নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগারের সকল লেখাই সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ধ্রুবক আলো

লেখকরা মনে মনে যত লেখা লিখেন তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ লিখেন কাগজে-কলমে। - হুমায়ুন আহমেদ

ধ্রুবক আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র ও সুন্দরবনের ভবিষ্যত

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

অনেক দিন আগে থেকেই রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র ও সুন্দরবনের ভবিষ্যত এ বিষয় নিয়ে খুব সমালোচনা চলে আসছে। দেশের প্রায় ৯০ ভাগ জনগন এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে, তবুও এই কেন সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। উনি কি জনগনের সরকার নন? জনগনের কথার মুল্য কি উনার কাছে নেই?!! সামাজিক মিডিয়া সহ বিভিন্ন মিডিয়া তে এ বিষয় নিয়ে খুব সমালোচনা হচ্ছে। সরকার বলছেন, যারা দেশের উন্নতি চায়না, যারা জঙ্গী মদদ দাতা, যারা বিরোধী দলের চক্রান্তের সাথে লিপ্ত তারাই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে দিতে চায় না।
সরকার পক্ষের লোক ও আওয়ামী নেতা কর্মী্রা বলছেন রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র হলে সমস্যা কি? এইসকল লোকদের জ্ঞ্যান নিয়ে কিছু আলোচনা করবো না।



আমার পরিচিত কয়েকজন মানুষ কে বললাম যারা আওয়ামি লিগ পক্ষের লোক, রামপালে যে বিদ্যুত কেন্দ্র বানানো হচ্ছে তা কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র, কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটায় বলে সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংরক্ষিত বনভূমি ও বসতির ১৫ থেকে ২০ কিমি এর মধ্যে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়না। ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে প্রস্তাবিত ১৩২০ মেগাওয়াট রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পটি সুন্দর বন থেকে মাত্র ১৪ কিমি দূরে যা সরকার নির্ধারিত সুন্দরবনের চারপাশের ১০ কিমি এনভাইরনমেন্টালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া(ইসিএ) থেকে ৪ কিমি বাইরে বলে নিরাপদ হিসেবে দাবী করা হয়েছে। অথচ যে ভারতীয় এনটিপিসি বাংলাদেশে সুন্দরবনের পাশে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করতে যাচ্ছে সেই ভারতেরই ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশান অ্যাক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৫ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে কোন বাঘ/হাতি সংরক্ষণ অঞ্চল, জৈব বৈচিত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল, জাতীয় উদ্যান, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য কিংবা অন্যকোন সংরক্ষিত বনাঞ্চল থাকা চলবে না। অর্থাৎ ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসিকে বাংলাদেশে সুন্দরবনের যত কাছে পরিবেশ ধ্বংস কারী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে দেয়া হচ্ছে, তার নিজ দেশ ভারতে হলে সেটা করতে পারতো না! আবার সুন্দরবন থেকে দূরত্ব আসলেই ১৪ কিমি কিনা সেটা নিয়েও বিতর্ক আছে, অনেকেই বলছেন সুন্দরবন থেকে আসলে দূরত্ব ৯ কিমি। খোদ ইআইএ রিপোর্টের এক জায়গায় বলা হয়েছে প্রকল্পের স্থানটি একসময় একেবারে সুন্দরবনেরই অংশ ছিল, সেটলার বা বসতি স্থাপনকারীরা বন কেটে আবাসভূমি তৈরী করেছ। বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পর্যায়ে কৃষি ও পরিবেশের উপর প্রভাব পরবে, রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএ রিপোর্টে পরিচালন পর্যায় কে ২৫ বছর ধরা হয়েছে। এই ২৫ বছর ধরে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবনের পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলবে, এছাড়াও কার্বন ডাই অক্সাইড এর প্রভাব, পানি দূষণ এসকল বিষয় নিয়ে বললাম।
তারা আমার সব কথা উড়িয়ে দিল, উলটো জবাব দিল তুমি কিছুই বুঝনা, আগে প্রকল্প হোক তারপর বুঝবে। আমি পালটা জবাব দিলাম, দেখেন ভাই যদি ডায়াবেটিস একবার হয়ে যায় তাহলে কিন্তু আর কোন চিকিৎসা করাতে পারবেন না, তখন শুধু ধুকতে হবে!! উনারা এই কথা পাত্তাই দিল না। আসলে সরকার নিজেই তো পাত্তা দিচ্ছে না।

আজ প্রথম আলো পত্রিকায় প্রথম পাতায় বিস্তারিত খবর প্রকাশ হয়েছে "রামপাল প্রকল্প বাতিল চায় ইউনেসকো" সুন্দরবনের চার ঝুঁকি,
নিচে লিংক টা শেয়ার করে দিচ্ছিঃ আশা করি সবাই পড়বেন,,


সুন্দরবনের চার ঝুঁকি; রামপাল প্রকল্প বাতিল চায় ইউনেসকো


এত কিছু জানার পর, এত সতর্ক বাণী দেয়ার পরও কেন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, মাননীয় অর্থমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেই দিলেন, ক্ষতি হলেও বিদ্যুত কেন্দ্র করা হবে।
প্রশাসন কেন এই বিদ্যুত কেন্দ্র অন্য কোন স্থানে করার কথা ভাবছেনা, নাকি জনগন, জনগনের কথার কোন মুল্য নেই!! বড় কথা হল যখনি রাম্পাল নিয়ে কেউ কিছু বলে তখনি বলা হয় কেউ আমাদের উন্নতি চায় না, আরও নানান কথা!!!






আমরা চাই সুন্দর পরিবেশ, সুন্দর ভবিষ্যত, সুন্দরবন রক্ষা হোক। বিদ্যুত কেন্দ্র না হয় সরিয়ে বানানো যাবে কিন্তু বন না সরানো যাবে না বানানো যাবে।।

কেউ দয়া করে জানাবেন যদি জানা থাকে যে, চীন ও অস্ট্রেলিয়াতে বনের পাশেই নাকি কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র আছে, এটা আমার এক বন্ধু বলছেন উনি আওয়ামি লিগ নেতা।
উনার কথা, যদি চীন ও অস্ট্রেলিয়া তে হতে পারে তাহলে বাংলাদেশে কেন নয়? আমাদের দেশে যেন কোন উন্নতি না হয় এজন্য বহিঃবিশ্ব ষড়যন্ত্র করছে!! ্তাই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে দিচ্ছে না।

ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।।
ভাল থাকবেন...

ছবিসুত্রঃ প্রথম আলো পত্রিকা ও ইন্টারনেট।।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

আতাশ ভাই বলেছেন: আমারা অনেকেই এই সম্পরকে চিৎকার দিচ্ছি কিন্তু কোনো লাভ নেই।মুর্খরা সবসময় একরকম এ থাকে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনি একদম ঠিক কথা বলছেন ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।।

একদিন সবই বুঝবে যেদিন হারানোর মত কিছুই থাকবেনা....

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ধুধু মাঠের মাঝে যদি চিৎকার করা হয় , তবে চিৎকারের প্রতিধ্বনিই শুধু ফিরে অাসে। কোন কাজ হয়না। অামাদের প্রতিবাদ গুলোও সেমন হচ্ছে। জনগনের ভবিষ্যৎ কেও ভাবেনা...

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন:
জনগনের ভবিষ্যৎ কেও ভাবেনা...

ভাই খুব সুন্দর কথা বলছেন, জনগনের কথা সরকার ভাবতো যদি আমরা কঠোর এক হতাম।।

৩| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ নিয়ে শোরগোল যে মোটেই হয়নি, তা নয়। কিন্তু এতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হয় নাই। ভবিতব্যই হয়তো একদিন বলে দিবে, আমরা নিজের পায়েই নিজে কুড়াল মেরেছি কিনা।
জনগণ ঐক্যবদ্ধ না হলে কোন জনহিতকর কাজ হয় না, উল্টোটাই হয়।

২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমরা বাঙালি সব সময় ক্ষতি হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন কিছুই বুঝি না। সরকার এখানে ইনভেস্ট কারন সরকারের কিছু দলীয় স্বার্থ আছে। এই প্রকল্প চালু হলে ভারত সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে। এই প্রকল্পে আমাদের দেশ ক্ষতি বৈ কোন লাভ হবে না।
কিন্তু আমাদের দেশের বেশিরভাগ জনগন এ ব্যাপারে সচেতন নয়, তাদের মুক্ত চিন্তা ক্ষতি হলে সবার হবে আমার তো আর একলার হবে না(কি স্যালুকাস)। আর যারা দলীয় লোক তারা তো এটাকে দেশ উন্নয়নের মন্ত্র বানিয়ে ফেলেছে।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, খুব মুল্যবান মন্তব্য রেখে গেলেন। খুব ভালো লাগলো। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.