নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মনোযোগী পাঠক ।

রানা আমান

রানা আমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ আসুক সবার ঘরে ।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ছোটবেলায় আমাদের পাড়ায় একটিই মসজিদ ছিলো , সে মসজিদের ইমাম সাহেবকে আম্মা অনুরোধ করেন আমি ও আমার বোনকে আরবী শেখাতে । উনার কাছেই আমাদের আরবী পড়া শেখা শুরু করা থেকে কোরআন শরীফ পড়া পর্যন্ত । পরবর্তিতে আরও তিনটে মসজিদ গড়ে উঠে আমাদের পাড়ায় । একসময় সেই ইমাম সাহেবকে মসজিদ কমিটি বিদায় দিয়ে (অথবা উনি নিজেই চলে গিয়ে থাকতে পারেন ) নতুন আরেকজন ইমাম সাহেবকে মসজিদে নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব দেন । পুরনো ইমাম সাহেব চলে যান উনার গ্রামের বাড়িতে , (আমাদের শহরের পাশেই সে গ্রাম ) সেখানেই এক মসজিদে ইমামতি করছেন আজো । আমাকে খুব স্নেহ করতেন উনি , আমাদের শহর থেকে চলে যাবার পরও মাঝেমাঝেই আসতেন আমাদের বাসায় , আমি কেমন আছি , কোথায় আছি খোঁজখবর নিতেন আম্মার কাছে । আব্বা মারা যাবার পর আম্মা উনাকে খবর দিয়ে ডেকে এনে শেষ গোসল ও জানাযার নামাজের ইমামতির দায়িত্ব ও দেন । এরই মাঝে একদিন আম্মার বাসায় দেখা ওনার সাথে , বিদায় নেয়ার সময় আমাকে অনুরোধ করলেন , "বাবা যদি পারো ঈদের সময় আমাকে কিছু সাহায্য করো , ঘরে ঈদের সময় একটা কাপড় ও কিনে দিতে পারিনা , আমি তো কোথাও যেয়ে চাইতেও পারি না , মসজিদ থেকে তো ঈদ বাবদ বাড়তি কিছুই পাইনা , দুজন মানুষের কাপড়টাও তো কেনা লাগে , জীবন বড় কঠিন বাবা , ঈদ আমার ঘরে আসে না ।" আমি কিছুই বলতে পারিনি , হতবাক হয়ে গিয়েছিলুম । আর্থিক সহায়তা সাধ্যমত কোথাও কোথাও করি কিন্তু উনার কথা কখনো মনে পড়েনি , রোজার শুরুর দিকে আম্মার ব্যাংক একাউন্টে কিছু টাকা পাঠিয়ে আম্মাকে বললুম টাকাটা সেই ইমাম সাহেবকে পাঠিয়ে দিতে । আম্মা বললেন ঠিক আছে আমিও আরো কিছু সাথে যোগ করে দিচ্ছি ।

পরে আম্মা জানিয়েছিলেন , সেই ইমাম সাহেব টাকাটা পেয়ে খুবই খুশি হয়ে, ভেজাচোখ মুছতে মুছতে বলেছিলেন ,"এবার আমার ঘরে ঈদ হবে"।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মসজিদের নামাজীরা ইমামের বেতন দেয়া উচিত।

০৩ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

রানা আমান বলেছেন: গ্রামের অনেক মসজিদেই বেতন হিসেবে যা দেয়া হয় তা দিয়ে হয়ত কোনরকমে ইমামসাহেব দের পরিবার নিয়ে খাওয়াখরচটা চলে কিন্তু তার বেশি কিছুতেই নয় এদিকে জীবনযাত্রার খরচ ও বেড়েছে তবে ইমামসাহেব দের ভাতা কিন্তু বাড়েনি (অন্তত সব মসজিদে বাড়েনি) । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই ।

২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি খুবই ভাল একটা কাজ করেছেন। যে চক্ষুলজ্জার কারণে সাহায্য চাইতে পারেনা, আবার সাহায্য ছাড়া চলতেও পারেনা, এমন লোকদেরকেই আমাদের খুঁজে বের করে সাহায্য করা উচিত। নিঃসন্দেহে আপনি একদিন এর বিনিময় পাবেন, কারণ- "ইহসান এর বিনিময় ইহসান ব্যতীত কি আর কিছু হতে পারে?" (সুরা আর-রাহমান, আয়াত নং ৫৫)

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

রানা আমান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই ।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৮

ওমেরা বলেছেন: খুব ভাল লাগল । আমাদের এখানে তো রামাদানে তারাবী পড়ানোর জন্য বেতন ছাড়া ও অনেক টাকা দেয়া হয় । সব মুসুল্লীরাই দেয় এই টাকাটা ।

অনেক ধন্যবাদ অনুপ্রেরনা মূলক লিখাটার জন্য ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪

রানা আমান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ওমেরা । তবে অনেক মসজিদেই তারাবীহ এর নামাজের জন্য আলাদা করে এক বা দুজন কুরআনে হাফেজ কে সাময়িক নিয়োগ দেয়া হয় এবং মুসুল্লীদের দেয়া টাকা মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভাগ হয় ।

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪২

পবন সরকার বলেছেন: ইমামদের বড়ই দুর্দিন যায়। আমরা তাদের লম্বা পাঞ্জাবীটাই দেখি ভিতরটা দেখি না।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

রানা আমান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ পবন সরকার। আপনার সাথে সহমত আমিও ।

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এমন ঈমাম সাহেবদের ঘরের খবর আমরা ক'জনইবা রাখি? অতি অল্পতা যারা তুষ্ট দুনিয়াতে তারাই বেশী কষ্টে আছে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১১

রানা আমান বলেছেন: আসলেই তাই কামাল ভাই , ধন্যবাদ ।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: নিঃসন্দেহে কাজটি মহান ও ভালো ছিলো!:)


সামনের দিকে এরকম আরো মহান কাজ করতে পারার দোয়া রইলো!:)

আর হ্যা ঈদ যেন ধনী গরীব সবার ঘরেই আসে এই দোয়াও করছি!:)

শুভকামনা!:)

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

রানা আমান বলেছেন: ধন্যবাদ বিলিয়ার রহমান ভাই । দোয়া করবেন যাতে ভবিষ্যতেও মানুষকে সাধ্যমত সহায়তা করে যেতে পারি । ব্লগে নিয়মিত না হওয়ায় উত্তর দিতেও আমার দেরী হয়ে যায় , তার জন্য দুঃখিত ।

৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই মুল্যবান একটি দিক তুলে ধরেছেন । শ্রদ্ধেয় ইমামদের জন্য সমাজের ও রার্স্ট্রীয়ভাবে একটি উযযুক্ত পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন । তারা মসজিদের ইমাম হিসাবে শুধু নামাজের সময় ইমামতিই করেন না তাঁরা ।নেক গুরুত্বপুর্ণ সামাজিক দায়িত্ব পালন করেন । কামনা করি আপনার এ রকম মহত কার্যকলাপ দেখে সকলেই আনুপ্রানীত হোক , সমাজের সকলের জীবনে ঈদের আনন্দ নিরন্তন বয়ে চলুক ।

১১ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

রানা আমান বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ভাই । দোয়া করবেন যাতে ভবিষ্যতেও মানুষকে সাধ্যমত সহায়তা করে যেতে পারি । ব্লগে নিয়মিত না হওয়ায় উত্তর দিতে আমার দেরী হয়ে গেল , তার জন্য দুঃখিত ।

৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনি আর কোন পোস্ট দিচ্ছেননা কেন ?

মুসল্লিরা সবখানে টাকা খরচ করতে রাজি।

কিন্তু ঈমাম সাহেবের টাকার বেলায় যত অজুহাত।

লেখা হৃদয় ছুয়ে গেল। কষ্টও লাগলো । যার পিছনে নামাজ পড়ি তার দিকে আমরা মনোযোগ দেইনা।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

রানা আমান বলেছেন: আমি নিজে কিছু লিখতে গিয়ে সময় নষ্ট করার চাইতে অন্য ব্লগারদের লেখা পড়তে চাই মোঃ মাইদুল সরকার ভাই । আপনার উৎসাহপূর্ন মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.