নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগারের সকল লেখাই সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ধ্রুবক আলো

লেখকরা মনে মনে যত লেখা লিখেন তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ লিখেন কাগজে-কলমে। - হুমায়ুন আহমেদ

ধ্রুবক আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের টেষ্ট ক্রিকেট

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

বাংলাদেশের টেষ্ট ক্রিকেট নিয়ে কিছু কথা-



বাংলাদেশ এখনও টেষ্টে অনেক দুর্বল। নিয়মিত না খেলার পরিনাম ভুগছে বাংলাদেশ। প্রথম টেষ্টে চতুর্থ দিন পর্যন্ত অনেক রোমাঞ্চ দেখলাম। মিরাজ অভিষেক টেষ্টে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট, সাকিবের ১৫০ উইকেট, চির চেনা ব্যাটিং অর্ডারে ধ্বস। এ্যলিস্টার কুকের ১৩৪ তম রেকর্ড টেষ্ট এবং ফ্লপ পারফর্ম্যান্স!
মূল প্রসঙ্গ- বাংলাদেশ এত বছর টেষ্ট খেলার পরেও অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে। এখনও বাংলাদেশ দল টেষ্ট কিভাবে খেলতে হয় বুঝে উঠলোনা। এর জন্য প্রধান সমস্যা হচ্ছে অনেক দিন পর টেষ্ট খেলতে নামা, বিসিবি এর জন্য প্রধানত দায়ী, দোষ আরও অনেকের আছে। যেমন, টি২০ খেলার প্রবনতা, আইপিএলে বা ইংলিশ কাউন্টি লিগে খেলা, ঘরোয়া লিগেও তেমন কোন টেষ্ট খেলা হচ্ছে না, খেলায় না থাকার দরুন পারফর্ম্যান্স খারাপ। মমিনুল প্রথম ইনিংসে জিরো ( ০ ) রানে আউট! কারন খেলায় গ্যাপ কোন ধরনের খেলায় কিন্তু সে ছিলো না! আর বাকি খেলোয়ারদের ওয়ানডে আর টি২০ তে যে সব শর্ট খেলে সেরকম শর্ট খেলার প্রবনতা দেখা গেছে এমনকি ডিফেন্সটাও ঠিক মত করতে পারছেনা। স্পিন উপযোগী পিচ্ খেলা একটু কঠিন হবে কিন্তু তাই বলে ইংল্যান্ড পিছিয়ে নেই তারা ঠিকই স্কোর করেছে বরং বাংলাদেশ স্কোর করতে হিমসিম খাচ্ছে। আমাদের ব্যাট্সম্যানদের পিচে টিকে থাকার প্রবনতা খুবই কম।
টেষ্ট ক্রিকেট ক্রিকেটের আসল ফরম্যাট। টেষ্ট মানে পরীক্ষা, এই ফরম্যাটে খেলোয়ারদের ধৈর্য পরীক্ষার আসল জায়গা। টেষ্ট খেলায় আরও মনযোগী হওয়া উচিত। বেশিবেশি টেষ্ট খেললেই এসব ঘাটতি দূর হবে। টেষ্টে ভালো একজন ক্যাপ্টেনও দরকার, যেমন মাশরাফির মতন। মুশফিক ভালো খেলোয়ার কিন্তু সে ক্যাপ্টেন হিসেবে সে ততটা ভালো না। আর বিসিবি'র অনেক দোষ রয়েছে যা বলতে গেলে রাত থেকে দিনে পরিনত হয়ে যাবে। তারা বারবার ভূলে যায় যে দেশের বাইরেও টেষ্ট খেলতে হবে যেকোন একদিন খেলতে হবে। সেখানে পেস এ্যটাকিং পিচ্ হবে। সেখানেও কি মিরাজ আর সাকিব কে দিয়ে ওপেনিং বোলিং করবে! পেস এ্যটাকিং পিচে না খেলার কারনে অস্ট্রেলিয়া বা সাউথ আফ্রিকায় বাংলাদেশের ব্যাট্সম্যান রা হিমসিম খায়। বিসিবি কিযে করতে চায় তা আজও বুঝলাম না। কয়েক দিন পরপর নতুন প্লেয়ার অভিষেক করায়, পুরোনো অভিজ্ঞ খেলোয়ারদের নামায় না কেন? অবশ্যই নতুন খেলোয়ারদের খেলাতে হবে, তবে পুরোনো অভিজ্ঞ প্লেয়ারদের ভুলে গেলে তো আর হবে না, যাই হোক, বললে অনেক কথাই আছে যা ফুরাবে না। আজকে মিরাজ ভালো বোলিং করছে, ঠিক আর ৫ টেষ্ট পর তার এ্যকশন অবৈধ বলে তার ক্যারিয়ারের বারোটা ঠিকই বাজিয়ে দেবে মাননীয় "আইসিসি"। সে অজানা ভবিষ্যত!! তবে বিসিবির উচিত বেশি করে টেষ্টের আয়োজন করা। আজকের দিনের খেলায় দেখা গেছে বাংলাদেশ ব্যাটিংএ কত দূর্বল। বারবার বোলারদের উপর সম্পুর্ন দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া হচ্ছে, যা খুব অপমান জনক। দিনশেষে ৮ উইকেটে ২৫৩ রান। ৪ উইকেট বেশি পতন হইছে যা খুবই চিন্তার বিষয়। যেতা ম্যাচ এখন হাত থেকে ফসকায় কি না তা ৫ম দিনের অপেক্ষা। মিরাজ, সাব্বির, সাকিব, মুশফিক সহ সবাইকে অভিনন্দন ভালো খেলার জন্য। সাব্বিরের অর্ধশতক এবং তার ব্যাটিং নৈপুন্য প্রশংসার দাবিদার। আশাাকরি ভবিষ্যতেও সে এরচেয়ে ভালো পারফর্ম্যান্স করবে।
বাংলাদেশ জিতুক এটাই মনে প্রানে সবাই চাই, আর এটা হবে একটা বড় জয়।
শুভ কামনা রইল।।



ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। শুধুমাত্র মতামত তুলে ধরাম সবারই নিজস্ব মতামত আছে। আর কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য লেখাটা লেখিনি। ভালো থাকবেন সবাই.. ইনশাআল্লাহ্ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে অনেক আরও ভালো কিছু লেখবো।

ছবি- ইন্টারনেট,,

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩১

রাতুল_শাহ বলেছেন: ব্যাটিং এ ধৈর্যশীল দেখিনা। টেস্টে ভালো করতে হলে টেস্ট খেলার কোন বিকল্প নেই। আশা করি আমরা একদিন টেস্টে অনেক ভালো করবো।

মুমিনুল আশা করি সামনের ম্যাচে ভালো করবে। অনেকেই ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি খেলে একটা খেলার ভিতর ছিলো, মুমিনুলের ক্ষেত্রে সেটা হয় নি।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ,,,
টেষ্ট আরো বেশি করে কেলা উচিত, কি বলব সবাই তো আবার টি২০র দিকে ঝুকছে সেটাই সমস্যা।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:০৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
বাংলাদেশ এত বছর টেস্ট খেলেও এটা মাত্র ৯৪ তম টেস্ট। স্টুয়ার্ট ব্রডের এটা ৯৯ তম টেস্ট।

অভিজ্ঞতায় কত পিছিয়ে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

লাল বল, সাদা বল এক নয়। দুটোর মুভমেন্ট আলাদা। কম খেললে তো আর এটা বুঝা যাবে না।

ইংল্যান্ডের টেস্ট দল আর ওয়ানডে-টি২০ দল ৭০% আলাদা। এবং দুই দলই পর্যাপ্ত খেলা পায় মাঠে। ঘরোয়া কাঠামো ভাল। বাংলাদেশে এসবের কিছুই নেই।

এই টেস্ট জেতার অবস্থানে আমরা যতটা এসেছি - এটাকে প্রশংসা করতেই হয়। হারলে দুঃখ থাকবে, কিন্তু খেলোয়ারদের দোষ নেই। পর্যাপ্ত সুযোগ পেলে তারা এই অবস্থান থেকে খেলা জেতাতেই পারতো। ওয়ানডে তে তো এমন অভ্যাসটা আসলো খেলতে খেলতেই। টেস্টও দরকার।
কম পক্ষে দশটা টেস্ট তো বছরে রাখাই যায়। টেস্টের একদম বাচ্চা অবস্থায়ও বাংলাদেশ বছরে ১০ টা করে ম্যাচ খেলেছে। এই বছর তা মাত্র দুইটা।

এভাবে করলে তো খেলা জেতার সম্ভাবনা এই ইহজন্মে নেই। তবুও আশা করছি - সাব্বির আজকে ভাল ভাবে খেলে ম্যাচটা বের করে আনবে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ,,
কম পক্ষে দশটা টেস্ট তো বছরে রাখাই যায়। এই কথাটা খুব সুন্দর বলছেন,,
তবে এইটেষ্টে দেখা গেছে ব্যাট্সম্যানদের পিচে টিকে থাকার মনমানসিকতাখুব কম।ধরে খেললেই টেষ্ট টা জিতে যেত। যত বছরই খেলুক শেখার কিন্তু শেষ নাই সেটাই আমি বুঝাতে চেয়েছি। আর বিসিবির আরও বেশি মাথা খাটানো উচিত।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩

নাগরিক কবি বলেছেন: আমি আপনার মন্তব্য দেখেছি। প্রতিউত্তর ও দিয়েছিলাম। হয়ত আপনি পড়েননি। :(

২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমি এই মাত্র লগইন করলাম।
যেহেতু পড়তে পারি নাই, সেহেতু এখনে যদি বলতেন ভালো হতো।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: টেস্ট ক্রিকেট ধৈর্যের খেলা। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের একটা বড় দুর্বলতা, টেকনিক যেমন তেমন, ধৈর্যের বড় অভাব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.