নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগারের সকল লেখাই সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ধ্রুবক আলো

লেখকরা মনে মনে যত লেখা লিখেন তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ লিখেন কাগজে-কলমে। - হুমায়ুন আহমেদ

ধ্রুবক আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমগ্র বিশ্বের এখন ট্রাম্পারেচার হাই!!

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৯



ছবিটা ফেসবুক থেকে সংগৃহীত, ছবির কথাটা কিন্তু খুবই সত্য যে, যদি সবাই আশ্চর্যান্বিত হয় ট্রাম্প পাশ করায়! তাহলে তাকে ভোট দিলো কারা?!!


ট্রাম্প সাহেব পাশ না করতে করতেই পুরো বিশ্ব এখন গরম! গরম মানে রাজনৈতিক তাপমাত্রা খুব বেশি। যেই ব্যাক্তিকে নিয়ে এত কথা , স্ক্যান্ডাল সেই ব্যাক্তি পাশ করে গেলেন। অবশ্যই আমেরিকার জনসমর্থন ছিলো তাই পাশ করেছেন, না হলে তো আর পাশ করতে পারেন না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঞ্চলে এই নির্বাচনি ফলাফলের কারনে আন্দোলন হচ্ছে! অনেকেই এই ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করেছেন, হলিউড সেলিব্রেটিরাও খুশি নন ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার ব্যপারে। হিলারী ক্লিনটন ফলাফল মেনে নিয়েছেন, ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ফোন করে।
অন্যান্য দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধান মন্ত্রিরাও বিভিন্ন রকমের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন। ভারতের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্রাম্পকে তাদের পাশে পাবার আশা করছেন চীন ও পাকিস্তানের বিপক্ষে!!


রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন!! বলেছেন, ট্রাম্প আসায় ব্যবসায়িক পরিবেশ আরও ভালো হবে।

যাই হোক, এবার সোস্যাল মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া নিয়ে কিছু কথা, ফেসবুক টুইটার এছাড়াও অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়াতেও একটা বিষয়ই বেশি দেখা যাচ্ছে, আমেরিকার নির্বাচন ও ট্রাম্পের বিজয়। বাংলাদেশেও এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, একজন পোষ্টার ছাপিয়ে ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।


ছবিখানা ফেসবুক থেকে পাইছি,,!!
চিলমারিতে ট্রাম্পের জয় উপলক্ষে বিজয় মিছিল, প্রীতি ভোজ, মিলাদ ইত্যাদি করা হচ্ছে!! খবর গুলো ফেসবুক হতে সংগৃহীত!!
আওয়ামি লিগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন, হিলারী বিএনপিকে সমর্থন করায় নির্বাচনে ফেল করেছে ( How funny ). অনেক যল্পনা কল্পনা শেষে ট্রাম্পই জয়ী। যুক্তরাষ্ট্র বিজয়। তবে,,,
মি. ট্রাম্পকে এখন থেকে আরও ৭১ দিন অপেক্ষা করতে হবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বুঝে নিতে; ওবামা চ্যাপ্টার এখনও শেষ হয় নাই!!
হ্যাটার্সরা এখন বলবেই, এহ্ পাগল প্রেসিডেন্ট!! ট্রাম্পকে এখন বললেই কি আর হবে উনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।।


একনজরে ট্রাম্পের পরিচয়-
ডোনাল্ড ট্রাম্প, সিনিয়র (জন্মঃ জুন ১৪, ১৯৪৬) যুক্তরাষ্ট্রের একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব, সাহিত্যিক এবং ২০১৬ সালের আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিজয়ী প্রার্থী। তিনি দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশ্যানের পরিচালক এবং ট্রাম্প এন্টারটেইনম্যান্ট রিসোর্টের প্রতিষ্ঠাতা।
ট্রাম্প নিউ ইয়র্ক শহরের স্থানীয় বাসিন্দা ফ্রেড ট্রাম্পের ছেলে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসাকে নিজের কর্মজীবন হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর পিতার যথেষ্ট অনুপ্রেরণা ছিল। ট্রাম্প পেন্সিল্‌ভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় অধীন হোয়ারটন স্কুলে অধ্যয়নের সময় তাঁর পিতার 'এলিজাবেথ ট্রাম্প এন্ড সান' প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেন। ১৯৭১ সালে ট্রাম্প তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করেন এবং প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে ''দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশ্যান'' রাখেন। ট্রাম্প বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের রিয়েল স্টেট ব্যবসা এবং মিডিয়া তারকাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব।
ট্রাম্প জুন ১৬, ২০১৫ তারিখে রিপাবলিকান পার্টির অধীনে ২০১৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁর মনোনয়ন প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। ট্রাম্প তাঁর পূর্বের প্রচারণা কর্মকান্ড দিয়ে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ এবং জনসমর্থন অর্জনে সক্ষম হন। জুলাই ২০১৫ থেকে রিপাবলিকান পার্টির জনমত নির্বাচনের মনোনয়নের ক্ষেত্রে পছন্দের দিক থেকে তিনি ধারাবাহিকভাবে প্রথম সারিতে অবস্থান করছেন। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি ২৮৯টি ইলেক্টরাল ভোট পেয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
প্রারম্ভিক জীবনী

ডোনাল্ড জন ট্রাম্প সিনিয়র জুন ১৪, ১৯৪৬ সালে নিউ ইয়র্ক শহরের কুইন্সে জন্মগ্রহণ করে। তাঁর মা ম্যারী অ্যানী একজন গৃহিণী ও লোকহিতৈষী এবং তাঁর বাবা ফ্রেড ট্রাম্প (১৯০৫-১৯৯৯) ছিলেন একজন রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে ট্রাম্প চতুর্থ। তাঁর মা ম্যারী অ্যানি স্কটিশ দ্বীপ লিউয়িসের টং গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৩০ সালে ১৮ বছর বয়সে তাঁর মা ম্যারী অ্যানী যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন এবং সেখানে তাঁর বাবা ফ্রেড ট্রাম্পের সাথে তাঁর মার পরিচয় হয়। তারা ১৯৩৬ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ট্রাম্পের এক ভাই, রবার্ট (জন্ম: ১৯৪৮) এবং দুই বোন: ম্যারীঅ্যানী (জন্ম: ১৯৩৭) এবং এলিজাবেথ (জন্ম: ১৯৪২) রয়েছে। ট্রাম্পের বোন ম্যারীঅ্যানি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল আদালতের একজন বিচারপতি। ট্রাম্পের আরেক ভাই ফ্রেড জুনিয়রের মৃত্যু হয়েছিল (১৯৩৮-১৯৮১) অতিরিক্ত মদ্যপানের দরুণ।
ট্রাম্পের পিতামহ জার্মানীর অভিবাসী ছিলেন।[১২] তাঁর দাদা ফ্রেডেরিক ট্রাম্পের জার্মানীতে নিজের "ক্লোনডিক গোল্ড রাশ" নামের একটি রেস্তোরাঁ ছিল। তাঁর দাদা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়ে আসেন ১৮৮৫ সালে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবারের আসল পদবি ছিল মূলত "ড্রাম্পফ্‌" কিন্তু ১৭ শতাব্দিতে এটি অপভ্রংশ হয়ে ট্রাম্প হয়ে যায়। ট্রাম্প লিখিত ১৯৮৭ সালের একটি বই, দ্য আর্ট অব দ্য ডিল গ্রন্থে ট্রাম্প ভুলবশত উল্লেখ করে ছিলেন যে তাঁর দাদু ফ্রেডেরিক ট্রাম্প একজন সুইডিশ বংশোদ্ভূত। মূলত এই দাবি ছিল তাঁর বাবা ফ্রেড ট্রাম্পের। কিন্তু ট্রাম্প পরবর্তীকালে স্বীকার করেছিলেন যে তাঁর পূর্ব-পুরুষরা আসলে জার্মান বংশোদ্ভুত এবং তারা ১৯৯৯ সালে নিউ ইয়র্ক শহরে জার্মান-আমেরিকান স্টুবেন প্যারেডে সেনাবাহিনীর গ্র্যান্ড মার্শাল হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। ট্রাম্প কিশোর বয়সে নিউ ইয়র্ক মিলিটারি একাডেমীতে ১৯৬৪ সালে
ট্রাম্প পরিবারের দো-তলা বিশিষ্ট মক ট্যুডোর রিভাইভাল আদলে একটি বাড়ি ছিল যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প কিউ-ফরেস্ট স্কুলে অধ্যয়নের সময় বসবাস করতেন। কিউ-ফরেস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাবা ফ্রেড ট্রাম্প সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৮৩ সালের এক সাক্ষাৎকারে তাঁর বাবা ফ্রেড ট্রাম্প বলেছিলেন যে "ট্রাম্প ছেলেবেলায় ছিলেন খুবই দুরন্ত প্রকৃতির" যার দরুন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিউ ইয়র্ক মিলিটারি একাডেমীতে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে তৎপর হতে হয়েছিল। ট্রাম্প তাঁর অষ্টম শ্রেণী এবং হাইস্কুল জীবন নিউ ইয়র্ক মিলিটারি একাডেমীতেই শেষ করেন। ২০১৫ সালে ট্রাম্প এক বায়োগ্রাফারকে বলেছিলেন যে, নিউ ইয়র্ক মিলিটারি একাডেমী তাঁকে অন্যান্য ছেলেদের চেয়েও বেশি সামরিক প্রশিক্ষণ শিখিয়েছিল।
ট্রাম্প দুই বছর অব্দি ফোর্ডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন। ট্রাম্প পেন্সিল্‌ভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় অধীন হোয়ার্টন স্কুল অব বিজনেসেও অধ্যয়ন করেছেন। হোয়ার্টনে অধ্যয়নের সময় ট্রাম্প তাঁর বাবার প্রতিষ্ঠান "এলিজাবেথ ট্রাম্প অ্যান্ড সান" কোম্পানীতে কাজ করতেন। ট্রাম্প ১৯৬৮ সালে হোয়ার্টন বিজনেস স্কুল থেকে অর্থনীতির উপর স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ( ট্রাম্প সম্পর্কিত সকল তথ্য নেট থেকে সংগৃহীত)।


ভূল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন.,,,,

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কোন দেশ বা জাতি যদি খারাপ ( ? ) লোককে তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে, তাতে অন্যদের গাত্রদাহ কেন হচ্ছে আমার বোধগম্য নয়। ট্রাম্প সাহেব তো সামরিক অভ্যুত্থান করে ক্ষমতায় আসছেন না, গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যথাযথভাবে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসছেন। যারা তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিরোধিতা করছেন, তারাই বরং অগণতান্ত্রিক আচরণ করছেন। এটা সভ্য সমাজের আচরণ নয়।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ;;; আপনার কথার সাথে একমত, তবে..
এটা অসামাজিক আচরন নাকি নাটক সেটাই বুঝার বিষয় !!!!

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: পাগলের জন্য আমাদের দেশী পাগলদের কর্মকান্ড পরে বেশ মজা পেলাম। B-)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাইরে পাগল আর ভোদাই কি গাছে ধরে, উহা বাংলাদেশ ও আম্রিকায় ইজিলি খুজে পাওয়া যায়!! সেলুউকাস কিউট একটা জাতি.,,,

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: বাহ!

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: বাহ!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ.,,,

৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা সময়োপযোগী পোস্ট দিয়েছিলেন, কিন্তু অনেক দেরীতে পড়লাম। তবুও অনেক ভাল লেগেছে।
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদ শেষ করতে পারবেন কিনা, সে ব্যাপারে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করে দিয়েছেন।
তথ্যগুলো ভালই সংগ্রহ করেছেন। পাগলের জন্য আমাদের দেশী পাগলদের কর্মকান্ড পরে বেশ মজা পেলাম। B-) - শাহরিয়ার কবীর এর এ মন্তব্যটা পড়ে আমিও বেশ মজা পেলাম।
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম এর মন্তব্যের সাথে একমত। +
পোস্টে প্লাস + +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.