নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্পর্কগুলো বদলে দেয় সময়!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৭

আমার চোখে দেখা সবচেয়ে সুখী পরিবারটিও একদিন এলোমেলো হয়ে গেছে! ঋণের বোঝা সইতে না পেরে পরিবারের কর্তা লোক লজ্জার ভয়ে পালিয়ে বেড়ায়....!
.
সবচেয়ে সুখী দম্পতিকে দেখিছি কিছু দিন পর আলাদা হয়ে তারা আলাদা আলাদা সংসার করছে!
.
রোজ হাসি গানে মুখর থাকতো এমন একটি পরিবারকে দেখেছি তারা আর কখনো হাসে না!
.
চোখের সামনে একটি যৌথ পরিবারের দাদা দাদী বাবা মা ক্রমান্বয়ে মরে যাওয়ার পর দেখেছি ওখানে স্বামী স্ত্রী আর এক সন্তানসহ একটি একক পরিবার অবশিষ্ট আছে!
.
সময়গুলো অসময় হয়ে যায়.....!
.
হঠাৎ যেনো এক মুঠো রোদ মেঘ হয়ে যায়! এক মুঠো সুখ অসুখ হয়ে যায়!
.
তিল তিল করে গড়ে উঠা সঞ্চয় ভেঙ্গে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলো ভদ্রলোক! তাদের ঘর আলো করে আসে একটি সন্তান! দাদা দাদীর বুকে যেনো স্বর্গ নেমে আসে! সন্তানটি বড় হতে থাকে.....! হঠাৎ একদিন সন্তানটির ক্যান্সার ধরা পড়লো! দাদা দাদী বাবা মায়ের সব জমানো টাকা গিয়ে চিকিৎসা করেও তাকে সুস্থ করা গেলো না! সবাই নিঃস্ব হয়ে এখন হাসপাতালের করিডোরে বসে দীর্ঘশ্বাস ফেলে....!
.
এভাবে হঠাৎ করে কেনো জীবনগুলো এলোমেলো হয়ে যায় কে জানে!
.
এক এলাকায় তিন ভাই ছিলো! তাদের মধ্যে এতো সুন্দর সম্পর্ক তা নিয়ে এলাকায় রূপকথা তৈরী হতো! একদিন ট্রাক চালকের একটু ভুলে সিএনজিতে থাকা এক ভাইয়ের ঠিক মাথা দিয়ে রড ঢুকে ব্রেইন আটানব্বই শতাংশ ডেমেজ হয়ে যায়!
.
মানে ভাইটি ২% বেঁচে আছে! প্রতিদিন পঞ্চাশ ষাট হাজার টাকা ক্লিনিক বিল আসতো! এভাবে করে প্রায় ষাট সত্তর লাখ টাকা চলে গেছে! ডাক্তার বলেছিলো এমন রুগীগুলোকে সাধারণ এক ধরণের ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলা যায়! কারণ ৯৮ শতাংশ মৃত! তবুও ভাইকে এভাবে মারতে পারলো না বরং যা কিছু সহায় সম্বল আছে তা নিয়ে কোন এক আশা নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলো তারা!
.
সময়গুলো একদিন সত্যি অসময় হয়ে যায়! তবুও সম্পর্ক তৈরী হয়! এরি মাঝে বেঁচে থাকতে হয়! হাসতে হয়! কাঁদতে হয়!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


"হঠাৎ একদিন সন্তানটির ক্যান্সার ধরা পড়লো! দাদা দাদী বাবা মায়ের সব জমানো টাকা গিয়ে চিকিৎসা করেও তাকে সুস্থ করা গেলো না! সবাই নিঃস্ব হয়ে এখন হাসপাতালের করিডোরে বসে দীর্ঘশ্বাস ফেলে....! "

-চট্টগ্রাম ইউনুভার্সিটির গ্রাজুয়েট কি এই সমস্যা সমাধান করতে পারবেন?

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

শরীফুর রায়হান বলেছেন: অসাধারণ সব অভিজ্ঞতা, ভালো লাগা রইল

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: বাস্তবতা

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: এগুলোই বাস্তবতা ।
এরকম অনেক ঘটনা আমিও প্রতক্ষ্য করেছি । চরম প্রভাবশালীদের এক সময় নতুজানু হতে দেখেছি। চরম দরিদ্র পরিবারকে দেখেছি প্রভাব শালি হতে । সম্পর্কের বদলে যাওয়া দেখেছি।

সুন্দর হয়েছে। ্

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রতিটি লাইনে দীর্ঘশ্বাস ভরে রেখেছেন ভাই।। অসাধারণ কাব্য গড়েছেন।

মানুষ মানুষে গড়ে উঠুক আত্ম সেতুবন্ধন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.