নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন ছাত্র৷ সারাজীবন ছাত্রই থেকে যেতে চাই৷ আমি সকলের কাছ থেকে শিখতে চাই৷ এবং যা শিখেছি তা শিখাতে চাই৷

যুবায়ের আলিফ

যুবায়ের আলিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিবলা পরিবর্তন ও অমুসলিমদের আপত্তিঃ

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৬


বনী ইসরাইলের নবীগণের কিবলা ছিলা বাইতুল মুকদ্দাস। রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও মক্কায় অবস্থান কালে সেদিকে ফিরে সালাত আদায়ের নিয়ম পালন করেন। [ অর্থাৎ সালাতে এমনভাবে দাড়াতেন, কা'বা শরিফ ও বাইতুল মুকাদ্দাস সমনের দিকে থাকে।] এমনকি মদিনায় হিজরত করার পরেও কিবলা অপরিবর্তিত রাখলেন। কা'বাকে সামনে রাখা আর সম্ভব হয় নি। কেননা বাইতুল মুকাদ্দাস (মক্কা ও মদিনার) উত্তর দিকে অবস্থিত। এ বক্তব্য তখন প্রযোজ্য হবে যখন কিবলা পরিবর্তন দুবার সাব্যস্ত হবে। আর কিবলা পরিবর্তন একবার সাব্যস্ত হলে এভাবে বলতে হবে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের পূর্বে কা'বার দিকে মুখ ফিরিয়ে সালাত আদায় করতেন। হিজরতের পর ইহুদিদের মন জয়কারণার্থে বাইতুল মুকাদ্দাসের প্রতি মুখ ফিরিয়ে সালাত আদায় করতে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তদনুসারে ১৬/১৭ মাস বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ ফিরিয়ে সালাত আদায় করেন। মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মনে বারবার এ বাসনার উদ্রেক হতো যে, যদি মহান পিতৃপুরুষ ইব্রাহিম (আ) এর নির্মিত কা'বা কে কিবলা বানাবার ইলাহি হুকুম পেয়ে যেতেন। এ মর্মে ওহী পাওয়ার আশায় বার বার আকাশ পানে দৃষ্টি মেলে তাকাতেনও। অবশেষে মদিনায় আগমনের ১৬/১৭ মাস পরে এ মর্মে হুকুম পাওয়া গেল যে, এখন থেকে বাইতুল মুকাদ্দাসের পরিবর্তে কা'বার দিকে মুখ ফিরিয়ে সালাত আদায় করতে হবে। কা'বা মদিনা থেকে সোজা দক্ষিণে অবস্থিত, ফলে মদিনায় সালাত আদায়কারীদের অভিমুখ এক মুহূর্তে উত্তর থেকে একেবারে দক্ষিণে ফিরে গেল।
অমুসলিমদের আপত্তিঃ পূর্বে বলা হয়েছে বাইতুল মুকাদ্দাস ইহুদিদের কিবলা। রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখেই এ কিবলা রহিত হওয়ার ঘোষণা ইহুদিদের খুব অপছন্দ হলো।এমনিতেও তারা রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তাদের শত্রু ও তাদের ধর্মের বিনাশ সাধনকারী মনে করতে শুরু করেছিল। কিবলা পরিবর্তন সংক্রান্ত এ ঘোষণা কে তারা ঐ ধারার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ মনে করে বসলো এবং এ বিষয়ে বিভিন্নধরনের প্রশ্ন উত্থাপন ও বিরূপ সমালোচনা করতে লাগল। কেউ বলেল, তিনি ইহুদিদের সাথে বিদ্বেষবস্ত এরূপ করেছেন। কেউ বলল, তিনি নিজের দ্বীন নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ও পেরেশান আছেন, সে কারণে তার নবী হওয়ার বিষয়টি পরিস্ফুট হচ্ছে না। ধর্মবিমুখ ও মুনাফিকদের কিছু লোকও তাদের সহযোগী হলো। এদের প্ররোচনায় পড়ে কিছু সংখ্যক নওমুসলিমদের মনেও সন্দেহ হচ্ছিল। বিরুদ্ধবাদীদের এসব মন্তব্য সম্পর্কে আল্লাহ তায়াল এ আয়াত তার রাসুলকে অবহিত করে দিয়েছেন এবং সে সাথে পরবর্তী আয়াতে জবাবও জানিয়ে দিয়েছেন, যাতে করে কোনো সংশয় বাকি না থাকে এবং উত্তর প্রদানেও চিন্তা করতে না হয়। আয়াতটি হচ্ছে, " নির্বোধ লোকগণ ( ইহুদি ও মুশরিক) বলবে যে, কিসে তাদের বিমুখ করল? তাদের ঐ কিবলা হতে তারা যা এ যাবৎ অনুসরণ করে আসছিল। বলুন, পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই ( সব দিকই তার) তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন (তোমরা) মুসলিমগণও ( তাদের অন্তর্ভুক্ত)। এইভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থি জাতি বানিয়েছি যাতে তোমরা মানবজাতির জন্যে সাক্ষীস্বরূপ হতে পার। এবং রাসুল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হবেন। (সুরা বাকারা, আয়াত–১৪২-১৪৩)
চলবে............

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৫

কাওছার আজাদ বলেছেন: কেবলা পরিবর্তনের ফলে যদিও তারা রাসূল (স.) এর বিরোধীতা করত, কিন্তু আসল বিরোধীতা করার কারণ- মুহাম্মদ স. বনি ঈসরাঈল গোত্রে কেন আসলো না, তিনি এ গোত্রে কেন জন্মিলেন না। এখানেই তাদের ক্ষোভ।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্টে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.