নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি লেখক হতে চাই না, কলম হব ভাই। আমি আমার কালিতে তোমাদের রাঙাতে চাই।”

অলিউর রহমান খান

আসসালামু আলাইকুম। আমি অলিউর রহমান খান। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছি। আমি গল্প, কবিতা, উপন্যাস ইত্যাদি খুবই পছন্দ করি যে কারণে ব্লগিংয়ে যোগদান করা। সবাইকে আমার ব্লগে স্বাগতম। ফেইসবুক: Aliur Rahman Khan

অলিউর রহমান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাজের তিন ধরনের পুরুষ মানুষ

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২০



আমাদের চারপাশে বিভিন্ন রঙের, বিভিন্ন জাতের, বিভিন্ন প্রকৃতির পুরুষ মানুষ আছেন। তাদের মধ্য ৩ ধরনের পুরুষ মানুষ বেশী পাওয়া যায়।

- এক দল পুরুষ মানুষ আছেন যারা অভাবী, টেনেটুনে কোন রকমে সংসার চালান। কিন্তু তাদের স্ত্রীরা যখন কোন কিছু আবদার করে, সেটা তারা যতটুকু সম্ভব পূরণ করার চেষ্টা করেন। কারণ তারা তাদের প্রিয়তমার হাসির মাঝেই সুখ খুজে পান। হয়তো তাদের প্রাচুর্য নেই কিন্তু তাদের মনের বিশালতা আছে।

- আরেক দল পুরুষ আছেন, যাদের টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ অনেক কিছুই আছে কিন্তু তারা সংকীর্ণ মনের অধিকারী। তাদের ধন আছে কিন্তু মন নেই। তারা ভাবেন, বউ তো আর বিশেষ কোন মানুষ বা প্রেমিকা নয়, যে তার পিছনে শুধু শুধু টাকা খরচ করে অপচয় করতে হবে। তারা তাদের স্ত্রীর পিছনে খরচ করাকে অপচয় ভাবেন। তারা শুধু তাদের বউকে সাথে রেখেছেন সমাজের চাপে পড়ে, বলতে গেলে একরকম বাধ্য হয়েই। কিন্তু স্ত্রীদের প্রতি তাদের মনে ভালোবাসার ছিটেফোঁটাও নেই। তারা যে স্ত্রীদের সাথে ভালোবাসার অভিনয় করে জীবন পার করছেন সেটা আর কেউ না বুঝতে পারলেও তাদের স্ত্রীরা ঠিকি বুঝেন। তারা সবকিছু শুধু মুখ বুজে সহ্য করে যাচ্ছেন সংসার বাঁচানোর জন্য। সামাজিকতা রক্ষায় শুধু এক ছাদের নিচে বাধ্য হয়ে অবস্থান করা যা বুঝায় সেটাই। তাদের সম্পর্ক এর চেয়ে বেশী কিছু নয়।

- আরেক ধরনের পুরুষ মানুষ আছেন, যাদের বউ ১টি জিনিসের কথা বললে তারা ৭টা জিনিস নিয়ে হাজির হন। যদি তারা ১ টাকা দামের কোন কিছু চান তবে তারা ৭ টাকা দামের জিনিস ক্রয় করেন। স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্যর পালনের মাধ্যমে অনেক পুরুষের হৃদয় শীতল হয়। তারা ধনীও হতে পারেন আবার গরীবও হতে পারেন। অল্পতে অনেক পুরুষের মন ভরে না। তারা স্ত্রীর আনন্দের মাঝেই নিজের আনন্দ খুজে পান। আসলে এখানে প্রধান বিষয় হল মনের, টাকার নয়। এসবকে অপচয় মনে করে আবার তাদের স্ত্রীরা অনেক সময় চিল্লা চিল্লি করে থাকেন। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তারা স্বামীদের প্রতি অসন্তুষ্ট নন, বরং খুশিই হয়ে থাকেন। স্বামীর কাছে স্ত্রীর গুরুত্ব কতটুকু সেটা প্রকাশ পায় একজন পুরুষের আচার-ব্যবহারে। আসলে প্রকৃত সুখী তো তারাই, যারা একে অপরের সুখের মাঝে নিজের সুখ খুজে পায়।

শুধু যে কোন মূল্যবান জিনিস ক্রয় করে বা টাকা-পয়সা খরচ করে ভালোবাসা প্রমাণ করতে হবে সেটা নয়। তবে এ ছোট ছোট বিষয়গুলো যে জীবনের অংশ সেটা মনে রাখতে হবে। এসব ছোট ছোট বিষয় থেকেই কারো মন ভাঙ্গে আবার কারো হয় সূর্যদয়। আপনার স্ত্রীকে জীবনে আপনি কী দিলেন আর না দিলেন সেটার চেয়েও একজন নারীর কাছে বড় বিষয় হল আপনি তার সুখের জন্য কতটুকু চেষ্টা করেছেন। জীবনে চলার পথে তাকে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছেন। বেশীর ভাগ নারীরাই সম্মান চায়, গুরুত্ব চায়, ভালোবাসা চায়, চায় একটু ভালো ব্যবহার। আপনাদের ভেতরে যদি সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ না থাকে তবে আপনি কেমন মানুষ? সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ মানুষের প্রতি সদাচরণ, চরিত্র গঠন, নীতি-নৈতিকতা এবং একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হয়ে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। জীবনে শৃঙ্খলা আনে এবং মানুষকে পরিপূর্ণ হতে সাহায্য করে। এসব জিনিস শুধু জানার বিষয় নয়, চর্চার বিষয়। কাজে পরিণত করার বিষয়।

চাহিদা যেহেতু জীবনের অংশ, সেটা তো সামনে আসবেই। যতটুকু সম্ভব আপনি তা পূর্ণ করার চেষ্টা করবেন সেটাই তো স্বাভাবিক বিষয় ছিল। কিন্তু এই বিষয়টাকেই অনেক পুরুষরা অস্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছেন। যদি না পারেন, কম করে হলেও তাদের আবদার পূরণ করার চেষ্টা করুন। মাঝে মাঝে নিজে থেকে তাদের জন্য কেনাকাটা করুন। দামী উপহারে চেয়ে আপনার আন্তরিকতা ও সহমর্মিতা তাদের কাছে বেশী মূল্যবান। অন্তত কিছু দিতে না পারেন, তাদের সাথে হাসি মুখে কথা বলুন। আপনার একটি সুন্দর হাসি তাদের কাছে হয়তো কোটি টাকার চাইতেও বেশী দামী। কিন্তু যে পুরুষ তার স্ত্রীর চাহিদার প্রতি গুরুত্ব দেয় না, স্ত্রীদের চাওয়া-পাওয়ার কোন মূল্যই তাদের কাছে নেই; সে সমস্ত পুরুষরা বেঁচে আছেন ঠিকি কিন্তু তাদের মনে না আছে কোন আনন্দ আর না আছে কোন অনুভূতি। তাদের ভেতরে মায়া-মমতা, ভালোবাসা কোন কিছুই নেই। অথচ ন্যায়বোধ, কর্তব্যবোধ, শৃঙ্খলাবোধ, শিষ্টাচার, সদাচরণ, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা ও সহানুবর্তিতা হলো আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ। এসব সামাজিকতা সম্পর্কে যারা বুঝতে চায় না তারা সামাজিক জীবের অন্তর্গত নয়। তারা সমাজের বাহিরের মানুষ। তাদের না আছে বিবেক, আর না আছে মনুষত্ব্য।

নারীরা এক বুক আশা, বিশ্বাস, ভরসা, ভালোবাসা এবং দু’চোখ ভরে স্বপ্ন নিয়ে বাবার বাড়ি ছেড়ে এসেছিলেন সুন্দর একটি জীবনের খুজে। কিন্তু আজ সুখের বদলে তাদের কপালে জুটেছে এক আকাশ হতাশা। সুখের পেছনে ছুটতে ছুটতে তারা আজ বড়ই জীর্ণশীর্ণ, ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। রাতের পূর্ণিমার চাঁদের আলোকে অনেকের কাছে আজ দূসর, কালো, অন্ধকার মনে হয়। হতাশার অন্ধকারে জীবন প্রদীপ নিভে যেতে চায়। তখনই আঁধার রাত ভেদ করে পূব আকাশে সূর্য উঠে। শিশির ভেজা ভোর সকালের নিভু নিভু আলো দেখে অনেকেই ক্লান্তি চোখে পৃথিবীর সমস্ত শক্তি এক করে নতুন প্রত্যয়ে উঠে দাঁড়ায়। তারা নতুন করে স্বপ্ন দেখে সুন্দর এক আগামীর। স্বপ্ন দেখে সুন্দর এক পাখি ডাকা ভোরের। যে ভোর তাদের সমস্ত ক্লান্তি আর অবসাদ দূর করে এনে দিবে স্বপ্নীল এক সকালের। সে সূর্যদয়ের নিশ্চয়তা নেই তবু আশা নিয়ে বেঁচে আছে পৃথিবীর হাজারো মানুষ। বেঁচে আছে কোটি প্রাণ.....

একজন প্রিয় মানুষের চেয়েও যদি আপনার কাছে অর্থটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়; তবে তো আপনি মানুষ নন; আপনি জড়পদার্থের ন্যায় প্রাণহীন একটি বস্তু। আপনার অস্তিত্ব আছে ঠিকি কিন্তু জীবন নেই, নেই কোন অনুভূতি। আর যাদের মাঝে ভালোবাসা নেই, মায়া-মমতা নেই, নেই কোন অনুভূতিই; তারা আর যাই হোক মানুষ হতে পারে না।

©️ছবি: ইন্টারনেট।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

There is no husband in the world who is good to his wife and
there are no wife in the universe who is good to her husband.


এটা আমার মনগড়া কথা না,এটা মনীষীদের কথা। আবার হুমায়ূন আজাদ বলেছেনঃ
পৃথিবীজুড়ে প্রতিটি নরনারী এখন মনে করে তাদের জীবন ব্যর্থ;
কেননা তারা অভিনেতা বা অভিনেত্রী হতে পারেনি।


২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৮

অলিউর রহমান খান বলেছেন: জনাব, কথাগুলো সত্য তবে পুরোপুরি সত্য নয়। এখনও অনেক নারীই আছেন এবং অনেক পুরুষই আছেন তারা তাদের কাছে ভালো। আমার নিজের দেখাই কয়েকটি পরিবার রয়েছে। তাদের বয়স হয়েছে কিন্তু না কমেছে প্রেম আর না কমেছে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। তবে এর পরিমাণ অল্প এটা সত্য। ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কোন ধরনের পুরুষ?

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৫

অলিউর রহমান খান বলেছেন: ভাই সত্যি কথা হল নিজেকে সবাই ভালই মনে করে। তাই এর উওর যদি আমি নিজে দেই তাহলে সঠিক উওর আপনি কখনোই জানতে পারবেন না। আমি যে কেমন পুরুষ হব সেটা তখনই বুঝতে পারব যখন আমি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হব। এখন বলা কঠিন। তবে আমি নিজেকে এসব বিষয়ের জন্য প্রস্তুত করে নিচ্ছি এটা সত্য। ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৩

খাঁজা বাবা বলেছেন: এক আর তিন তো একই রকম
নারীরা কত প্রকার?

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১০

অলিউর রহমান খান বলেছেন: না ১ এবং ৩ অভিন্ন। এক যারা দরিদ্র টাকা পয়সা নাই কিন্তু মনটা বড়। ৩ হল টাকাও আছে মনও আছে। ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বাস্তবতা বড় কঠিন সবার জন্যই।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৮

অলিউর রহমান খান বলেছেন: জ্বী জনাব কঠিন। জীবন কথনো সহজ ভাবে আমাদের সামনে আসবে না। তবে ধৈর্য্যর মাধ্যমে আমরা জীবনকে সহজ করে নিতে হবে। তা না হলে জীবনের নাম হয়ে যাবে কারাগার। ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: মেয়েদেরও অনেক প্রকারভেদ করা যায়। এভাবে পারমুটেশন কম্বিনেশন করার কোন মানে কী হয়?

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৬

অলিউর রহমান খান বলেছেন: জনাব, আমি যা লিখেছি আমার চার পাশের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই লিখেছি। মাঝে মাঝে শ্রেণীবিন্যাসের দরকার আছে। নারীদের প্রকারভেদ থাকলেও সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, অপমানিত সব থেকে নারীরাই বেশী হয়। সে ক্ষেত্রে পুরুষরা এসবের মুখোমুখী খুব একটা হতে হয় না।
আমার চোখের সামনে ঘটনাকে কেন্দ্র করেই লিখাগুলো লিখা। অনেক স্বামী আছেন সমাজে যারা স্ত্রীদের পেছনে খরচ করাকে অভিশাপ মনে করেন। আসলে এটা আমি ফেইসবুকে শেয়ার করেছিলাম যেন তারা পোষ্টি দেখতে পায়। তারা আমার অন্যান্য পোষ্টে লাইক দিলেও এ পোষ্টে দেয়নি। কারণ তারা জানে তারা যে স্বামী নামের আসামী। ধন্যবাদ।

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০০

রানার ব্লগ বলেছেন: মানুষের ভেতরে বিচিত্রতা আছে বলেই মানুষ এতো আকর্ষনিয় !

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২০

অলিউর রহমান খান বলেছেন: সত্য বলেছেন। কেউ মানুষ হয়ে সবার অন্তরে বেঁচে থাকে আবার কেউ মরে পশু হয়ে। মানুষ বড়ই আজব প্রাণী। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.