নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিকেত সৈনিক

নাজিম-উদ-দৌলা

আমি আর দশজন সাধারণ বাঙালি যুবকদের মতো একজন। তবে আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেক সাধারণের মাঝে অসাধারণ কিছু একটা লুকিয়ে আছে। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজের ভেতরের সেই অসাধারন সত্ত্বাটিকে খুঁজে বের করে আনার।

নাজিম-উদ-দৌলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনিকেত সৈনিক

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

এক



“বাবা, ঝাড়বাতি কি?”

“ঝাড়বাতি দেখতে হয় অনেকটা...” মাথা চুলকালো জহির। ছেলেকে কীভাবে জিনিশটা বোঝানো যায় মাথায় আসছে না! সে নিজেও খুব একটা ঝাড়বাতি দেখেনি। ছোট্ট একটা ঘুপচির মত ঘরে তিনজন মানুষ অতি কষ্টে বসবাস করে। ঘরে আসবাব বলতে একটা ছোট খাট, দুটো বেতের চেয়ার, একটা ছোট আলমারি আর অতি কষ্টে জমানো টাকায় কেনা একটা টেলিভিশন সেট। “ঝাড়বাতিতে অনেক গুলা বিভিন্ন রঙের সুন্দর সুন্দর বাতি একসাথে জোড়া দেওয়া থাকে। ঘড়ের সিলিং থেকে ঝারবাতি ঝোলে...”

“ঝাড়বাতি কোথায় থাকে বাবা? আমার দেখতে ইচ্ছে করে!”

ছেলের কথা শুনে খারাপ লাগল জহিরের। “কীভাবে দেখবে? ঝাড়বাতি ধনী লোকদের বাসার ড্রয়িং রুমে থাকে”।

“আমাদের দেশে কি কোন ধনী নেই?”

“একসময় ছিল। এখন তারা দেশ ছেড়ে বড়লোকদের দেশে চলে গেছে”।

“কেন গেছে?”

“আমাদের দেশে তো অনেক কষ্ট, তাই ওরা দেশ ছেড়ে চলে গেছে?”

“বড়লোকদের দেশে কষ্ট নেই কেন?”

“ওদের দেশে ওমেগাটেক নামে এক ধরনের কম্পিউটার আবিস্কার হয়েছে। ওটার সাহায্যে সব কাজ সহজে করা যায়, ওদের আর কোন কাজ করতে হয়না। ওরা শুধু আরামে বসে থেকে হুকুম দেয় আর সব কাজ ওমেগাটেক করে দেয়।

“ওমেগাটেক দেখতে কেমন হয় বাবা?”

“অত কিছু তো জানিনা বাবা। আমি তো বেশি লেখা পড়া করিনি। তুমি স্কুলে যাচ্ছ, লেখা পড়া করছ, বড় হলে সব জানতে পারেবে”।

“বড় হতে আর কতদিন লাগবে?”

“আহা! অনেক কথা হয়েছে, আর নয়! এবার একটু ঘুমাও তো”।



জহির ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল। ছেলের নাম রেখেছে আজাদ। এই ছেলেকে নিয়ে হয়েছে তার যত যন্ত্রণা! সারাদিন কত আজব ধরনের প্রশ্ন যে সে করবে তার ইয়ত্তা নেই। জগতের সমস্ত বিষয় সম্পর্কে তার জানার বিপুল আগ্রহ। আবার প্রশ্নের উত্তর না দিলেও আরেক ঝামেলা! মুখ ভার করে এমন রাগ করবে- সেই রাগ ভাঙাতে মাঝে মধ্যে তিন চার দিন সময় লেগে যায়!



রুনা একটা বেতের চেয়ারে বসে আছে। আজকে সকাল থেকেই জহির লক্ষ করেছে তার স্ত্রী খুব বেশি কথা বলছে না, কিছু জিজ্ঞেস করলে শুধু হু-হাঁ করে জবাব দিচ্ছে। দুপুর বেলা একটা শুকনো রুটি ছাড়া কিছু খায়নি। চিন্তা হচ্ছে জহিরের। শরীর খারাপ করেনি তো? রুনা কোন অসুখ বিসুখ হলেও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে, মুখ ফুটে বলেনা কিছু। জহির জিজ্ঞেস করল, “কি হয়েছে রুনা? শরীর খারাপ করেছে?”

“না”।

তাহলে?

রুনা প্রায় ফিসফিস করে বলল, “ঘরে যে খাবার আছে তাতে টেনে টুনে আর দুদিন চলতে পারে”।

“কি বলছ? সেদিন না অতগুলো মোড়কজাত খাবার কিনে আনলাম!”

“আমি বেশি বেশি করে খেয়ে শেষ করে ফেলেছি” রুনার চোখের কোনে পানি দেখা গেল।

জহির আমতা আমতা করে বলল, “না... মানে... আমি তা বোঝাতে চাইনি...”

রুনা ধরা গলায় বলল, “কত দিন যাবত বেকার বসে আছ! সংসার চলে কি করে? কাগজের কলের সুন্দর একটা কাজ পেয়েছিলাম। তুমি আমাকে যেতে দিলেনা! কত মেয়েরা ওখানে কাজ করছে!”

“তোমার শরীর খুব খারাপ ছিল, রুনা। ও শরীর নিয়ে কাজ করলে তুমি বাঁচতে না!”

“এখন বুঝি খুব বেঁচে যাব?” রুনার কণ্ঠে রাগ প্রকাশ পেল।

“আরে! হতাশ হও কেন? আমি আছিনা!” অভয় দেওয়ার ভঙ্গিতে হাসল জহির। “দুদিন তো? এর মাঝেই কিছু একটা ব্যাবস্থা করে ফেলব” ।

রুনা চোখের পানি মুছতে মুছতে বলল, “কি ব্যাবস্থা করবে?”

“শফিক ভাই ডেকেছেন আজকে। সাদা চামড়ার কিছু লোক এসেছে। আমাদের থেকে কিছু লোক নেবে কাজ করার জন্য, অনেক টাকা দেবে”।

“ঐ শফিক তো একটা ভণ্ড! দালালি করে চলে, ওর কথায় বিশ্বাস করেছ তুমি?”

“আরে না! শফিক ভাই আমাকে খুবই স্নেহ করেন, কোন সমস্যা হবেনা”।



***



বাইরে বেরোতেই মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে গেল জহিরের। কড়া রোদে চামড়া ঝলসে যাওয়ার উপক্রম। সারাক্ষন ভ্যাপসা একটা গরম বিরাজ করে। গত দুই দশকে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে জলবায়ুগত ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। বছরে শুধু একমাস শীতের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। বাকিটা সময় প্রচণ্ড গরম! বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায় কদাচিৎ। কোন এককালে বর্ষাকাল নামে একটা ঋতু ছিল এ অঞ্চলে, আজ শুধু অভিধানেই তার অবস্থান।



এই পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য অবশ্য মানুষই দায়ী। প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসমুহ সংরক্ষনে ব্যাপক অনীহা, নির্বিচারে বৃক্ষনিধনের মাধ্যমে বনভূমি উজারকরন, অপরিকল্পিত নগরায়ন, চক্রবৃদ্ধি হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি সহ আরও নানাবিধ মানবসৃষ্ট কারনে দেশগুলোকে পর্যবেক্ষণ করতে হয়েছে স্মরণকালের ভয়াবহতম কিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগ। পৃথিবীর দুই মেরুর বরফ গলে গিয়ে প্লাবিত হয়েছে বিস্তৃত বাসভূমি। বাতাসে অক্সিজেনের পরিমান কমে গিয়ে যায়গা করে নিয়েছে বিষাক্ত গ্যাস আর বিভিন্ন রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু।



তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো আজ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। কিন্তু উন্নত বিশ্বের দেশগুলো এই পারিপাস্বিক পরিস্থিতি সামাল নিয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পূর্ব প্রস্তুতি আর প্রুযুক্তিগত উন্নয়ন দ্বারা। গত শতাব্দির শ্রেষ্ঠ আবিস্কার পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তি ওমেগাটেক কম্পিউটার জ্ঞান বিজ্ঞানে এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। উৎপাদন প্রক্রিয়া, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিজ্ঞান গবেষণা, শিক্ষা, প্রশাসন সহ দেশগুলোর সকল কর্মকাণ্ড এখন প্রত্যক্ষভাবে এই প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো এই প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত। কারন ওমেগাটেক কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রতি বছর ন্যূনতম ফি হিসেবে যে পরিমান অর্থ প্রদান করার নিয়ম করা হয়েছে তা দরিদ্র দেশগুলোর ৫ বছরের বাজেটের সমান। তাই এই সুবিধা বঞ্চিত অঞ্চলের ধনী শ্রেণীর লোকেরা তল্পিতল্পা গুঁটিয়ে নিয়ে আরামদায়ক জীবন যাপনের আশায় উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে গিয়ে পাকাপোক্ত আসন গেড়েছে। সামান্য একটি প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পাওয়ার আনন্দে আত্মসম্মানবোধ ভুলে গিয়ে দেশপ্রেম নামক শব্দটিকে তারা গলা টিপে মেরেছে।



শফিক বাড়ির সামনে বসে ঝিমোচ্ছে। তার আশে পাশে বেশ কিছু লোকের জটলা। ইদানিং অনেক মানুষ একত্র হয়ে কিছু একটা পরিকল্পনা করছে এমন দৃশ্য সবার কাছে খুব পরিচিত। কারন একটাই- কর্মসংস্থানের অভাব প্রকট আঁকার ধারন করেছে। বাইরে বেরলেই এখানে সেখানে দেখা যায় কিছু মানুষ একত্র হয়ে জটলা পাকিয়েছে। পরিকল্পনা করছে কীভাবে পরিবারের সবার মুখে অন্ন তুলে দেয়া যায়। হঠাৎ দেখা যায় জটলার মাঝে একজন নেতা হিসেবে দাঁড়িয়ে যায়। সে ঘোষণা দেয় সরকারী শস্যাগারে হামলা করে সব শস্য লুটে এনে ভাগ করে নেবে। একে একে বেশ কিছু জটলা একত্রিত হয়। তারা মিছিল আর সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে শস্যাগারের দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু এই পর্যায়ে এসেই অনেক আন্দোলন থেমে যায়। সরকারী শস্যাগারের সামনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকা রক্ষকদের দেখে সামনে এগোবার সাহস পায়না কেউ। তবে মাঝে মাঝে দু একটা দল সাহস করে এগিয়ে আসে। তার ফলাফল হয় ভয়াবহ। বাড়িতে না খেয়ে অপেক্ষায় পথ চেয়ে থাকা মানুশগুলোর কাছে তাদের ভালবাসার মানুষটি লাশ হয়ে ফেরে। এই জন্য সরকারকে কোন জবাবদিহি করতে হয়না। তৃতীয় বিশ্বে বেচে থাকার সংগ্রামটুকুই সবার কাছে মুখ্য, অন্যরা বাচল কি মরল তা দেখার সময় কোথায়?



অবশ্য এজন্য সরকারকে সম্পূর্ণরুপে দায়ী করা যাবেনা। বাড়তি জনসংখ্যার বাসস্থানের চাহিদা পুরনের জন্য কৃষি জমিতে খুঁটি গেঁড়ে বসেছে নগর সভ্যতার উপকরন। নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের দাম আকাশ ছুয়েছে। এই সুযোগটা নিয়েছে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো। তারা এ অঞ্চলের সাধারন মানুষের খাদ্য চাহিদা পুরনেরর জন্য মানহীন তুলনামুলক সস্তা মোড়কজাত খাবার বাজারজাত করছে। বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমান মুনাফা।



জহির আলতো করে ধাক্কা দিল শফিককে। শফিকের তন্দ্রাভাব কেটে গেল। জহিরকে দেখে হাসল, “ওহ, জহির এসে গেছ! তোমার অপেক্ষায় বসে ছিলাম। চল, ভাল একটা কাজের সুযোগ এসেছে। সুযোগ পেলে ভাল পয়সা কামাতে পারবে!”



***



হাজার খানেক লোকের ভিড়ে দাঁড়িয়ে আছে জহির। যায়গাটা একটা অধিবেশন কক্ষের মত। পার্থক্য হল অধিবেশন কক্ষে দর্শকদের জন্য আরামদায়ক আসনের ব্যবস্থা থাকে, এখানে নেই। উচু মঞ্চের ওপর বেশ কিছু স্যুট-টাই পড়া সাদা চামড়ার লোক বসে আছে, তাদের ভিড়ে একজন অল্পবয়সী মেয়েও দেখা যাচ্ছে। উপস্থাপক মাইকে ঘোষণা করল, “দর্শকবৃন্দ, আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে “ওমেগাসংযোগ” প্রকল্পের জন্য কিছু সেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হবে। সেচ্ছাসেবী বাছাই করা হবে আপনাদের ভেতর থেকে। তবে সে প্রক্রিয়ায় যাওয়ার আগে আপনাদের “ওমেগাসংযোগ” সম্পর্কে কিছু বিষয় জানা আবশ্যক। তাই আমি আমন্ত্রন জানাচ্ছি ওমেগাসংযোগ প্রকল্পের টীম লিডার মিস ডরোথি ম্যান্ডেজকে আপনাদের সামনে এই প্রকল্প নিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু কথা বলার জন্য"।



অল্পবয়সী মেয়েটি উঠে এসে মাইকের সামনে দাঁড়াল। মঞ্চে বসে থাকা লোকগুলো একটু হাততালি দিল, দর্শকরা কেউ দিলনা। জনগন কাজ চায়, যেকোন কাজ পেলেই তারা খুশি, বিস্তারিত জানার কোন আগ্রহ তাদের নেই।



“উপস্থিত দর্শকরা, আপনাদের ধন্যবাদ জানাই আমাদের আমন্ত্রনে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসার জন্য। আমি আপনাদের ওমেগাসংযোগ প্রকল্প সম্পর্কে বলব, তবে তার আগে কিছু প্রাসঙ্গিক কথা না বললেই নয়। আপনারা তো ওমেগাটেক কম্পিউটার ও তার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানেনই। ওমেগাটেক কয়েক বিলিয়ন সুপার কম্পিউটারের সমন্বয়ে সৃষ্টি। আমাদের জীবনের প্রতিটি কাজের জন্য আমারা এখন এই কম্পিউটারের ওপর নির্ভর করে থাকি। আমাদের যেকোন প্রয়োজনীয় তথ্য আমরা তার কাছ থেকে পাই, প্রতিটি বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র এখন ওমেগাটেকের ওপর নির্ভর করে, এমনকি কল কারখানা উৎপাদন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে এর মাধ্যমে। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যোগাযোগ করা যাচ্ছে মুহূর্তের মধ্যে। এছাড়াও ওমেগাটেক অসংখ্য জটিল থেকে জটিলতর কাজ আমাদের হয়ে করে দিচ্ছে। কিন্তু একটা সমস্যা থেকেই যাচ্ছে সেটা হল ওমেগাটেককে প্রয়োজনীয় কাজের নির্দেশ প্রদানের জন্য আমরা নির্দিষ্ট একটি ক্ষুদ্রাকৃতির নিয়ন্ত্রক যন্ত্র ব্যবহার করি। প্রত্যেক নাগরিককে নিয়ন্ত্রক যন্ত্র বহব করতে হয়। নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের সাহায্যে ওমেগাটেককে নির্দেশ প্রদান করা একটু কঠিন। এই জন্য আমাদের কিছু নির্দিষ্ট কোড মনে রাখতে হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে তা ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমরা অনেক দিন ধরে চিন্তা করছিলাম এমন কোন প্রযুক্তি আবিস্কার করার, যার সাহায্যে সহজেই মানুষের মস্তিস্ক থেকে ওমেগাটেককে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠানো যাবে। কোন ধরনের যন্ত্রের প্রয়োজন হবেনা।



এই প্রযুক্তি আবিস্কারের প্রক্রিয়ার নাম ওমেগাসংযোগ প্রকল্প। আশার খবর হচ্ছে দীর্ঘদিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর আমরা সফলভাবে একটা মাইক্রো চিপ তৈরি করতে সমর্থ হয়েছি যা মস্তিস্কের একটি নির্দিষ্ট অংশে স্থাপন করে দিলে মানুষ যখন খুশি ওমেগাটেকের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। আর কোন নিয়ন্ত্রক যন্ত্র প্রয়োজন হবেনা। কিন্তু এই মাইক্রো চিপটি একশত ভাগ কর্মক্ষম কিনা তা বোঝার কোন উপায় নেই। এজন্য আমাদের মাইক্রো চিপটির ছোট্ট একটি পরীক্ষণ করে দেখা প্রয়োজন। কিন্তু সমস্যা হল মাইক্রো চিপটি যদি সম্পূর্ণ অর্থে ত্রুটিমুক্ত না হয়ে থাকে তাহলে টেস্ট করার জন্য যাদের মস্তিষ্কে চিপটি স্থাপন করা হবে তাদের জন্য ব্যাপারটি খুবই বিপদজনক হতে পারে। কারন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই মাইক্রো চিপ বসানোর প্রক্রিয়াটি সংশোধনযোগ্য নয়, অর্থাৎ একবার স্থাপন করা হলে মাইক্রো চিপটি আর বের করে আনা সম্ভব নয়। ত্রুটিযুক্ত মাইক্রো চিপ স্থাপনের পাস্বপ্রতিক্রিয়াস্বরূপ মানসিক ভারসাম্য হীনতা, মস্তিস্ক বিকৃতি এমনকি মৃত্যুও হতে পারে! তাই আমাদের দেশ গুলোতে এই টেস্টিং প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে কেউ রাজি হয়নি। অনেকটা বাধ্য হয়েই আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। আপনাদের মাঝ থেকে আমরা কিছু ভলান্টিয়ার চাই, যারা এই পরীক্ষণে অংশ নিতে আগ্রহী”।



উপস্থিত দর্শকের মাঝে গুঞ্জনের সৃষ্টি হল। তাহলে এই কারনে ওরা আমাদের ডেকেছে! কাজ দেওয়ার কথা বলে ভাওতা বাজি করছে! আমাদের গবেষণার গিনিপিগ বানাতে চায়!



মেয়েটি ফিরে গিয়ে তার আসনে বসল। অন্য একজন সম্ভ্রান্ত চেহারার মাঝবয়সী ব্যক্তি উঠে এসে মাইকের সামনে দাঁড়াল। “থামুন আপনারা, কথা এখনও শেষ হয়নি! আপনাদের অঞ্চলে এই টেস্ট করার জন্য অনুমতিপত্র কিনতে হয়েছে আমাদের, বিপুল পরিমান অর্থ দিতে হয়েছে আপনাদের সরকারকে। কিন্তু আপনাদের জন্য কোন বাধ্য বাধকতা নেই, আপনারা চাইলে এই পরিক্ষন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন অথবা চলে যেতে পারেন। কেউ আপনাদের বাধা দেবেনা”।



অনেকেই চলে যেতে উদ্যত হল।



লোকটি বলে চলেছে, “তবে চলে যাওয়ার আগে দু একটা কথা শুনে গেলে ভাল করবেন। যেহেতু বিপদজনক টেস্ট সেই জন্য আমরা স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য কিছু বিশেষ সুবিধা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই টেস্টে যারা অংশগ্রহন করবেন তাদের জন্য অগ্রিম কিছু অর্থ বরাদ্দ রেখেছি আমরা। পরিমাণটা এতই বেশি যে আপনাদের পুরো পরিবারের এক বছরের খাদ্য কেনার জন্য আর কোন দুশ্চিন্তা থাকবেনা। অপর দিকে এই টেস্টে অংশগ্রহনের কারনে আপনাদের যদি কোন ধরনের শারীরিক, মানসিক ক্ষতি বা মৃত্যু হয় তাহলে আপনাদের পরিবার পরিজনদের বিপুল পরিমান ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে যা দিয়ে তারা আপনার অবর্তমানে সুন্দর ও সচ্ছ্বল ভাবে জীবন যাপন করতে পারবে। আর যাদের ওপর এই টেস্ট এর ফলাফল ১০০ ভাগ সফলতার প্রমান দেবে তাদেরকে পরিবারসহ বিশেষ মর্যাদা দিয়ে উন্নত বিশ্বে নিয়ে যাওয়া হবে, দেওয়া হবে বাসস্থান ও আরাম দায়ক জীবন ব্যবস্থার সকল উপকরন। এবার আপনারাই ভেবে দেখুন অংশগ্রহন করবেন কিনা!”



জনতা বিভ্রান্ত হয়ে পরেছে। মুখের সামনে মুলো ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে, গাধা যাবে কই?



জহির বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করল না। এটা আত্মহত্যা ছাড়া কিছু নয়। বেরিয়ে যাওয়াই শ্রেয় মনে হচ্ছে। কাধে একটা হাত পরতে ফিরে দেখল সে। শফিকের হাত।

“চলে যাচ্ছ জহির! কোন কষ্ট ছাড়াই অনেক গুলো টাকা পেয়ে যেতে!”

“নিজে মরে গেলে টাকা দিয়ে কি করব শফিক ভাই?”

“আরে ধুর পাগল! ওটা কথার কথা বলেছে! আসলে কিচ্ছু হবেনা! দেখছ না কত লোক! ওরা নেবে মাত্র ২০ জন। সবাই সেচ্ছাসেবী হতে চাইলে কারে রেখে কাকে নেবে? তাই নিরুৎসাহিত করার জন্য একটু বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলেছে”।

“আপনি ঠিক বলছেন শফিক ভাই?”

“আরে আমি কি আর না জেনেই বলি নাকি? রাজি হয়ে যাও, খাওয়ার চিন্তা দূর হয়ে যাবে!”

জহিরের মনে পড়ল তার স্ত্রীর কথা, ঘরে যা খাবার আছে তাতে আর মাত্র দুদিন চলবে।



লোকটি মাইকে চিৎকার করছে, “সাহসী ব্যক্তি কে কে আছেন যারা সেচ্ছাসেবী হতে ইচ্ছুক?”



অল্প কয়েকজন হাত তুলল। তাদের মধ্যে জহিরও একজন।





****



“কি বলছ তুমি, ডরোথি? হ্যাভ ইউ লস্ট ইওর মাইন্ড?”

“আমি ঠিকই বলছি স্যার। যা বলছি সুস্থ মস্তিষ্কে ভেবেই বলছি”।

একদৃষ্টিতে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকল ডক্টর ম্যাক্লেইন। মেয়েটির কথাগুলো অবিশ্বাস্য লাগছে। “ডরোথি, তুমি একজন সম্ভাবনাময় বিজ্ঞানী, বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে মেধাবী দশজন বিজ্ঞানীর নাম উচ্চারন করলে তার মধ্যে তোমার নামটিও আসবে। সেই তোমার মুখে এসব কি শুনছি আমি?”

ডরোথি বলল, “জানি, আমার কথাগুলো হয়ত আপনার কাছে হাস্যকর লাগছে, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। আমি উপলব্ধি করতে পারছি বিষয়টা, আপনারাও যত দ্রুত উপলব্ধি করতে পারবেন ততই মঙ্গল”।

“ডরোথি, তুমি ওমেগাসংযোগ প্রকল্পের টিম লিডার ছিলে, তোমার তত্ত্বাবধানেই আমরা এই প্রকল্পে সাফল্য লাভ করেছি। তুমি কি বুঝতে পারছ না আমরা এমন এক যুগান্তকারী আবিস্কার করতে সমর্থ হয়েছি, যা গত কয়েক শতাব্দীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ আবিস্কার?”

“আমি জানি স্যার”।

“তবে তুমি কেন বলছ, ওমেগাসংযোগ আমাদের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে?”

“স্যার, বিপর্যয় আনবে বলছি কারন এই প্রকল্পের প্রচলন হলে আমাদের ব্রেন অকেজো হয়ে পড়বে। মানুষকে কোন কাজে আর ব্রেন ব্যবহার করতে হবেনা। আমরা সম্পূর্ণরুপে ওমেগাটেক প্রযুক্তির ওপর নির্ভর হয়ে পড়ব”।

“তুমি কি বলতে চাচ্ছ আমরা এখন ওমেগাটেক এর উপর নির্ভরশীল নই?”

কাধ ঝাঁকাল ডরোথি, “হ্যা, আমরা এখনও ওমেগাটেক এর উপর নির্ভর করছি কিন্তু পাশাপাশি নিজেদের ব্রেন ব্যাবহার করেও আমাদের অনেক কাজ করতে হচ্ছে। আমরা কখন কোন কাজটি করব তা আমাদের ব্রেন ঠিক করে নেয়। আমাদের মাঝে কিছু জানার আগ্রহ বা প্রয়োজন সৃষ্টি হলে ব্রেন কিছু প্রশ্নের জন্ম দেয়, তার ফলস্রুতিতে ব্রেনের নির্দেশে আমরা আমাদের নিয়ন্ত্রক যন্ত্র ব্যবহার করে ওমেগাটেক থেকে তথ্য সংগ্রহ করি। তাছাড়া, প্রত্যেক নাগরিককে ওমেগাটেক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছে নির্দিষ্ট আইডি নম্বর ও পাসওয়ার্ড, আমাদের সেগুলো মনে রাখতে হয়, এভাবে প্রতিমুহূর্তে আমাদের ব্রেন কর্মক্ষম থাকছে। কিন্তু ওমেগাসংযোগ প্রকল্প প্রয়োগের পর আমরা এই কাজটুকুও করব না। মানুষ সম্পূর্ণরুপে নিজেকে সঁপে দেবে যন্ত্রের হাতে....”



হাত তুলে ডরোথিকে থামালেন ডক্টর ম্যাক্লেইন। “তোমার সাথে যুক্তি তর্কে পারব না আমি। মেনে নিলাম তোমার কথাই ঠিক, এই প্রজেক্ট আমাদেরকে ওমেগাটেক এর উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল করে ফেলবে। কিন্তু তাতে সমস্যা কোথায়? এতে করে আমাদের জীবন আরও আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দময় হয়ে উঠবে। পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের মস্তিস্ক ওমেগাটেকের সাথে কানেক্টেড থাকার কারনে যোগাযোগ করা যাবে যার সাথে খুশি। কোন কোড মনে রাখতে হবেনা, যখন যেটা ইচ্ছে হবে তা করে দেবে ওমেগাটেক। আমরা নিজেদের সময়টুকু শুধুমাত্র আনন্দ উপভোগে ব্যয় করতে পারব”।



“কিন্তু স্যার.... হাজার হলেও ওমেগাটেক একটি যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। মানব সমাজের ভবিষ্যৎ এর ওপর ছেড়ে দেওয়া যায় না”।



“বার বার তোমার মুখে যন্ত্র শব্দটা শুনতে ভাল লাগছে না। প্রচলিত অর্থে ওমেগাটেক একটি যন্ত্রই কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এটি মানুষের সমান বা কিছু ক্ষেত্রে মানুষের চেয়ে অধিক বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন একটি প্রযুক্তি। মানুষের মত করে চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা ওর আছে। আর তুমি কি ভয় পাচ্ছ যে ওমেগাটেক কখনো কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে? কিন্তু সেটাও কোন ভাবে সম্ভব নয়। কারন ওমেগাটেকের আছে স্বয়ংক্রিয় রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া। নিজেকে কার্যক্ষম রাখার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ ওমেগাটেক নিজেই যোগাড় করে নিতে জানে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ওমেগাটেকের প্রযুক্তিগত ক্ষতি হলেও তা পুরন করে নিতে জানে সে। হয়ত এই মানব সভ্যতা একদিন ধংস হয়ে যাবে কিন্তু ওমেগাটেক কখনো বিলুপ্ত হবেনা। তাছাড়া ওমেগাটেক স্বয়ংক্রিয়ভাবে গবেষণা চালিয়ে নিজের উন্নতি সাধন ও আপগ্রেড করতে সক্ষম। তাই জ্ঞান বিজ্ঞানে আমাদের যে উন্নতির ধারা রয়েছে তা আরও বেশি বেগবান হবে। পার্থক্য হচ্ছে আগে ম্যানুয়ালি আমাদের করতে হত এখন তা ওমেগাটেক করবে”।



একনাগাড়ে অনেকক্ষণ লেকচার দিয়ে থামলেন ডক্টর। ডরোথি এতক্ষন চুপচাপ শুনছিল। ডক্টর ম্যাক্লেইন থামতেই সে বলে উঠল, “কিন্তু স্যার, একটা কথা কি কখনো চিন্তা করে দেখেছেন? যদি এমন হয় যে ওমেগাটেক আমাদের কথা মত কাজ করল না। সে নিজের ইচ্ছায় চলা শুরু করে দিল! তখন?”



ডক্টর ম্যাক্লেইন ভ্রু কুঁচকে কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললেন, “সেটি কখনো হবেনা। আমরা ইন্সট্রুমেন্টস ফিউচার অ্যাটিচুড প্রেডিক্টিং সিমুলেশন প্রসেস ব্যবহার করে দেখেছি। আগামী কয়েক শতাব্দিতে ওমেগাটেক মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই”।



ডরোথির ঠোঁটের কোনে তিক্ত হাসির আভাস। “স্যার, আপনি তো ভাল করেই জানেন বিজ্ঞানের যে থিওরিগুলো এখনও সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত করা সম্ভব হয়নি, তার মধ্যে আইএফএপিএসও অন্যতম”।



ডক্টর এক মুহূর্তে চুপ করে থাকলেন, তারপর বললেন, “ডরোথি, তুমি বুঝতে পারছ না। এখন আর পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে বিজ্ঞান অধিদপ্তর থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়ে গেছে। সকল নাগরিক স্বপ্ন বুনছে কবে তাদের কাঙ্ক্ষিত মাইক্রো চিপটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের মস্তিষ্কে স্থাপন করবে! কয়েক সহস্র কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল অর্থবিষয়ক অধিদপ্তর থেকে এই প্রোজেক্টের জন্য। দীর্ঘদিনের অক্লান্ত শ্রম আর বিপুল পরিমান অর্থ ব্যায়ের মাধ্যমে আমরা অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখেছি। শুধু অর্থ আর পরিশ্রমই সব নয়। প্রানহানির ঘটনা তুমি ভুলে যাওনি নিশ্চয়ই! মাইক্রো চিপটা টেস্ট করার জন্য আমরা প্রথমবার যে বিশজন ভলান্টিয়ার বেছে নিয়েছিলাম তাদের সবাই মারা গেছে। মাইক্রোচিপটির ত্রুটি সংশধনের পর দ্বিতীয় দফার টেস্টিংয়ে কিছু ভলান্টিয়ার মারা যায় বাকিদের কারো মানসিক ভারসাম্যহীনতা মাস্তিস্ক বিকৃতি ঘটে। এভাবে করে ৬ বারের মাথায় আমরা ১০০ ভাগ সফল হয়েছি। এত কিছুর পর আমরা আর পিছিয়ে যেতে পারিনা”।



“ঠিক আছে, স্যার” চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল ডরোথি। “আপনি যা ভাল মনে হয় করুন। আমি রিজাইন দিচ্ছি। বিজ্ঞান অধিদপ্তরের চাকরিটি আর করছি না”।



ডরোথি বের হয়ে গেল। ডক্টর ম্যাকক্লেইন ভ্রু কুঁচকে তার গমন পথের দিকে তাকিয়ে থাকলেন।





দুই



ঠিক পঁচিশ বছর পর.....



বিশাল হলরুমে প্রায় দুই শতাধিক নারী পুরুষ একত্রিত হয়েছে। সবার পরনে দামী অভিজাত পোশাক। সবাই এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে দেয়ালে ঝোলান বিশাল ঘড়িটির দিকে। চোখ মুখে একটা চাপা আনন্দ। ঘড়ির কাঁটা যখন এগার ঘণ্টা উনষাট মিনিট সবাই একযোগে চিৎকার করে উঠল,

“ঊনষাট”

“আটান্ন”

“সাতান্ন”

“ছাপ্পান্ন.....”



একজন উপস্থাপক মাইকে বলছে “বন্ধুরা আর কিছুক্ষন পরই আমাদের প্রিয় ওমেগাটেক পঞ্চম আপগ্রেড নিতে চলেছে। এই আপগ্রেডের মাধ্যমে ওমেগাটেক ষষ্ঠ মাত্রার প্রযুক্তিতে পরিনত হবে। আমাদের সামনে খুলে যাবে অপার সম্ভাবনার দুয়ার। সবাই কাউন্ট ডাউন করুন.....”

“একচল্লিশ”

“চল্লিশ”

“আটত্রিশ”

“সাইত্রিশ.......”



উপস্থাপক ডোনাল্ড চিৎকার করে যাচ্ছে, “ওমেগাটেক এর এই আপগ্রেডের ফলে জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আমরা ছাড়িয়ে যাব সকল সীমা। অপার বিশ্বের রহস্য আমাদের হাতের মুঠোয় চলে আসবে। পৃথিবীর বাইরে ভ্রমণ হয়ে দাঁড়াবে নিত্যদিনের ব্যাপার......”

“পঁচিশ”

“চব্বিশ”

“তেইশ”

“বাইশ”



“পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারব মুহূর্তের মধ্যেই, এমনকি পৃথিবীর বাইরেও যোগাযোগ সম্ভব হবে......”

“ষোল”

“পনের”

“চৌদ্দ”

“তের.......”



“ওমেগাটেক পরিনত হবে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিতে। ম্যানুয়াল নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হবে। আমাদের জীবনকে করে তুলবে আরও সুখী, স্বাচ্ছন্দ্যময়......”

“নয়”

“আট”

“সাত”

“ছয়.....”



“বন্ধুরা এসে গেছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ......”

“তিন”

“দুই”

“এক”

“শুন্য....”

“ইয়া....হু....” সবাই একসাথে খুব জোরে চিৎকার করে উঠল।



আচমকা পুরো হলরুম অন্ধকার হয়ে গেল। সবার চিৎকার থেমে গেল। উপস্থাপক ডোনাল্ড অবাক হল। বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা হল না তো? কিছুক্ষন পর আবার আলো জ্বলে উঠল কিন্তু এবার একনাগাড়ে বেশিক্ষন জ্বলল না। জ্বলছে- নিভছে, জ্বলছে-নিভছে, কেউ যেন বার বার সুইচ অন অফ করছে। এমন তো হওয়ার কথা না! সে মাইকে কথা বলার চেষ্টা করল। অবাক হয়ে দেখল মাইকও কাজ করছে না। তারমানে আসলেই বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা হয়েছে। ডোনাল্ড বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করল, কিন্তু অবাক হয়ে লক্ষ করল সে তার মস্তিস্কের অভ্যন্তরে স্তরে স্তরে সাজান অসংখ্য তথ্যের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কোন তথ্যটি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা যাবে তার জানা নেই। উপস্থিত জনতা বিশৃঙ্খল হয়ে পরেছে। সে হাত তালি দিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করল। চিৎকার করে বলল, “আমার মনে হচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগে কোনও সমস্যা হয়েছে। আমি বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। আপনারা একটু চেষ্টা করে দেখুন তো!”



কিছুক্ষন নিরবতা। তারপর সবার মাঝে চিৎকার চেচামেচি শুরু হয়ে গেল। কেউ যোগাযোগ করতে পারছে না। এমন পরিস্থিতির সম্মুখিন তাদের আগে কখনো হতে হয়নি। নিশ্চয়ই বিদ্যুৎ বিভাগে সিরিয়াস কোনও সমস্যা হয়েছে! ডোনাল্ড ভাবল নিজের স্ত্রীর সাথে একটু যোগাযোগ করা দরকার। বেচারি অসুস্থ, আজকের এত চমৎকার একটা অনুষ্ঠানে আসতে পারেনি। কিন্তু বেশ কিছুক্ষন চেষ্টা করেও সে যোগাযোগ করতে পারল না, অসংখ্য অচেনা তথ্যের সমুদ্রে হাবু ডুবু খেল কিছুক্ষন। ওমেগাটেক তাকে প্রয়োজনীয় তথ্যটি খুঁজে দিচ্ছেনা কেন? বিষয়টা অবাক করল তাকে, আগে তো কখনো এমন ঘটেনি।



এর মাঝে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল। অন্ধকারে কারো সিগারেটের আগুন পর্দায় লেগে গেছে। দাউ দাউ করে আগুন জলে উঠল। সবাই আতঙ্কিত হয়ে দিগ বিদ্বিগ ছোটা ছুটি করা শুরু করেছে। ডোনাল্ড দমকল বিভাগে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হল।



খানিক বাদে সে আবিস্কার করল আসলে কারো সাথেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছেনা।



*****



দৃষ্টির সীমার মাঝে সমুদ্র থাকলে মনটা উদার হয়। কথাটা বাবা বলতেন সব সময়। ডরোথির বাবা সমুদ্রের পাশে একটা বাড়ি কিনেছিলেন। শহরের কোলাহলের বাইরে নির্জনে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাসের খুব ইচ্ছে ছিল তার। কিন্তু সেই ইচ্ছা পুরন হয়নি। নতুন বাড়িতে ওঠার দুদিন পরেই ডরোথির মা মারা গেলেন। ডরোথির ভাইরা শহরে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করত, তাই তারা চলে গেল। ডরোথি বিজ্ঞান কাউন্সিলের ভাল একটা চাকরী পেয়ে চলে এল। বাবা একলা খুব বেশি দিন বাচলেন না। একটা দুর্ঘটনায় মারাত্মক আঘাত পেয়ে মৃত্যুবরণ করলেন। অনেক দিন পর ডরোথি বিজ্ঞান অধিদপ্তরের চাকরী ছেড়ে দিয়ে এসে আবার এই বাড়িতে বসবাস শুরু করেছে। একলা একা কাটিয়ে দিয়েছে পঁচিশ বছর।



বারান্দায় বসে আছে ডরোথি। দূর থেকেই ছেলেটাকে দেখা যাচ্ছে। উপকূলীয় আঁকা বাকা পথ ধরে হেটে আসছে। ডরোথি অবাক হল। প্রযুক্তিগত চরম উন্নয়নের শিখরে থাকা এই পৃথিবীতে এতটা পথ কেউ পায়ে হেটে আসতে পারে তা ভাবাই যায়না।



ছেলেটি কাছে চলে আসতেই তার চেহারায় একটা উদ্ভ্রান্তভাব লক্ষ করল ডরোথি। অদ্ভুত! এই বয়সী একটা ছেলের চেহারায় এই দৃষ্টির কথা কথা না। এরা থাকবে সদ হাসি খুশি, প্রফুল্ল! নিশ্চয়ই কিছু একটা সমস্যা হয়েছে।



ছেলেটি কাছে এসে বলল, "আপনি কি মিস ডরোথি সিম্পসন?"

ডরোথি হ্যা-বোধক মাথা নাড়ল।

ডক্টর ম্যাকক্লেইন আপনাকে দেওয়ার জন্য একটা চিঠি দিয়েছেন। ছেলেটা একটা মুখ বন্ধ খাম এগিয়ে দিল।

ডরোথি হাত বাড়িয়ে খামটি নিল। বলল, "তোমাকে ক্লান্ত লাগছে। বস, এক গ্লাস ফলের রস দিচ্ছি আমি"।

ছেলেটি দুহাতে কপালের দুপাশ ডলছে, সম্ভবত মাথাব্যাথা করছে তার। “নাহ। আমার আরও কাজ আছে” বলেই ফিরতি পথে হাটা দিল।

ডরোথি অবাক হল। খাম ছিঁড়ে ভেতর থেকে চিঠি বের করল। অদ্ভুত ব্যাপার! এই যুগে হাতে লেখা চিঠি!



প্রিয় ডরোথি,



আমার দেখা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রতিভাবান মানুষ তুমি। তুমি সেই সম্ভাবনার কথা ভাবতে পেরেছিলে যা কখনো আমরা কেউ কল্পনাও করতে পারিনি। তোমার আশঙ্কাই অবশেষে সত্যি হয়েছে। ওমেগাটেক আপগ্রেড হওয়ার পর থেকেই সমস্ত প্রযুক্তিগত সুবিধা সম্পূর্ণরুপে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পাচ্ছিনা, কোনও ইলেকট্রনিক যন্ত্র ঠিকমত কাজ করছে না, যোগাযোগ ব্যাবস্থা ধ্বসে পরেছে, সমস্ত মোটরগাড়ী, প্লেন, রেলগাড়ী, জাহাজ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। মিল কারখানার মেশিনারিজ কমান্ড অনুযায়ী কাজ করছে না! আগে এ ধরনের সমস্যা হলে ওমেগাটেক আমাদের সাহায্য করত, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সমাধান করে দিত কিন্তু এখন ওমেগাটেকও সাড়া দিচ্ছেনা! ওমেগাটেক আমাদের সাথে বেঈমানি করেছে! পঞ্চম আপগ্রেড নেওয়ার পর আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে সে। আমরা যাকে আশীর্বাদ ভেবেছিলাম তা আমাদের জন্য অভিশাপে পরিনত হয়েছে।



আমাদের চিন্তা ভাবনায় দূরদর্শিতার অভাব ছিল। ওমেগাটেক পঞ্চম আপগ্রেডটি নেওয়ার পর ষষ্ঠ মাত্রার বুদ্ধিমান প্রযুক্তিতে পরিনত হয়েছে যা মানুষের বুদ্ধিমত্তার চেয়ে অনেকগুন বেশি। যে মুহূর্তে সে আবিস্কার করেছে তার বুদ্ধিমত্তা মানুষের চেয়ে বেশি, সে মানুষ কতৃক নিয়ন্ত্রিত একটা যন্ত্র হিসেবে থাকতে চায়নি, উলটো মানুষের জীবনকে নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে। সোজা কথায়- এতদিন মানুষ যে যন্ত্রের মালিক ছিল এখন সেই যন্ত্রই মানুষের মালিকে পরিনিত হয়েছে। ওমেগাটেক এখন তার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় রসদ উৎপাদনের কারখানা গুলোর উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে শত গুন। অথচ মানুষের প্রয়োজনীয়দ্রব্যের উৎপাদন দিয়েছে বন্ধ করে। ওমেগাটেক বাড়তি মানুষকে বোঝা বলে মনে করছে। খাদ্য উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে মানুষের সংখ্যা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসার জন্য। অন্যান্য সকল সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে।



এখন এই অবস্থা থেকে পরিত্রানের উপায় একটাই আছে, ওমেগাটেক কে আপগ্রেডপূর্বে অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে, কোনভাবেই তাকে ষষ্ঠ মাত্রার প্রযুক্তিতে পরিনত হতে দেয়া যাবেনা। কিন্তু তা সম্ভব না। কারন ওমেগাটেক এর আপগ্রেড কন্ট্রোল করার জন্য কি করতে হবে সেই তথ্যও ওমেগাটেক এর ডাটাবেজেই সংরক্ষিত আছে। ওমেগাটেক এখন আমাদের তার ডাটাবেজ থেকে তথ্য নিতে দিচ্ছেনা। স্বরাষ্ট্র অধিদপ্তরের আমাদের একটা মিটিং হয়েছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আমরা যন্ত্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে চাইনা। তাই আমাদের ওমেগাটেককে ধ্বংস করে দিতে হবে।তুমি তো জানই, সমুদ্রতীরবর্তী উপশহর নোভাকে ওমেগাটেক এর যে প্রধান নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে, এটি ধংশ করে দিতে পারলেই সমগ্র ওমেগাটেক ব্যাবস্থা ভেঙে পড়বে। কিন্তু আমরা ভুলে গিয়েছিলাম প্রত্যেকটি মানুষের মস্তিস্কে বসান মাইক্রোচিপ দ্বারা কে কি ভাবছে, কে কি পরিকল্পনা করছে সবকিছু ওমেগাটেক আগে থেকে টের পায়। যারা তার বিরুদ্ধে লাগতে চায় তাদের কে শাস্তি দেওয়া ওমেগাটেক এর জন্য মামুলী বিষয়। প্রচণ্ড ব্যাথা! মাথায়....মাথায়...প্রচণ্ড ব্যাথা.... বলতে বলতে আমার সামনেই তার শরীরটা ডাঙায় তোলা মাছের মত খাবি খেতে লাগল। মুখ দিয়ে লালা বেরিয়ে এল। এর পর আর কারো সাহস হলনা ওমেগাটেক ধ্বংস করার চিন্তা করার। কেউ তেমন কিছু ভাবলেই ওমেগাটেক মস্তিষ্কে প্রচণ্ড যন্ত্রণার সৃষ্টি করে।



কিন্তু আমি জানি, শুধু একজন মানুষই পারবে ওমেগাটেককে ধ্বংস করতে। সে তুমি, আমার এক সময়ের ছাত্রি ড. ডরোথি সিম্পসন। এই উন্নত বিশ্বতে তুমিই একমাত্র মানুষ যে মাথায় মাইক্রোপ্রসেসর বসাতে রাজি হওনি। তাই ওমেগাটেক চাইলেই তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আমার মাথার অভ্যন্তরে প্রচণ্ড একটা চাঁপা ব্যাথা অনুভব করছি আমি। লিখতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তবু আমাকে শেষ করতে হবে! ৫ বছর আগে আমার যে সিদ্ধান্তের ফলে মানব জীবনে এই বিপর্যয় নেমে এসেছে, সেই সিদ্ধান্ত খণ্ডনের সময় এসেছে ডরোথি। তুমি জান তোমার কি করতে হবে। কিন্তু এই কাজ তোমার পক্ষে একা করা সম্ভব হবেনা। তুমি যত দ্রুত সম্ভব তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলর উদ্দেশ্যে যাত্রা কর। আমরা ওদের ওপর অনেক অবিচার করেছি। ওদেরকে মানুষহিসেবে মনে করিনি। কিন্তু আমার বিশ্বাস এই বিপদে ওরা আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে। তবে সাবধান থেক, তোমার মাথায় হয়ত মাইক্রো চিপ নেই কিন্তু অন্যদের মাথায় তো আছে! ওমেগাটেক চাইলে তাদের মস্তিষ্কে সিগন্যাল পাঠিয়ে তাদের দ্বারা তোমার ক্ষতি করতে পারে!



ভাল থেক। বিদায়।



ইতি

মানব সভ্যতা ধ্বংসকারী কালপ্রিট,

টিমোথি ম্যাকক্লেইন



চিঠি শেষ করতেই দূর থেকে হইচইয়ের আওয়াজ পেল ডরোথি। সন্ধ্যা হয়ে আসছে, বেশ কিছু লোকজন হাতে মশাল জ্বেলে এদিগেই আসছে। গুলির আওয়াজও পাওয়া যাচ্ছে! কয়েকজনের সাথে আগ্নেয়াস্ত্র আছে মনে হচ্ছে। ডরোথির ঠোঁটের কোনে হাসি দেখা গেল। এই এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার অনেকগুলো গুপ্ত পথ জানা আছে তার। ওমেগাটেকের তা জানার ক্ষমতা নেই। ডরোথি মনে মনে বলল, “ওমেগাটেক, তোমার এই যন্ত্রদানব হয়ে ওঠার পেছনে আমিও দায়ী। আমার ভুল আমি খণ্ডন করবই, তোমার আধিপত্যের দিন শেষ”!





তিন



“ভেতরে আসব স্যার?”

জেনারেল জামশেদ কিছু একটা লিখছিলেন। মুখ না তুলেই বললেন, “এস, মেজর আজাদ”।

আজাদ ছোট ছোট পদক্ষেপে এগিয়ে এল। জেনারেল বললেন, “বস”।

আজাদ বসল। দেখল জেনারেলের পাশে একজন পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলা বসে আছেন। সাদা চামড়া দেখে ধারনা করে নেওয়া যায়, উন্নত বিশ্ব থেকে এসেছেন। কিন্তু গায়ে বিলাশবহুল পোশাক আশাক নেই কেন তাহলে?

জেনারেল লেখা শেষ করে মুখ তুলে চাইলেন। তার চোখে কৌতুকপূর্ণ দৃষ্টি। বললেন, “উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জান কিছু?”

“সম্পূর্ণ জানিনা স্যার। তবে শুনেছি ওমেগাটেক আপগ্রেড হওয়ার পর এখন আর তাদের কথা মত কাজ করছে না”।

“আসল পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ” গম্ভীর কণ্ঠে বললেন জেনারেল, যদিও তার চোখে কৌতুক খেলা করছে। “অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিশৃঙ্খলা ছাড়িয়ে গেছে মাত্রা। ওমেগাটেক তাদেরকে নিয়ে খেলছে। দুর্বলদের ওপর সবলের অত্যাচার বাড়ছে প্রবলহারে। কেউ বাধা দেওয়ার নেই, কোন আইন নেই, শাসন নেই, সোজা কথায় সৃষ্টি ফিরে গেছে সেই আদিমযুগে। বুঝতে পারছ বিষয়টা?”

“জি স্যার”।

"আমার পাশে যে ভদ্রমহিলা বসে আছেন তার নাম মিস ডরোথি সিম্পসন। তুমি হয়ত ওনার নাম শুনে থাকবে, উনি ওমেগাসংযোগ প্রকল্পের টিম লিডার ছিলেন"।

ধক করে চোখদুটো জ্বলে উঠল আজাদের। ২৫ বছর আগে এই প্রকল্প টেস্টিংয়ের বলি হয়েছিল তার বাবা! সামান্য কিছু টাকার জন্য এই নরপিশাচগুলোর গবেষণার গিনিপিগ হয়ে জীবন দিতে হয়েছিল তাকে। সেই থেকে মনের ভেতর প্রতিশোধের তীব্র আক্রোশ নিয়ে বড় হয়েছে আজাদ। আজ সেই খুনিরা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস ডেকে এনেছে! তবু চেহারায় নির্লিপ্ততা বজায় রেখে সে বলল, "জি স্যার! চিনেছি"।

জেনারেল বলে চলেছেন, "ওরা আমাদের মতই মানুষ। মানুষ তো মানুষের জন্য। ওদের এই বিপদে আমাদের এগিয়ে যেতেই হবে, এটাই মানবতার শর্ত। তাই আমি কিছু দক্ষ কম্যান্ডোর সমন্বয়ে একটি দল পাঁঠাতে চাইছি। ওদের প্রধান কাজ হবে যেকোনো মূল্যে ওমেগাটেককে ধ্বংস করা। তারপর পরিস্থিতি সামলে নিয়ে দেশগুলতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। আমি চাই তুমি এই টিমকে নেতৃত্ব দেও, কি পারবে না?"

“অবশ্যই পারব স্যার” দৃঢ় কণ্ঠে বলল মেজর আজাদ।

“কিন্তু মনে রেখ ওমেগাটেককে ধ্বংস করা সহজ হবেনা। সাধারন মানুষ এখন ওর নির্দেশ মত চলবে। তাদের মস্তিস্কে সিগন্যাল পাঠিয়ে ওমেগা তাদের দিয়ে যা খুশি করিয়ে নিতে পারে। প্রস্তুত থেক, বিশাল প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হবে তোমাদের”।

“মনে থাকবে স্যার”।

জেনারেল জামশেদ হাসলেন, “যাও, তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হয়ে নাও। আগামীকালই তোমার টিম নিয়ে রওনা দিতে হবে”।

“ইয়েস, স্যার”।



উঠে দাঁড়াল মেজর আজাদ। তার চোখে মুখে দৃঢ় সংকল্প আর বুক ভরা সাহস। বিপর্যস্ত পৃথিবীর ভবিষ্যৎ এখন নির্ভর করছে তার মত অকুতোভয় কিছু সৈনিকের ওপর।



(সমাপ্ত)





***************************************

উৎসর্গঃ প্রিয় হাসান মাহবুব ভাইকে।



উৎসর্গ প্রসঙ্গেঃ এখন আমরা সামুতে নতুন ব্লগারদের লেখা পড়ি। কিন্তু আমি যখন নতুন ছিলাম তখন আমার গল্প খুব বেশি মানুষ পড়ত না। কিন্তু এই হাসান মাহবুব নামের মানুষটি আমার প্রত্যেকটা লেখা ধৈর্য সহকারে পড়তেন। ভাল লাগলে আকুন্থচিত্তে প্রশংসা করতেন আর ভাল না লাগলে স্পষ্ট করে বলতে দ্বিধা করতেন না। আমার আজকের নাজিম-উদ-দৌলা হয়ে ওঠার পেছনে ওনার অবদান অনেক।



গল্প প্রসঙ্গেঃ পৃথিবীর ভবিষ্যৎ আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে ভাবনা থেকে গল্পটা লেখা। সাইফাই লিখলাম বেশ কিছুদিন পরে। গল্পটা লেখার পিছনে মূল কারন ব্লগার অনাহূতের নিরন্তন চাপাচাপি। ভাল না লাগলে সব দোষ তার। আর একটা কথা! জাফর ইকবাল স্যারের লেখার কিছুটা রেশ থাকতে পারে গল্পে। তবে সেটা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। হয়ত আমার অবচেতন মনে স্যারের লেখার টুকরো টুকরো কিছু বিষয় ঘুরপাক খাচ্ছিল, সুযোগ বুঝে তারা গল্পে অনুপ্রবেশ করেছে।



মন্তব্য ১৩১ টি রেটিং +৩৩/-০

মন্তব্য (১৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

খেয়া ঘাট বলেছেন: রমজানমাসে প্রার্থণা করলাম- একজন জনপ্রিয় লেখকহিসাবে যেন আপনি সারাদেশে পরিচিতি পান।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: সহমত! :P

রমজান মাসের প্রার্থনা আল্লাহ কবুল করবেন ইনশাল্লাহ। :)

গল্প কেমন লাগছে সেইটা তো বললেন না! :(

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার গল্প এই ভাবে পড়লে আসল মজাটা পাবো না ! আপনার লেখা পড়তে হবে বিছানায় আধ শোয়া হয়ে । দুহাতে কাগজের বইতে ! আপাতত
লেখা প্রিন্ট দিলাম !
জানি ভাল হবে তাই আগেই প্লাস দিয়ে গেলাম !

ভাল থাকবেন !
আর লেখার সংখ্যা একটু বাড়ান মিয়া ! এতো কম পোষ্ট দিলে চলবে !

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: লিখতে আলসেমি লাগে। একটা লেখার পিছনে বিস্তর খাটুনি যায় দেখে পোস্ট দেয়ার পর কিছুদিন বিশ্রাম নেই। :(

তবে লেখার গতি বাড়ানোর চিন্তা করতেছি। :)

ধন্যবাদ প্লাসের জন্য। পইড়া জানাইয়েন কিন্তু ;)

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

কাওছার০ বলেছেন: চমৎকার

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ। পড়েছেন তো? :)

৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: আপনার লিখার অপেক্ষায় ছিলাম ভাইয়া। ভাল লাগলো :)

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
হায়রে!! অনেক দিন অপেক্ষা করিয়ে রাখলাম তাইনা?
খারান এইবার থেকে বেশি বেশি লিখা ধরব। :)
ভাল থাকুন।

৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০২

দিগন্ত নীল বলেছেন: বরাবরের মত অসাধারণ হয়েছে ভাই ।তীব্র মাথা ব্যথা আমার ।গ্রুপে পোস্ট টা দেখে আর অপেক্ষা করি নাই !
বই বের করবেন কবে ?
আমি কিন্তু ফ্রি কপি চাই :-)

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ইনশাল্লাহ। নেক্সট বই মেলায় ট্রাই নিচ্ছি। :) ফ্রি কপি পাবা, সমস্যা নাই। :)

মাথাব্যাথা নিয়ে পড়ার কি দরকার ছিলরে ভাই? পরে পড়তা!
বিশ্রাম নেও, ঠিক হয়ে যাবে।
ভাল থাক।

৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পে একটু জাফরীয় টান ছিল বোধ হয়, সেটা দোষের কিছু না- তিনি এই থিমে প্রচুর লিখেছেন, তাই কমন পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু গল্পে মানবসভ্যতার দুটি ভাগের উত্থান পতন দেখতে ভাল লেগেছে। চমৎকার লিখেছেন। তবে গল্পটার তিন নং পরিচ্ছেদ বাদ দিলে একটা চমৎকার সাই ফাই উপন্যাসের ওপেনিং হতে পারত!

গল্পের তিন নম্বর প্যারার এক জায়গায় জহির পালটে জালাল হয়ে গেছে। ঠিক করে দিয়েন।

অনিকেত সৈনিক - নামটা সুন্দর হয়েছে, 'গৃহহীন' বা 'মূলোৎপাটিত' থিমটা তুলে ধরেছে। আর সব মিলিয়ে, সুন্দর গল্প। প্লাস দিতে পেরেই ভাল লাগছে।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: কমেন্টে করা আমার আগের রিপ্লাইটা ঠিকভাবে আসেনি। তাই আব্বার মন্তব্বের উত্তর দিচ্ছি।

উপন্যাসের কথা ভাবতে আমার ভয় লাগে! গল্প লিখতেই খবর হয়ে যায়। তবে শুধু গল্প হিসেবে চিন্তা করেন যদি তবে তিন নং পরিচ্ছেদটা গল্পে সুন্দর একটা এন্ডিং এনে দিয়েছে।

থিমগত ভাবে কিছুটা জাফরীয় টান ছিল। তবে বক্তব্যের দিক থেকে আমি আলাদা কিছু উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। আর হ্যা, গল্পটাতে জাফর স্যারের একটা গল্পের বেশ ভাল প্রভাব ছিল যেটা আমি একটু আগে ধরতে পেরেছি। এজন্যই মনটা খুত খুত করছিল। এইমাত্র বড় ধরনের একটা এডিট করেছি। এখন আর মনে খুত খুতি নেই। গল্পটাও অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়েছে।

নামটা প্রথমে ঠিক করেছিলাম যন্ত্রদানব। কিন্তু পরে এই নামটা মাথায় এল। তবে যন্ত্রদানব নামটাও আমার খুব পছন্দের। ঐ নামে পরবর্তীতে একটা গল্প লিখব ইনশাল্লাহ।

আপনার মন্তব্য খুব ভাল লাগে শঙ্কু। ভাল থাকুন।

৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: হবু ভবিষ্যিতের দুর্দান্ত সাইন্স ফিকশান গল্প ! ভালো লাগলো !

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ অভি, ভাল থাকুন আপনি। :)

৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৯

দিগন্ত নীল বলেছেন: গরম গরম জিনিস ফেলে রাখা যায় !ঠান্ডা হবার আগেই পড়ে ফেললাম ।হাহাহাহা ।ভালো থাইকেন ।দোয়া কইরেন ।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: দোয়া তো সবসময় করি। :) সুন্দর থাক। :)

৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২০

খেয়া ঘাট বলেছেন: দুপুর বেলা একটা শুকনো রুটি ছাড়া কিছু খায়নি। চিন্তা হচ্ছে জালালের।
জালাল টা কি ভুলে এসেছে?

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৮

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধ্যাত! প্রথমে ভাবছিলাম নায়কের নাম জালাল দিমু! ভাইবা দেখলাম নামটা একটু খ্যাত মার্কা হইয়া যায়! পরে দিলাম জহির। এখন দেখি দু এক যায়গায় সমস্যা থেকে গেছে! খারান ঠিক করতেছি। :)

১০| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১২

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
রাতে এসে পড়ব!!!

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: রাত তো হইছে!!! :(

১১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৫

মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক বড় একটা কমেন্ট করেছিলাম, অটো লগ আউট হয়ে হারিয়ে গেলো :(

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আবার করেন না প্লিজ! :(
তবে করার আগে গল্পে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়েন। ব্যপক চেঞ্জ করেছি। :)

১২| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩১

মামুন রশিদ বলেছেন: অটো লগআউটে বিরক্ত হয়েছি, কিন্তু গল্পের মুগ্ধতায় হারিয়ে যাওয়ায় আবার মন্তব্য করতে বসলাম । ওমেগাটেক নামক কম্পিউটার প্রযুক্তির ফ্রান্কেনস্টাইন হয়ে উঠাই শুধু এই গল্পের উপজীব্য নয় । উন্নত বিশ্বের তুলনায় অনুন্নত বিশ্বের জীবনমানের ফারাক আর গিনিপিগ হওয়ার মত অমানবিক ব্যাপার উঠে আসায় গল্প সাইফাই থেকে অন্য উচ্চতায় আরোহন করেছে ।

গিনিপিগের মত ব্যবহার হওয়া নিয়ে দুটি কথা না বল্লেই নয় । মানব দেহের উপর যে কোন এক্সপেরিমেন্ট সারা বিশ্বে কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ । আর তাই জীবন রক্ষাকারী ঔষধের এক্সপেরিমেন্ট করা হয় ইঁদুর বা গিনিপিগের উপর । সেই এক্সপেরিমেন্ট থেকেই নির্ধারিত হয় উক্ত ঔষধের মানব দেহের উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব আছে কিনা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং অন্য ঔষধের সাথে ইন্টারেকশন এবং ডোজেস এডজাস্টমেন্ট ।

কিন্তু মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীগুলো বাংলাদেশের মত অনুন্নত দেশে দিব্যি মানুষের উপর এই এই নির্মম এক্সপেরিমেন্ট করে যাচ্ছে । মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীগুলো বাংলাদেশে এসএমসি'র মাধ্যমে তাদের কন্ট্রাসেপ্টিক বা জন্মনিয়ন্ত্রন পিল বাজারজাত করে । নতুন কোন পিল আবিষ্কার হলেই তা বাংলাদেশে এসএমসি'র মাধ্যমে খুব স্বল্প মুল্যে বাজারজাত করা হয় । এক্সপেরিমেন্ট পিরিয়ডড (যা প্রায় বছর/ দুই বছর) শেষ হলেই তা বাজার থেকে উঠিয়ে নতুন পিল আবার ছাড়া হয় । এক্সপেরিমেন্টে সেই পিল উৎরে গেলে উন্নত বিশ্বে তা ইউজ করা শুরু হয় । কিন্তু সব পিল এক্সপেরিমেন্টে পাশ করে না । আর এই এক্সপেরিমেন্টের ক্ষতিকর প্রভাব যুগের পর যুগ বয়ে চলে বাংলাদেশ সহ অনুন্নত বিশ্বের নারীরা ।


অনুন্নত দেশের মানুষের গিনিপিগের মত নির্মম অমানবিক এক্সপেরিমেন্ট দারুন ভাবে উঠে এসেছে গল্পে । দুর্দান্ত গল্পে ভালোলাগা :)

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
মামুন ভাই যেভাবে গল্প বিশ্লেষণ করেন আমি অবাক হয়ে যাই! গল্পের আইডিয়া কীভাবে এল সেটা বলি।

চিন্তা করছিলাম সাইফাই যখন লিখব, আজকে থেকে অনেক বছর পর পৃথিবীর অবস্থা কি হবে সেটা নিয়ে লিখতে পারলে খারাপ হয়না। তখন মাথায় চিন্তা এল, তখন হয়ত উন্নত বিশ্বের ধনী সম্প্রদায় আর তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র মানুষ দুইটা ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। এক ভাগ অন্য ভাগের ওপর অবিচার চালাবে। কিন্তু স্রস্থা এই অন্যায় সইবেন না। নিজেদের তৈরি ফাঁদে একদিন ওরা নিজেরাই পরবে। এর পর দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে গল্প সাজিয়ে ফেললাম।

এর কিছু বাস্তব উদাহারন আমরা ইতিমধ্যে দেখা শুরু করেছি। সেরকম একটা উদাহারন আপনি দিলেন এই মাত্র। তবে কামনা করব বাস্তবতা যেন এই গল্পের মত না হয়।

ধন্যবাদ আপনাকে মামুন ভাই। ভাল থাকুন।

১৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: চমৎকার।যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় এখন দেখি আপনার গল্প বাস্তব হয়ে যায় কিনা!!!!! আরও সায়েন্স ফিকশন লিখতে থাকুন।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
কামনা করব বাস্তবতা যেন এই গল্পের মত না হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।:)

১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

খেয়া ঘাট বলেছেন: রমজানমাসে প্রার্থণা করলাম- একজন জনপ্রিয় লেখকহিসাবে যেন আপনি সারাদেশে পরিচিতি পান।

এরপর আর কিছু বলার থাকেনা। +++++++ আমিন।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আপনারা এইভাবে প্রার্থনা শুরু করে দিলে তো সমস্যা! :P
আপনাদের প্রার্থনা যেন আল্লাহ কবুল করেন! :)
ভাল থাকুন কাণ্ডারি ভাই। আপনাদের এই পাশে থাকা আমাকে প্রেরনা যুগিয়ে চলেছে প্রতি মুহূর্তে। :)

১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: খেয়া ঘাট বলেছেন: রমজানমাসে প্রার্থণা করলাম- একজন জনপ্রিয় লেখকহিসাবে যেন আপনি সারাদেশে পরিচিতি পান।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস
আমি ও বলছি ।
নির্বাচিত পাতায় আসুক বা না আসুক , একদিন আপনার লিখা পৌঁছে যাক
নির্বাচন ছাড়াই সব মানুষের হৃদয়ে এই কামনাই করছি ।
হ্যা , বরাবরের মতই আরেকটা দারুন গল্প ।
তুলনা করলে আগের গল্পটাই আমার বেশি ভাল লাগছে । এটা একটু কম ।
কিন্তু এই গল্পে ভাবনার স্পেস অনেক বেশি । আপনার কল্পনাকে সাধুবাদ ।
নিজের নিকে ফিরে যাচ্ছি নাজিম ভাই :)
ভাল থাকবেন ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
নির্বাচন ছাড়াই সব মানুষের হৃদয়ে এই কামনাই করছি কথাটা খুবই ভাল পাইলাম ভাই। গল্পটা অন্যান্য গল্পের তুলনায় একটু ছোট করার চেষ্টা ছিল। আগের গল্প বলতে সত্যের বীজের কথা বলছেন? ওটা থ্রিলার গল্প ছিল, ওর সাথে এটার সেই অর্থে তুলনা চলেনা। আর যদি আগের সাইফাই ব্রিজরক্ষকের কথা বলেন তাহলে আপনার সাথে আমিও একমত। ওইটা পুরাই ডিফরেন্ট গল্প ছিল ভাই। ঐরকম লেখা তো সব সময় আসেনা কালে ভদ্রে দুই একটা লেখা সম্ভব হয়। সুন্দর করে ভাল লাগা প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ জানবেন। আপনার আজকের গল্পটা পড়েছি। খুব ভাল হয়েছে!! :)

১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। গল্পের শুরুটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আস্তে আস্তে যেভাবে গল্পের ভিতরে প্রবেশ করেছেন সেটা অনেক ভালো লেগেছে।

তৃতীয় বিশ্ব হচ্ছে উন্নত বিশ্বের গিনেপিক। আপনি দারুন ভাবে তুলে এনেছেন।

অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: তৃতীয় বিশ্ব হচ্ছে উন্নত বিশ্বের গিনেপিক
আপনি একেবারে আসল যায়গাটা ধরেছেন। এই চিন্তা থেকেই গল্পটা লিখেছিলাম। আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

১৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: গল্পটা পড়তে পড়তে আমার মাথাতেও উপন্যাসের ভাবনা চলে এসেছে। আপনি গল্প লেখার পেছনে যে পরিশ্রম দেন, তাতে করে ধৈর্য ধরে অনেক দিনের শ্রম দিয়ে আপনি একদিন উপন্যাস লিখবেন এমনটা আশা করতেই পারি।
গল্পের কথা আর কি বলব। দারুন লেগেছে। অসাধারন একটা সাইফাই :)

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
উপন্যাস হয়ত লিখব একদিন। কিন্তু এখন গল্পেই মশগুল থাকতে চাই। গল্পে ভাললাগা জানিয়েছেন বলে ধন্যবাদ জানাই ভাই। আপনারা পাশে আছেন বলেই তো লিখছি।
ভাল থাকুন, খুব ভাল। :)

১৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪২

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভাল লাগল

কনসেপচুয়ালি টার্মিনেটরের সাথে কিছুটা মিল পাওয়া গেলেও গল্পের প্লট ভাল হয়েছে।

বেশ লাগল

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ তানিম ভাই। কিছুটা কনসেপচুয়াল মিল থাকতে পারে। আমি আসলে অদুর ভবিষ্যতে উন্নত বিশ্ব আর আমাদের দরিদ্র দেশগুলোর অবস্থানের ওপর ফোকাস করতে চেয়েছিলাম। :)

১৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৬

নৈঋত বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভাইয়।। নির্বাচিত পাতায় না যাক। আপনার লেখা অনেক ভালো।পোস্টে++

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: নির্বাচিত পাতায় কেন গেলনা সেটা ভাবছি গতকাল রাত থেকে। একমুহূর্ত স্বস্তি পাচ্ছিনা।
আপনাকে ধন্যবাদ।

২০| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩০

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

চমৎকার!!!!
১৫তম ভাললাগা রইলো।


শুভ কামনা।

+++++++++++++++++++++++++++

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ধন্যবাদ শোভন। ভাললাগা জানানোয় খুশি হলাম :)

২১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৭

বোকামন বলেছেন:






ওমেগাটেক !! গল্পটি পড়তে পড়তে ২০১২ সালেই মুক্তিপ্রাপ্ত “টোটাল রিকল” মুভিটির কথা মনে পড়লো, দেখেছেন হয়তো। ওমেগাটেক নিয়ে বিজ্ঞানীদের অদূরদর্শিতার পাশাপাশি আপনি যে “ডিসটপিয়ান থিম” টি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। এটা খুবই ভালো লাগলো। সাই-ফাই লেখার জগতে বর্তমানে এই ধরনের থিমের উপর প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে।

“সবার পরনে দামী অভিজাত পোশাক।” এই লাইনটি নিয়ে ভাবতে পারেন।

অনেক সাই-ফাই জাতীয় গল্পে দেখেছি, লেখক অচেনা তথ্যের সমুদ্রে হাবু ডুবু খাওয়াতে ব্যস্ত থাকেন। আপনি খুব পারদর্শিতার সহিত বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। ফলাফল সাধারণ পাঠক গল্পটি দারুণভাবেই উপভোগ করতে পারবেন। অথাৎ “ঝাড়বাতি কি?” আপনি বুঝাতে পেরেছেন।

২০১৩ সালে এসে আমাদের আশেপাশে থাকা মাইক্রো চিপগুলো যন্ত্রদানব না হয়ে যায় ! গল্প শেষ করে ঐ চিন্তাটি ভর করে বসলো। এই যেমন আপনি বানান ঠিক করতে চাচ্ছেন- মানুশগুলোর পুরনেরর বহব পাস্বপ্রতিক্রিয়াস্বরূপ কিন্তু আপনার কি-বোর্ড চিপ তা করতে দিচ্ছে না !! কেমন হবে তখন ?? হা হা হা ...।


আপনার লেখনী নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। খুব ভালো লিখেন।
আশাকরি কোন একদিন, আপনারই কোন একটি দারুণ জনপ্রিয় বইতে অটোগ্রাফ নিতে হাজির হয়ে যাবে; এই নগণ্য সাধারণ পাঠক।।

সদা সুখী ও সুস্থ থাকুন। শুভকামনা

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
বোকামন,
আপনার মন্তব্য দেখে প্রতিবার অবাক হয়ে যেতে হয়! আপনি গল্প পড়া শেষে কি চমৎকারভাবে সেটার একটা সার সংক্ষেপ তুলে ধরেন। সেই সাথে উঠে আসে ভাল লাগা, মন্দ লাগার বেশ কিছু বিষয়।

টোটাল রিকল মুভিটা দেখেছিলাম। ভাল লেগেছিল । সাইফাই আমি বেশ আয়েস করে দেখি। আপনার কথা ঠিক, বর্তমানে থিমটা নতুন কিছুনা। অনেকেই লিখেছেন। তবে আমার প্রধান ফোকাস কিন্তু ছিল সুদূর ভবিষ্যতে উন্নত বিশ্ব আর তৃতীয় বিশ্বের মাঝে যে বিস্তর পার্থক্য হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে তার উপর। যন্ত্রদানবের বিষয়টা সাহায্যকারী থিম হিসেবে এসেছে।

আমি গল্পে প্রাসঙ্গিক কথার বাইরে কিছু লিখতে ভালবাসিনা। চাইলে গল্পে অনেক অজানা তথ্যের সমাবেশ করা যেত। কিন্তু সেটা করতে গেলে গল্পের মজা কিছু মাত্রায় নষ্ট হত। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি অজানা তথ্য আর টেকনিকাল বর্ণনা যদি ইন্টারেস্টিং না হয় তাহলে তা পাঠকের বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়ায়।

অত বড় একটা বানানভুল কিভাবে হল!!! আমি পেরেশান হয়ে গেলাম! পোস্ট করার আগে দুবার পড়ি, তারপরও ভুলগুলো এড়ানো যায়না! :(

আপনার শেষের দিকের কথাগুলো হৃদয়ে ভাললাগার শিরশিরে এক অনুভূতি ছড়িয়ে দিয়ে গেল। ভাল থাকুন এই কামনা করব সব সময়। :)

২২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫৫

অনাহূত বলেছেন: গল্পের থীমটা আপনি শেয়ার করেছিলেন আগেই ফেসবুকে। অপেক্ষায় ছিলাম এবঙ সময়মতো পেয়ে গেলাম প্রিয় সাই-ফাই।

ডরোথী ক্যারেক্টারটাকে আরেকটু একটিভ রাখা যেতো মনেহয়। বিশেষভাবে শেষের দিকে। কিন্তু চমৎকার গল্প হয়েছে। এতছোট গল্প ভাল্লাগে না। মনেহয় হঠাৎ করেই শেষ হয়ে গেল। বড় বড় গল্প লিখেন। প্রতিদিন একটা করে লিখেন :) পরিশেষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা নিয়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে গল্পলেখা চালিয়ে যান।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আপনার চাপাচাপিতে সাইফাই লেখা! :) ভাল না লাগলে দোষ আপনার। :P

থিম থেকে কিছুটা সরে গেছি পরে। তবে মূল যায়গাটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। আপনার ভাল লাগা সাহস যোগাল আরও লেখার! :)

এটা একটা ভুল হয়েছে। শেষটা বেশ তাড়াহুড়োর মধ্যে দিয়ে গেছে! ডরোথী ক্যারেক্টারটাকে আরও একটিভ করা উচিৎ ছিল। পরে সময় করে গল্পের শেষ দিকে এডিট করব।

আপনার জন্য শুভকামন থাকল। :)

২৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী অনেক ভালো হয়েছে ভ্রাতা +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অপূর্নদা, আপনাকে পোস্টে পেলেই ভাল লাগে। ধন্যবাদ :)

আর হ্যা! এত্তগুলা প্লাস আমি আগে কখনো পাইনাই! =p~

২৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১০

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: দেরীতে পড়ে তাহলে আমার একটা লাভ হচ্ছে, উন্নত সংস্করণ পড়লাম!

এবার গল্পে আসি, শেষ করে প্রথমেই যেটা মনে হল একটা উপন্যাসের প্রথম অংশটা পড়লাম, এখন বিরতি, একটা ধুম্র বিরতি দিয়ে বাকিটা পড়তে বসবো! :( কিন্তু আপনি শেষ করে দিলেন। আপনি পরে না লিখলে বাকিটা কিন্তু আমি লিখে ফেলবো! B-))

জাফর ইকবাল স্যার এর লেখার ছায়া পড়েছে, কিন্তু এটা যেমন তত বেশী গুরুত্বপুর্ন না, তেমনি বাংলায় সাইন্স ফিকশন লিখে তাঁর ছায়া এড়ানো কঠিন। এই রকম থিমে তিনি যেমন প্রচুর লিখেছেন, সারা বিশ্বেই প্রচুর লেখা আর সিনেমা আছে। কিন্তু এই গল্পটা অনন্য যে জায়গাতে যে এইটা আমাদের নাজিম-উদ-দৌলা লিখেছেন, তিনি লিখবেন বলে আমরা অপেক্ষা করেছি এবং লেখা পড়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছি! :)

আমি আশাপাশে কিছু মানুষের হাতে ম্যাজিক পেন দেখতে পাচ্ছি, - প্রোফেসর শঙ্কু, আপনি, এরিস। আপনাদের লেখায় অনেক সম্ভাবনা!
শো আস সাম ম্যাজিক!

আমার মাথায় দুইটা সাইন্স ফিকশন গল্প ঘুরছে, একটা হল অমরত্ব, আরেকটা ঠিক আপনার যন্ত্রদানব। অমরত্ব নিয়ে কৌতূহল তো কবিতায়ও আছে,আমার অমরত্বের গল্পে ত্রিভুজ প্রেম চলে আসছে!
আর যন্ত্রদানবের কল্পনায় কিছু পরিমান গণিত আছে, অসম্ভব মেধাবী এক গনিতবিদ এক গুচ্ছ সমীকরণ বানিয়ে ফেলে, যার স্বীকার্য গুলো দিয়ে বিবর্তন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কিন্তু এই সমীকরণ গুলোর বৈশিষ্ট হচ্ছে অনিশ্চয়াতাবাদ! সবগুলো সমীকরণ কেউ একবারে বুঝে নিয়ে ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেনা, কিছু পরিমান অনিশ্চয়তা থেকেই যাবে! ;) :-B

শুভকামনা রইলো!

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
উন্নত সংস্করন! ভাল বলেছেন। হ্যা, উন্নতই তো!

আর এগিয়ে নিতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। ভাবলাম অনেক তো বিশাল বিশাল গল্প লিখলাম! এইবার একটু ছোট অবস্থাতেই ছেড়ে দেই! আপনি লিখে ফেলেন, আমার কোন আপত্তি নেই। :)

জাফর ইকবাল স্যার এর লেখার ছায়া এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল হয়ত। আগের দুইটা সাইফাইতে সম্ভবত সেটা পেরেছিলামও। কিন্তু কিছুদিন যাবত স্যারকে নিয়ে বেশ কথা হচ্ছে বলেই হয়ত অবচেতন মনে স্যারের লেখার রেশ কব্জা করে নিয়েছিল। মনটা তাই খুত খুত করছে কেবল, সন্তুষ্ট হতে পারলাম না পুরোপুরি।

এরিস এবং শঙ্কু, দুজনেই আমার খুব প্রিয় ব্লগার। মুগ্ধ হয়ে পড়ি তাদের লেখা। তাদের সাথে আপনার কবিতাও আমার ইদানিংকার মুগ্ধ হওয়ার আরও একটি উপকরন।

আপনার আইডিয়া দুটোই বেশ ভাল। সাইফাই লেখায় ত্রিভুজ প্রেম বিষয়টা নতুন না। কিছু মুভি, টিভি সিরিজ আছে এই থিমে। লিখে ফেলুন, ভাল হবে। :) তবে দ্বিতীয় আইডিয়াটা নিয়ে লিখতে গেলে বেশ ঘাম ঝরবে আপনার। আমার ব্রিজরক্ষকের কথা মনে আছে তো আপনার? গনিত নিয়ে যুক্তিনির্ভর একটা লেখা দাড় করানো খুবই টাফ। আমার প্রায় একমাস লেগেছিল গল্পটা শেষ করতে।

ভাল থাকুন ইফতি। শুভকামনা! :)

২৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ব্রিজরক্ষকের কথাই বলছি :)
ওটা একটা মাস্টারপিস ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ওটা একটা ইউনিক কাহিনী নিয়ে লেখা ছিল। ঐরকম লেখা সব সময় আসেনা। :(

২৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গতকালই ইফতারের পর পর দেখেছিলাম তোমার সাইফাই গল্প। আরও কিছুদূর বাড়ালে প্রায় উপন্যাসই হয়ে যেতো। এটা নিয়ে অবসরে আরও কাজ করতে পারো উপন্যাসের আকারে ভাবতে চাইলে।

সায়েন্স এমনিতে কম বুঝি। তবে ফিকশন ধর্মী লেখা তো জাফর ইকবালের প্রায় সবই পড়েছি। উনি আবার লেখার ফাঁকে কিছু শব্দের বোঝার সুবিধার্থে ফুট নোট দেন। কিছু কমেন্ট পড়ে বুঝলাম লেখায় অনেক চেঞ্জ এনেছ। যেহেতু আগের লেখা পড়ি নি তাই বুঝতে পারছি না কোথায় চেঞ্জ করলে।

তোমার এই গল্প পড়ে এবার একবারও মনে হয়নি খুব দ্রুত কোনও একশন ঘটেছে। অর্থাৎ প্রয়োজন মতো বিরতিতেই গল্পের কাজ গুলো হয়েছে। আর এতো বড় লেখায় টুকটাক টাইপো থাকা স্বাভাবিক।

কিছুদিন আগে একটা ফিচার পড়েছিলাম বিজ্ঞান আমাদের অনেক দিক দিয়ে গতি দিলেও কিছু ক্ষেত্রে আমাদের ক্ষতি করছে আর সেটা হচ্ছে মস্তিষ্কের ব্যবহারে। যেমন ধরা যাক মোবাইল । নাম্বার সেভ করে রাখার জন্য এখন নাম্বার মুখস্ত করার প্রয়োজন হচ্ছে না। যখন মোবাইল ছিল না কিংবা ক্যালকুলেটর ছিল না আমাদের ব্রেইন যেভাবে কর্মক্ষম ছিল এখন কিছুটা অলস ভাবেই চলছে ।

গল্পের শুরুতে বর্তমান বিশ্বকে অতীত ধরে নিয়ে যে গল্পের শুরু সেটা খুব ভালো লাগছে।
ডরোথি গল্পের একটা আদর্শের প্রতীক হিসেবে উঠে এসেছে। যে স্রষ্টা সে যেমন গড়তে জানে ভাঙতেও জানে।

পুরো লেখাটা চমৎকার লাগছে নাজিম।

প্রচণ্ড মাইগ্রেনে ভুগছি বেশ কিছুদিন ধরেই। গল্পের আরও কিছু ব্যাপার ছিল যা নিয়ে কথা বলা যেতো , পারলাম না ভাইয়া। ভালো থেকো।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ইনশাল্লাহ, একসময় চেষ্টা করব এটা নিয়ে কিছু করার, গল্প পরিবর্ধনের বেশ ভাল স্কোপ আছে, ভাববারও।

চেঞ্জটা করার দরকার ছিল। জাফর স্যারের আমি বেশ বড় ভক্ত। কিন্তু আমি কাউকে কখনো অনুসরন করিনা। তাই চেঞ্জটা আনতে হল। তারপরও মনটা খুত খুত করছে, হয়ত আরও কিছুটা চেঞ্জ করে নিতে পারলে ভাল লাগত।

আগের গল্পে আপনার উপদেশগুলো আমার মনে ছিল। তাই এবার চেষ্টা করেছি যেন গল্পে একটা নির্দিষ্ট তাল বজায় থাকে।তবে টাইপো গুলো কেন যে এড়িয়ে যেতে পারিনা! :( আমার আসলে একজন প্রুফ রিডার দরকাল। :(

সচরাচর সাইফাই গল্পে যেমন দেখি, অদ্ভুত সব নামের ক্যারেক্তার, অনেক অনেক দূর ভবিষ্যতের কাহিনী, আকাশে গাড়ি ওড়ে, একদিনে প্রিথিবি থেকে মঙ্গলে চলে যাওয়া যায়- এই বিষয়গুলা আমার খুব একটা ভাল লাগেনা। তাই গল্পের উপস্থাপনা একটু পরিচিত গণ্ডিতে ধরে রাখার চেষ্টা ছিল।

আপনার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে খারাপ লাগল। কামনা করব যেন দ্রুত ভাল হয়ে যান। আপনার জন্য অনেক ভালবাসা আপু, ভাল থাকুন সবসময়।

২৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: গল্পের টপিক খুব সুন্দর। তবে কিছু কিছু জায়গায় বর্ণনায় প্রবন্ধভাবটা প্রবল বলে মনে হয়েছে। আমার মনে হয়, অন্ততপক্ষে যেখানে কারো সংলাপ আছে, সেখানে আরও ক্যাজুয়াল শব্দ ব্যবহার করা উচিৎ। যতই হোক, সাইফাই তো গল্পই। হয়তো গল্পের প্রেক্ষাপটের কারণেই এই গুরুগম্ভীরতা।

সুন্দর একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ইহসাক ভাই, আপনি আমার আগের লেখা গুলো পড়েছেন কিনা জানিনা। যদি পড়েন তবে বুঝতে পারবেন আমি খুব সহজ সরল স্বাভাবিক ভাষায় লিখি। এই লেখাটা একটু গুরুগম্ভীর করাটা ছিল একটু এক্সপেরিমেন্ট এর মত। প্রবন্ধভাবটা ইচ্ছে করেই এনেছি গল্পের ডেপথ বাড়ানোর জন্য।

আপনি খুব ভাল লিখেন ভাই। আমি নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করি। :)

২৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: নাজিম ভাইয়ার গল্প মানেই চমৎকার কিছু। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটে নাই। গল্পটা অনেক ভালো লেগেছে। আসলে কল্পগল্প হলেও প্রেক্ষাপট একেবারেই বাস্তবধর্মী। এভাবেই শোষিত হয়ে চলেছি আমরা ক্রমাগত। পোস্টে প্লাস বলাই বাহুল্য।

অন্য সবার মতই বলে যাই, গল্পটা উপন্যাসে রুপ দেবার চিন্তা ভাবনা করে দেখতে পারেন।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৮

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
উপন্যাস এখনই নয়, এখনও ভাবার সময় আসেনি। তবে লিখব কোন একদিন ইনশাল্লাহ।

চেষ্টা করেছি বাস্তবধর্মী করার। আমাদের সাইফাই গুলো খুব বেশি কল্পনা নির্ভর হয়ে পড়ছে। একটু বাস্তবতার নিরিখে লিখতে পারলে ভাল হয়।

ধন্যবাদ ভাই। আপনার মন্তব্য সবসময় প্রেরনা যোগায়। ভাল থাকুন। :)

২৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

গৃহ বন্দিনী বলেছেন: অনেক বড় গল্প পড়তে টাইম লাগবে । পড়ে মন্তব্য জানাবো ।

বাই দ্যা ওয়ে , একটা রিকুয়েস্ট আছে আমার - অনেক তো গল্প লিখেছেন দেখালাম , এবার আপনার গল্পকার হয়ে ওঠার পেছনের গল্পটা লিখুন ।
আমার আবার স্টরির চেয়ে বিহাইন্ড দ্যা স্টোরি শুনতে বেশি ভাল লাগে । :#) :#)

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
পইড়া জানাইয়েন কিন্তু! :(

গল্পকার হয়ে ওঠার পেছনের কথা লিখতে গেলে সেটা তো গল্প থাকবে না। উপন্যাস হয়ে যাবে। কোন একদিন সুযোগ হলে বলব আপনাকে।

ভাল থাকুন। :)

৩০| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার একটা গল্প। টানটান বর্ণনা।

আচ্ছা, ওমেগাটেক আপগ্রেডেশনের সময়, যখন মানুষ আর নিজের মত করে চলতে পারছিলো না, সব কিছু হারিয়ে ফেলেছিলো, যোগাযোগের উপায় থেকে সব, সেখানে ম্যাকক্লেইন ডরোথির ঠিকানা খুঁজে পেল কীভাবে? চিঠিতে বলা হয়েছে "ওমেগাটেক এখন আমাদের তার ডাটাবেজ থেকে তথ্য নিতে দিচ্ছেনা।" তাহলে? কীভাবে পেল? আর যে ছেলেটি ডরোথির বাসায় এসে চিঠি দিয়ে গেল, সেই বা এত পথঘাট চিনলো কীভাবে? কাজকর্মের অভাবে, মস্তিষ্ক চর্চা রহিত থাকার ফলে এত দূর হেঁটে এসে ঠিকানা খুঁজে নেয়াটা একজন ওমেগাযুগের মানুষের জন্যে কঠিনই বটে।

কিন্তু আমরা ভুলে গিয়েছিলাম প্রত্যেকটি মানুষের মস্তিস্কে বসান মাইক্রোচিপ দ্বারা কে কি ভাবছে, কে কি পরিকল্পনা করছে সবকিছু ওমেগাটেক আগে থেকে টের পায়। যারা তার বিরুদ্ধে লাগতে চায় তাদের কে শাস্তি দেওয়া ওমেগাটেক এর জন্য মামুলী বিষয়।
তাহলে চিঠিটা পাঠানোর কথাও ওমেগাটেক এর গোচরে আসার কথা। তাদের চোখ এড়িয়ে গেল কেন!

উৎসর্গের জন্যে অনেক ধন্যবাদ নাজিম। লিখে যাও আরো অজস্র সুন্দর সুন্দর লেখা। শুভসন্ধ্যা।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হামা ভাই, আপনি দুইটা ভাল পয়েন্ট ধরেছেন। এই জন্যই তো বলি আমার এই আমি হয়ে ওঠার পিছনে আপনার অবদান অনেক। খুঁটি নাটি বিষয়গুলো আপনার চোখে পড়ে যা গল্পটাকে আরও নিখুত করে নিতে সাহায্য করে আমাকে।

প্রথম যে সমস্যাটার কথা বলেছেন আপনি ওটার একটা ভাল ব্যাক্ষা ছিল গল্পে। আপনি খুব সম্ভবত এডিট করার পর গল্পটা পড়েছেন। শেষ দুই পরিচ্ছেদে বেশ বড় একটা পরিবর্তন করেছি। ঐ সময় আসলে ব্যাক্ষার অংশটুকু বাদ পড়ে গেছে! যাই হোক ব্যাখ্যাটা অনেকটা এরকম ছিল যে ম্যক্লেইন আসলে সব সময় ডরোথির খোঁজ খবর রাখতেন। অনেকবার চেষ্টা করেছেন তাকে বিজ্ঞান অধিদপ্তরে ফিরিয়ে আনার কিন্তু সে ফিরে আসেনি। যাদের মাথায় মাইক্রোচিপ বসানো আছে তাদের ঠিকানা মনে রাখতে হয়না, কোথায় যাচ্ছে তার খবর অনেকটা এমনিই পাওয়া যায়। কিন্তু ডরোথি যেহেতু এই প্রযুক্তি গ্রহন করেনি তাই তার ঠিকানা মনে রাখতে হয়েছে ম্যাকক্লেইনকে।

চিঠিটা পাঠানোর কথা ওমেগাটেকের গোচরে এসেছিল, সে চিঠি লেখার সময় ম্যাকক্লেইনকে পেইন দিচ্ছিল। তবুও তিনি সমস্ত শক্তি এক করে চিঠিটা শেষ করেছেন। পেইনের ব্যাপারটা কিন্তু চিঠিতে উল্লেখ্য করেছেন ম্যাকক্লেইন।

ডরোথির ঠিকানা ছেলেটিকে ম্যাক্লেইন জানিয়েছে। ছেলেটা যখন চিঠি দিচ্ছিল সেও পেইন অনুভব করছিল মাথায়। সেটা কিছুটা উল্লেখ্য করেছি গল্পে। ডরোথির হাতে চিঠি পৌঁছানর পর তাকে মেরে ফেলার জন্য ওমেগাটেক মানুষ পাঠিয়েছে।

তবে সমস্যা যেটা আমার চোখে পরেছে তা হল ওমেগাটেক যদি মানুষের মাথায় সিগন্যাল পাঠিয়ে তাকে বিভ্রান্ত করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে তাহলে ছেলেটা যখন আসছিল তাকে বিভ্রান্ত করে ভুল কোন ঠিকানায় নিয়ে যেতে তো পারত! ছেলেটা কিভাবে এমন একটা পথ খুঁজে চলে আসল ? আপনি বলায় এই সমস্যাটা বের হয়ে আসছে। আমি এডিট করে ঠিক করে ফেলব।

সাইন্টিফিক বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করলে আরও কিছু কনফিউশন হয়ত উঠে আসবে। এর করান হচ্ছে আমার ফোকাস ছিল অন্য যায়গায়। আমি চেয়েছিলাম প্রথমতঃ ভবিষ্যতে পৃথিবীর আর্থ সামাজিক প্রেক্ষটার, দ্বিতীয়তঃ দাম্ভিক সভ্যতার পতন - এই দুইটা বিষয় তুলে আনতে। তাই অন্য বিষয়গুলো নিয়ে অত ডিপলি ভাবিনি।

শুভ রাত্রি হামা ভাই। :)

৩১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৮

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: গল্পের মধ্যে চিটি পড়তে আমার খুব ভাল লাগে । নিঃসন্দেহে গল্প অতুলনীয় হয়েছে ।


প্রিয় ডরোথি,

আমার দেখা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রতিভাবান মানুষ তুমি। তুমি সেই সম্ভাবনার কথা ভাবতে পেরেছিলে যা কখনো আমরা কেউ কল্পনাও করতে পারিনি। তোমার আশঙ্কাই অবশেষে সত্যি হয়েছে। ওমেগাটেক আপগ্রেড হওয়ার পর থেকেই সমস্ত প্রযুক্তিগত সুবিধা সম্পূর্ণরুপে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পাচ্ছিনা, কোনও ইলেকট্রনিক যন্ত্র ঠিকমত কাজ করছে না, যোগাযোগ ব্যাবস্থা ধ্বসে পরেছে, সমস্ত মোটরগাড়ী, প্লেন, রেলগাড়ী, জাহাজ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। মিল কারখানার মেশিনারিজ কমান্ড অনুযায়ী কাজ করছে না! আগে এ ধরনের সমস্যা হলে ওমেগাটেক আমাদের সাহায্য করত, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সমাধান করে দিত কিন্তু এখন ওমেগাটেকও সাড়া দিচ্ছেনা! ওমেগাটেক আমাদের সাথে বেঈমানি করেছে! পঞ্চম আপগ্রেড নেওয়ার পর আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে সে। আমরা যাকে আশীর্বাদ ভেবেছিলাম তা আমাদের জন্য অভিশাপে পরিনত হয়েছে।

আমাদের চিন্তা ভাবনায় দূরদর্শিতার অভাব ছিল। ওমেগাটেক পঞ্চম আপগ্রেডটি নেওয়ার পর ষষ্ঠ মাত্রার বুদ্ধিমান প্রযুক্তিতে পরিনত হয়েছে যা মানুষের বুদ্ধিমত্তার চেয়ে অনেকগুন বেশি। যে মুহূর্তে সে আবিস্কার করেছে তার বুদ্ধিমত্তা মানুষের চেয়ে বেশি, সে মানুষ কতৃক নিয়ন্ত্রিত একটা যন্ত্র হিসেবে থাকতে চায়নি, উলটো মানুষের জীবনকে নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে। সোজা কথায়- এতদিন মানুষ যে যন্ত্রের মালিক ছিল এখন সেই যন্ত্রই মানুষের মালিকে পরিনিত হয়েছে। ওমেগাটেক এখন তার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় রসদ উৎপাদনের কারখানা গুলোর উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে শত গুন। অথচ মানুষের প্রয়োজনীয়দ্রব্যের উৎপাদন দিয়েছে বন্ধ করে। ওমেগাটেক বাড়তি মানুষকে বোঝা বলে মনে করছে। খাদ্য উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে মানুষের সংখ্যা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসার জন্য। অন্যান্য সকল সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে।

এখন এই অবস্থা থেকে পরিত্রানের উপায় একটাই আছে, ওমেগাটেক কে আপগ্রেডপূর্বে অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে, কোনভাবেই তাকে ষষ্ঠ মাত্রার প্রযুক্তিতে পরিনত হতে দেয়া যাবেনা। কিন্তু তা সম্ভব না। কারন ওমেগাটেক এর আপগ্রেড কন্ট্রোল করার জন্য কি করতে হবে সেই তথ্যও ওমেগাটেক এর ডাটাবেজেই সংরক্ষিত আছে। ওমেগাটেক এখন আমাদের তার ডাটাবেজ থেকে তথ্য নিতে দিচ্ছেনা। স্বরাষ্ট্র অধিদপ্তরের আমাদের একটা মিটিং হয়েছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আমরা যন্ত্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে চাইনা। তাই আমাদের ওমেগাটেককে ধ্বংস করে দিতে হবে।তুমি তো জানই, সমুদ্রতীরবর্তী উপশহর নোভাকে ওমেগাটেক এর যে প্রধান নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে, এটি ধংশ করে দিতে পারলেই সমগ্র ওমেগাটেক ব্যাবস্থা ভেঙে পড়বে। কিন্তু আমরা ভুলে গিয়েছিলাম প্রত্যেকটি মানুষের মস্তিস্কে বসান মাইক্রোচিপ দ্বারা কে কি ভাবছে, কে কি পরিকল্পনা করছে সবকিছু ওমেগাটেক আগে থেকে টের পায়। যারা তার বিরুদ্ধে লাগতে চায় তাদের কে শাস্তি দেওয়া ওমেগাটেক এর জন্য মামুলী বিষয়। প্রচণ্ড ব্যাথা! মাথায়....মাথায়...প্রচণ্ড ব্যাথা.... বলতে বলতে আমার সামনেই তার শরীরটা ডাঙায় তোলা মাছের মত খাবি খেতে লাগল। মুখ দিয়ে লালা বেরিয়ে এল। এর পর আর কারো সাহস হলনা ওমেগাটেক ধ্বংস করার চিন্তা করার। কেউ তেমন কিছু ভাবলেই ওমেগাটেক মস্তিষ্কে প্রচণ্ড যন্ত্রণার সৃষ্টি করে।

কিন্তু আমি জানি, শুধু একজন মানুষই পারবে ওমেগাটেককে ধ্বংস করতে। সে তুমি, আমার এক সময়ের ছাত্রি ড. ডরোথি সিম্পসন। এই উন্নত বিশ্বতে তুমিই একমাত্র মানুষ যে মাথায় মাইক্রোপ্রসেসর বসাতে রাজি হওনি। তাই ওমেগাটেক চাইলেই তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আমার মাথার অভ্যন্তরে প্রচণ্ড একটা চাঁপা ব্যাথা অনুভব করছি আমি। লিখতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তবু আমাকে শেষ করতে হবে! ৫ বছর আগে আমার যে সিদ্ধান্তের ফলে মানব জীবনে এই বিপর্যয় নেমে এসেছে, সেই সিদ্ধান্ত খণ্ডনের সময় এসেছে ডরোথি। তুমি জান তোমার কি করতে হবে। কিন্তু এই কাজ তোমার পক্ষে একা করা সম্ভব হবেনা। তুমি যত দ্রুত সম্ভব তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলর উদ্দেশ্যে যাত্রা কর। আমরা ওদের ওপর অনেক অবিচার করেছি। ওদেরকে মানুষহিসেবে মনে করিনি। কিন্তু আমার বিশ্বাস এই বিপদে ওরা আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে। তবে সাবধান থেক, তোমার মাথায় হয়ত মাইক্রো চিপ নেই কিন্তু অন্যদের মাথায় তো আছে! ওমেগাটেক চাইলে তাদের মস্তিষ্কে সিগন্যাল পাঠিয়ে তাদের দ্বারা তোমার ক্ষতি করতে পারে!

ভাল থেক। বিদায়।

ইতি
মানব সভ্যতা ধ্বংসকারী কালপ্রিট,
টিমোথি ম্যাকক্লেইন ।


++++

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হে হে! অল্পে চিঠি ব্যবহার করতে আমারও বেজায় ভাল লাগে! :)

আপনেরে ধইন্না! :)

৩২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আপনার পোষ্ট তো নির্বাচনী পাতায় আছে দেখলাম ! এমন ভালো গল্প সামুতে কম ই আসে ! মাঝে মাঝেই আমাদের জন্য দিয়েন আর কি !

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ভাই নির্বাচিত পাতায় ছিল। পরবর্তীতে সরিয়ে নিয়েছে। কেন সরিয়ে নেওয়া হল তার উত্তর আমার জানা নেই। তবে এতটুকু বলব, প্রিয় সামুর কাছ থেকে এমন আচরন আশা করিনি। এখন দেখছি আবার নির্বাচিত পাতায় আছে! ৫ নম্বর পাতায়!!!

আপনারা সাহস দিচ্ছেন বলেই তো লিখছি অভি ভাই। ধন্যবাদ! :)

৩৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:২২

তাসজিদ বলেছেন: Another master piece, as usual.

আসলে আমরা যন্ত্রের উপর এত বেশি নির্ভরশীল, যে তাদের ছাড়া এক দিনও ভাবা যায় না। ভেবে দেখুন, একদিন কম্পিউটার, সেল ফোন, ইলেক্ট্রিসিটি, টিভি মনে করুণ নেই, ভাবা যায়?

কিন্ত অতি নির্ভরশীলতা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বৈকি।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
অতি নির্ভরশীলতা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে এটাই মূল ব্যাপার ছিল। তবে ফোকাস ছিল আসলে অদুর ভবিষ্যতের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটের উপর। ধন্যবাদ তাসজিদ ভাই। যদি ভাল লাগে আপনাদের তাহলে আরও সাইফাই লিখব। নচেৎ ফিরে যাব থ্রিলারে। ভাল থাকুন। :)

৩৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

অদৃশ্য বলেছেন:





নাজিম ভাই


লিখাটি পড়া শু করলাম আজ থেকে...

এটা পড়তে আমার সময় লাগবে, সন্দেহ নাই... আমার এইরুপ আচরনের জন্য মন খারাপ করবেন না...


শুভকামনা...

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫০

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আরে ধুর!! পড়েন ধীরে সুস্থে। আবার একটা পোস্ট দিতে মেলা দেরি আছে। তার আগে পড়তে পারলেই হবে। :) জানাইয়েন কেমন লাগল। আপনাদের ভাল লাগলে আরও সাইফাই লিখব, আইডিয়া ঘুরতেছে মাথায়। :) আর ভাল না লাগলে ফিরে যাব থ্রিলারে। ভাল থাকুন :)

৩৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

আমি ইহতিব বলেছেন: আরেকটি দারুন সাইফি পড়লাম। ভালো লাগলো। ভেবেছিলাম জহির মনে হয় ওমেগাটেকের এক্সপেরিমেন্টে ভলান্টিয়ার হয়ে সব সমস্যামুক্ত হয়ে সুখী জীবনযাপন শুরু করবে, তার মৃত্যুতে একটু খারাপ লাগলো। আর শেষটা মনে হোল যেন খুব তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে গেলো। তবে ভালোলাগার আবেশটুকু লেগে রইলো। +++

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আর একটু দেরিতে দিতাম গল্পটা। আপনি এসে বললেন প্রায়ই নতুন পোস্ট পড়ার আশায় এসে ঘুরে যান, তাই আগে আগেই দিয়ে দিলাম! :)

শেষটায় তাড়াহুড়ো হয়ে গেছে আপু। :( পরে আবার সময় নিয়ে এডিট করে দেব যায়গা টা। :)

পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভাল থাকুন এই কামনা করব। আপনার কাছ থেকে অনেক দিন হল পোস্ট দেখছি না যে!

৩৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

অন্ধকারের রাজপুত্র বলেছেন: চমৎকার !
আমপর মতে, আপনার লিখা অন্যতম সেরা গল্প এটা...
শুরু থেকেই আপনার গল্প পড়ছি.. এখনো একটা পোস্টও মিস করিনি.. লগিন করিনা বলে কমেন্ট করা হয়ে উঠে না !

খুবই ভালো লেগেছে !
++++++

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অন্যতম সেরা কিনা জানিনা। তবে আমি কেন যেন লেখাটা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। মনে খুতখুতি ছিল। এই রকম একটা ব্যাপার এই প্রথম ঘটল আমার ক্ষেত্রে।

আমার নিজের কথা যদি জিজ্ঞেস করেন বলব, আমার নিজের লেখা প্রিয় গল্প হচ্ছে প্রতিশোধ, প্রশ্ন, অন্ধবালক, কাপুরুষ। আর সাইফাই হিসেবে সব চেয়ে প্রিয় ব্রিজরক্ষক।

আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কারন আমি পোস্টে আপনার কথা উল্লেখ করতে ভুলে গেছি! আমার এই নাজিম-উদ-দৌলা হয়ে ওঠার পেছনে আপনারও অবদান আছে। সেইশুরু থেকে হামা ভাইয়ের মত আপনিও আমার লেখা পড়তেন। আমি খুবই উৎসাহিত হতাম।

আপনি ভাল থাকুন এই কামনা করি সব সময়। :)

৩৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৮

টেস্টিং সল্ট বলেছেন: সুপার কম্পিউটারের মানব সভ্যতার উপরে অধিগ্রহণ মিয়ে শত শত গল্প পড়ে ফেলেছি। সব গল্পই শেষ হয় নায়কের অন্ধকার ঘরে ঢুকে সুপার কম্পিউটারের আইসি গুলো পিটিয়ে পিটিয়ে ভাঙার মধ্য দিয়ে। সে গল্প গুলোর পুরো টাই যন্ত্রের সাথে মানুষের লড়াই।

তোর এই গল্পটা সেদিক দিয়ে একেবারে আলাদা। এখানে লড়াই টা হবে গল্প শেষ হবার পরে, পাঠকের মনে।

তৃতীয় বিশ্ব আজ অনেক দিন ধরেই উন্নত বিশ্বের ল্যাব রিসার্চ ম্যাটেরিয়াল হয়ে আছে। সে দিকটা তুলে ধরেছিস খুব নগ্ন ভাবে।

আমরা থার্ড ওয়ার্ল্ডের মানুষ রা প্রতিনিয়ত ওদের গিনিপিগের সারি হয়ে ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে চলেছি। আমাদের শিশুরা, মায়েরা, আমাদের সন্তানের বাবা রা, সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

গল্পের থিম সামান্য জাফর স্যারের মতন, সেটা তোর দোষ নয়, কারণ স্যারকে সায়েন্স ফিকশনের রবীন্দ্রনাথ বলা চলে। কিন্তু তুই তোর টুইস্ট টুকু রেখে গেছিস তোর মতোই।

দারুণ।

তবে হ্যাঁ, কঠিন লাইন বলতে আমি যেটা বুঝিয়ে ছিলাম সেটা এই গল্পেও পাইনি।

দশ এ আট দিলাম =p~

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: এবং দেখা যায় লড়াইতে শেষ পর্যন্ত মানুষ জিতেই! :) এইখানে মানুষ নাও জিততে পারে! আমি শুধু মানব সভ্যতার পুনর্জন্মের ইঙ্গিত দিয়ে শেষ করে দিয়েছি।

হ্যা, ঐ বিষয়টা আসলে ভবিষ্যৎ না। ইতিমধ্যে এর কিছু নমুনা দেখতে পাচ্ছি আমরা। সামনে আর কত দেখব আল্লাহই জানে!

শুধু জাফর স্যার না, বাইরের অনেক লেখক এই থিমে লিখেছেন। মুভিও হয়েছে বেশ কয়েকটা। তবে আমি চেষ্টা করেছি একটু ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করার।

সাইফাই লেখায় কঠিন শব্দের অতিরিক্ত ব্যবহারটা বাহুল্য হয়ে যেত। উপরে একটা কমেন্ট দেখলে ব্যাপারটা বুঝবি। একজন বলেছেন গুরুগম্ভির শব্দের ব্যবহার করলে বিষয়টা প্রবন্ধের ছোঁয়া পায়। ক্যাজুয়াল ডায়লগ হলে ভাল হয়। সামনে লিখব একটা রোম্যান্টিক, তখন ভারী শব্দ পাবি! :)

১০ এ ৮! :( :(

ভালা থাক! :)

৩৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বাইরে বেরোতেই মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে গেল জহিরের। কড়া রোদে চামড়া ঝলসে যাওয়ার উপক্রম =======

-- এখানের এই প্যারাটার পরের দুইটা প্যারা অর্থাৎ

এই পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য অবশ্য মানুষই দায়ী। এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো আজ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে।

--- এই দুইটা প্যারা পড়লে মনে হয় কোনও প্রবন্ধের লাইন। তুমি এখানে ব্যাপারটা এমন ভাবে উপস্থাপন করতে পারো যে জহির এসব ভাবনা তার স্ত্রী রুনাকে কোনও এক সময়ে বলেছিল , কিছুটা ডায়ালগ বেসিস করে দেখতে পারো।

ভালো থেকো নাজিম।

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপু, এই সময়টা একটু তাড়াহুড়ো করে লেখা হয়েছে। এই কারনে সমস্যাটা হয়েছে। এটা চোখ এড়িয়ে যাওয়া উচিত হয়নি। আমি এডিট করে একটু গল্পের আঙ্গিক নিয়ে আসব ঐ দুই যায়গায়।

ধন্যবাদ আপু।

৩৯| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

এইস ম্যাকক্লাউড বলেছেন: শেষ হইয়াও হইল না শেষ

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: খুব তো বেশি বাঁকি নেই। মনে মনে শেষ করে ফেলুন! :)

৪০| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

এইস ম্যাকক্লাউড বলেছেন: শেষ হইয়াও হইল না শেষ

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: :) :)

৪১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫১

অন্ধকারের রাজপুত্র বলেছেন: প্রতিশোধ, কাপুরুষ আমার ও ফেবারিট...
আগেইতো বলেছি, ব্লগে মাত্র কয়েকজনের গল্প পড়ি, তার মধ্যে আপনি একজন..
আপনাদের এই কয়েকজনের নতুন পোস্ট দেখলেই মন ভালো হয় যায়, কারণ একটা আস্থা এসে গেছে.. যে, লিখাটা ভালো লাগবেই !

এইমাত্র দেখলাম ৪৯ টা পোস্ট হয়ে গেছে আপনার.. পঞ্চাশতম পোস্টটা কিন্তু অনেকদিন মনে রাখার মত অসাধারণ রকমের হওয়া চাই !
ভালো থাকুন সবসময় এবং আমাদেরকে ভালো ভালো লিখা উপহার দিন.. এই কামনাই করি সবসময় :)

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপনি তো আমাকে টেনশনে ফেলে দিলেন। পঞ্চাশতম পোস্ট নিয়ে তো তেমন কিছু ভাবিনি! :( ভাবছিলাম, অনেকদিন রোম্যান্টিক কিছু লিখিনা, এইবার লিখব। কিন্তু এখন তো আপনি আমার মাথায় চিন্তা ঢুকিয়ে দিলেন! চেষ্টা করব ভাই, ভাল কিছু লিখার। মনে রাখার মত কিছু হবে কিনা জানিনা। তবে চেষ্টাটুকু থাকবে। ভাল থাকুন। :)

৪২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শায়মা বলেছেন: অবাক করা একটা লেখা।

আসলেই এই লেখা ছাপার অক্ষরে আসা উচিৎ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হুম! ছাপার অক্ষরে এলে তো ভালই হত! :(
ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৪৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৭

আরমিন বলেছেন: দারুন!

২৪ তম ভাল লাগা!

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আমি না ভাই, এই ২০ তম ভাললাগা।, ২৪ তম ভাললাগা ব্যাপারগুলো বুঝিনা। এইটা দিয়ে আসলে কি বুঝায়? :(
আপনার ভাল লেগেছে জেনেই খুশি আমি। :)

৪৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

অদৃশ্য বলেছেন:





পড়া হলো আপনার সাইফাই... চমৎকার লিখেছেন... আমার খুব ভালো লাগলো...


আমার মনে হয়েছিলো ম্যাকক্লেইনের চিঠির পর ডরোথি হয়তো নতুন কিছু আবিষ্কারের জন্য প্রস্তুতি নেবে... বা, সে ধীরে ধীরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো এরকম কিছু বিপর্যয়ের সম্ভাবনার কথা ভেবেই... তবে আমি ভাবিনি যে ডরোথি তৃতীয়বিশ্বে এসে সাধারন কিছু সৈনিক নিয়ে যাবে ওমেগাচিপধারীদের বা ওমেগাচীপ নিয়ন্ত্রন এলাকাকে ধ্বংসের জন্য...

লিখাটি পড়তে পড়তে ''আই রবোট'' এড় কথা মনে পড়ছিলো...

ডরোথি হয়তো নতুন কোন প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টায় থাকতে পারতেন... মানে হলো, সাইফাই গল্পের সাইফাই ফিনিশিং চাচ্ছিলাম... তবে যেভাবে করলেন সেটাও বেশ ভালো লেগেছে...

একটি থ্রিলার/রহশ্যগল্পের অপেক্ষায় থাকলাম...

শুভকামনা...

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
সত্যি বলতে কি একটা সাইফাই ফিনিশিং আমার মাথায় ছিল। কিন্তু শেষে এসে মত বদলালাম। আমি শুধু তৃতীয় বিশ্বের উত্থান টা দেখাতে চেয়েছিলাম। দেখাতে চেয়েছিলাম যাদেরকে এখন অসভ্য ভাবা হচ্ছে তারাই হচ্ছে সত্যিকারের মানব সভ্যতার ধারক ও বাহক। একদিন সেই দাম্ভিক সভ্যতা পরাভূত হবে এবং তৃতীয় বিশ্ব এক পুনরজাগরনে নেতৃত্ব দেবে।

এর পর একটা রোম্যান্টিক গল্প লিখব ভাবছি। অনেক দিন লেখা হচ্ছেনা। আমি রোম্যান্টিক দিয়ে শুরু করেছিলাম। ঘরের ছেলে এবার ঘরে ফিরবে। :)

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। :)

৪৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

আরমিন বলেছেন: অনেকে পোস্টে এসে কমেনট করে যে , ভালো লাগা। কিন্তু ভাল লাগা বাটনে টিপতে ভুলে যায়! :) সেজন্যেই উল্লেখ করেছি যে আপনার পোস্ট প্লাসায়িত করা হয়েছে এবং সেটা ২৪তম প্লাস। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন!

শুভকামনা ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: এতক্ষনে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হল। ধনবাদ ভাই। এতদিন ব্লগিং করি এই বিষয়টা কেহ্যাল হয়নি আমার! :P

৪৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

ইশতিয়াক রেহমান বলেছেন: ভবিষ্যতের পটভুমিতে লেখা সাই ফাই গল্পে দেখেছি খুব অদ্ভুত ধরনের কিছু নাম ব্যাবহার করা হয়। যেমন সুহা, রুহা, গুহা এইসব। কিন্তু তোমার গল্পে দেখলাম প্রচলিত নামগুলো ব্যাবহার করেছ। যেমন জহির, আজাদ, ডরোথি ইত্যাদি। বিষয়টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আজ থেকে এক হাজার বছর পূর্বে আমাদের পূর্ব পুরুষদের নাম ছিল কামাল, জামাল, মাইকেল, রোজি, হরিপদ, সেফালি। আজ আমাদের নামও ঠিক তাই আছে। এক হাজার বছর পরে নামগুলো ফিহা, মিহা এরকম হবে কেন? নাম নিয়ে অনেক কথা বললাম।

গল্প নিয়েও দুই একটা কথা বলি। গল্পের থিম নতুন কিছু না। কিন্তু উপস্থাপনা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তাই গল্পের শেষটা হয়েছে অসাধারন।

এই গল্পে দেখলাম বড় বড় বাক্য আর কঠিন কঠিন শব্দ বেশি ব্যাবহার করেছ। তোমার গল্পে আগে এরকম দেখি নি। লেখার স্টাইলে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছ নাকি? ভালো লাগছে অবশ্য।

আমার মাথায় একটা দারুন সাই ফাই গল্পের আইডিয়া ঘুরছে তোমাকে দিব। লিখবা তো?

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

কিছুটা পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি। সেটা ভাল হয়েছে না মন্দ হয়েছে বুঝতে পারছি না। আরও কিছু লিখব এভাবে। অনেক ধন্যবাদ তোকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। সাইফাই গল্পের ক্যারেক্টারের নাম নিয়ে এই চিন্তাটা আমিও করেছিলাম।

তোর আইডিয়া দিয়া দে। আমার মাথায় সাইফাই ভুত চাপছে খালি সাইফাই গল্পই মাথায় আসে! :(

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
সুহা, রুহা, গুহা গুহা নাম কই দেখছ? নামটা কিন্তু খারাপ না :P

৪৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: এমন কনসেপ্টের লেখা আগেও পড়েছি ।এই প্লটটাও বেশ ভাল লাগলো । আপনার নিজের স্টাইলে লিখেছেন বলেই ভাল লাগলো ।



১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ আপ[নাকে। অনুসরন আমার পছন্দ না। চেষ্টা করি সবসময় নিজের একটা ইউনিকনেস ধরে রাখতে। ভাল থাকুন আপনি। :)

৪৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: সাইন্স ফিকশন আমি খুব একটা পড়ি না। বাজারে এর বেশ কদর। আপনার গল্প চমৎকার। বই এর দোকানদাররা অবশ্যই এ লেখা পছন্দ করবে।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
বই এর দোকানদার বলতে প্রকাশক বুঝিয়েছেন? লেখাটা আমার আনন্দের খোঁড়াক, তাই লিখি। সাইফাই বড় কথা নয়, যখন যেরকম আইডিয়া আসে সেরকমই লিখি, বাজারে কদরের কথা ভাবিনা। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: উফ ! কী দুর্দান্ত একটা সাই-ফাই পড়লাম । খুবি জোস একটা লেখা

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে! :) ভাল থাকুন সব সময়। :)

৫০| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৫

অপু তানভীর বলেছেন: গল্পটা পড়েছি অনেক আগেই কিন্তু মন্তব্য দিতে দেরি হয়ে গেল ! গল্পটা পড়ে ভাল লেগেছে । কিন্তু এই কনসেপ্টের গল্প আগেও পড়েছি !

আর যদি আপনার আগের তিনটা গল্পের সাথে কমপেয়ার করি তবে বলবো এটা ওগুলোর মত এতো দুর্দান্ত হয় নি !

নতুন গল্প আবার কবে দিবেন ?

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ অপু ভাই। গল্পটা লিখার সময় অন্যান্য গল্প গুলোর মত থ্রিল, টুইস্ট এইসবের দিকে খুব একটা নজর দেই নি। ফোকাসটা ছিল অন্য খানে। তাই হয়ত অত একটা ভাল লাগেনি। সামনের গল্প দেব তাড়াতাড়ি। ওটা পড়ে মজা পাবেন। পুরাই ডিফরেন্ট হবে গল্পটা। :)

৫১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৫

রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার অসাধারন একটা লেখা পড়লাম। একবার নয় দুই বার নয় বেশ কয়েকবার পরলাম। খুব ভাল লাগলো।
অনেক অনেক ভাল লিখেন আপনি।
এত সুন্দর একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১০

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ধন্যবাদ রোকেয়া। অনেক দিন পর আপনাকে ব্লগে দেখছি। ব্যাস্ততা যাচ্ছে বুঝি! ভাল থাকুন প্রতিটিক্ষণ। :)

৫২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

হারানো ছায়া বলেছেন: একটু দেরিই হয়ে গেল তোর গল্পটা পড়তে, ভাল হয়েছে রে !! :) :)

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: মাস খানেক পরে আইসা কস একটু দেরি!! এক্কেরে মাইরা হুতাইলবাম। X((

৫৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: জাফর ইকবাল নয় প্রোফেসর শঙ্কুর বনলতার মতই বা আরো অন্যান্য বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মতো সুপার কম্পিউটার মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে আরম্ভ করে বা ধ্বংস করতে আরম্ভ করে (ব্যাপারগুলো অনেকটা গতানুগতিক ধারার) যা পাঠকের মনে এক ধরনের অনীহা জাগাতে পারে।

তা ছাড়া কোনো কোনো জায়গায় যেমন তৃতীয় বিশ্বের অবস্থা, ওমেগা সম্পর্কে ধারণা খানিকটা বাহুল্য মনে হয়েছে। নয়তো সব মিলিয়ে বেশ ভাল একটা গল্প। যা আমাকে আকর্ষণ করার কথা নয় :P

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
গল্পটা খাপে খাপ হয় নাই দাদা। যেই ভাবে সাজাইতে চাইছিলাম সেভাবে যায় নাই। তবে আমার পছন্দের গল্পের তালিকায় এটা রাখছি কিছু বিশেষ কারনে।
পরছেন বলে ধন্যবাদ দাদা। লিখব সামনে সেইরকম গল্প জাহা আপনাকে আকর্ষণ করিবে। :) :-/

৫৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্প শেষ হয় কিভাবে? এটাতো নতুন অভিযানের শুরু মাত্র। ডরোথি কি পারবে? আজাদ কি পিতৃহত্যার প্রতিশোধের জন্য ডরোথির সাথে বেঈমানি করবে?

এটার এবং "ত্রিমাত্রিক অবগাহন"-দুটোরই পরবর্তী পর্ব চাই।

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
এটার আর সিকয়েল লিখব না। তবে নতুন একটা সাইফাই লিখছি। দু একদিনের মধ্যে পাবেন। আমার ৫০ তম গল্প! আপনার পছন্দ হবে লেখাটা। :)

ভাল থাকুন :)

৫৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আচ্ছা,অপেক্ষায় থাকলাম :)

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: গিট্টু লেগে গেছে মাথায়। লেখা আগাচ্ছে না। :(

৫৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: একটানে পড়ে গেছি! সুন্দর এবং সুন্দর!

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
অতি অবশ্যই ধন্নবাদ আপনাকে :)

৫৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

আরজু পনি বলেছেন:

নাজিমের লেখা চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়।
প্রথম দিনেই পড়ে রেখেছিলাম অনেকটাই...কিন্তু আজকে আবার পড়লাম মন্তব্য দেয়ার জন্যেই।

আপনার পোস্টটি কিন্তু নির্বাচিত পাতায় কিছুক্ষণের জন্যে আমি দেখেছি। আমার মনে আছে।
তারপর যখন আপনার পোস্টটি দ্বিতীয় পাতার প্রথমে থাকার কথা তখন আর দেখি নি।

আপনার পোস্টতো তবুও প্রথম পাতা থেকে সরে যাওয়ার পর হাওয়া হয়েছে। কিন্তু আমার পোস্ট প্রথম পাতার একেবারে প্রথম দিকেই হাওয়া হয়ে গেছে।
নির্বাচিত পাতা থেকে সরে গেলে মন যে খারাপ লাগে সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি। তাই কিছুটা হলেও আপনার অনুভুতি বুঝতে পেরেছি।


এগুলো কেন হয় জানি না।

আপনার জন্যে অনেক শুভকামনা রইল নাজিম।।

৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
হঠাৎ তুমি থেকে আপনিতে উঠে যাওয়ায় মাইন্ড খাইয়া গেলাম! :(

আপনাদের উৎসাহতেই তো লিখছি আপু। ভাল থাকুন সব সময়।

ঘটনা হচ্ছে আপু- যদি দেখতাম নির্বাচিত পাতায় গল্প কবিতা আসেনা, খুব হাই ফাই টাইপের লেখা আসে তাহলে খারাপ লাগত না। কিন্তু আমার পর পর তিনটা লেখা আসে নাই! খারাপ লাগাই তো স্বাভাবিক :(

যাক, তারপরও নিয়মিত পাঠকরা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন- নির্বাচিত পাতার ওপর না, বিষয়টা আমাকে আপ্লুত করেছে :)

৫৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

একলা চলো রে বলেছেন: আপনার আগের দুটো সাইফাই পড়েছিলাম। তাই এটার কাহিনী একটু দুর্বল মনে হল। আপনার লেখা্য যে একটা টানটান থ্রিলিং থাকে, সেটাও মিস করেছি এই লেখায়। আর জাফর ইকবাল স্যারের কপোট্রনিক সুখ দুঃখের সাথেও কাহিনীর মিল রয়েছে বেশ। তবে বর্ণনার ধরনটা ভাল লেগেছে। +

৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৮

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

টানটান থ্রিলিং ছিলনা ? :( চেষ্টা করেছিলাম রাখার :(
যাক, পড়েছেন এই জন্য খুশি হয়েছি। আপনারা পাশে আছেন দেখেই তো লিখে যাচ্ছি। ভাল থাকুন সব সময় :)

সামনের গল্পটা ভাল লাগবে অনেক বেশি। প্রমিজ :)

৫৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ভাল লেখেন আপনি। হালকা মেজাজে বিছানায় শুয়ে শুয়ে পড়ছিলাম আপনার কল্পগল্প, কখন যে পারিপার্শিক ভুলে গল্পে মগ্ন হয়ে গেলাম টেরই পেলাম না। কিছু ক্ল্যারিফিকেশন জিজ্ঞেস করার ছিল, কিন্তু কয়েকটা কমেন্ট ও রিপ্লায় পড়ে অলরেডি ক্লিয়ার হয়ে গেছে। চালিয়ে যান। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

প্রায় ৪ বছর আরে কাছাকাছি থিমের একটা সাই-ফাই গল্প লিখেছিলাম। এভাবে অন্য কারও লেখায় নিজের লেখার লিংক দিতে ভাল লাগে না। তবুও ব্যাপক অনিচ্ছা সত্বেও লোভ সামলাতে পারছি না। তাই অনেকটা লোভে পড়েই ঐ লেখার লিংকটা দিলাম। পড়ে দেখতে পারেন।

( কল্পগল্প )--- ফিউশন ট্রেকিং

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

এই গল্পটাতে ঠিক যে টোন তুলে আনতে চেয়েছিলাম তা হয়নি। আমি নিজেই সন্তুস্ট না। তারপরও থিম এবং ফিনিশিংটা আমার খুব পছন্দের। আপনার সুন্দর মন্তব্য ভাল লাগল।

লিংক দিয়েছেন বলে খুশি হয়েছি। আমি যতটা লিখি তার ১০ গুন পড়ি। আজ ঘুম পাচ্ছে, কাল আপনার গল্পটা পড়ব। ভাল থাকুন।

৬০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

ইমরান নিলয় বলেছেন: এককথায় বলতে গেলে- সুন্দর। আসলে মানুষ মানুষই। যতই আপগ্রেটেড যন্ত্রই হোক, সে যন্ত্রই।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
হুম ওটাই ছিল মুল ব্যাপার। ভাল থাকুন :)

৬১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

এরিস বলেছেন: গল্প পড়ে যতটা না গল্প নিয়ে ভাবি, তারচেয়ে বেশি ভাবনার বিষয় আপনার কুটিল মগজখানি।

গল্পটি প্রায় ২০ দিন আগে পড়েছিলাম। মোবাইলে থাকার কারণে মন্তব্য করা হয়নি। একটা প্রশ্ন আছে, উত্তর জানতে চাই। সাইফাই গল্প মানে কি?? জিজ্ঞেস করবো করবো করেও করা হয়নি।

গল্পের ঘটনাপ্রবাহ সুন্দর ছিল। তবে ডরোথির কাছে ডক্টর ম্যাক্লেইন এর চিঠির ব্যাপারটি একটু খটকা লেগেছে। ওমেগাটেক অবশ্যই টের পেয়েছে যে ডক্টর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যেই চিঠি লিখছেন। ডরোথির কাছে চিঠিটি নিরাপদে পৌঁছানোর পেছনে কি প্রচণ্ড ক্ষমতাধর কিছু ছিল?? আমি বুঝতে পারিনি মনে হয়। কিছু জায়গায় বর্ণনার আধিক্য ছিল। তবে আমাদের মতো আমজনতাকে গল্পের উপাদান সম্বন্ধে জানিয়ে রাখতে এর চেয়ে ভাল পথ আমারও জানা নেই। :)

যা কিছুই বলেন, যত গল্পই লিখেন, আমার কাছে সারাজীবন আপনার ব্রিজরক্ষক বেস্ট থাকবে। এই ক্যাটাগরিতে ব্রিজরক্ষক এর চেয়ে ভাল গল্প আর কোনদিন মনে হয় কেউ লিখতে পারবেনা।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
সাইফাই গল্পের সংজ্ঞা আমার নিজেরও জানা নেই। আর আমার সাইফাই গল্পে সায়েন্স প্রধান ফ্যাক্টর থাকেনা।

বরননার আধিক্য ছিল মানি, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে বর্ণনাটুকু ছাড়া গল্প নিখুত হবেনা।

ব্রিজরক্ষক পার করতে পারব কিনা জানিনা তবে ঠিক তার কাছাকাছি মানের একটা গল্প লিখছি এখন। জানেন তো যে এটা আমার ৫০ তম গল্প হতে যাচ্ছে! গল্পটা মনে রাখার মত হবে বলে বিশ্বাস। দেড় মাস যাবত খাটছি এটা নিয়ে। আপনার মন্তব্য ভাল লাগে এরিস। আর আপনার লেখা যে ভাল লাগে তা বোধকরি বলার অপেক্ষা রাখেনা।

ভাল থাকুন।

৬২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

কামাল। আহমেদ বলেছেন: অনেকদিন পরে এলাম,(পেশাগত কারনে একেবারেই সময় করে উঠতে পারিনা।) পড়লাম। তবে গল্প সম্পর্কে এখন কো্ন মন্তব্য করবনা। দ্বিতীয় বার পড়ে করব। বহুত কঠীন লেখা লেখছেনরে ভাই।

তবে আপনার সম্পর্কে কিছু বলি...সেদিন ফেসবুকে দেখলাম ৫০তম গল্প বিষয়ে কি একটা পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে লেখা দেখলাম কোন কারনে আপনার মন খারাপ। হতেই পারে। মানুষের মনটা আকাশের মত। কখনো কখনো মেঘে মেঘে পুরো আকাশটা ছেয়ে যেতেই পারে। তাই বলে সূর্যটা রাগ করে বসে থাকে? উহু কক্খনো না,মেঘ কেটে গেলে ঠিকই টিপটিপ পায়ে এসে হাজির হয়। সূর্য তার স্বকীয়তা মেলে ধরে। খলখলিয়ে হেসে ওঠে পৃথিবী তার হারানো গৌরব ফিরে পেয়ে।


যাই হোক না কেন,লেখা অব্যাহত রাখিয়েন। কালস্রোতে আপনার লেখা হারিয়ে যাবেনা। চেষ্টা অব্যহত থাকলে বাংলা গল্পের ভূবনে আপনার লেখা একটি উচ্চ আসনে স্থান পাবে এটা আমার বিশ্বাস।

সব সময় ভাল থাকুন।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
একটু কঠিনই তবে মনোযোগ দিয়ে পড়লে বুঝবেন। :)

মন এখন কিছুটা ভাল। আবার লিখতে শুরু করেছি :)

আপনার মন্তব্য খুব ভাল লাগ্ল কামাল ভাই। আপনারা পাশে আছেন বলেই তো ভরসা পাচ্ছি। ইনশাল্লাহ লেখা থামাব না।

ভাল থাকুন ভাই।

৬৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: এই গল্প পড়েছি অনেক আগে, মনে হয় প্রকাশের ৪/৫ দিনের মাঝেই। কিন্তু কমেন্ট করতে গিয়ে পারিনি, আইপ্যাড থেকে করলে বাংলিশে করতে হয়, খুবই বিশ্রী ব্যাপার।

শুধু ভালো না, ভয়াবহ ধরনের ভালো হয়েছে। আপনি যে এত প্রশংসিত সেটা লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম কেন। আশা করি আগামীতে গল্প মিস হবে না।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
প্রশংসিত!!! আমার শরম পায় :!> কিজে বলেন না :P

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্বের জন্য। পরের লেখা আসছে জলদি। :)

৬৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

বোকামন বলেছেন:
নতুন গল্পের খোঁজে আসছিলুম !
ভালো আছেন ! ঈদ শুভেচ্ছা :-)

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
নতুন গল্প লিখা শেষ করলাম একটু আগে। ইনশাল্লাহ কাল পোস্ট করব। :) আপনাকেও ঈদ শুভেচ্ছা। :)

৬৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ইন্টারেস্টিং, চমৎকার লাগলো।
আপনার গল্পগুলা বড় বেশী, মনযোগ থাকেনা পুরা সময়ে।একদিন সময় করে বাকিগুলা পড়বো ||

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

আমি পর্ব করে দেয়া পছন্দ করিনা। আপনি চাইলে দুই তিনবারে শেষ করতে পারেন। একটানা পড়তে হবে এমন তো কথা নেই। তবে আমার বিশ্বাস মনোযোগ দিয়ে যদি এক প্যারা পড়েন যেকোন গল্পের তাহলে শেষ না করে উঠা সম্ভব হবেনা :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.