নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুব সাধারণ একজন মানুষ। বিনয়ে বলা সাধারণ নয়, সত্যিকারের সাধারণ। রূঢ় ভাষায় বললে \"গুড ফর নাথিং\"।

বিষাদ সময়

বিষাদ সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৮

" নারীর প্রতি সম্মানের উপকথা" নামক লেখায় ব্লগার নতুন দুটি মন্তব্য করেছেন। তার দ্বিতীয় মন্তব্যটির জবাব সঠিক ভাবে দিতে গেলে অনেক বড় হবে বিধায় ভাবলাম উত্তরটা একটা পোস্ট আকারে দেই-

""""""""""""""""নতুন বলেছেন:
"তবে বেশির ভাগ নারী শুধু মানুষ হিসাবে নয় তাদের স্বপরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত এবং সম্মানিত হতে চান।" ( এটুকু আমার উক্তি ছিল)
যদি পুরুষ স্বপরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত এবং সম্মানিত হতে পারে তবে নারীর চাওয়াতে পুরুষের কোন কিছু ভাবার অবকাশ নাই।
আমাদের দেশের পুরুষের ভাবনা হইলো। আমি আয় করবো আর স্ত্রী সংসার করবে, সন্তান দেখবে, স্বামীর কথা শুনবে।
পুরুষ নারীর চেয়ে উন্নত এটা তাদের ভাবনা। ( ধর্ম ই এই ভাবনা পুরুষকে দিয়েছে)
নারীরা কম অভিঙ্গ বিশ্ব সম্পর্কে কিন্তু সেটার কারন ও পুরুষই।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে কাজ করে বুঝেছি যে নারীরা পুরুষের চেয়ে কোন অংশেই কম যায় না। তাদেরও অনেক বড় বড় প্রতিস্টানে বড় বড় পদে কাজ করছে এবং নিজের জোগ্যতায়ই করছে। ( স্বামী বা বাবার নামে না ;) )
নারী পুরুষের বিষয়টা হউয়া উচিত দুজনের সমান সন্মানের।
আমি বাইরে কাজ করছি, তেমনি আমার স্ত্রী ঘর সামলাচ্ছে, ডানাকে বড় করছে। আমরা ৩ জন মিলে আমাদের সময় এই পৃথিবিতে একটা সময় পার করছি।
এখানে যদি স্ত্রী ঘর না সামলায় তবে আমার জীবন এতোটা সুন্দর হবেনা। তেমনি আমি যদি আয়ের দিকটা না দেখি তবেও ওদের জীবনটা অন্য রকম হবে।
তাই স্ত্রীকে সন্মান করতে হবে। দাসীর মনিবের মতন সম্পর্ক থাকা উচিত না।""""""""""""""""""""""""""""

যদি পুরুষ স্বপরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত এবং সম্মানিত হতে পারে তবে নারীর চাওয়াতে পুরুষের কোন কিছু ভাবার অবকাশ নাই।

একদম ঠিক কথা বলেছেন। কিন্তু ভাববার অবকাশ হতে পারে কখন সেটাও আপনার মন্তব্যেই আছে।
যখন কোন নারী স্বামী, বাবা, ভাই বা কোটায় কোন অবস্থান তৈরী করে নিজেকে কি হনু ভাবেন তখন কিছু বলার অবকাশ থেকেই যায়।

পুরুষ নারীর চেয়ে উন্নত এটা তাদের ভাবনা।

নয় কি? ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল বাস্কেট বল কোথায় নারীরা?
বলতে পারেন এগুলো শারিরিক খেলা এখানে তাদের হাত নাই। হাত ঈশ্বরের। মেনে নিলাম।
এমনকি রাজনীতি, বিজ্ঞান কিম্বা বুদ্ধির খেলা দাবা বা নোবেল পুরস্কার বা একান্ত নারীদের কর্ম রান্না.......নিচের তালিকাটা একটু দেখুন

বিশ্বের নামকরা রাজনীতিবিদ---

o Mohandas Gandhi
o Alexander the Great
o Mao Zedong
o Winston Churchill
o Genghis Khan
o Nelson Mandela
o Abraham Lincoln
o Adolf Hitler
o Ernesto "Che" Guevara
o Ronald Reagan
o Cleopatra
o Franklin Roosevelt
o Dalai Lama
o Queen Victoria
o Benito Mussolini
o Akbar the Great
o Lenin
o Margaret Thatcher
o Simón Bolívar
o Qin Shi Huang
o Kim Il-Sung
o Charles de Gaulle
o Louis XIV



বিশ্বের নামকরা বিজ্ঞানী--

The 10 Greatest Scientists of All Time

Albert Einstein (Credit: Mark Marturello)
Marie Curie (Credit: Mark Marturello)
Isaac Newton (Credit: Mark Marturello)
Charles Darwin (Credit: Mark Marturello)
Nikola Tesla (Credit: Mark Marturello)
Galileo Galilei (Credit: Mark Marturello)
Ada Lovelace (Credit: Mark Marturello)

বিশ্বের নামকরা দাবাড়ু---




বিশ্বের খ্যাতিমান শেফ---



নোবেল লরিয়েট-
Unique Nobel Prize laureates include 894 men, 60 women, and 27 organizations. The distribution of Nobel prizes awarded to women is as follows: eighteen women have won the Nobel Peace Prize (16.3% of 110 awarded); seventeen have won the Nobel Prize in Literature (14.28% of 119 awarded);

কোথায় নারীরা??

তাহলে কি আমি তাদের অসম্মান করছি, মোটেও না। যে নারী আমার মা, যে নারী আমার প্রেয়সী তাকে অপমান করার ধৃষ্টতা আমার নেই। আমি জানি মা হতে হলে কত কষ্ট, কত ত্যাগ, কত তিতিক্ষা, কত ভালবাসা এবং কতটা মহত্বের প্রয়োজন হয় । যার সন্ধান একটা পুরুষ কোন দিন পাবে না। আমি এও জানি আই, কিউ স্কোর এ মহিলা পুরুষে তেমন কোন পার্থক্য নাই। একটি সেফ জোন দিলে অনেক ক্ষেত্রে নারী পুরুষের চেয়ে ভাল পারফরমেন্স দেখাতে পারে। কিন্তু সেফ জোন না পেলে নারী বড় অসহায়। নারী পুরুষের বলয় এ কারণে কিছুটা আলাদা।

নারী আমার মা, আমার বোন আমার প্রেয়সী, তারা স্ব মহিমায় হউক উদ্ভাসিত। তারা তাদের বলয়ে থাকলে নমস্কার। কিন্তু নারী যদি তার বলয় ভেঙ্গে ব্যাটেল ফিল্ডে এসে যুদ্ধ করতে চায় তবে কঠোর আঘাত, প্রতিঘাতেই হবে এর জয় পরাজয় নির্ধারণ। সেখানে মা নেই, বোন নেই, প্রেয়সী নেই, সবাই প্রতিপক্ষ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:



আমাদের দেশের পরিবারে মেয়েদের ও মহিলাদের সুখ শান্তির জন্য আপনি কোন নতুন কোন ভাবনার কথা বলতে পারবেন?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৪

বিষাদ সময় বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সুখ-শান্তি বিষয় মনস্তাত্ত্বিক এ বিষয়টি এটি আনা সহজ নয়। কয়েকটি কাজ আমার মনে করলে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে-

সুশিক্ষা
কুসংস্কার দূর করা
ধর্মীয় গোড়ামী থেকে বের হওয়া
পাত্র পাত্রী নির্বাচনের সময় যোগ্যতার চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন।

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৭

কামাল১৮ বলেছেন: এই ভাবে চিন্তা করুন সবাই মানুষ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮

বিষাদ সময় বলেছেন: সবাই মানুষ এটা ভাবা বা চিন্তা না করার তো কোন কারণ দেখি না। কিন্তু তারপরও যে আবার আমরা ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গে ভাগ হয়ে পড়ি।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: নারীদের মুল পরিচয় তারা নারী ব্যাস কাহিনী শেষ। একজন আরেকজনের মত হতে হবে কেন?

যে যেমন খুশী থাকুক না-তাঁর মত করে। একজন আরেকজনের সাথে তুলনা করে ফের মাসকা( মাখন বা তেল) লাগানোর এই বিষয়টাই আমি মেনে নিতে পারিনা।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫

বিষাদ সময় বলেছেন: সাথে থাকায় খুশি হলাম।
নারী, পুরুষ তার নিজ নিজ জাগায় কৃতিত্ত্বের দাবীদার। কিন্তু জটিলতা হল নারীর সকল সমস্যা, সকল ব্যর্থতার জন্য পুরুষের দিকে আঙ্গুল তোলা হয়।
বা যখন বলা হয় "নারী আমরা পুরুষের চেয়ে কম কিসে" তখন তুলনামূলক আলোচনাটা চলে আসে।

ধন্যবাদ।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬

নতুন বলেছেন: কোথায় নারীরা??

যখন গায়ের জোর কাজ করে তখন দূবলেরা কিভাবে তাদের সক্ষমতা প্রকাশ করবে।

ব্রিটিসরা যখন ভারতবর্ষ দখল করে নেয় তার পরে ২০০ বছর শাসন করে তখন ভারতীয় পুরুষের মেধা কি কমে গিয়েছিলো?

১৮৫৮ থেকে ১৯৪৭ সালের কতজন ভারতীয় দাবাড়ু, এথল্যাট, বিজ্ঞানী, নোবেল, শেফ, রাজনিতিক বিশ্ববিখ্যাত হয়েছিলেন?

সম্ভবত কেউই না। তার অর্থ ঐ সময়ের ভারতীয় পুরুষেরা কি কম মেধাবী ছিলেন বিশ্বের অন্য পুরুষের থেকে?

উপমহাদেশের পুরুষের মেথা কম ছিলো না বরং ঐ সময়ে তারা সুযোগ পান নি।

তেমনি পুরুষ তান্ত্রীক সমাজে নারীদেরও সমান সুযোগ দেওয়া হয় না।

নারী একটা বড় ক্ষমতা আছে যেটা হলো সন্তানধারন। আজ থেকে যদি কোন নারী পুরুষের সাথে সঙ্গম না করে তবে পুরুষ জাতী এই পৃথিবি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

নারীরা কিন্তু ক্লনিং করে নিজেরা সন্তান নিয়ে নারীজাতীকে টিকিয়ে রাখতে পারবে।

মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রানী নারীর উপরে অত্যাচার করে তাদের দাসী বানিয়ে রাখে না। তাই প্রানী জাতীর সকল পুরুষই দেখতে সুন্দর এবং তারা নারীর মন পেতে অনেক কসরত করে যাতে নারী তাকে সঙ্গী হিসেবে গ্রহন করে।

আমরা মানুষ বিষয়টা উলটে নিয়েছি। এখন নারীরা পুরুষের মনরন্ঞন করতে মেকআপ করে।

আমি ১৭ বছর ১০০ দেশের মানুষের সাথে কাজ করছি। অনেক উচু পদে নারী কাজ করা দেখছি তাই বলতে পারি যে নারীকে বেধে না রাখলে নারী কোন অংশেই পুরুষের চেয়ে কম যায় না।

০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

বিষাদ সময় বলেছেন: sb]১৮৫৮ থেকে ১৯৪৭ সালের কতজন ভারতীয় দাবাড়ু, এথল্যাট, বিজ্ঞানী, নোবেল, শেফ, রাজনিতিক বিশ্ববিখ্যাত হয়েছিলেন?
উত্তরদিতে দেরি হওয়ায় দুঃখিত।
মহাত্মা গান্ধী, হোসেন শহীদ সহরোয়ার্দী, জওহরলাল নেহরু বা বীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম এ সময়েরই। ইউরোপের নারীরা তো অনেক আগে থেকেই স্বাধীন। সেখানেই বা খ্যাতিমানদের তালিকায় তাদের খুজে পাওয়া যায় কোথায়। হাজার বছর আগেও ক্লিউপেট্রা কিন্তু ইতিহাসে তার জায়গা করে নিয়েছেন।

শারীরিক দুর্বলতা, প্রাকৃতিক কিছু কারণ, মানসিক কোমলতা (আমি একে দুর্বলতা বলবো না) এবং গড়পড়তা মেধার কারণে নারীরা পিছিয়ে আছে। কোন এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল নারীদের আইকিউ গড় পড়তা মানের এবং পুরুষরা কেউ কেউ সেদিক দিয়ে অনেক দুর্বল এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরুষরা উচ্চ আইকিউ এর পরিচয় দিয়েছে। ফল হল উভয়ের গড় প্রায় সমান হলেও নারীরা গড়পড়তা কাজে ভাল কিন্তু অতি উচ্চমানের দক্ষতা তাদের মধ্যে তেমন নেই।

অনেক নারীদেরকে দাবীয়ে রাখেন পুরুষরা সত্যি । আবার কর্মক্ষেত্রে বা ছাত্র জীবনে একজন পুরুষ বন্ধু তাদের যতটা সহযোগীতা করেন ততটা সহযোগীতা একজন নারী তার নারী বন্ধুর কাছ থেকে পান না।

মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রানী নারীর উপরে অত্যাচার করে তাদের দাসী বানিয়ে রাখে না। তাই প্রানী জাতীর সকল পুরুষই দেখতে সুন্দর এবং তারা নারীর মন পেতে অনেক কসরত করে যাতে নারী তাকে সঙ্গী হিসেবে গ্রহন করে।

বেশির ভাগ প্রানীর মধ্যে আমি এর উল্টোটাই দেখি। সিংহ, হাতী বা হনুমান বা যে সকল প্রাণী গোত্রবদ্ধ জীবন যাপন করে তাদের মধ্যে পুরুষের আধিপত্য প্রকট।

হ্যা মা হিসাবে নারী অসাধারণ এবং শুধুমাত্র এই্ একটি কারণে আর সব কারণ ছাপিয়া নারীরা পুরুষদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।আমি নারীদের ছোট করতে চাইনি শুধু নারী পুরুষের ক্ষেত্র যে আলাদা সেটা আলোচনা করতে চেয়েছি। আজ নারীরা না থাকলে পৃথিবীর চেহারা হতো রূঢ় এবং কদর্য।

কথা আছে না বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতুক্রোড়ে। যার যার নির্দিষ্ট জাগায় থাকলে সবাই শ্রেষ্ঠ।

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫১

নতুন বলেছেন: আরেকটা বিষয় হলো নারী পুরুষ দুজন মিলে একটা সম্পর্ন মানুষ।

একটা পুরুষ/নারীর শরীর+মন একজন নারী/পুরুষ সম্পর্ন করে।

তাই সংসার শুধু একজন পুরুষে যেমন পূর্ন হয় না তেমনি একজন নারীও একটা সংসার না।

তাই পুরুষ যদি নারীকে নিচু না ভাবে জীবন চলার সাথী ভাবে তবে উপরের এই বৈশম্যের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা দরকার হবেনা।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯

বিষাদ সময় বলেছেন: নারী পুরুষ একজন আরেকজনের পরিপূরক। কাজেই কাউকেই নীচু ভাবা উচিত না। কিন্তু আমাদের সমাজে নারীকে নিচু ভাবার বিশেষ একটা কারণ আছে, যে বিষয়টি নিয়ে প্রায় কেউ ই আলোচনা করেন না। পরবর্তীতে এ বিষয়ে একটি পোস্টে বিস্তারিত লিখবো। আর আপনার উপরের মন্তব্যের জবাব ফ্রি হলে দিবো।
পোস্টে এসে আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.