তত্ত গুলা প্লাস দিয়ে গেলাম
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: মজার কথা বলি আপনাকে। আমিও সাইফার কোড সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারনা কলেজেই পেয়েছিলাম। স্কাউটিং করার সময়। সেটা কিন্তু গল্পে কিছুটা উল্লেখ করেছি।
সিজার সাইফার খুব সহজ একটা বিষয়। রোভার স্কাউটদের এটা শেখান হয়।
এত্ত প্লাস! মনে হচ্ছে আমার তিন সপ্তাহের পরিশ্রম সফল! থ্যাঙ্কু! থ্যাঙ্কু!
শুভরাত্রি মহামহোপাধ্যায়। ভাল থাকুন।
৩৫| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৯
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: কোডের চাইতে ঘটনার নাটকীয়তা টানল বেশি
নাইস ওয়ান
বেশ ভাল। কিপ ইট আপ বাডি
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ঘটনার নাটকীয়তাই ছিল আসল বিষয়। কোডের ব্যাপারটা বাড়তি একটা প্লাস পয়েন্ট ছিল গল্পে। এটা ছাড়া যত নাটকীয়তাই থাকুক, গল্পটা খুব বেশি আকর্ষণীয় হতনা।
আপনার কমেন্ট পেয়ে ভাল লাগল তানিম ভাই। ধন্যবাদ।
৩৬| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৪
মায়াবতী নীলকন্ঠি বলেছেন: এক নিশ্বাসে পড়লাম.....সাইফার মাথার উপর দিয়ে গেলেও বাকিটা ভাল লেগেছে অনেক
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হুম! বুঝেছি! আপনি অমনোযোগী ছাত্রি! মনোযোগ দিয়ে পড়লে মাথার উপর দিয়ে যেত না।
গল্প ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ভাল থাকুন, শুভরাত্রি।
৩৭| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৪
বোকামন বলেছেন:
সম্মানিত নাজিম-উদ-দৌলা,
আমি আসলে আপনার নতুন একজন পাঠক ! বিষয়টি আগের মন্তব্যে উল্লেখ করা হয়নি। তাই আপনার লেখায় উত্তেজনা, টুইস্ট, নতুনত্ব আমি বিশেষভাবে উপভোগ করেছি :-)
কাজের চাপে ভীষণ ব্যস্ততায় দিন কাটাই। তাই হয়তো সবসময় মন্তব্য করে জানান দেয়া হবে না, লেখাটি পড়েছি। তবে অফলাইনে হোক আর অনলাইনে; আপনার সামনের লেখাগুলো সময় করে পড়ার চেষ্টা করবো।
আপনি চমৎকার লিখেন এবং লিখবেন .....
শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন। :-)
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:২১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: বোকামন, বার বার সম্মানিত বলে আমাকে লজ্জা দিচ্ছেন। এমন কোনও সম্মান পাওয়ার মত কাজ এখনও করতে পারি নাই।
আপনাকে পাঠক হিসেবে পেয়ে ভাল লাগছে, আমি অবশ্য বেশ আগে থেকেই আপনার লেখা পড়ি, অনুসরনে রেখেছি।
ব্যাস্ততার ফাকে সময় করে ব্লগে আসেন জেনে ভাল লাগছে। অনেক ব্লগার তো ব্যাস্ততার কারনে ব্লগিং একেবারেই ছেড়ে দিচ্ছেন!
লিখে যাব ইনশাল্লাহ, আপনাকে পাশে পেলে ভাল লাগবে, ভাল থাকুন আপনিও। শুভরাত্রি।
৩৮| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৬
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: তথাকথিত বিখ্যাত অনেক লেখকের কিশোর উপন্যাসের চাইতে তোমার লেখা খারাপ হবে না, এটা আমি বলছি। তুমি উপন্যাসের চেষ্টা করো। লিখে কমপ্লিট হলে আমাকে জানাইয়ো
আশা করছি এখন বিষয়টা ভাববে
২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: বিষয়টা ভেবেছি তানিম ভাই। আসলে উপন্যাস লেখাটা খুব সময় সাপেক্ষ ব্যাপার তানিম ভাই, এখনই চাচ্ছিনা উপন্যাসে হাত দিতে। আরও সময় যাক, লেখায় আরও কিছুটা ম্যাচিউরিটি আসুক, তারপর ইনশাল্লাহ লিখব। এখন গল্পের মধ্যেই থাকতে চাচ্ছি।
৩৯| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৬
আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: সালাম নিন বস!
আর কিছু বলব না
২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: সালাম নিলাম আর ওয়ালাইকুম জানাইলাম!
৪০| ২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
অনাহূত বলেছেন: দেখবো কত খাওয়াতে পারেন
এক কাজ করেন, আপনি সব ছেড়ে ছুড়ে সাই-ফাই এর মধ্যেই প্রেম, অনুভূতি, আবেগ যা কিছু গল্পের উপাদান, ফুটিয়ে তুলেন। এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে নিতে পারেন। গল্পের প্লট যাই হোক, সাই-ফাই এনভায়রনমেন্টে প্রতিষ্ঠিত হবে।
২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: সাই-ফাই এর মধ্যে প্রেম, অনুভূতি, আবেগ যা কিছু গল্পের উপাদান, ফুটিয় তুলতে বাধা নেই। কিন্তু অন্য সব কিছু ছেড়ে ছুরে সেটা করাটা ঠিক হবে বলে মনে হচ্ছে না। অন্য গল্পও চলুক।
এক্সপেরিমেন্ট না, সিরিয়াসলি ই লিখব। গল্পের প্লট যেমন তেমন হলে সাই ফাই জমে না ভাই। প্লটটা প্রধান একটা প্রায়োরিটি হিসেবে থাকা উচিৎ।
লিখব, লিখব, সাইফাই লিখব। টেনশন নিয়েন না।
৪১| ২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
মাক্স বলেছেন: জাস্ট অসাম!
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: থ্যাংক ইউ মাক্স!
৪২| ২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অসাধারণ........................................................
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ বর্ষণ, অসম্ভব ভাল থাকুন।
৪৩| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:১২
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: গল্পটা খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু সেটা কথা না। কথা হচ্ছে একটা গল্পের পিছনে আপনি অনেক সময় ব্যয় করেছেন। ভালো লেখার জন্য এই ব্যাপারটা খুব দরকার। এজন্যেই গল্পটা আমার খুব বেশিই ভালো লেগেছে।
সাইফারের ব্যাপারগুলো উপভোগ করেছি অনেক। অনেক গবেষণা করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। আপনার কষ্ট সার্থক।
গল্পের তিন ধাপের টুইস্ট উপভোগ্য, কিন্তু শেষে কায়সার প্রতিশোধ না নিয়ে ছেড়ে দিলে ঘটনাটা ঠিক উচিৎ হবে বলে মনে হয় না। আমার মনে হয় কায়সারের প্রতিশোধ নেয়া উচিৎ।
সবমিলিয়ে, খুব সুন্দর। এখন থেকে শুধু ব্লগেই থাকব। বালের ফেসবুকিং বাদ। যতসব।
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: কায়সার কি করবে তা ভাবার কাজ কিছুটা আপনাদের হাতেই ছেড়ে দিয়েছি। যেভাবে ইচ্ছে সাজিয়ে নিতে পারেন।
আপনাদের শুভকামনা পেয়ে পরিশ্রমটা আসলেও সার্থক মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ সেজন্য।
আমি একটা কথা বলি আপনাকে। আমার কাছে আসলে মনে হয় ফেসবুকটা ঠিক সাহিত্য চর্চার যায়গা না। ফেসবুকে আসলে কিছু সময় বন্ধু বান্ধবদের সাথে চ্যাট করে, মজার ঘটনা শেয়ার করা, সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা করা এসবের জন্য পারফেক্ট। বিভিন্ন সামাজিক কাজের উদ্যোগ গ্রহন, জনমত গড়ে তোলা এসব কাজে ফেসবুক পারফেক্ট প্লাটফর্ম। কিন্তু লেখালেখির জন্য আসলে ব্লগই বেটার প্লেস।
আপনার ফেসবুক ছাড়ার প্রয়োজন নেই। সেখানে আপনার বিশাল ফ্যান বেজ আছে, যাদের হয়ত ব্লগে এক্সেস নেই। আমি রিকমেন্ড করব দুই জায়গাতেই সমান তালে লিখুন। ফেসবুকে আপনার ফ্যানরা পড়বে আর ব্লগে তো আমরা আছিই পড়ার জন্য।
শুভকামনা আপনার জন্য।
৪৪| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:১৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার একপ্টা দিক খুব ভাল লাগে। প্রচুর পড়াশোনা করে আপনি গল্প লেখেন। এজন্য অভিনন্দন আপনার অবশ্যই প্রাপ্য। গল্প থেকে আমিও সাইফার বিষয়ে কিছুটা জ্ঞানলাভ করলাম। এজন্য ধন্যবাদ।
পাশের ঘরে থাকা সত্বেও নাজমা আর মিথলা প্রফেসরের স্বীকারোক্তি শুনল না? প্রফেসরর মনে কেন এই ভয় এলনা যে কায়সার যেকোন মুহূর্তে তার স্ত্রী কন্যাকে সব জানিয়ে দিতে পারে? লিজার কিছু হইল না-এটাও মেনে নিতে পারলাম না।
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:২৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: পাশের ঘরে ছিল কি? পাশের ঘরে কিন্তু বোঝাতে চাইনি। তাহলে তো ডাকলেই চলে আসত, ফোন করার কি দরকার ছিল? দেখাতে চেয়েছিলাম অফিসের বাইরে কোথাও আছে, অথবা অফিসের ভেতরে থাকলেও এমন কোথাও আছে, যেখান থেকে দুজনের কথোপকথন শোনার কোনও সুযোগ নেই। বিষয়টা আরও একটু পরিস্কার করা উচিৎ ছিল, আমারই ভুল।
আর প্রফেসরর মনে ভয়টা এসেছিল বলেই তো তিনি স্ত্রী কন্যা নিয়ে বেশ তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেলেন। স্বীকারোক্তি করার সময় মেয়েকে বাঁচাতে হবে- এটাই ছিল মূল চিন্তা, পরে কি হবে না হবে সেটা ভাবার অবকাশ ছিলনা।
লিজার ব্যাপারটা কিছুটা পাঠকের হাতে ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছা ছিল। আমরা ধরে নেই না, আজ না পারলেও কায়সার কোনও একদিন সিডিটা ঠিকই প্রকাশ করে দিবে।
গল্পে বিশদ ব্যাপারগুলো লক্ষ করেছেন দেখে ভাল লাগছে। আপনাকে বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছি একটু আগে, আবার জানাচ্ছি। ভাল থাকুন সব সময়।
৪৫| ২২ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
বৃতি বলেছেন: গল্পটা বেশ ভাল লেগেছে । তবে একটা খটকা আছে ।
এবার রশিদ সাহেব খাতা থেকে মুখ তুলে চাইলেন। সামনে বসে থাকা লোকটিকে চিনতে কয়েক সেকেন্ড লাগল তার। চেনার সাথে দৃষ্টি বদলে গেল। দুচোখে ফুটে উঠল ঘৃণা। এই ছেলেটা তার প্রাপ্তন ছাত্র। একটা স্যাডিস্ট!
রশিদ সাহেবের খুব ভাল করেই জানা আছে ছেলেটা স্যাডিস্ট না-সে রশিদ সাহেব এবং লিজার ষড়যন্ত্রের শিকার । রশিদ সাহেবের চোখে ঘৃণা ফুটে উঠবে কেন? তিনি আতঙ্কিত বোধ করতে পারতেন!
২২ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ বৃতি।
লক্ষ করবেন আমি কিন্তু রশিদ সাহেবের ভিউ থেকে গল্পটা লিখিনি। লিখেছি থার্ড পারসন ভিউ থেকে, এখানে লেখক হচ্ছেন দর্শন, রশিদ সাহেবের মনের খবর তাঁর কাছে নেই। এটা যদি সিনেমা হত তাহলে দর্শক যা দেখতে পেত, আমি শুধু তাই বর্ণনা করেছি। রশিদ সাহেব ভেতরে ভেতরে আতঙ্কিত বোধ করলেও চেহারায় তা প্রকাশ করেন নি বা করতে চান নি। ফলে আমি লেখক তাঁর চোখে শুধু ঘৃণাটুকুই দেখেছি, আর ঠিক যে মুহূর্তে রশিদ সাহেব স্বীকার করলেন বিষয়টা ঠিক তখনই দর্শকদের সাথে সাথে লেখক ( অর্থাৎ আমি) বুঝতে পারলেন আসল ঘটনাটা।
আশা করি বুঝাতে পেরেছি। আমি এর আগে ফাস্ট পারসন ভিউ থেকে প্রচুর গল্প লিখেছি। সময় করে যদি দু একটা পড়েন তাহলেই পার্থক্যটা টের পাবেন।
শুভকামনা আপনার জন্য।
৪৬| ২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
আমিভূত বলেছেন: এই ধরনের লেখা পড়ার জন্যই ব্লগে আসা !!
আজকের ব্লগ পড়া সার্থক প্লাস ।
২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আমিভূত, আপনার মন্তব্য পরে আমি আভিভুত!
প্লাস গ্রহন করলাম সানন্দে। ধন্যবাদ আপনাকে!
৪৭| ২২ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
ফরহাদ আহমদ নিলয় বলেছেন: নাজিম ভাই,
আপনি কি ?
কেমনে পারেন ?
এত জটিল আইডিয়া মাথায় আসে কিভাবে ?
এক নিশ্বাসে পুরাটা পড়েছি । কোড গুলো পড়ে মাথা পুরোটাই ঘুলিয়ে গিয়েছিল । শেষ দিকে একটা টুইস্টের অপেক্ষায় ছিলাম । কিন্তু আশা যেটুকু করেছি, পেয়েছি তারচেয়েও বেশী ! একটা নয় বেশ কয়েকটা টুইস্ট ছিল ।
এত জটিল থিম মাথায় আসে কিভাবে !?
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: এতপ্রশংসা করলে ক্যামনে হবে? আমার শরম পায়!
বহুত চেষ্টা করছি সহজ ভাষায় লেখার! তারপরও একটু জটিলতা চলে আসছে, কিছু করার নেই আসলে! ২৭ নং কমেন্টের উত্তরে গল্পের প্লট কীভাবে পেলাম সেটা কিছুটা বলেছি। দেখতে পারেন।
আপনার লেখনীও বেশ ভাল। শুভকামনা থাকল।
৪৮| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
গ্য।গটেম্প বলেছেন: ভাল
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আহ, ছোট একটা শব্দ কত কথা বলে দিল!
৪৯| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: আমি দিলাম !!
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপনারে একমন ধইন্নাপাতা।
৫০| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৩
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: উফ নাজিম ভাই আপনি আমার দেখা সবচেয়ে পরিশ্রমী ব্লগার ।
আপনাদের মত কয়েকজন ব্লগারদের দেখলে নিজেকে আফ্রিকান স্লথ মনে হয়
যাইহোক , অনেক বড় পোষ্ট , কপি করে রাখছি পরে সময় করে পড়ে মন্তব্য জানিয়ে যাব ।
ভাল থাকবেন ।
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অল্পের জন্য ১০০তম কমেন্টার হতে পারেন নাই।
একটু বড় লেখা। সময় নিয়ে আস্তে ধীরে পড়েন। তাড়াহুড়োর কিছু নাই।
ধন্যবাদ আর সাথে অনেক শুভকামনা।
৫১| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৩
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: এইটা তো খেয়াল করি নি ।
ইসসস একটুর জন্য মিস হয়ে গেল ।। বেটার লাক নেক্সট টাইম
একটু আগে ভাগে আওয়াজ দিয়েন
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: বেটার লাক নেক্সট টাইম!! টেনশন নিয়েন না, একটু আগেই আওয়াজ দিয়া দিমুনে!
সেই পর্যন্ত ভাল থাকেন।
৫২| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১২
স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: এতো খাটাখাটনি করে গল্প লেখেন কিভাবে???
দুর্দান্ত একটা গল্প। টুইস্টের পর টুইস্ট। আবার শেষে এসে সবকিছু পাঠকের হাতে ছেড়ে দেয়া। সব মিলিয়ে অসাধারন
গল্প পড়তে একটু দেরি হয়ে গেলো
২৩ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপনাদের পাশে পাই বলেই তো খাটাখাটনি করতে খারাপ লাগে না।
দেরি হয়েছে তাতে সমস্যা নাই। আসলে বড় লেখা তো, পড়তে সময় লাগে, একটু দেরি হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক।
আপনার জন্য শুভকামনা রনি ভাই। ভাল থাকুন।
৫৩| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:২২
এইস ম্যাকক্লাউড বলেছেন: (শুরুতেই বলে নেই সামুর কোন পোস্টে এটা আমার প্রথম মন্তব্য)
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: .............................................................................................................
গল্পের তিন ধাপের টুইস্ট উপভোগ্য, কিন্তু শেষে কায়সার প্রতিশোধ না নিয়ে ছেড়ে দিলে ঘটনাটা ঠিক উচিৎ হবে বলে মনে হয় না। আমার মনে হয় কায়সারের প্রতিশোধ নেয়া উচিৎ।
সহমত এবং 'দ্বিতীয় পুরুষ' গল্পটির পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
২৩ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: বলেন কিরে ভাই? আপনার ফাস্ট কমেন্ট দিলেন আমার ব্লগে? এই গর্ব আমি কই রাখি! জেনে খুবই খুশি লাগছে যে আপনার প্রথম কমেন্ট টি আমি পেলাম। আপনার জন্য নিরন্তন শুভকামনা থাকল।
শুভ হোক আপনার ব্লগিং জীবন! ভাল থাকুন।
দ্বিতীয় পুরুষ গল্পের পরের পার্ট ঠিক করে রেখেছি। লিখতে ইচ্ছে করছে না! আমি খুব আইলসা। একটা লেখার পর মাস খানেক আর কিছু লিখিনা!
৫৪| ২৩ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০০
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: মাথা ঘুরতেই আছে দোস্ত। টুইস্টের পর টুইস্ট, তায় আরো বড়ো টুইস্ট, যেমন টা তোর কাছ থেকে আশা করি, কখনো হতাশ হইনি,আজও হলাম না। তোর মতন জাত গল্প বলিয়ের বন্ধু হতে পেরে গর্ব বোধ করি।
একটা ছোট্ট সাজেশন, গল্প তোর মাশা আল্লাহ্, বাট গল্প বলার ঢং টা আরো বেটার করতে চেষ্টা কর। বিশেষ করে বাক্য গুলো আরেক
টু, সামান্য ভারী করে তোল। বাক্য গুলো বড্ডো ক্লিশে আর সাদামাটা হয়ে যায়।
২৩ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: বাক্য গুলো ভারী করিনা এর মানে এই না যে করতে পারি না। ইচ্ছে করেই খুব সহজ করে লিখার চেষ্টা করি। এর পিছনে মূল কারন হল- আমার গল্প গুলার কাহিনী এমনিতেই খুব বেশি কমপ্লিকেটেড হয়। তার উপর যদি ভারী ভারী বাক্য দিয়ে ভরিয়ে তুলি অনেকেই গল্পের আগা মাথা বুঝবে না। এর প্রমান পেয়েছি আমি প্রশ্ন আর গন্তব্য গল্প দুটি লিখতে গিয়ে। এর পর থেকে চেষ্টা করি হালকা করে লিখতে। যাতে গল্পের কমপ্লেক্সিটি সহজে রিভিল হয়। তারপরও তর সাজেশন আমি নিলাম। নেক্সট গল্পে দেখবি ভারী বাক্য কাকে বলে, কত প্রকার এবং কি কি!
এই প্রথম তোর কমেন্ট পেলাম ব্লগে। ফেসবুকে এত ভাল লিখিস তুই, ব্লগে লিখিস না কেন রে?
৫৫| ২৩ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৩
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: আর হ্যাঁ, গল্প পড়বার সময় তোর ভরাট কন্ঠ কানে শুনতে পাচ্ছিলাম, কজন পাঠকের এই সৌভাগ্য হয় বলতো?।??
২৩ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: না এই সৌভাগ্য সবার হয় না! তোর তো গর্ব বোধ করা উচিৎ!
৫৬| ২৩ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: তুই আমাকে একটা বিষয়ে সাজেশন দিবি। আমি শিরোনামহীনতায় ভুগি তোর গল্পের শিরোনামগুলা একেবারে চুম্বক। আর আমার কোন শিরোনামই মাথায় আসে না
২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: তাইলে প্রতিবার গল্প লিখার পর আমাকে বিষয়বস্তু বলবি। আমি বিষয়বস্তু বিবেচনা করে নাম ঠিক করে দেব।
৫৭| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
দিগন্ত নীল বলেছেন: এক কথায় ,অসাধারণ লিখেছেন ভাই ।আবার ও অবিভূত হলাম । ।গল্পটা পড়েছি দুই দিন আগেই কিন্তু সামুর প্রবলেমের জন্য মন্তব্য করতে পারি নি ।:-(
২৪ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: নীল, আরে আল্লাহ! ছেলে কই থাক তুমি?
মাঝখানে তোমাকে একটু প্রয়োজন হয়েছিল আমার। আমি অনেক খুজেও ফেসবুকে তোমার আইডিটা পাইনি। তুমি কি আমাকে আনফ্রেন্ড করে দিয়েছ নাকি ফেসবুকে তোমার নাম চেঞ্জ করেছ?
কামনা করি- যেভাবেই থাক, ভাল থাক।
৫৮| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: অছাম !
বেস্ট টুইস্টেড স্টোরি আই হেভ এভার রিড ।
বেশী জোছ ।
২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
থ্যাংক ইউ ব্রো!
গুড ইউশেস ফর ইউ!
৫৯| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
দিগন্ত নীল বলেছেন: পরীক্ষা চলছিলো ভাই ।আর ফেবুতে ও নাম বদলে ফেলেছিলাম ।আমি মেসেজ দিতেছি ।আর শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ ।
২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: তাই বল! নাম বদলায় ফেলছ! এইজন্যই তো তোমাকে খুঁজে পাইনি!
৬০| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
একলা চলো রে বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের গুপ্তধন থেকে শুরু করে ফেলুদার রয়েল বেংগল রহস্য পর্যন্ত কত কিছু পড়লাম কোড-ব্রেকিং নিয়ে। আপনিই বোধহয় ক্রিপ্টোগ্রাফি নিয়ে রহস্য গল্প লিখলেন বাংলা ভাষায়।
২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: কোড ব্রেকিং বিষয়টা প্রথম না। রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ রায় সহ অনেক লেখকই এটা বেজ করে গল্প লিখেছেন। তবে প্রতিক্ষেত্রেই মনগড়া কোড ব্যবহার হয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাইফার টেক্সট বলে একটা বিষয় আছে যা এনকোডিং ও ডিকোডিং এর জন্য একটা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি- এ বিষয়টা কারো লেখায় উঠে আসেনি। সেদিক থেকে হয়ত আমারটাই প্রথম।
প্রো পিক চেঞ্জ করেছেন মনে হয়! ভাল হয়েছে। শুভকামনা আপনার জন্য।
৬১| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৯
কালোপরী বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর
আরও কিছু বলা উচিৎ কিন্তু কি বলব বুঝতে পারছি না
অনেক ভাল লেগেছে
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: পড়েছেন, তাতেই খুশি আমি।
ভালথাকুন।
৬২| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২২
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: গল্পটা পড়ার সময় করে উঠতে পারছিলামনা। আজ শেষ করলাম।প্রথমে রহস্য -শেষের দিকে এসে অন্যদিকে চলে গেলো , পড়ে যাচ্ছিলাম- যদিও ভাল লাগছিলনা।কিন্তু শেষ করার পর মন প্রসন্ন হয়ে গেলো। চমৎকার।
২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আমার কাছে মনে হচ্ছিল একটা নেগেটিভ এন্ডিং দিলে ভাল হবেনা তাই পাঠকের মন প্রসন্ন করার জন্যই কিছুটা পজিটিভ এন্ডিং দেয়ার চেষ্টা করলাম।
সময় করে পড়ে মতামত জানিয়েছেন বলে কৃতজ্ঞতা জানাই। ভাল থাকুন।
৬৩| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৪০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: নাজিম ভাই , কেমন আছেন ?
শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি দেরিতে মন্তব্য করার জন্য । একটু তাড়াহুড়োর মধ্যে ছিলাম ।এরপরও ৩ বার মন্তব্য করতে গিয়েও করতে পারছিলাম না , মাথার ভেতর কথা সব গুলিয়ে যাচ্ছিল । কি বলব আমি ?যা হোক গল্পের কথায় আসি ।
গল্পের পুরোটাতেই আপনি টানটান উত্তেজনা বজায় রেখেছেন , গল্পের ভিতর গল্প , টুইস্ট , ভাবনা সব মিলিয়ে দুর্দান্ত একটা প্যাকেজ ।
''আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাইফার টেক্সট বলে একটা বিষয় আছে যা এনকোডিং ও ডিকোডিং এর জন্য একটা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি- এ বিষয়টা কারো লেখায় উঠে আসেনি। সেদিক থেকে হয়ত আমারটাই প্রথম। ''
খুব ভাল লাগল জেনে । চালিয়ে যান ভাই ।
যখন সাইফার কোড আসল , তখন নাজমা বেগমের মত আমিও কোড মিলানোর চেষ্টা করেছি । এমন টাই ত চেয়েছিলেন আপনি , তাই না ?
পাঠক মানস নিয়ে খেলে করার মন্ত্র আপনার জানা আছে ।
শেষ পর্যন্ত গল্পের বোঝা পাঠকের ঘাড়ে তুলে দেয়া । মাইরি ! ঘাড় ব্যাথা হয়ে গেল দেকচি !
এমন ধরণের একটা লিখা লিখতে আমারাও এখন লোভ হচ্ছে ।
গল্পের প্রতি আপনার নিবেদিত মনোভাব আমাকে অনেক মুগ্ধ করেছে । আমি আশা করব আপনি নিজ অক্ষেই থাকবেন ,পরিশ্রমটুকু অব্যাহত রাখবেন , নিজের মত করে লিখবেন , কাজীদার পর যেন এ লাইনে আপনার কথা যেন ভবিষ্যতে
শুনতে পাই । চেষ্টা করলে আপনি অবশ্যই তা পারবেন ।
যে মানুষ একের পর এক দুর্দান্ত গল্প প্রসব করে , আমি এত বোকা নই যে শুধুমাত্র তার একটা পোস্ট হলুদ তারার বাহনে নিয়ে যাব । তাই আমি পুরো নাজিম-উদ-দৌলা কেই নিয়ে গেলাম । আমার লিঙ্কে এখন হতে আপনার নাম
সগৌরবে শোভা পাবে । আবারো ক্ষমা চাইছি দেরিতে মন্তব্য করার জন্য ।
ভালো লাগার বাটনটা টিপতে আজকের মত আর কখনো এত ভাল লাগেনি ।
ফেবুতে আর গুগল প্লাস এ শেয়ারিত ।
ভাল থাকবেন , ভাল কাটুক আপনার প্রতি মুহূর্ত ।
২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: মাহমুদ, আপনি আমার গল্প পড়লেন আর আমি আপনার মন্তব্য পড়লাম! বিস্তারিত মন্তব্য আর গল্পের প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ জানবেন। দেরিতে পড়েছেন এটা কোনও সমস্যা না, পড়েছেন যে তাতেই খুশি আমি।
সাইফার নিয়ে আর লেখার ইচ্ছে নেই। একটা গল্প লিখতেই প্রচুর ধকল গেছে। সামনে অবশ্য পিওর ট্রেজার হান্ট নিয়েই লিখার কথা ভাবছি।
সাইফারের বিশয়টা চেষ্টা করেছি খুব সহজ ভাষায় লিখতে, যাতে পাঠক ধরতে পারে, আশাকরি কিছুটা হলেও সে চেষ্টায় সফল হয়েছি।
কাজিদা আমার খুব পছন্দের একজন লেখক। তার মত কখনো হওয়ার চিন্তা করিনা। তবে যদি আপনারা পাশে থাকেন তবে লিখে যাব ইনশাল্লাহ।
গল্প শেয়ার করার জন্যও ধন্যবাদ দিলাম। আপনিও ভাল থাকুন সব সময়- এই কামনা করি।
৬৪| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২২
ইশতিয়াক রেহমান বলেছেন: শুরুতে মনে হচ্ছিল একটি সাদা মাটা গল্প। ভাবছিলাম একেরপর এক টুইস্টওলা গল্প লিখতে লিখতে তুমি বুঝি টায়ার্ড হয়ে পরেছ, তাই একটা ব্রেক নেয়ার জন্য এই গল্পের অবতারনা। কিন্তু ঘুনাক্ষরেউ ভাবিনি এটা তোমার একটা মাস্টার পিস। পাঠককে ঘল খাওয়াতে তোমার জুরি মিলে না। গল্প প্রথম প্যারা পড়ার পর থেকে মাথা ঘোরা শুরু হয়েছিল একেবারে শেষ লাইন পড়া পর্যন্ত তা বজায় ছিল। প্রিয়তে না নিয়ে পারলাম না।
২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হয়েছে, হয়েছে আর প্রশংসা করতে হবেনা। পড়তে এত দেরি কেন?
তুমি এখন কি সব রিভিউ টিভিউ লিখতেছ? ছড়া তো খুব ভাল লিখতা! ছড়া কই? ভাল থাকিস!
৬৫| ২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
অদ্ভুতুরে বলেছেন: চমৎকার! সাইফার বিষয়ক ব্যপক জ্ঞানীগুণী পোস্ট। প্রিয়তে নিয়ে নিলাম।
২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়তে নেওয়ার জন্য। সময় করে পড়বেন আশারাখি।
৬৬| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: কঠিন!
সাইফার কোড ভাঙার পোকাটা যখন মাথায় ঢুকে গেছিল, ব্রেইনের তারগুলো কেমন জট পাকিয়ে যাচ্ছিল। ক্ষান্ত দিয়েছিলাম তাই। অবশেষে পড়তে পারলাম। কিন্তু শেষ করে মনে হলো কী আর এমন জটিল!
২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: পোস্টে আপনাকে পেয়ে ভাল লাগছে জুলিয়ান দা। ব্রেইনের তারগুলো কেমন জট পাকিয়ে যাচ্ছিল! আপনার ব্রেইন তো জট পাকানোর কথা না!
কিন্তু শেষ করে মনে হলো কী আর এমন জটিল! আসলেও তো! আমি লিখেছি যখন, তখন কি আর জটিল থেকে পারে?
ধন্যবাদ জুলিয়ানদা, ভাল থাকুন।
৬৭| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৮
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: নাজিম !
এই অসামান্য গল্পটা পড়াতে দেয়ার সুযোগ করে দেয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।
টুপি খোলা অভিনন্দন গ্রহণ করুন।
মুগ্ধতা, বিস্ময় এবং আনন্দ - এই তিনটা অনুভূতি একসাথে কাজ করছে।
সেমিওটিক্স নিয়ে একটু দেখতে পারেন , আপনার ভালো লাগব নিশ্চিত।
শুভেচ্ছা ।
৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অভিনন্দন গ্রহন করলাম।
ক্রিপ্টোগ্রাফি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে কগনিটিভ সেমিওটিক্স সম্পর্কেও কিছু ধারনা হয়েছিল। একটু জটিল লেগেছে আমার কাছে। তবে প্রচণ্ড ইন্টারেস্টিং একটা বিষয়। একেবারে পিওর ট্রেজার হান্ট গল্পের জন্য দারুন উপযোগী । কিন্তু সমস্যা হল গল্পে তাত্ত্বিক বর্ণনা আনাটা বাহুল্য। তাত্ত্বিক বর্ণনা যত কমান যায় ততই ভাল, তাতে গল্পের মজাটা বজায় থাকে। কিন্তু এই ধরনের বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে পাঠকের বোঝার সুবিধার জন্য কিছু বর্ণনা দিতেই হয়, আর তা করতে গেলেই ঝামেলা বাধে। তবু আমি লেখার চেষ্টা করব।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৬৮| ৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: বাপরে এই না হলে লেখক! একটা গল্প লেখার জন্য এত কষ্ট করেছেন! ক্রিপ্টোগ্রাফী সম্পর্কে পুরোটুকু পড়ে দেখবার ধৈর্য হল না, বড় ফাঁকিবাজ আমি। তবে গল্পটা খুব ভাল লেগেছে।
৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: সাইফারের অংশটা বাদ দিয়ে গেলেও গল্পের কাহিনী বোঝা যায়। ওটা এসেছে বাড়তি মজা হিসেবে।
আপনার জন্য শুভকামনা। আর হ্যা! ফাকিবাজি ভাল না!
৬৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
ধাতবগোলক বলেছেন: টুইস্টের পর টুইস্ট আমিও গল্প লিখচি আজকাল,আপনারটার তুলনায় ঐগুলা পান্তা ভাতের পানি
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপনি গল্প লিখেন জানতাম না তো! আপনার ব্লগে যাব।
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: নিমানুষ লেখাটা অবশ্য পড়েছি! ভাল হয়েছিল।
৭০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এই পোষ্ট আমি মিস করে গেলাম ! হাও কেন ইট পসিবল !
+++ নেন ব্রো !
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: মিস করলেন কই? এই তো পইড়া ফেলছেন।
৭১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মেঘা পোস্ট
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: বোধহয় মেগা পোস্ট বলতে চেয়েছেন! তাইনা? ধন্যবাদ।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: বোধহয় মেগা পোস্ট বলতে চেয়েছেন! তাইনা? ধন্যবাদ।
৭২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
গল্পটা আগেই পড়েছি। আজ কমেন্ট করলাম।
টুপি খুলে রাখলাম।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: টুপি পড়ে ফেলেন। আবার টুপি খোলার সময় এসে গেছে। অর্থাৎ আবার নতুন গল্প দেয়ার টাইম হয়ে এসেছে!
ভাল থাকুন আলাউদ্দিন ভাই!
৭৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: অসাধারণ । স্রেফ মুগ্ধতায় বুঁদ হয়ে ছিলাম ।
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল লাগল আপনার মন্তব্য পেয়ে।
৭৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
অদৃশ্য বলেছেন:
নাজিম ভাই
গল্পটা পড়তে সময় লাগবে আমার... আজ শুরু করলাম... দেখি কবে শেষ করতে পারি...
বেশি বড় লিখা পিসিতে পড়তে আমার সমস্যা হয়... এজন্যই এমনটা
শুভকামনা...
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৩
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
সমস্যা নেই, আস্তে ধীরে পড়লেই তো হয়। সময় নিয়ে অনেক দিন পর পর পোস্ট দেই তো তাই একটু বড় হয়ে যায়।
৭৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
অদৃশ্য বলেছেন:
সত্য বলতে কি... লিখাটি পড়া শুরু করে আর থামতে পারিনি... এইটাইপের রহশ্যাবৃত লিখা আমার সবসময়ই ভালো লাগে তাই পড়তে পড়তে শেষ করেই ফেলেছি লিখাটি...
দূর্দান্ত হয়েছে লিখাটি... না পড়লে বুঝতেই পারতাম না...
গোয়েন্দা কাহিনী, রহশ্য হল্প, ট্রেজার হান্টিঙের গল্প/ঘটনা এইসব আমার খুবই প্রিয় বিষয়...
নেক্সট কিছু লিখলে জানান দিয়েন...
শুভকামনা...
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অদৃশ্য। সুন্দর মন্তব্য ভাল লাগল। আমি চেষ্টা করি একটু ভিন্ন ধরনের লেখা দিতে। জানিনা কতটা কি করতে পারি, আপনারাই ভাল বিচার করতে পারবেন।
নেক্সট লেখা আগামীকাল দেব, ইনশাল্লাহ। ভাল থাকুন।
৭৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
রায়হান চৌঃ বলেছেন: নাজিম ভাই....
অনেক ভালো লিখেন....
অনেক দিন পর ভালো কিছু পেলাম বলে মনে হচ্ছে....
ভালো থাকবেন...
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাই। চেষ্টা করি আরকি! ভাল থাকুন আপনি।
৭৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন:
অসাধারণ একটা গল্প । আগেই + ও প্রিয়তে নিয়ে নিয়েছিলাম ।
মন্তব্য করা হয় নি
ভালো থাকবেন সবসময়
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ধন্যবাদ অপূর্ণদা। আপনার প্রিয় পোস্টের তালিকায় আমার গল্প যুক্ত হয়েছে জেনে ভাল লাগল। আপনি আমার খুব প্রিয় একজন ব্লগার। ভাল থাকুন ভাই।
৭৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
আমি ইহতিব বলেছেন: নতুন লেখা কবে দিবেন? প্রায়ই এসে আপনার ব্লগে ঘুরে যাই নতুন লেখা পাওয়ার আশায়।
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ইনশাল্লাহ কালই দেব। আমি লিখি কম, পড়ি বেশি!
৭৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কাজের চাপে পড়ে ব্লগে ঢুকতে পারিনি এ কয়দিন। অনেকগুলো ভাল লেখা মিস হয়েছে। তবে আপনারটা মিস হয়নি, মোবাইলে অতিকষ্টে পড়েছিলাম! সেই ভাল লাগাটা আজ জানাতে এলাম।
আমি আপনার যে কয়টা গল্প পড়েছি তার মাঝে এটা সবচে শ্রমলব্ধ, পরিস্কার এবং নিখুঁত বলে মনে হয়েছে।
পরবর্তী গল্প কবে?
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
সবচে শ্রমলব্ধ, পরিস্কার এবং নিখুঁত গল্পটা এখনও লিখিনি! পরবর্তী গল্প আগামীকাল, ইনশাল্লাহ। ফিরে এসেছেন দেখে ভাল লাগছে, ব্লগে আপনার অভাব বোধ করছিলাম।
৮০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫২
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: অ সা ধা র ণ ।
সত্যি নতুন করে কিছুই বললাম না । গল্পটার মাঝে এমন ভাবে তন্ময় হয়ে ছিলাম , যে রীতিমত রাগ হচ্ছিল কায়সারের এমন শেষে এসে ছেড়ে দেয়ার জন্য ।
আবারো মুগ্ধ ।
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আমি কায়সারকে দিয়ে আর কিছু করালাম না। পাঠকের ভাবনার উপর ছেড়ে দিলাম তার পরবর্তী পদক্ষেপ, ভেবে নিন না কায়সার প্রতিশোধ নিয়ে নেবে!
ধন্যবাদ আপনাকে। শুভরাত্রি।
৮১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
তাসজিদ বলেছেন: অনেক পরে কমেন্ট করলাম সে জন্য সরি।
একটি লেখার জন্য কতটা স্টাডি করেন, তা ভেবে বিস্মিত হই।
তবে গল্পের পিক পয়েন্ট কায়সারের সিদ্ধান্ত নিয়ে হীনমন্যতা। জয় কার হবেঃ প্রতিশোধ পরায়ন, সর্বহারা একজনের নাকি তার মানবিকতার।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: সমস্যা নেই তাসজিদ ভাই। ব্যাস্ত ছিলেন বুঝেছি। গল্পের পিক পয়েন্টটা ধরতে পেরেছেন ভাল ভাবেই।
ভাল থাকুন ভাই, শুভকামনা।
৮২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫২
তুষার আহাসান বলেছেন: অনবদ্য গল্প,
+ না দিলে পাপ হবে।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ছি ছি কি বলেন? পড়েছেন তাতেই খুশি।
৮৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অসাধারন গল্প। একেবারে পাকা হাতের লেখা। বুঝায় যাচ্ছে অনেক পরিশ্রমী লেখক আপনি। চালিয়ে যান। শুভেচ্ছা রইল।
একে একে আপনার আগের লেখাগুলোও পড়ে ফেলতে হবে।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । চেষ্টা করি ভাল লেখার। আপনাদের উতসাহ সাহস দেয়। ভাল থাকুন।
৮৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৫
নৈঋত বলেছেন: তুই কি আমাকে আগে থেকে চিনতি? আমার নাম মেরে দিলি যে
গল্পে দারুন টুইস্ট ...আই লাইক ইট
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
হে হে! নামখানা মনে হয় প্যাটেন্ট করেছিস!!
এত জলদি পড়ে ফেললি!! তুই অনেক ফাস্ট রিডার।
৮৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আজকে আপনাকে দেখেছি :#> :#> :#>
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আমাকে দেখেছেন??
কোথায়??
৮৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪
toysarwar বলেছেন: আমরাও তো কোড ব্রেকার হয়ে উঠলাম আজ। এখন কেবল সাইফার, কোড এগুলোর অপেক্ষায়! থ্যাকু এমন সুন্দর সময় কাটাবার ব্যবস্থা করায়। YJSML UPI
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ওয়েলকাম!!
ধন্যবাদ আপনাকে সময় নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য
ভাল থাকুন!
৮৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৩
নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: পুরোটা পড়ে আবার মন্তব্য করব। প্রথম অর্ধেক পড়ে মন্তব্য "ভালো কনসেপ্ট, সুন্দর লেখনী। আপনার মাঝে পরিশ্রম করার মানসিকতা আছে। একজন ভালো লেখক হওয়ার জন্য এর চাইতে বেশি কিছু বোধহয় লাগে না।"
বিঃদ্রঃ স্বর্ণার কথায় ভুলবেন না। সে আগে আমারেও যত্রতত্র দেখতে পাইত।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
স্বর্ণার কথা আমি বিশ্বাস করিনাই। হেতে বানাইয়া কথা কয়! হেতে থাকে আম্রিকা আমি বঙ্গদেশে। আমার সাথে হেতের দেখা হইবে ক্যামতে?
ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য।
৮৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৫
নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: উফফ !! কি আর বলব, এককথায় উপভোগ্য !! +++
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ
৮৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২০
তওসীফ সাদাত বলেছেন: ভাইজান !!! আপনার গল্প পড়ে তো আমার পড়াশুনা করতে ইচ্ছে করছে !!! জানার আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে তিঙগুণ !!!
অসাধারণ !!
০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
করেন পড়াশুনা শুরু করেন। পড়াশোনার কোন শেষ নাইরে ভাই!
ভাল থাকেন।
৯০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: ক্রিপ্টোগ্রাফি দিয়ে কোড ব্রেক করতে হয় এমন একটা অসমাপ্ত সাই-ফাই লেখা আছে। সেখানে যদিও স্টাব্লিশড কোন সাইফার ব্যাবহার করা হয় নাই, কারণ সাইফার সম্পর্কে এত কিছু জানা ছিল না। কিন্তু এখন ভাবতেছি একটা স্টাব্লিশড সাইফার দিয়ে লিখলে লেখাটা অনেকটা যৌক্তিক হবে।
এক কথায় অসাধারন একটা গল্প। অনেক কিছু জানতে পারলাম।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম রায়ান ভাই। ক্রিপ্টগ্রাফি একটা মারাত্মক ইন্টারেস্টিং বিষয়। আমার এখনও মনে আছে এই গল্পটা লেখার সময়কার মুহূর্তগুলো।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
৯১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: অসাধারণ। আপনার মতই
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৮
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
২৭ মিনিট লাগল পড়া শেষ করতে!!! অনেক ভাল লেগেছে!!! এত কষ্ট করেছেন। আমি ভেবেছিলাম, আপনি হয়ত ক্রিপ্টোগ্রাফি সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে পড়ালেখা করেন।
২/৩ টা বানান ভুল আছে। “আমার এক প্রাপ্তন ছাত্র এসেছিল আজ দেখা করতে।" প্রাক্তন হবে মনে হয়? "অধৈর্য হয়নো।" হয়োনা?
ভাল থাকবেন