নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবতে চেষ্টা করি আমি একজন মানুষ। তাই মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি। বড় কঠিন কিন্তু অসম্ভব না।

সোয়েব মুহাম্মাদ

সাধারণ মানুষ

সোয়েব মুহাম্মাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ হোক

২৬ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

ওরা পালাবে। অনেক দূরে নয়। তবে সীমানার বাইরে। জোর করে ও মানুষের কক্ষপথে ওদের ফিরিয়ে আনা যাবে না।
যাকে মিথ্যে অপবাদ দেওয়ার পর কেঁদে অস্থির হয় সে দুই দশ দিন পর অপবাদ পাওয়ার কাজ করবে। সন্দেহ নেই,হয় ও ভাল হবে নাহয় ওকে অপবাদ দেওয়া লাগবে না কারণ ও সত্যিই খারাপ কাজ তা করবে। কেউ একটু গভীরে ভেবে দেখে না যে, সত্যিই কি মানুষটা দোষের কিছু করেছিল নাকি মানুষের অপবাদ দেওয়াটা যথাযথ ছিল?
কেউ হয়তো পরিস্থিতির কারণে ক্যাডার হয়,কেউবা ঘুষ দিয়ে ক্যাডার হয়! আজকাল BCS পাশ করতে গেলে উচ্চমানের মেধার সাথে কি কি লাগে? যে মানুষটা ১২ লাখ টাকা দিয়ে ১৭ হাজার টাকা বেতনের চাকরি তে ঢুকল সে কি cad নাকি cadre হবে? ওর ভিতর একটা সৎ মানুষ ছিল যার মৃত্যু ঘটল ঘুষ দেওয়ার সাথে সাথে। viva board এর সদস্যরা নিশ্চয়ই উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তা। তাঁরা খুবই বিনয়ের সাথে যখন বলল,আপনার মৌখিক পরীক্ষা ঠিক ঠাক কিন্তু......
এই কিন্তু শব্দটা দিয়ে প্রতিবছর কত সৎ মানুষ খুন করা হচ্ছে তার পরিসংখ্যান কেউ জানেনা।
দেশটা আজব চিড়িয়াখানা হয়ে গেছে। জীবনের নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত সৎ মানুষ পাওয়া যাচ্ছে। ওরা তখন দর্শক হয়ে বিভিন্ন দামের আর আকর্ষণীয় মানের অসৎ মানুষ দেখে। অসৎ মানুষেরা একটা অদৃশ্য খাঁচায় বন্দী। বের হয়ে আসতে পারে না। কেউ বের হয়ে আসতে চাইলে ও পারে না।
আমরা সবাই যদি চাইতাম ঘুষ দিয়ে চাকরি করব না,তাহলে কি তথাকথিত চাকরি দাতারা কি করবে? আমরা যদি চাইতাম অসৎ হব না তাহলে কে আমাদের অসৎ বানাবে? বড় বড় ডিগ্রী নেওয়ার পর ও কি আমাদের এই মনের জোরটুক হয়নি?
পি, এস, সি পরীক্ষা হচ্ছে। শুনলাম বাংলা প্রশ্ন পরীক্ষার আগেই স্টুডেন্টরা পেয়ে গেছে। পরীক্ষায় নাকি দাড়ি কমা সহ হুবুহু প্রশ্ন কমন পড়েছে। শুনে ২ পাটি দাঁত বের করে হাসলাম। উদ্দেশ্য ছাড়াই কারণ আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
মা-বাবা হন্তদন্ত হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে যদি কোথাও আগামি পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়া যায়! এইটা না করে বাচ্চার গলা টিপে মেরে ফেলেন। অসৎ জীবিত বাচ্চার চেয়ে সৎ মৃত বাচ্চা কি খারাপ? তারপর ঘরে নাহয় জেলখানায় বসে আঙুল চুষবেন। খুব খারাপ কথা বলেছি আমি,তাই না? ভেবে দেখবেন বাচ্চাকে সময় না দিয়ে এখন তাকে দিয়ে এ+ পাওয়ানোর এই কুচেষ্টা করার মহতী উদ্যোগ নেয়াটা কত খানি যুক্তি সঙ্গত।
একবার মি. এডিসন ঘরে আগুন লাগিয়ে দিল। আগুন কিভাবে পোড়ায় এইটা দেখা ছিল তার উদ্দেশ্য। এখন দেশের প্রতিটি জায়গায় এরকম কিছু গবেষক আছেন যারা আমাদের দেশটা অসৎ মানুষে ভরে গেলে কেমন হবে এইটা দেখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আর আমাদের সম্মানিত শিক্ষা মন্ত্রী মহোদয়ের বাণী শুনলে আমার অবাক লাগে যে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফটোকপি হয় কিভাবে আর পরীক্ষার আগে স্টুডেন্টদের কাছে পৌঁছে কিভাবে।
ভাল কাজ করার মত ইচ্ছা থাকলে আপনারা অনেক আগেই এই ছোট্ট দেশটাকে সোনা দিয়ে মুড়ে দিতে পারতেন। কিন্তু কোন এক অস্পষ্ট কারণে আমরা আজ এত অভাগা যে শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড হওয়ার কথা থাকলে ও এখন ফাঁস প্রশ্ন দেখে এ+ পাওয়া বাচ্চাগুলো জাতির কর্ণধার হতে যাচ্ছে। তাহলে আমরা কি মেরুদণ্ডী জাতি নাকি অমেরুদণ্ডী জাতি?
পৃথিবীতে ভাল মানুষ না থাকলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেত-এই কথাটা বলে আমাদের আর গর্ব করার মত সুযোগ থাকল না।
আর ভাল লাগেনা। বাচ্চা গুলোর জন্যে মায়া লাগে। ওরা তো আর ইন্টারনেট বোঝে না অতটা। ওরা শুধু পড়ে, অনেক ভাল ভাবে পরীক্ষায় অংশ নিতে চায়। ওদের মনের এই ইচ্ছাটুকু দয়া করে কেউ নষ্ট করবেন না। সৎভাবে অল্প কিছু করলে সেইটা অনেক বড় হয়ে যায়- ওদের এইটুক বুঝান। দেখবেন একদিন আপনার বাচ্চা আপনাকে গর্বিত করবে। আমি জানি, সবাই আপনারা এই কথাগুলো বোঝেন। এত ছোট ছোট বাচ্চাদের অসৎ হওয়ার শিক্ষা দেবেন না দয়া করে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.