নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুব সাধারণ একজন মানুষ। বিনয়ে বলা সাধারণ নয়, সত্যিকারের সাধারণ। রূঢ় ভাষায় বললে \"গুড ফর নাথিং\"।

বিষাদ সময়

বিষাদ সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের উল্লাস এবং ইসরাইলী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ

২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৪৮

প্রথমেই জানাই ফিলিস্তিনীদের প্রতি গভীর সমবেদনা।

গত ৭ই অক্টোবর যখন হামাস ইসরাইলে হামলা করেছিল আমাদের অনেককেই বিজয় উল্লাস করতে দেখেছি। তখন কাউকে ইসরাইলের কোন নিরীহ মানুষ হতাহত হলো কিনা তা নিয়ে আশংকা প্রকাশ করতে দেখিনি বা কাউকে এর পরিণাম নিয়ে আতংকিত হতেও শুনিনি। এই হলো আমাদের বিবেক আর এটাই হল আমাদের দূরদর্শিতা। তখন একবারও কাউকে বলতে শুনিনি যে হামাস এসব করছে ইসরাইলের পরিকল্পনায়। সমন্ত কৃতিত্বই তখন হামাসের।

এখন ইসরাইল যেই নারকীয় হামলা শুরু করেছে এবার তাদের উল্লাস কান্নায় পর্যবসিত হয়েছে। সাথে শুরু হয়েছে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবিষ্কার। ইসরাইলীরা হামাসকে ট্রেনিং দিয়ে তারপর ইসরাইলে হামলা করিয়েছে। ২০১৪ সালেই হামাস ইসরাইলে সকল ট্যানেল নষ্ট করে দিয়েছে, এখন টানেল আসবে কোত্থেকে ব্লা, ব্লা। এরা সব কিছুতেই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খোজেন। নিজেদের কোন দোষ দেখেন না আর অপরের কোন গুন খোজেন না। কেউ ইসরাইলের বোতল খেয়ে ইসরাইলের গুণ গান, আবার কেউ হামাসের নেশায় মাতাল। সুস্থ চিন্তা এদের মাথায় আসে না। এমনকি নিজের ভাইয়ের মাথায় বাশের বাড়ি দিয়ে ফাটিয়ে অপরের দোষ দেন। কারণ ইহুদি নাসারারা বলেছে ভাইয়ের মাথা ফাটাতে তাই দোষ ইহদি নাসারাদের। আমার কোন দোষ নাই। সব ষড়যন্ত্র।

তাহলে কি ইসরাইল বা আমেরিকা ষড়যন্ত্র করে না, অবশ্যই করে। ভয়ঙ্কর ভযঙ্কর ষড়যন্ত্র করে। তবে তারা আর যা করুক নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করেনা। নিজের দেশের নিরীহ নাগরিক মেরে অন্যের দেশে হামলার অজুহাত তৈরী করে না। কারণ অন্য দেশের নাগরিক বিশেষ করে তাদের কাছে মুসলমানদের এক পয়সা দাম না থাকলেও নিজের দেশের খাটি নাগরিকদের মূল্য তাদের কাছে আপরিসীম। একটি উদাহরণ দিলে বুঝা যাবে: অনেক বছর আগে মার্কিনী এক মহিলা বাংলাদেশে আটক হয়েছিল মাদক পাচারের দায়ে। তার জন্য সে দেশের একাধিক সিনেটর তিনবার বাংলদেশে এসে দেন দরবার করে তাকে মুক্ত করে নিয়ে গেছে। আর একজন ইহুদির কাছে তো তাদের আরেক স্বজাতির জীবন সীমাহীন মূল্যবান। অজুহাত তৈরী করতে চাইলে তাদের হাজার রকম তত্ত্ব জানা, নিজেদের নাক কাটার দরকার নাই।

কাজেই যারা ভাবেন হামাসকে দিয়ে ইসরাইল তার অভ্যন্তরে হামলা করে তাদের নিজেদের হাজার হাজার নাগরিককে হত্যা করে ইসরাইল বা মধ্যপ্রাচ্য হামলার প্রেক্ষাপট তৈরী করেছে তারা কতটা বোকার স্বর্গে বাস করেন তা আমি বুঝে পাইনা। ইসরাইল যখন বলেছিল হমাস গাজার অভ্যন্তরে তৈরী টানেল থেকে এসে হামলা করেছে তখন একদল এ কথা উড়িয়ে দিয়ে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করেছেন। এখন একে একে জিম্মি মুক্ত হয়ে যখন টানেল এর বর্ণনা দিচ্ছে তখন তারা কিছুটা চুপ মেরেছেন।

আমার এ লেখার উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদের মর্মান্তিক মৃত্যুকে ছোট করা বা ইসরাইলের পৈশাচিক হামলাকে জাস্টিফাই করা নয় উদ্দেশ্য আমাদের অজ্ঞতা, একপেশে মানসিকতার দিকগুলোতে আলোকপাত করা। আমরা জটিল জটিল হিসাব করে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবিষ্কার করি কিন্তু বেসিক কনসেপ্ট গুলোকে রেখে দেই হিসাব নিকাশের বাইরে। কোন হুজুরকে যদি প্রশ্ন করা হয় মুসলমানদের এমন দুর্দশার কারণ কী? তবে তাদের সহজ উত্তর "কোরান, হাদীস থেকে দুরে সরে যাওয়া আর ইহুদি, নাসারাদের ষড়যন্ত্র।" সব জাতি এক হয়ে মুসলমানদের পিছনে লাগে কেন? কারণ সবাই মিথ্যা আর আমরা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা আছি এই এক ঘোরের মধ্যে। আমাদের সমস্যার বাস্তবতাটাই এখনো আমরা বুঝতে পারিনি, সমাধান তো দূর কি বাত।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:



গড় বাংগালীর মাথায় আন্তর্জাতিক ব্যাপারগুলোকে কম্পাইল করার মতো দরকারী সিপিইউ ও মেমোরী নেই।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:১০

বিষাদ সময় বলেছেন: সিপিইউ বা মেমোরী আনকের মাথায়ই আছে তবে বেশীর ভাগ বাঙালীর প্রোগ্রামগুলো লুপে পড়ে থাকে সেখান থেকে বের হয় না।

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: যুদ্ধ বন্ধ হোক , নারকীয় হত্যা বন্ধ হোক এটাই কামনা করছি।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৩৭

বিষাদ সময় বলেছেন: ফিলিস্তিনিদের বিভীষিকাময় অবস্থা কল্পনা করলেও কষ্ট লাগে। কিন্তু সহসাই্ এ যুদ্ধ বন্ধ হবে বলে মনে হয় না।

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকা হামাস কে ধ্বংস করে দিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩

বিষাদ সময় বলেছেন: শুধু ধ্বংস দিয়ে ধ্বংসই ডেকে আনা যায়। ফিলিস্তিন ইসরাইল খুব ভাল করে এটা বুঝছে। কাজেই ধ্বংসের আগে ভাল কিছু সৃষ্টির চিন্তা করতে হবে না হলে শান্তি আসবে না। ধন্যবাদ।

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:২৩

আমি নই বলেছেন: ভাই কোনো একটা ঘটনা ঘটলে ১০ জন ১০ ধরনের বিশ্লেসন করবে এটাই স্বাভাবিক। সবার পয়েন্ট অফ ভিউ এক হবেনা।

যাইহোক, আমার কাছেও ষরযন্ত্র তত্ত্বটা হাস্যকর মনে হয়। আমার মনে হয় ইসরাইল-আমেরিকা পুরো ঘটনাটা জানত, তারা ইচ্ছা করেই বাধা দেয় নাই। আপনি বলেছেন তবে তারা আর যা করুক নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করেনা। নিজের দেশের নিরীহ নাগরিক মেরে অন্যের দেশে হামলার অজুহাত তৈরী করে না। এই কথাগুলোর সাথে একমত না।

৭ অক্টোবরের আগেও হামাস অনেকবার রকেট ছুরেছে। কোনটা রাস্তায় পরেছে কোনোটা মাঠে পরেছে আর বেশির ভাগই আয়রনডোম ধংশ করেছে। কিন্তু কোনো হতাহত হয় নাই। ইসরাইলের ইচ্ছা থাকলেও ঐ সকল রকেট হামলা দেখিয়ে গাজায় ব্যাপক হামলার জন্য পশ্চিমা সমর্থন পেতনা এবং আক্রমন করেও নাই। ব্যাপক হামলার সমর্থন পাওয়ার জন্য অবস্যই কিছু ইহুদিদের মৃত্যু প্রয়োজন ছিল। যা দেখিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে খেপিয়ে তোলা যাবে এবং হয়েছেও তাই। হয়ত যা মারা গেছে তার চাইতে ১০ গুন বেশি প্রচার করে পশ্চিমা বিশ্বকে খেপিয়ে তুলেছে।

ইসরাইলের ফাস্ট রেসপন্ডাররা ১০ মিনিটে এবং আইডিএফ ২০ মিনিটের মাঝে দখলকৃত ভুমিসহ ইসরাইলের যেকোনো যায়গায় ডেপ্লয় হতে পারার সক্ষমতা আছে। কিন্তু ৭ তারিখে হামাস বর্ডারের বেড়া ভেংগে ঢুকে কোনো কোনো এরিয়ায় ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত অবস্থান করে নিরাপদে জিম্মিদের নিয়ে বের হয়ে গেছে। এর কোনো ব্যাখ্যা আছে আপনার কাছে? আমার ধারনা ইসরাইলের বর্ডার সিকুরিটির ব্যাপারে আপনাকে কোনো ধারনা দিতে হবেনা। সম্ভবত হামাসকে নিয়ে ষরযন্ত্র তত্ত্বের উদ্ভবটা এখান থেকেই হয়েছে।

এখানে আমার কাছে মনে হয়েছে ইসরাইল জানত, ওরা ওয়েইট করতেছিল কিছু ইহুদি নিহত হওয়ার, যেটাকে রংচং মাখিয়ে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করে গাজায় গনহত্যা শুরু করা যায়। মিশর হামলার পরদিন দাবী করেছে এরকম কিছু একটা হবে সেটার ব্যাপারে আগেই ইসরাইলকে সতর্ক করেছিল, ইসরাইল এই দাবী নাকচ করে নাই কিন্তু কোনো সতর্কতাও নেয় নাই। ওদের সেরা অস্ত্র ভিকটিম কার্ড প্লে করা, সেটাই করেছে।

আইডিএফ জিম্মিদের কি মনে করে সেটা জানতে হলে হ্যানিবাল ডিরেক্টিভ সম্পর্কে জানুন, তাহলে বুঝবেন আপনি যা ভাবতেছেন তা ভুল। ইসরাইল তার নাগরিক বিশেষ করে সেটেলারদের জীবন নিয়ে অতটা উতলা নয় যতটা আপনি ভাবছেন।

আইডিএফ কেমন আরো জানতে চাইলে Breaking The Silence দিয়ে ইউটিউবে সার্চ দ্যান। আইডিএফ ছেরে দেয়া ইসরাইলি সেনাদের চ্যানেল এটা। এখানে তারা কেন ইসরাইলের দখল নিতির বিরোদ্ধে তা নিয়ে কথা বলে।

অনেক কষ্ট করে লিখলাম আশা করি পুরোটা পড়ে রিপ্লাই দিবেন। সোনাগাজীর মত রিপ্লাই দিলে খারাপ লাগবে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫১

বিষাদ সময় বলেছেন: আমি কোন পোস্ট বা মন্তব্য না পড়ে মন্তব্য বা উত্তর দেই না। এ ব্যাপরে অন্য কারো রেফারেন্স না দিলেও চলতো।

ব্যাপক হামলার সমর্থন পাওয়ার জন্য অবস্যই কিছু ইহুদিদের মৃত্যু প্রয়োজন ছিল। যা দেখিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে খেপিয়ে তোলা যাবে এবং হয়েছেও তাই

ইসরাইলের ফাস্ট রেসপন্ডাররা ১০ মিনিটে এবং আইডিএফ ২০ মিনিটের মাঝে দখলকৃত ভুমিসহ ইসরাইলের যেকোনো যায়গায় ডেপ্লয় হতে পারার সক্ষমতা আছে। কিন্তু ৭ তারিখে হামাস বর্ডারের বেড়া ভেংগে ঢুকে কোনো কোনো এরিয়ায় ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত অবস্থান করে নিরাপদে জিম্মিদের নিয়ে বের হয়ে গেছে।

আপনার করা উপরের দুটো উক্তিতে মাথা খাটালেই আপনি আপনার যুক্তির অসারতা বুঝতে পারবেন। নিচের বিষয়গুলো আমি আপনি জানি অথচ পশ্চিমের সিআ্ইএ বা সেখানকার সচেতন মানুষ জানেনা। আমরা এসব যুক্তি বিশ্লষণ করে বুঝতে পারছি যে ইসরাই্ল নাটক করেছে আর সিআ্‌ইএ বা পশ্চিমের মানুষের ইসরাইলের নাটক বুঝার মতো বুদ্ধি নাই।
যদি বুদ্ধি থাকে তাহলে যারা ইসরাইলের নাটক দেখে ক্ষেপেছে তারা ইসরাইল দুটো ঢোলের বাড়ি দিলেও ক্ষেপে নাচতো হাজার হাজার মানুষ হত্যার নাটকের দরকার হতো না।

বিশ্বে প্রতিটি দেশ চেষ্টা করে তার নিজের দেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেত তারপরও দূর্ঘটনা ঘটে। কথিত আছে রেড স্কয়ারের নিরাপত্তা এমন যে এর উপর দিয়ে পাখিও উড়তে পারে না তার পরও সবার আজান্তে বিমান নিয়ে কোন ব্যক্তি নামতে পারে। পেণ্টাগনের সিকিউরিটি সিস্টেম ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয়া যায়। আমরিকার প্রেসিডেন্ট আততায়ির গুলিতে নিহত হয়। টুইন টাওয়ারে হামলা হয় ।ভারতের হোটেল তাজে আক্রমণ হয়।

মিশর হামলার পরদিন দাবী করেছে এরকম কিছু একটা হবে সেটার ব্যাপারে আগেই ইসরাইলকে সতর্ক করেছিল, ইসরাইল এই দাবী নাকচ করে নাই কিন্তু কোনো সতর্কতাও নেয় নাই। ওদের সেরা অস্ত্র ভিকটিম কার্ড প্লে করা, সেটাই করেছে।

এ রকম হাজার হাজার সতর্কবার্তার গোয়েন্দা তথ্য প্রতিদিন বিভিন্ন সংস্থার কাছে আসে। কোনটা তারা ইগনোর করে কোনটার ব্যাপারে স্টেপ নেয় । দূর্ঘটনা ঘটে গেলে তখন সেটা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
ইসরাইল যেমন হামাসের জন্য গোয়েন্দাগিরি করে এবং বিভিন্ন দেশের সাহায্য পায়। হামাস ও তেমনি ইসরাইলের উপর গোয়েন্দাগিরি করে এবং বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দাদের থেকে সহযোগীতা পায়। সেই ভিত্তিতে তারা প্লট তৈরী করে। এবার হামাসের এ ধরণের একটি প্লট সফলতার মুখ দেখেছে। এ ধরণের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে গেলে পাল্টা আঘাত হানতে সময় লাগে আর বিশেষ করে যদি তাদের হাতে জিম্মি থাকে।

আপনাদের বক্তব্য অনুয়ায়ী এ রকম হামলার নাটক সাজানো পিছনে ইসরাইলের মোটিভ হল গাজা দখল করা। তার জন্য তাদের একটা ধর্মীয় আনন্দের দিনে এ নাটক সাজাতে হবে। তাদের বুদ্ধি কি হাটুতে নেমে গেছে। ইসরাইল তো দূরের কথা কোন উন্নত রাষ্ট্র তার অভ্যন্তরে এ ধরণের একটি অনিয়ন্ত্রিত হামলার সাজানো নাটক তৈরী করার কথা কল্পনাও করবে না।

যাহোক আর বেশি কিছু লিখতে ভাল লাগছে না। হয়তো আপনার আমার মতের কোন দিনই মিল হবে না। ধন্যবাদ।

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:৪২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সময় উপযোগী এবং যুক্তিপুর্ণ লেখা। যুদ্ধের শুরু থেকে এসবই তো দেখে আসছি সুতরাং পোস্টের বিষয়বস্তুর সাথে দ্বীমত করার কোন সুযোগ নেই। আসলে আমাদের বাঙালীদের কাজ হচ্ছে, যে কোন ঘটনাকে গুজামিল দিয়ে নিজেদের দিকে ক্রেডিট নেওয়া এবং আস্ফলন ও আত্মতুষ্টিতে ভুগা।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

বিষাদ সময় বলেছেন: হুজুগে বাঙালি বলে তো কথাই আছে......এটা নতুন কিছু নয় আমাদের যুক্তির চেয়ে আবেগ শতগুন প্রখর। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:৫৫

নিমো বলেছেন: ব্লগের কিছু আবর্জনা জামায়াত, মুসলিম ব্রাদারহুড, হামাস একই পোটলার মাল জেনেও তারা জঙ্গি নয়, স্বাধীনতাকামী বলেন, তাতে অবাক না হয়ে পারি না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতও স্বাধীনতাকামী ছিল তবে পাকিস্তানের। তেমনি হামাস কাদের জন্য স্বাধীনতাকামী সেটাও বের হবে, তখন এসব নিলর্জ্জ হামাস সমর্থকরা মুখ লুকানোর গর্ত খুঁজে পাবে না।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার মন্তব্যের অর্থ আমার কাছে সুস্পষ্ট হয়নি, সেটা আমারই ব্যর্থতা। ভাল থাকবেন।

৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:৫১

শ্রাবণধারা বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন। আপনার পোস্টের শিরোনাম হওয়া উচিত ছিলো ইসরাইলী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ এবং বাঙালী মুসলিম মনস্তত্ত্ব :)

ব্লগে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ভাবে বিষয়টা ব্যাখ্যা করেছেন সেটা ঠিক আছে। তবে দুঃখিত হয়েছিলাম একজন যখন ইসরাইলের রাষ্টীয় দুষ্কর্মকে ঘৃণা করতে গিয়ে ইহুদী বিদ্বেষ ছড়াতে শুরু করলেন। সেই লোকের মত হল ইসরাইল আর ইহুদী সমার্থক।

আবার আর এক সিনিয়র ব্লগার, যিনি বেশ বয়বৃদ্ধ বিষয়টা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হামাসের গানের আসরে সাধারণ মানুষ হত্যা এবং হামলাকে ন্যায্যতা দেবার একটা প্রতিপাদ্য দাড় করলেন। পরে যখন দেখলেন প্রতিপাদ্যটা যুতসই হয়নি তখন যুক্তির পাল্লা ভারী করার জন্য দুটো ষড়যন্ত্রতত্ত্ব যুক্ত করলেন। এক হামাসের আক্রমণ একটি সাজানো আক্রমণ, দুই এটার পিছনে মার্কিন ডলারের সূচক বাড়ানোর বিষয় আছে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮

বিষাদ সময় বলেছেন: শিরোনাম লিখতে গেলে ইহকাল পরকাল কত কিছু যে ভাবতে হয় তা বলার মতো না। :)

নানাজনের নানা স্ব-বিরোধী ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দেখতে দেখতে পোস্টটা লিখতে বাধ্য হলাম। কতটুকু যুক্তিপূর্ণ কথা বলতে পেরেছি জানিনা।তবে নিজের যুক্তিগুলো প্রকাশ করতে পেরেছি এতেই খুশি।

সাথে থাকায় ধন্যবাদ।

৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৪:০১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি নই - এভাবে ষড়যন্ত্র তত্ব দিয়ে কিন্তু অনেক কিছুই অনেকভাবে বিশ্লেষণ করা যায়, কিন্তু দিন শেষে ওসব কল্পনাই থেকে যায় কারণ এসবের পিছনে সঠিক কোন প্রমাণ আমরা পাই না।

আচ্ছা ধরে নেই ঘটনাটি ইসরাইল এবং হামাস বাহিনীর যৌথ সাজানো একটি গেম, তাহলেও কিন্তু অনেক প্রশ্ন রয়ে যায় যেমন- এই ঘটনায় কিন্তু দুই পক্ষ মানে ইহুদি এবং মুসলিম দু পক্ষেরই লোক মারা গিয়েছে বা যাচ্ছে, তার মানে ঘটনাটি যখন প্ল্যান করা হলো তখন ইসরাইল জানতো তাদের বেশকিছু ইহুদি নাগরিক মারা যাবে। আপরদিকে হামাস বাহিনি যাদের সবাই মুসলিম তারাও জানতো ইসরাইলের আক্রমনে হাজার হজার মুসলিম নাগরিক মারা যাবে। এখন কথা হচ্ছে- একজন ইহুদির পক্ষে যেনে বুঝে ইচ্ছে করে নিজেদের হাজার হজার নিরাপরাধ ইহুদি জনগনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে কি না? প্রতিটি ধর্মেই কিন্তু ইচ্ছে করে বিনা অপরাধে একজন মানুষ হত্যা করাও অনেক বড় অপরাধ। যুদ্ধের ময়দানে শত্রু হিসেবে হাজার হজার মানুষ মারা আর জেনে বুঝে ইচ্ছে করে একজন নিরাপরাধ মানুষ মারার মধ্যে কিন্তু পার্থক্য আছে। তো একজন ইহুদির পক্ষে নিজ জাতির হাজার হাজার নারী পুরুষ হত্যা করে কি ফায়দাটা হবে একটু শুনি? এই নাটক ঘটিয়ে ইজরাইল পুরো গাজা দখল করতে পারবে সে জন্য? ধরে নিলাম এই নাটক সাজিয়ে ইসরাইল পুরো গাজা দখল করে নিলো, তাতে যে ইহুদি এই গেম প্ল্যানটি সাজিয়েছে তাতে তার ব্যক্তিগত কি লাভটা হলো একটু শুনি? ১০/২০ বছর পর তো সে এমনিতেই মারা যাবে তখন তার প্রয়োজন হবে মাত্র ৩ ফিটের মত একটু জায়গা। আপনি আমাকে যুক্তি দেখান - কিভাবে একজন ইহুদি জেনে বুঝে ইচ্ছে করে হাজার হজার নিরাপরাধ ইহুদিকে মারার প্ল্যান করতে পারে, ফর নাথিং। বিষয়টা বিশ্বাস যোগ্য হতে পারতো যদি মারা যাওয়া ১৪০০ ইসরাইলি সবাই মুসলিম হতো কারণ এক ধর্মের মানুষ সাধারণত অন্য ধর্মের মানুষকে ঘৃণা করে তাদের মৃত্যুতে কিছু যায় আসে না মনে করে। মারা যাওয়া ১৪০০ ইসরাইলীর সবাই যদি মুসলিম হতো তাহলে হয়তো ধরে নিতে পারতাম যে এই গেম প্ল্যানে একজন ইহুদির হাত থাকা অসম্ভব কিছু নয়। সুতরাং একজন ইহুদির পক্ষে বিনা কারণে ১৪০০ জন নিরাপরাধ ইহুদিকে মারার প্ল্যান করা সম্ভব নয়। বিষয়টা এমন নয় যে পুরো গাজা দখল করে পরিকল্পনাকারীর ছেলে মেয়ের নামে অথবা নিজের নামে পুরো গাজা লিখে নেয়া সম্ভব, তাহলে হয়তো ধরে নিতে পারতাম সম্পত্তির লোভে হয়তো সে নিজের জাতিকে নিজেই খুন করার পরিকল্পনা করেছে। গাজা দখল হলে গাজা ইসরাইলের সাথে যুক্ত হবে কোন ব্যক্তির নামে নয়। সুতরাং বিনা কারণে একজন ইহুদির পক্ষে ১৪০০ জন নিরাপরাধ ইহুদিকে খুন করার পরিকল্পনা, কল্পনাই মাত্র এটা সত্যা হতে পারে না।

এবার আসি হামাস গোষ্ঠীর বিষয়ে- শিয়া হোক, সুন্নী হোক আর যাই হোক হামাস গোষ্ঠী হচ্ছে একটি মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী। জঙ্গি হোক আর যাই হোক কিন্তু তরা মুসলিম, তো আপনি আমাকে যুক্তি দেখান ঠিক কি এমন লোভের কারণে একজন মুসলিম ৭ হাজার মুসলিম নর-নারী হত্যার পিছনে পরিকল্পনা করতে পারে? এতে হামাস গোষ্ঠীর লাভ কি? উপরে ইহুদি নিয়ে যে যুক্তি দেখিয়েছি ঠিক একই যুক্তি এই হামাস গোষ্ঠীর সাথেও যায় তাই আর বিস্তারিত লিখলাম না। হামাস কি এমন পেলো যে তাকে ৭ হাজার নিরাপরাধ মুসলিম নর-নারীকে হত্যার পিছনে পরিকল্পনা করতে হবে? এতে হামাস গোষ্ঠীর লাভ কি?

উপরে আমি যে যুক্তিগুলো দেখালাম এগুলো সব ধর্মীয় বা ফিলোসোফিক্যাল যুক্তি এর বাইরেও রাজনৈতিক যুক্তি রয়েছে যেখানে অনেক প্রশ্নের হদিস পাওয়া যায় না।

Why some people are willing to believe conspiracy theories

আসলে ষড়যন্ত্রতত্ব দিন শেষে মানুষকে বোকার সাগরেই ভাসিয়ে রাখে। তবে রাজনীতিতে এমন ন্যাক্বারজনক ঘটনা যে ঘটনো হয় না তা বলছি না, কিন্তু এর পিছনে যুক্তি থাকতে হবে তো। কমেন্টে আপনি যে যুক্তিগুলো দেখিয়েছেন তার উত্তর রয়েছে হয়তো সব উত্তর আমরা জানিনা কিন্তু তাই বলে সবকিছু ষড়যন্ত্রতত্ব দিয়েই বিচার করতে হবে, বিষয়টি এমন নয়।

ধন্যবাদ।






২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:১১

বিষাদ সময় বলেছেন: পল্টাযুক্তি উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৪:০৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হামাস হচ্ছে জঙ্গি, হামাসের পক্ষে যারা হাউকাউ করছে, তারা হচ্ছে জঙ্গি মানসিকতার। আর এখন যারা হামাসকে ঠেলে ইসরাইলের পক্ষে দিতেছে, হেডি হচ্ছে সুবিধাবাদী। B-)

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪

বিষাদ সময় বলেছেন: হামাস জঙ্গি এ কথা ঠিক তবে এসম্পর্কে সবচেয়ে ভাল লেগেছে আমার জাতিসংঘের মহসচিবের বক্তব্যটি। আসা করি তা আপনার চোখে পড়েছে। ধন্যবাদ।

১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৪:১০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: "সুবিধাবাদী বুদ্ধীজীবি" হবে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪

বিষাদ সময় বলেছেন: ওকে.....

১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০

বিষাদ সময় বলেছেন: খুব ব্যস্ত থাকায় এই মুহুর্তে সবার মন্তব্যের জবাব দিতে পারছি না বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। একটু ফ্রি হলে জবাব দিবো।

১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩০

আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার করা উপরের দুটো উক্তিতে মাথা খাটালেই আপনি আপনার যুক্তির অসারতা বুঝতে পারবেন। নিচের বিষয়গুলো আমি আপনি জানি অথচ পশ্চিমের সিআ্ইএ বা সেখানকার সচেতন মানুষ জানেনা। আমরা এসব যুক্তি বিশ্লষণ করে বুঝতে পারছি যে ইসরাই্ল নাটক করেছে আর সিআ্‌ইএ বা পশ্চিমের মানুষের ইসরাইলের নাটক বুঝার মতো বুদ্ধি নাই।
যদি বুদ্ধি থাকে তাহলে যারা ইসরাইলের নাটক দেখে ক্ষেপেছে তারা ইসরাইল দুটো ঢোলের বাড়ি দিলেও ক্ষেপে নাচতো হাজার হাজার মানুষ হত্যার নাটকের দরকার হতো না।


সিআইএ কি আমেরিকার বাহিরে?? আপনি একটু মন দিয়ে আমার মন্তব্য পড়লে দেখতেন আমি দ্বিতীয় প‌্যারাতেই বলেছি আমার মনে হয় ইসরাইল-আমেরিকা পুরো ঘটনাটা জানত, তারা ইচ্ছা করেই বাধা দেয় নাই। আর যুক্তির অসারতা বুঝাতে হলে যুক্তি দিতে হয়। কষ্ট করে অত বড় রিপ্লাই না দিয়ে দুই লাইনে বললেই পারতেন আইডিএফ বা ফাস্ট রেস্পন্ডাররা চুপ করে ছিল কেন। লজিক্যাল হলে মেনে নিতাম।

বিশ্বে প্রতিটি দেশ চেষ্টা করে তার নিজের দেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেত তারপরও দূর্ঘটনা ঘটে। কথিত আছে রেড স্কয়ারের নিরাপত্তা এমন যে এর উপর দিয়ে পাখিও উড়তে পারে না তার পরও সবার আজান্তে বিমান নিয়ে কোন ব্যক্তি নামতে পারে। পেণ্টাগনের সিকিউরিটি সিস্টেম ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয়া যায়। আমরিকার প্রেসিডেন্ট আততায়ির গুলিতে নিহত হয়। টুইন টাওয়ারে হামলা হয় ।ভারতের হোটেল তাজে আক্রমণ হয়।

ইসরাইলের বর্ডার সিকুরিটি সম্পর্কে নুন্যতম ধারনা থাকলে এই কথা গুলো বলতে পারতেন না। হামাস কেন, অনেক বড় শক্তিশালী বাহিনি হলেও শুধুমাত্র বর্ডারের বেড়া ভেংগে ঢুকতেই দিনের পর দিন লাগার কথা (অন্তত আইডিএফের দাবী অনুযায়ী)। ইসরাইলের বর্ডার বাদ দ্যান, মিডিয়াম সিকুরিটি এরিয়ায় ভারতের তারকাটার বেড়ার কাছে যাইয়েন আপনাকে সুন্দর করে আদর করবে।
তাছারা আপনার উল্লেখিত কোনো ঘটনার সাথেই এই ঘটনার কোনো তুলনাই হয় না, আপনার উল্লেখিত মোটামুটি সবগুলোই বলা যায় আত্বঘাতিরা সংঘটিত করেছিল, অন্তত ওরা জানত ওদের বাচার সম্ভাবনা কম। আর হামাস ইসরাইলে ঢুকে ৫-৬ ঘন্টা অবস্থান করে, জিম্মি নিয়ে নিরাপদে বের হয়ে গিয়েছিল। কেমনে??

আপনাকে একমত হতেই হবে এই দাবী করি নাই। আপনার মতের পক্ষের যুক্তি গুলো জানতে চেয়েছিলাম। আপনার যুক্তি যদি হয় কথিত বিষয়ের উপর বেজ করে, তাহলে তা জানার ইচ্ছা আমারো নাই। ভাল থাকবেন।

১৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

আমি নই বলেছেন: @জ্যাক স্মিথ - আমি ষড়যন্ত্র তত্বের পক্ষে কিছু বলি নাই, ষড়যন্ত্র তত্ব মানিও না। সুতরাং হামাস-ইসরাইল মিলে করেছে বা কেন করেছে এ ব্যাপারে আমার আইডিয়া নেই। আমি আইডিএফ+ফাস্টরেসপন্ডারদের ডেপ্লয়মেন্ট সম্পর্কিত একটা প্রশ্ন করেছিলাম। যেহেতু উত্তর দিলেন আপনার উচিত ছিল আগে ঐ প্রশ্নের উত্তর দেয়া।

আমার প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর হতে পারত-
১। ইসরাইল জানত তাই বর্ডার দুর্বল রেখেছিল। যার কারনে হামাস ৫-৬ ঘন্টা থাকতে পেরেছিল এবং জিম্মিদের নিয়ে নিরাপদে বের হতে পেরেছিল।
২। ফাস্ট রেসপন্ডার এবং আইডিএফ কুইক ডেপ্লয়মেন্টের সক্ষমতার যে গর্ব ইসরাইল করে তা ফেক। যার কারনে হামাস ৫-৬ ঘন্টা থাকার পরেও আইডিএফ বা ফাস্ট রেসপন্ডাররা কিছুই করতে পারে নাই।
৩। ইসরাইলিরা যারা দাবী করতেছে হামাস ৫-৬ ঘন্টা ছিল, তারা মিথ্যা বলতেছে। হামাস আসলে ১০-২০ মিনিটের মাঝেই ২০০+ জিম্মি ধরে নিয়ে গেছে।

এর বাহিরে আর কোনো ব্যাখ্যা আপনার মাথায় থাকলে বলেন।

এবার আসি আপনার প্রশ্নে। আমার আগের মন্তব্যেই উত্তরটা আছে। আপনার জন্য আবার দিলাম।

৭ অক্টোবরের আগেও হামাস অনেকবার রকেট ছুরেছে। কোনটা রাস্তায় পরেছে কোনোটা মাঠে পরেছে আর বেশির ভাগই আয়রনডোম ধংশ করেছে। কিন্তু কোনো হতাহত হয় নাই। ইসরাইলের ইচ্ছা থাকলেও ঐ সকল রকেট হামলা দেখিয়ে গাজায় ব্যাপক হামলার জন্য পশ্চিমা সমর্থন পেতনা এবং আক্রমন করেও নাই। ব্যাপক হামলার সমর্থন পাওয়ার জন্য অবস্যই কিছু ইহুদিদের মৃত্যু প্রয়োজন ছিল। যা দেখিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে খেপিয়ে তোলা যাবে এবং হয়েছেও তাই। হয়ত যা মারা গেছে তার চাইতে ১০ গুন বেশি প্রচার করে পশ্চিমা বিশ্বকে খেপিয়ে তুলেছে।

একটা কথা মাথায় রাখবেন এটা আমার ধারনা, আমার ধারনার পক্ষে যুক্তি দিয়েছি। আপনার কাছে অন্য যুক্তি থাকলে সেটা দিন, লজিক্যাল হলে মেনে নিতে আপত্বি নাই।

জ্যাক স্মিথ বলেছেন আপনি আমাকে যুক্তি দেখান - কিভাবে একজন ইহুদি জেনে বুঝে ইচ্ছে করে হাজার হজার নিরাপরাধ ইহুদিকে মারার প্ল্যান করতে পারে, ফর নাথিং।

এই ফর নাথিং বুঝতে হলে আগে এটা বুঝতে হবে দুনিয়ার হাজার হাজার স্বর্গের মত জায়গা থাকতে জায়নিষ্টরা চারিদিকে শত্রুরাষ্ট্রে ভরা একটা যায়গাকেই বেছে নিল কেন? আগে জেরুজালেমে মুসলিম, খৃস্টান, ইহুদিরা এক সাথে বসবাস করলেও কখনোই এখনকার মত অশান্তির ইতিহাস পাওয়া যায়না। অশান্তির শুরুটাই হয় যখন থেকে জায়ানিজম এর আবির্ভাব ঘটে, জায়নিষ্টরা বিলিভ করে পুরো প্যলেস্টাইন কিং ডেভিডের কিংডম ছিল, তাই এর পুরোটাই তাদের চাই। তারা আরো বিলিভ করে আল-আকশা মসজিদের যায়গায় থার্ড টেম্পল নির্মান এবং দুনীয়ার সব ইহুদি ইসরাইলে না আসলে তাদের মসীহের আবির্ভাব ঘটবেনা। ইহুদিদের মসীহা দুনীয়ার এসে সবাইকে কচুকাটা করে ইসলাইলিদের রাজত্ব কায়েম করবে।

জায়নিষ্টরা তাদেরর মসিহের জন্য শুধু ২০০-৪০০ নয় লাখ লাখ ইহুদিকে কোরবানি দিতেও রাজী আছে। সুতরাং ফর নাথিং ধারনাটাই ভুল। মধ্যপন্থী এবং অর্থডক্স ইহুদিরা জায়নিষ্টদের সাথে একমত নয় সে কারনেই তারা ফ্রী প্যলেস্টাইন, সিজ ফায়ার ইত্যাদী নিয়ে বিক্ষোভ করতেছে। তাদের বিশ্বাস মসীহ দুনিয়ায় এসে নিজেই ইসরাইল রাষ্ট্র ঘোষনা করে সকল ইহুদিকে ইসরাইল নিয়ে যাবেন। আপনি ধর্মহীন মানুষ, এগুলো আপনার মাথায় কি যাবে?

হামাসের ব্যাপারে আপনার আজকের মন্তব্য দেখে আমি অবাক.....
যাইহোক, আমার দৃষ্টিকোন থেকে হামাস দুইটা লাভ দেখেছিল
১। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিকরনে বাধা দেওয়া।
২। সেটেলারদের মাঝে ভয় ঢুকানো।

হামাস দুইটাই পেয়েছে কিন্তু এর জন্য যে মুল্যটা দিতে হচ্ছে এতটা মনে হয় হামাস নেতারাও কল্পনা করেনি।

জ্যাক স্মিথ, দুনিয়ার সবচাইতে সহজ কাজ হচ্ছে বোকার মত প্রশ্ন করা, একটু কঠিন হচ্ছে বুদ্ধিমানের মত প্রশ্ন করা আর সবচাইতে কঠিন হচ্ছে প্রশ্নের উত্তর খোজা। আপনি নিজেকে বুদ্ধিমান দাবী করেন, আপনার উচিত প্রশ্নের উত্তর খোজা।

আপনি একটু কষ্ট করলেই দেখতে পাবেন ইসরালী ট্যাক্সপেয়াররা ৭ তারিখে আইডিএফের ভুমিকা নিয়ে কি ভাবছে। আপনি অবাক হবেন ওরাও আইডিএফের ভুমিকা নিয়ে সন্দিহান। আইডিএফের কাজই যেকোনো পরিষ্থিতিতে সেটেলারদের নিরাপত্তা দেয়া, সেদিন ওরা কোথায় ছিল? এই প্রশ্নটা ট্যাক্সপেয়ার ইসরালীরাও তুলছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.