নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুঁজিনি কখনো আকাশের মানে...

আফসানা যাহিন চৌধুরী

আমার পথচলা আমার পথে

আফসানা যাহিন চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের জন্যে......

২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

খেলার সাথে রাজনীতি মিশানো ঠিক না - এই জাতীয় দর্শনে যারা বিশ্বাসী, তারা মূলত এই মহান তত্ত্বটির উদ্ভাবন করেছিলেন, নিজেদের ভেতরের গোপন একজন প্রতারককে লুকাবার জন্য । বিশেষত, পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ম্যাচ এ পাকিস্তানকে সমর্থন (অকুন্ঠ সমর্থন!) করবার মহান কাজটা করবার খাতিরে । যা হোক, এই বিশেষ গোষ্ঠীকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে আমরা কথা বলি- আমরা মানে, পূববাংলার যেসব অধিবাসীগণ, যাদের কখনোই ক্রিকেট খেলাসহ, অন্য যেকোন ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের মত একটা “দেশ”কে সমর্থন করবার কোন কারণ নাই- তারা ।
খেলার সাথে “রাজনীতি ” মিশানোর কোন কারণ নাই আসলে, আমরা যেটা মিশাই সেটা হল ইতিহাস! ইতিহাস বলে কিছু একটা আছে এবং সেটা আসলে উপেক্ষা করা খুবই দুরূহ একটা ব্যাপার, তাই আমরা সেটা উপেক্ষা করবার দুঃসাহস করিনা, করবার চিন্তাও আসেনা আমাদের । তাই কেবল খেলাই নয়, অন্য যেকোন ক্ষেত্রেই আমি বা আমার মত অনেকেই (যদিও তারা আসলে গুটিকয়েক) ইতিহাসকে উপেক্ষা করিনা । বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা প্রতিটা ব্যাক্তিসত্ত্বার এবং জাতিসত্ত্বার মূলত একটি পরিচয়ই থাকে- সেটা হল ইতিহাস! এটা উপেক্ষা বা হেলাফেলা করবার বস্তু না।

১৯ তারিখ ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচটি দেখবার শেষে আরেকবার আমি ঐ মহান দর্শনটি আরেকবার ভেবে দেখলাম ।
সেদিন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে, মেলবোর্নের গ্যালারীতে মোট কতজন দর্শক/সমর্থক ছিলেন বলতে পারিনা । তাদের কতজন ইন্ডিয়া সমর্থক এবং কতজন বাংলাদেশের সমর্থক তারও হিসাব নাই আমার কাছে এবং আমি কোন সাংখ্যিক হিসাবেও যেতে চাচ্ছিনা । আমি যে বিষয়টা সামনে আনতে চাচ্ছি, সেটা হল, ইন্ডিয়ার সমর্থকদের আচরণ- আরো স্পেসিফিকলি বলি- বিশেষ একদল সমর্থকের আচরণ । কোন এক বিশেষ সমর্থক গোষ্ঠী একটি বিরাট ইন্ডিয়ার পতাকা নিয়ে এসছিলেন, এবং গ্যালারীর উপরের মাথায় সেটা ঝুলিয়ে দিয়েছেন । পতাকাটির উপরের কমলা এবং নিচের সবুজ অংশে যথাক্রমে লেখা ছিলো- INDIAN ARMY. এটাকে কোন লক্ষ্য করবার মত বিষয় না বলতে পারেন, কিন্তু আমার কাছে অলক্ষ্যে থাকবার মত বিষয় মনে হয়নি এটিকে । ম্যাচটির কয়েকদিন আগে থেকই পেপসির একটি বিজ্ঞাপন চিত্র নিয়ে বেশ হৈ চৈ হচ্ছিল- যেটিতে স্পষ্টতঃই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উৎপত্তি, মুক্তিযুদ্ধ এবং ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে । পরবর্তীতে জল গড়ানোর সাথে সাথে অফিশিয়াল/আনঅফিশিয়াল, অনেক রকম তর্ক উঠেছে, পেপসির মূল অফিস থেকে ধমক দেয়াও নাকি হয়েছে, বাংলাদেশের জ্ঞানী-গুণীরা এটাকে “ক’জন দুষ্ট ছেলের কাজ” বলে তামাকের নলে গুড়গুড় শব্দ তুলেছেন আরামে, কিন্তু তারপর ১৯ তারিখ আমি মেলবোর্ন গ্যালারীতে দেখি এই কান্ড । কারো কাছেই কি দু’টি ব্যাপারের সূত্র এক বলে মনে হচ্ছে না...?
দুঃখিত, আমার কাছে মনে হয়েছে । মনে হয়েছে এ কারণে যে, ইন্ডিয়া রাষ্ট্রটি অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে যখন তখন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ করবার প্রয়াস চালায়, তাদের ইচ্ছেমত বিকৃতি করে যায়, এবং আমরা কিছুই বলিনা বা করিনা! এর আগে একটি বলিউডী এবং একটি টালউডী মুভীতেও আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে তারা টেনে এনেছে এবং মোটেও সেরকম ভাবে ব্যাবহার করেনি, যেভাবে আমরা করি! আমাদের আবগের তরল অংশটুকু বাদ দিলে যেমন হয়, বিষয়টা সেভাবেও হয়নি, হয়েছে সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে!! গুন্ডে ছবি নিয়ে আমরা প্রচুর সোরগোল করেছি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি- তারা আমাদের প্রতিবাদ টুকু গ্রাহ্য পর্যন্ত করেনি! আর টালিউডের যে ছবিটার কথা বললাম- "Busterd Child" সেটার খোঁজটুকু পর্যন্ত কেউ জানেনা! ছবিটিতে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনা-মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতনের বিষয়টুকু অত্যন্ত কুৎসিতভাবে এবং বিকৃতভাবে দেখানো হয়েছে- সেরকম একটি চরিত্রে ছিল রাইমা সেন ।

এটা অবশ্যই অস্বীকার করবার কথা নয় যে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়টিতে ইন্ডিয়া আমাদের সাহায্য করেছিল- রাষ্ট্রীয় ভাবেও এবং গোষ্ঠীগত ভাবেও । আমাদের গেরিলা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে, পূববাংলার লাখ লাখ উদ্বাস্তুকে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় দান, বিভিন্ন পলিটিক্যাল ফীগারকে পলিটিক্যাল আশ্রয় দান সহ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ব্যাক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় ভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও বঙ্গবন্ধুকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে জীবিত ফেরত দেবার পক্ষে বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের নীতিগত সমর্থন আদায়- এরকম অনেক সহযোগীতা তৎকালীন ইন্ডিয়া রাষ্ট্রীয় ভাবে করেছে । আর সমিান্তে ওপারে পশ্চিম বাংলা অত্যন্ত কাছে থাকায়, আমাদের যৌক্তিক স্বাধীনতার প্রশ্নে সমমনা অনেক বন্ধুই বন্ধূত্বের কাজ করেছে । আমি অন্যান্য বিদেশী বন্ধুদেরও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, দে ঔন আওয়ার সলিডারিটি!!!!! “ইন্ডিয়া ক্রিয়েটেড বাংলাদেশ”- বাক্যটি টিভি চ্যানেলে উপস্থাপন করবার মত বিশ্বাস যে রাষ্ট্রের মিডিয়া রাখে, বিশ্বাস করার জন্য যে পরিমাণ ভ্রান্ত ইতিহাস চর্চার মধ্য দিয়ে একটি রাষ্ট্র যায়, সে রাষ্ট্রটি কতটুকু তার “বন্ধুত্বের” পরিচয় অক্ষুণ্ণ রাখে??? একটি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে, তার ইতিহাসকে কটুক্তি করবার মত স্পর্ধা বর্তমান পাকিস্তান পার্লামেন্ট দেখিয়েছে, আর বর্তমান ইন্ডিয়া রাষ্ট্রটি দেখিয়েছে বিকৃত করে উপস্থাপন করবার স্পর্ধা- তার প্রত্যেক কাজেকর্মে- চলচিত্রে, বিজ্ঞাপনচিত্রে এমনকি সংবাদ মাধ্যমেও! ১৯ তারিখ আমরা মেলবোর্ন গ্যালরীতে তারই আরেকটি প্রকাশ দেখতে পেলাম!

আমার প্রশ্ন হল, ইতহাস চর্চার ভ্রান্ত দিকটুকু নিয়ে । ইন্ডিয়া প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানে বহুদূর গিয়েছে- কিন্তু গণিতে,বিজ্ঞানে,প্রযুক্তিতে, এত অগ্রসরমান একটি রাষ্ট্রের গত ৪৩টি প্রজন্ম আসলে ঠিক কী ইতিহাস জেনে গড়ে উঠেছে??? আজকাল ফেসবুকে একটা ব্যাপার দেখা যায়, ইন্ডিয়া নারীশিক্ষা, গণস্বাস্থ্য প্রভৃতী ব্যাপারে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে বলে একটা তৃপ্তির মধ্যে আছেন অনেকেই । ইন্ডিয়ায় নারীর ক্ষমতায়ন যে হারে হয়েছে, আমাদের দেশে সে হারে হয়েছে কিনা সেটা তর্কের বিষয় । এটাও বলতে হয় যে, ক্ষমতায়নের সাথে সাথে ধর্ষণের মত ঘটনাও সমহারে বেড়ছে । কিন্তু ইন্ডিয়ায় কখনো কোন প্রখ্যাত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে তারই স্বামী- যে কিনা আরেকটি প্রখ্যাত পাবলিক প্রকৌশল-বিশ্ববিদ্যালয় এর পাস করা প্রকৌশলী- সে স্বামী মেরে স্ত্রীর চোখ উপড়ে ফেলেননি! হ্যাঁ, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুমানা ম্যাডামের কথা বলছি, যাঁর স্বামী ছিলেন একজন এক্স-বুয়েট, সাঈদ হাসান! ধর্ষণ বা খুন এর মত কোন ঘটনায় ইন্ডিয়াতে যে পরিমাণ সোরগোল শুরু হয়- মিডিয়ায় কিঙবা জনমনে, তা আমাদের এখানে কল্পনাও করা যায়না! এখানে প্রথমত ধর্ষণ হলে ধর্ষণের শিকার ভিকটিমটি সামাজিক প্রেক্ষাপটের কারণে সেটা প্রকাশও করেনা, বরং সুইসাইডের পথ বেছে নেয়। আর যে দু-একজন করে, তারা থানা/আদালত/হাসপাতাল/মিডিয়ায় সবখানে যে পরিমাণ হেনস্থা হয়, তাতে তার মৃত্যুই শ্রেয় বলে মনে হয় ! অতি সামান্য পরিসংখ্যান তত্ত্বের কেরদানিতে আত্নতৃপ্তিতে ভুগাটা আমাদের নিজেদের জন্যেই ধ্বংসাত্নক । আমরা আমাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কখনো ব্যাস্ত হইনা- কোন কোন ক্ষেত্রে শুধু ইন্ডয়া নয়, গোটা বিশ্বের মধ্যেই শ্রেষ্ঠ হওয়া সম্ভব... ওদিকে আমাদের ইতিহাস নিয়ে, আমাদের নদীর নায্য পানির হিস্যা নিয়ে, আমাদের সুন্দরবনের মত অদ্বিতীয় প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে টানাটনি করে চলেছে ইন্ডিয়া......!

শুনেছিলাম, পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে নাকি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ব্যাপারে লেখা আছে, এটা ছিল পূর্ব পাকিস্তানের তরুণদের একটা “ভুল বোঝাবোঝি”!!!!!! তা যা হোক, পাকিস্তান নামক বর্তমান ব্যার্থ ও অযৌক্তিক রাষ্ট্রটি, বাংলাদশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটানা ২৪ বছরের লড়াই ও শেষতক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের একটি পরাজিত পক্ষ! তাদের তথ্যমন্ত্রণালয় বা জাতীয় ইতিহাসে তারা এরকম কিছু লিখতেই পারে । কিন্তু যে রাষ্ট্রটি এককালে সহযোগী ও সহমর্মীর ভূমিকায় ছিল, সেই রাষ্ট্রটি অনতিকাল পরেই এমন শত্রুস্বরূপ আচরণ করবে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক । আমাদের মাটিতে অনেক মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষে করে বা রিকশা চালিয়ে বেঁছে আছেন এখনো, অনেকে অভিমান বা আত্নমর্যাদার কারণে সনদপত্র গ্রহণের বৈষয়িকতায় যাননি, বীরাঙ্গনা-মুক্তিযোদ্ধাদের আমারা এখনো সামাজিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি- অর্থনৈতিক ভাবে তো নয়ই! আমাদের বীরদের আমরা যোগ্য সম্মান না দিলেও, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইন্ডিয়া সহ অনেক বিদেশী বন্ধুদের মু্ক্তিযুদ্ধে সহযোগীতার জন্য আমার মুক্তিযুদ্ধ পদকে ভুষি করেছি! আমরা ইতিহাসের রায় অস্বীকার করিনি! কিন্তু পরাজিত পক্ষ পাকিস্তানের মত আজকাল ইন্ডিয়া সেই রায় অস্বীকার করে যাচ্ছে- বিকৃত করে যাচ্ছে বারেবারে ! আমরা “ছোট” শক্তি বলে কখনো রাষ্ট্রীয়ভাবে এসবের প্রতিবাদ জানাইনি ! ফেসবুকে কিছুক্ষণ গালাগলি করেই আমাদের কাজ শেষ করি । মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা- আমাদের ইতিহাস নিয়ে আমাদের মধ্যেই বিভ্রান্তি-বিকৃতি সবচেয়ে বেশী!! আমরা এখনো কিছু কিছু ঐতিহাসিক প্রশ্নে দ্ব্যার্থহীনভাবে এক হতে পারিনি । জাতির পিতা, স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে এখনো কুৎসিত ঠোকাঠুকি করি । চিরকালের বিষফোঁড়ার মত ইতিহাসেরই পরাজিত এদেশীয় শক্তি প্রবল পরাক্রমে জেঁকে বসে আছে সমাজ ও প্রশাসনের খাঁজে খাঁজে!!! এখনো এখানকার অধিকাংশ মানুষ এখনো আমরা কারো মুখে কোন কথা শুনেই তাকে A অথবা B ট্যাগ করতে অভ্যস্ত! ক্ষমতার লড়াইয়ে যখন কচি ছাত্র থেকে শুরু করে, মধ্যবিত্ত পেশাজীবি আর হতদরিদ্র দিনমজুর-শ্রমিক পুড়ে কয়লা হয়ে যায় তখন আমরা চুপ করে বসে থাকি, আর বিশ্বকাপ এল-গেল নিয়ে আমরা রাস্তায় নেমে পড়ি! গোটা দেশে ম্যাট্রিক পরীক্ষা হয়ে গেল, স্বরস্বতী পুজোর মত একটা ধর্মীয় উৎসব গেল, বিশ্ব ইজতেমার মত একটা ইভেন্ট গেল- কোন কারণই পারেনি হরতাল-অবরোধ ঠেকাতে, কোয়ার্টার ফাইন্যাল পেরেছিল!!! সুতরাং ভেতরে ভেতরে আমাদের ক্ষয় এতই যে, আামাদের ইতিহাস নিয়ে টানা-হ্যাঁচড়া করতে , আমাদের ইতিহাসকে অসম্মান করার আগে কেউ ২য়বার ভাবেনা....!


ফেসবুকে আরেক বৈজ্ঞানিকের বিশেষ ভাবনাপ্রসূত পোস্ট দেখলাম, তিনি মাস্টারদা সূর্যসেন কে স্মরণ করেছেন....! লিখেছেন- “বাঙালী ক্রিয়েটেড দ্যা ইন্ডিয়া” !!!!!!!! বিতর্কিত মওকা মওকা’র জবাবে তিনি এই মন্তব্য স্ট্যাটাস দিয়ে বসেছেন । আমি বুঝলাম না, তিনি কী লিখেছেন, একবারও কি একটু জেনে-বুঝে লিখেছেন...?! কি ভয়ংকর ইতিহাস বিকৃতি তিনি নিজেও করে বসেছেন , একটা বার কি তিনি ভাবলেন না...
প্রীতিলতা-সূর্যসেন-ক্ষুদিরাম রা “ইন্ডিয়া” তৈরী করার জন্য লড়েছিলেন...?!!!!! নাকি ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা পাবার জন্যে লড়েছিলেন......???!! আমাদের চিটাগং এর মানুষ কূট বুদ্ধির কাউকে গালি দিতে গেলে বলে “ব্রিটিশ”! কূট-ব্রিটিশরা তাদের কলমের খোঁচায় অবিভক্ত বিশাল বঙ্গপ্রদেশকে ভেঙে টুকরো টুকরো করবার মূল অভিপ্রায় নিয়ে, গোটা ভূ-ভারতকে যে ইন্ডিয়া-পাকিস্তান বানিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন, ক্ষুদিরাম রা সে স্বাধীনতার জন্যে কখনো লড়েননি...!!! তাঁরা অবিভক্ত ভারত মাতার অখন্ড স্বাধীনতার সংগ্রাম করেছিলেন, ভারতকে পশ্চিমা বেনিয়াদের খপ্পর থেকে মুক্ত করবার জন্য লড়াই চালিয়েছিলেন!!!! তাঁদের স্বপেন ছিল অখন্ড ভারতমাত, ইন্ডয়া-পাকিস্তান নয়!!! এ কারণেই গোটা পোস্টের কোথাও আমি ইন্ডিয়ার কথা লিখতে গিয়ে “ভারত” শব্দটা ব্যাবহার করিনি । “ভারত” আর “ইন্ডিয়া” এক জিনিষ না রে মনা........

ইতিহাস সবসময় নিজের মত করে কথা বলে । কোন মানুষের পক্ষে তাকে তৈরী করা সম্ভব না, তাকে তৈরী করে দেয় মহাকাল....! মানুষের দায়িত্ব হল, ইতিহাসকে ঠিকমত জেনে নেয়া, তার দেয়া রায়কে শ্রদ্ধা করা । কারণ একে অশ্রদ্ধার পরিণাম ভয়াবহ....ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা ।।।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩৫

মাহদী সাব্বির বলেছেন: খুবই শক্ত কিন্তু সত্যি কথা বলেছ আপু।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাব্বির :)


শক্ত হোক আর যাই হোক, সত্যটুকু আমাদের অনুধাবন তো করতে হবে... :)

২| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫১

পেন্সিল স্কেচ বলেছেন: ইতিহাস আর বর্তমানকে সাথে নিয়ে আমাদের সামনের দিকে পথ চলা ..পাকিস্থান আমাদের পঙ্গু করতে নেমেছিল আর ইন্ডিয়া আমাদের শোষন করে যাচ্ছে ..

২২ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: হ্যাঁ, আর শোষণ করবার রাস্তাটা ক্ষমতাসীনরাই পরিষ্কার করে দেয়....



ধন্যবাদ আপনাকে।।।



৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪

চৈত্র শেষে বলেছেন: খেলার সাথে “রাজনীতি ” মিশানোর কোন কারণ নাই আসলে, আমরা যেটা মিশাই সেটা হল ইতিহাস!

একদম ঠিক

২২ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।।।

৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০১

জেন রসি বলেছেন: যৌক্তিক বিশ্লেষণ।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ জেন :)

৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫

আবু শাকিল বলেছেন: ফেসবুকে পড়েছি।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাকিল ভাই :)

৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: কিন্তু তার মানে এই নয় যে, দে ঔন আওয়ার সলিডারিটি!!!!

হ্যাঁ তারা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেক সাহায্য করেছিল। আমরা সেজন্য অবশ্যই কৃতজ্ঞ, কিন্তু নতজানু নিশ্চয়ই নই।

ভাল লেগেছে পোস্টটি।

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে :)

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

তুষার কাব্য বলেছেন: ইতিহাস সবসময় নিজের মত করে কথা বলে । কোন মানুষের পক্ষে তাকে তৈরী করা সম্ভব না, তাকে তৈরী করে দেয় মহাকাল !

এই সহজ সত্যি কথাটাই আমরা বুঝিনা কিংবা বুঝতে চাইনা ।

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: :) অনেক ধন্যবাদ তুষার কাব্য ভাই।
সহজ বিষটা সহজ করে বুঝবার জন্য সহজ চিন্তা করা চাই; আর সেটাই আমাদের বড় অভাব..

শুভেচ্ছা রইল...।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.